BISMILLAH HIR RAHMANIR RAHIM
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নুরে মুজাচ্ছাম → ইমামগনের আকিদা থেকে :-
Written By (Masum Billah Sunny)
★ ইমাম আবুল হাসান আশআরী (রহ) বলেন,
আল্লাহ পাক নুর তবে অন্যান্য নুরের মত নন। আর নবী করিম (সা) এর রুহ মুবারক হচ্ছে তার (আল্লাহর) নুরের ঝলক। আর ফেরেশতাগন হচ্ছেন তার (রাসুলের) নুরের শিখা। যেমন রাসুল (সা) ইরশাদ করেন,
"আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নুর সৃষ্টি করেছেন আর আমার নুর থেকে আল্লাহ প্রত্যেক কিছু সৃষ্টি করেছেন।
Reference :
ইমাম মাহদী আল ফার্সী : মাতালিউল মুসাররাত : ২১ পৃ:
★ ইবনে জাওজী (রহ) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) এর বানী : "আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নুর মুবারক সৃষ্টি করেছেন আর আমার নুর থেকে কুল কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন।
Reference :
ইবনে জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (সা) : ২২ পৃ
★ ইমাম আব্দুল গনী নাবলুসী (রহ) হযরত যাবির (রা) এর সনদ সম্পর্কে বলেন,
"রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি। উক্ত বর্নিত হাদিসটির সনদ সহিহ।
Reference :
ইমাম নাবলুসী : হাদিকাতুল নাদিয়া : ২/৩৭৫ পৃ:
★ বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা ইসমাইল হাক্কী (রহ) :
সুরা যুখরুফ ৮১ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় একটি হাদিস উল্লেখ করেন,
ইমাম জাফর সাদেক (রহ) বলেন,
আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম নুরে মুহাম্মাদী (সা) কে সৃষ্টি করছেন।
Reference :
ইসমাইল হাক্কী : রুহুল বয়ান : ৮/৩৯৬ পৃ: সুরা যুখরুফ : ৮১
★ হযরত আব্দুল কাদীর জিলানী (রহ) বলেন,
পরম গৌরবান্বিত ও মহিমান্বিত আল্লাহ পাক বলেছেন,
আমি আমার নিজ জাতের কুদরতী জামালের নুর হতে মুহাম্মদ (সা) এর রুহ সৃষ্টি করেছি।
এর প্রমান হল রাসুলুল্লাহ (সা) এর হাদিস আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হল আমার নুর মুবারক।
Reference :
ইমাম শাতনুফী : বাহজাতুল আসরার : ১২ পৃ
★ ইমাম বদরউদ্দিন আঈনি (রঃ) বলেনঃ
,”আল্লাহ্ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সঃ) এর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন। “
[Umdat ul Qari, Sharh Sahih Bukhari, Volume No. 15, Page No. 109]
_________________________________________________
★ ইমাম যুরকানী (রহ) বলেন,
হাদিসে পাকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হিসেবে "আকল" "কলম" ও " আমার নুর" তিনটি বস্তু মুলত নবীকুল সম্রাট এর নুর মুবারককেই বুঝানো হয়েছে। সর্বাগ্রে, নিরেট ও নির্ভেজাল অস্তিত্বময় একমাত্র তারই সত্ত্বা।
Reference :
শরহে মাওয়াহিব : ৭ম খন্ড : ২৫৪ পৃ
★ ইমাম শারানী (রহ) বলেন,
নুর কিংবা আকল পরস্পর বৈপরিত্য নেই। এগুলো হাকিকতে মুহাম্মদী (সা) এর বহুমুখী পরিচিতি।
Reference :
ইমাম শারানী : ইয়াকুত ওয়াল জাওয়াহির : ২য় খন্ড ২০ পৃ
- ইমাম যুরকানী (রহ) বলেন,
لم يكن له صلى الله عليه و سلم ظل في شمس و لا قمر لانه كان نورا-
অর্থ : “সূর্য চন্দ্রের আলোতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারকের ছায়া পড়তোনা। কেননা, তিনি ছিলেন আপদমস্তক নূর”।
Reference :-
যুরকানী শরীফ ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ২২০
- ইমাম হাফেজ আবুল ফযল ক্বাযী আয়ায (রা) বলেন-
و قد سماه الله تعالى فى و سراجا منيرا فقال تعالي قد جاءكم منالله نور و كتاب مبين و قال تعالى انا ارسلناك شاهدا و مبشيرا و نذيرا و داعيا الى الله باذنه و سراجا منيرا و قال فى غير هذا الموضع انه كان لاظل لشخصه في شمس و لا قمر لانه كان نورا الذباب كان لا يقع على جسده و لا ثيابه-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়া’লা কোরআন করীমে তাঁর নাম রেখেছেন নূর ও সিরাজুম্ মুনীর। যেমন তিনি ফরমায়েছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে। আরো ফরমায়াছেন, আমি তো আপনাকে পাঠিয়েছি হাজের ও নাজেররূপে, আল্লাহর অনুমক্রিমে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজুম মুনীর ) রূপে। নিশ্চয়ই তাঁর ছায়া ছিল না।
না সূর্য়ালোকে না চন্দ্রালোকে কারণ তিনি ছিলেন নূর। তাঁর শরীর ও পোশাক মোবারকে কখনও মাছি পর্যন্ত বসত না।
Reference :-
★শিফা শরীফ ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৪২
- ইমাম সুয়ুতী তার কিতাব খাসাইসে বর্ননা করেন,
اخرج ابن ابي عمر العدني فى مسنده عن ابن عباس ان قريشا كانتنورا بين يدي الله تعالى قبل ان يخلق ادم بالفى عام يسبح ذالك النور و تسبح الملائكة بتسيحه فلما خلق الله ادم القي ذالك النور فى صلب قال رسول الله صل اله عليه و سلم فاهبطنى الله الى الارض فى صلب ادم (عليه السلام) و جعلنى فى صلب نوح عليه السلام و ق ف بى فى صلب ابرهيم عليه السلام ثم لم يزل الله ينقلبى من الصلاب الكريمة و الارحام الطاهؤة حتى اخرجنى من بين ابوى لم يلتقيا على سفاح قط-
অর্থ : হযরত ইবনে আলী ওমর আল-আদানী স্বীয় মুসনাদে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন,হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁকে তাঁর সন্তানদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্যটুকুও দেখাতে লাগলেন। তিনি ( আদম আলাইহিস সালাম ) তাদের মধ্যে শেষপ্রান্তে একটা উজ্জ্বল নূর দেখাতে পেলেন। তখন তিনি বললেন,” হে রব! ইনি কে? ( যাকে সবার মধ্যে প্রজ্জ্বলিত নূর হিসাবে দেখতে পাচ্ছি?) উত্তরে মহান রব্বুল আলামীন ইরশাদ করলেন,” ইনি হলেন তোমার পুত্র-সন্তান হযরত আহমদ মুজ্তবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি হবেন আমার দরবারে প্রথম সুপারিশকারী (ক্বিয়ামতেরদিনে)।
Reference :-
★আল-খাসাইসুল কুবরা ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯
- মাওলানা আব্দুল আউয়াল জৌনপুরী সাহেব তাঁর গ্রন্থে লিখেছেন –
“নবী করিম (সাঃ আঃ) মায়ের গর্ভেই যে নূর ছিলেন – এর দলীল হচ্ছে যাকারিয়া (রা) বর্ণিত হাদীস” – নবী করিম (সাঃআঃ) ৯ মাস মাতৃগর্ভে ছিলেন,এ সময়ে বিবি আমেনা (রাঃ আঃ) কোন ব্যথা বেদনা অনুভব করেননি বা কোন রোগে আক্রান্ত হননি এবং গর্ভবতী অন্যান্য মহিলাদের মত কোন আলামতও তাঁর ছিলনা। হুযুর (সাঃ আঃ) এর দেহ মাতৃগর্ভে নূর ছিল। হযরত ওসমান (জ্বীন্ নূরাইন) দয়াল নবীর দুই কন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, একজন কন্যার মৃত্যুর পর আর তাই তো হযরত ওসমানকে বলা হয় (দ্বীল্লুল নূরাইন) বাংলায় শব্দটি সঠিক হচ্ছে না এটা উচ্চরন হতে পারে (জ্বীন্ নূরাইন) অর্থাৎ দুই নূরের অধীকারী। (সুবহান-অল্লাহ্ )
- ইমাম বদরউদ্দিন আঈনি (রঃ) বলেনঃ
روى أحمد والترمذي مصححا من حديث عبادة بن الصامت مرفوعاً أول ما خلق الله القلم ثم قال أكتب فجرى بما هو كائن إلى يوم القيامة واختاره الحسن وعطاء ومجاهد وإليه ذهب إبن جرير وابن الجوزي وحكى ابن جرير عن محمد بن إسحاق أنه قال أول ما خلق الله تعالى النور والظلمة ثم ميز بينهما فجعل الظلمة ليلاً أسود مظلماً وجعل النور نهاراً أبيض مبصراً وقيل أو ما خلق الله تعالى نور محمد قلت التوفيق بين هذه الروايات بأن الأولية نسبي وكل شيء قيل فيه إنه أول فهو بالنسبة إلى ما بعدها
ইমাম আহমদ এবং ইমাম তিরমিজি (রঃ) মারফু হাদিস সহিহ সনদ সহ ইবাদা বিন সামিত থেকে বর্ননা করে প্রমাণ করেন যে,” আল্লাহ্ সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন এবং একে বলল, লিখ এবং এটা বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত সবকিছু লিখল।হাসান,আতা, মুজাহিদ ও এটা অবলম্বন করেছেন। ইবন জারির এবং ইবন জাউজির ও এমন মাজহাব ছিল। যেখানে ইবন জারির, মুহাম্মদ বিন ইসহাক থেকে বর্ননা করেন যে,”আল্লাহ সবকিছুর পূর্বে আলো (নূর) এবং আঁধার সৃষ্টি করেছেন। তারপর তাদের মদ্ধে পৃথকীকরণ করেন।এখানে আরও বলা আছে যে,”আল্লাহ্ সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সঃ) এর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন। “
[Umdat ul Qari, Sharh Sahih Bukhari, Volume No. 15, Page No. 109]
- আশরাফ আলী থানভী লিখেন -
“এ কথা সবাই জানে যে আমাদের হুজুর(সা) এর দেহ মোবারক এর কোনো ছায়া ছিল
না,কেননা ওনার(সা) আপাদ-মস্তক নূরের”
reference :-
(আশরাফ আলী থানভী~শোকরে নিয়ামত পি ৩৯)
এছাড়াও উনার বিখ্যাত কিতাব “Nashr ut Teeb fi Dhikr il Nabbiyal Habeeb” এও নবী কারীম(সাঃ) এর নূরের অগনিত হাদিস লিখেছেন।
- ঈমাম-এ-আজম হযরত আবু হানিফা (রাহ:) বলেন…
” ইয়া রাসূলাল্লাহ(সা:) আপনে হলেন এমন নূর যার আলোতে একটা পূর্ণ চন্দ্র আলোকিত হয় & আপনার সুন্দর্য ও মার্জিত ভাবের দারা আপনে একটা আলোকিত সূর্য..”
(Qasidaul Nu’maan.}
- Imam Tirmidhi wrote that,
when Prophet (May Allah bless him and grant him peace) smiled, it seemed as if Noor was coming from his teeth.
(Chap on Shamaa’il Tirmidhi)
- Mullah Ali Qari (rah) beautifully said:
الأوّل الحقيقي هو النور المحمدي على ما بينته في المورد للمولد
Translation: The first reality is the “NUR-AL-MUHAMMADI” as I have mentioned in my book Al-Mawrid lil-Mawlid.
Reference:::
[Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al Mishqaat (1/289), Published by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon]
- তিনি আরো বলেন, Prophet (Peacebe upon him) said: “The First thing which Allah created was my Nur” and It has also come in another report that It was his “RUH” and both of them “HAVE SAME MEANING BECAUSE SPIRITS ARE CREATED FROM NUR
Reference:::
[Mullah Ali Qari in Mirqat, Sharh al-Mishqaat (1/290), Published by Dar ul Fikr, Beirut, Lebanon
- হযরত গাউসুল আজম দস্তগীর Sirr-al-Asrar কিতাবে বলেছেন:-
- Allah created First the Ruh of Muhammad (Sallallaho Alaihi wa sallah) & Also Another narration that,
- Allah created first the Noor of Muhammad (Sallallaho Alaihi wa sallah)
- Both that means Haqiqate Mahammadi (Sallallaho Alaihi wa sallah)
[Al-Sirr al Israr]
- হযরত আলী (রা) বলেন,”
when the Beloved of Allah (sallal laahu alaihi wasallam) spoke, Noor (light) used to be seen emerging from between his blessed teeth.
Reference :-
★(ইমাম হাজর আসকালানী: মাওয়াহিবে লাদুনিয়া)
★আনোয়ারোল মুহাম্মাদিয়া
- Ibn-al-Jawzi narrates that the Noor of the Prophet Sallallahu ‘alaihi wa sallam would overcome the light of both the sun and the lamp.
[Al-wafa Ibn Jawzi Chapter Al Wilaada]
- “norim min noorallahi” → অর্থাৎ “যিনি আল্লাহ্ পাকের উজ্জ্বল জ্যোতি/ নুর। (দুরুদে তাজ)