Lecture : কালেমা তাইয়্যেবাহ নিয়ে মিথ্যাচার :-
Masum Billah Sunny
এখানে যে কয়েকটা Step এ পুরোটা lecture শেষ হবে দেখে নিন:-
STEP1: তাদের মিথ্যাচারের ভয়াবহতা প্রমানসহ সেগুলোর বিবরন।
STEP2: হযরত আদম (আ) এর দেখা কালিমা যা আরশের খুটিতে লেখা আছে- ""লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"" একে জাল অপপ্রচারের জবাব।
STEP3: তাদের দাঁতভাঙা জবাবে অসংখ্য সহিহ হাদিস এর Reference সংগ্রহ করে দিলাম
STEP4: তারপর কিছু হাদিস বর্ননা করে সবগুলোর জবাব কুরআন ও হাদিস থেকে দেয়া হল।
দয়া করে post টি পুরোটা পড়বেন নয়তো আপনে অনেক মারাত্মক ভুল বুঝতে পারেন কারন post টি বিশাল বড়। বুঝার সুবিধার জন্য দাগ কেটে আলাদা করে দিলাম।
আজ এই আবর্জনা গুলোকে সাফ করে দিব চিরদিনের জন্য এই post পড়ার পর কোন দিন কেউ আর তাদের ধোকায় পড়বেন না আশা করছি।
→→→→→→→→→→→→→→→
ইদানিং বেশকিছু ওহাবী জামাতী ভন্ড আর দাওয়া group যারা মুলত peace tvর ভাইদের আরেক পরিচয়।অনেক দিন থেকেই লক্ষ করছি তারা বিভিন্ন website ,blog ,facebook ,youtube এ কুরআন হাদিসে কোন কালিমা তাইয়্যেবাহ নেই বলে প্রচার করে আসতেসে তাদের মতে আমরা যে কালিমা পড়ি তা বিদাত ও ভুল। চাইলে প্রমান স্বরুপ ইন্টারনেট এ দেখে নিতে পারেন। (নাউজুবিল্লাহ)
সাধারণ মুসলমানকে কত বড় ধোকা দিচ্ছে এই ভন্ড ওহাবী জামাতী নামধারী আহলে হাদিস এর দল দেখুন ****
#SETP1:-
আগে তাদের ভয়াবহতা বুঝানোর জন্য তাদের কিছু মন্তব্য তুলে ধরলাম *****
'কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ' কোনটি ??
১) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"। নাকি
অর্থঃ নাই কোন ইলাহ বা মা'বুদ আল্লাহ ছাড়া।
২) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।
অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ বা মা'বুদ নাই - মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসুল।
সারকথা হলঃ
দীর্ঘ ২৫ বছরের গবেষনায় "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" - এই বাক্যটি সম্পর্কে কোন জাল হাদিস ছাড়া কুরআনে ও সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় নাই। বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ
***বুখারীঃ ১/১২, ২৯, ৩/১২৮৭(ইঃফাঃবাঃ) এবং মুসলিমঃ ১/৪৫, ৪৭, ৫৭, ৬১(বাঃইঃসেঃ)।
বাতিলদের আরো মন্তব্য দেখুন :-
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন :
যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে।
শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি।
যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে।
এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে,
তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে।
ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে।
Nawzubillah,Nawzubillah,Nawzubillah
কালেমা দারা আল্লাহ রাসুল কিতাব ফেরেশতা ও তকদির সবকিছুর উপর পর্নাংগ ইমান আনতে হবে শুধু তাওহীদ এর ঘোষনা দিয়ে আল্লাহকে রব মানলেন আর বাকি গুলোর প্রতি ইমান আনলেন না এটার নাম ইসলাম নয়।
নিচে তাদের কিছু মিথ্যাচার প্রমানসহ দেখুন :-
এখানে দেখুন ওহাবী আহলে হাদিস দের কালেমা তাইয়্যেবাহ নিয়ে সন্দেহ আর মিথ্যাচার :-
কালেমা তাইয়্যেবাহ এর step দেখুন :-
https://m.facebook.com/IslamForEveryLife/posts/763006673744791
দাওয়া ব্লগ যাদের আকিদাহ peace tv group আকিদাহ ওরফে নামধারী আহলে হাদিস যারা স্পস্টভাবে কালেমা তাইয়েবাকে ভুল বলেছে :-
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/6778/maruf_rusafi/36999#.VBl0K7BuvFo
এই same post আবার copy peste মারসে আমার friendlist এর এই আহলে হাদিস ভাই আগে ভাবতাম reseacher এখন দেখি না বুঝেই copy peste মারে :-
https://m.facebook.com/notes/shakil-talukdar/কালেমায়ে-তাইয়্যিবাহ-কোনটি-/10200274802006742/?p=10&ref=bookmark
কালেমা তাইয়্যেবাহ এর step দেখুন:-
http://askislambd.weebly.com/gqa123.html
এখানে দেখুন ওহাবী জামাতিরা শুধু তাওহীদের ঘোষনা দিয়েছে কিন্তু রিসালাতের কোন ঘোষনা নেই।কেন??
http://www.jamiyat.org.bd/archives/3281
https://m.facebook.com/learn.jamat.shibir/posts/207492005983401
আহলে হাদিসও শুধু তাওহিদ এর ঘোষনা দিচ্ছে রিসালাতের ঘোষনা নেই কেন??
http://hadith.blog.com/2011/12/12/বর্তমানে-অধিকাংশ-মুসলিম/
এখানে কালেমা নিয়ে সন্দেহতো আছে ই এমনকি একমাত্র কুরআন ছাড়া সহীহ হাদিসকেও মানতে সন্দিহান কারন হাদিস রাসুল(সা) এর ওফাতের ২০০-৩০০ বছর পর সংকলিত হয়েছে বলে তারা ইসলামের মধ্যে আরেক টা মারাত্তক ফেরকা।
http://www.signofquran.com/upload/38.html
→→→→→→→→→→→→→→→
STEP 2 :-
হাদিসকে জাল বানানোর কত চেষ্টা ওইসব জাহান্নামী দের আল্লাহ উপযুক্ত প্রতিদান দিবেন । ওহাবী সালাফীরা প্রচার করছে এটি নাকি জাল হাদিস। কারন ১টাই এখানে নবীর শান লেখা আছে তাই তাদের গা জ্বলে। আসুন এটা যাচাই করি :-
ওহাবীদের ভাষ্য :- একটি বহুল প্রচলিত জাল হাদীসঃ
"আদম(আঃ) যখন গুনাহ করে ফেললেন, তিনি বললেনঃ হে আমার প্রভু! তোমার নিকট মুহাম্মাদকে সত্য জেনে প্রার্থনা করছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ্ বললেনঃ হে আদম! তুমি কিভাবে মুহাম্মাদকে চিনলে, অথচ আমি তাঁকে সৃষ্টি করিনি? আদম বললেনঃ হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে যখন আপনার হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন এবং আমার মধ্যে আপনার আত্মা থেকে আত্মার প্রবেশ ঘটান, তখন আমি আমার মাথা উচু করেছিলাম। অতঃপর আমি আরশের স্তম্ভগুলোতে লেখা দেখেছিলাম "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"। আমি জেনেছি যে, আপনার কাছে সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি ব্যতিত অন্য কাউকে আপনি আপনার নামের সাথে সম্পৃক্ত করবেন না। সত্যই বলেছ হে আদম! নিশ্চয়ই তিনি আমার নিকট সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি। তুমি তাঁকে হক জানার দ্বারা আমাকে ডাক। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো। মুহাম্মাদ যদি না হত আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।"
এটি লোকমুখে হাদীসে কুদসি হিসাবে যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। অথচ হাদীস বিশেষজ্ঞরা এ ব্যপারে একমত যে, এটি ভিত্তিহিন রেওয়ায়েত, মিথ্যুকদের বানানো কথা। রাসুল(সাঃ) এর হাদীসের সাথে এর সামান্যতম সম্পর্কও নেই।
Lets See :-
★★আরশের খুটিতে লেখা আছে- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ [ﷺ]
হাদিসটি পড়ুন, প্লিজ,,↓
★হাদীস নং- 1
روى سيدنا عبد الله بن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم (لما اقترف آدم الخطيئة قال: يا رب أسألك بحق محمد إلا غفرت لي فقال الله تعالى يا آدم كيف عرفت محمدا ولم أخلقه؟ قال: يا رب إنك لما خلقتني رفعت رأسي فرأيت علي قوائم العرش مكتوبا لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنك لم تضف إلى اسمك إلا أحب الخلق إليك فقال الله تعالى صدقت يا آدم إنه لأحب الخلق إلى وإذ سألتني بحقه فقد غفرت لك ولو لا محمد ما خلقتك
অনুবাদঃ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল [সাﷺ] বলেছেন, যখন আদম আলাইহিস সালামের নিকট তাঁর নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল ভক্ষণের বিষয়টি ধরা পড়ল, তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহ, আমি মুহাম্মাদের [ﷺসা] ওয়াসীলা নিয়ে তোমার দরবারে ফরিয়াদ করছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও।
অতঃপর আল্লাহ বললেন, হে আদম, তুমি মুহাম্মাদকে কীভাবে চিনলে, এখনো যাকে সৃষ্টি করি নাই?
তিনি বললেন, হে আল্লাহ, তুমি যখন আমাকে সৃষ্টি করেছিলে, আমি তখন আমার মাথা উঠিয়েছিলাম। তখন দেখতে পেয়েছিলাম, আরশের খুটিগুলোর উপর লেখা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম, সমগ্র সৃষ্টির মধ্য সবচেয়ে প্রিয় না হলে তুমি তাঁর নাম তোমার নামের সাথে মিলাতে না।
অতঃপর আল্লাহ বললেন, হে আদম তুমি ঠিকই বলেছ। নিশ্চয়ই সমগ্র সৃষ্টির মধ্যে সে আমার সবচেয়ে প্রিয়, আর যেহেতু তুমি তাঁর ওয়াসীলা নিয়ে আমার নিকট দোয়া করেছ, তাই তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। আর(জেনে রাখ) মুহাম্মাদকে সৃষ্টি না করলে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।
রেফারেন্সঃ
১-আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ {আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ-২/৫২৫}
২-ইমাম বায়হাকী রহঃ {দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ}
৩-ইমাম হাকেম রহঃ {মুসতাদরাকে হাকেম}
৪-আল্লামা সুবকী রহঃ {শেফাউস সিকাম}
আরো বর্নিত আছে:-
৫-আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫০২,
৬-আল মুজামুস সগীর লিত তাবরানী, হাদীস নং-৯৯২,
৭-আবু নুআইম রহ:
৮-আদ দুরার কিতাবে ইবনে আসাকীর রহঃ,
৯-মাযমাউজ যাওয়ায়েদ কিতাবে।
১০-ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭
যে সকল মুহাদ্দিসীন এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেনঃ
১-★★ ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।
আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫
২- ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।
শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০
৩- ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ।
দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২
৪-★★ ইমাম কুস্তালানী (রহ) বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।
মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬
৫- ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ।
ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯
৬- ★★ ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।
আল খাসাইসঃ১/৮
৭- ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯
সুতরাং প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণের এসব মন্তব্যের পর আর কোন সন্দেহ থাকল না, নিঃসন্দেহে বলা যায় হাদিসটি সহীহ।
★ হাদীস নং- 2
আর এই পবিত্র কালিমা শরীফ সহীহ সনদে হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। আসুন আমরা সনদ সহ হাদীস শরীফখানা লক্ষ্য করি-
حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصاري
حدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت الجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب فكتبت عليه "لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم فسكن. هذا حديث صحيح الاسناد
অর্থ: হযরত ইমাম হাকিম নিসাবুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি বলেন আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু।
সনদ পরিবর্তন/ দ্বিতীয় সনদ :
হযরত ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন :-
★হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ,
★তিনি হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে।
★ তিনি সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,
★তিনি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে।
তিনি বলেন-
" মহান আল্লাহ পাক তার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম কে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি মুহাম্মাদ [সাﷺ] এর প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে উনাকে যারা পেতে চায় তাঁদের নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে। যদি মুহাম্মদ [সাﷺ] না হতেন তবে আদম আলাইহিস সালাম কে সৃষ্টি করতাম না, যদি মুহাম্মদ [সাﷺ] সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি
করতাম না। আর যখন আমি পানির উপর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের মধ্যে
لا اله الا الله محمد رسول الله [ﷺ]
লিখে দেই তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে যায়।"
এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।"
দলীল-
★আল মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিসাবূরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, - ★কিতাবু তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহি আলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিন ৪র্থ খন্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা।
★মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খন্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা
★• হাদীস নং-3
বিখ্যাত ইমাম হাফিজে হাদীস আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেন-
عن ابن عباس رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم ما في الجنة شجرة عليها ورقة الا مكتوب عليها لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, তিনি বলেন- হুজুর পাক [ﷺ] ইরশাদ মুবারক করেন, জান্নাতের এমন কোন গাছ নেই যার পাতার মধ্যে
لا اله الا الله محمد رسول الله [ﷺ]
এ বরকতময় কালিমা শরীফ লিখিত নেই। "
দলীল-
★খাছায়েছুল কুবরা ১ম খন্ড ১৩ পৃষ্ঠা।
★আল হিলইয়া লি আবু নুয়াইম রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
★ হাদীস নং- 4
হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতি রহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো বর্ননা করেন,-
عن حضرت جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلي الله عليه و سلم مكتوب علي باب الجنة لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم
অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন, হুজুর পাক [ﷺসা] ইরশাদ মুবারক করেন, জান্নাতের দরজা মুবারকে লিখা রয়েছে-
لا اله الا الله محمد رسول الله [ﷺ]
দলীল-
★খাছায়িছুল কুবরা ১ম খন্ড
★ হাদীস নং- 5
কিতাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বর্ননা রয়েছে-
عن حضرت ابي الحسن علي بن عبد الله الهاشمي الرقي رحمة الله عليه قال : دخلت بلاد الهند، فرايت في بعض قرأها شجرة ورد اسود ينفتح عن وردة كبيرة طيبة الراءحة سوداء عليها مكتوب بخط ابيض لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم ابو بكرن الصديق عليه السلام عمر الفاروق رضي الله عنه فشككت في ذاك وقلت انه معمول فعمدت الي حبة لم تفتح ففتحتها فرايت فيها كما رايت في ساءر الورد في البلد منه شيء كثير
অর্থ: হযরত ইবনে আসাকির রহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত ইবনে নাজ্জার রহমাতুল্লাহি আলাইহি দু'জন স্বীয় ইতিহাসগ্রন্থে হযরত আবুল হাসান আলী ইবনে আব্দুল্লাহ আল হাশীমি আররক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি ভারতবর্ষের কোন এক এলাকায় পৌঁছে একটি কালো রঙ্গের গোলাপ গাছ দেখলাম। এর অকটি ফুল অনেক বড়, যার রঙ কালো, সুগন্ধিনয় এবং অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ছিলো। ঐ ফুলটির গায়ে সাদা হরফে লিখা ছিলো-
لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم ابو بكرة صديق رضي الله غنه عمر الفاروق رضي الله عنه
আমি মনে মনে চিন্তা করলাম এবং আমার বিশ্বাস হলো নিশ্চয়ই এটা কারো কাজ হবে। তাই আমি অন্য একটি বন্ধ কলি খুলে দেখলাম। আশ্চর্যের বিষয় তাতেও এরূপ লিখা ছিলো। এধরনের গোলাপ গাছ সেখানে প্রচুর পরিমান ছিলো। " সুবহানাল্লাহ্ !!
দলীল-
★ইবনে আসাকির
★ইবনে নাজ্জার।
উপরোক্ত নির্ভরযোগ্য দলীল থেকে প্রমানিত হলো কালিমা শরীফ হচ্ছে " লা'ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ [সাﷺ]
অথচ সালাফী ওহাবীপন্থী মুরতাদরা বলছে এধরনের কোন কালিমা শরীফ নাকি ইসলামে নাই। নাউযুবিল্লাহ !!
শুধু তাই নয় জামাতের মুরতাদ তারেখ মনোয়ার বলেছে কালিমা শরীফে " লা'ইলাহা ইল্লাল্লাহু " এই বাক্যের পাশাপাশি "মুহম্মদুর রসূলাল্লাহ [সাﷺ] লিখা শিরক। নাউযুবিল্লাহ !!
♦শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস আল্লাহ তাআলার বাণীরই ব্যাখ্যা হয়ে থাকে। আমরা কুরআনের ব্যাখ্যা সর্ব প্রথম রাসূল সাঃ এর হাদীস দ্বারাই গ্রহণ করে থাকি।
কুরআনে কারীমে একথা রয়েছে যে, হযরত আদম আঃ কে কিছু কালিমা আল্লাহ তাআলা শিক্ষা দিয়েছেন, যা পড়ার দরূন তার তওবা কবুল হয়েছে। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে হযরত আদম আঃ কে তওবার ওসীলা কালিমা শিক্ষা দেয়াটা ছিল একটি নেয়ামত। আর নেয়ামত সাধারণত কোন নেক আমলের কারণে পাওয়া যায়। হযরত আদম আঃ এর পাওয়া তওবার অসীলা সেসব কালিমা শিখতে পাওয়ার নেয়ামত কোন নেক আমলের কারণে পেয়েছিলেন? তা কুরআনে বর্ণিত নেই।
হাদীসের মাঝে সেই নেক আমলের কথাটি বর্ণনা করা হয়েছে। সেই নেক আমলটি হল, হযরত আদম আঃ রাসূল সাঃ এর ওসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন। সুতরাং এ হাদীসটি কুরআনে কারীমের বিপরীত অর্থবোধক রইল কিভাবে?
রেফারেন্স :-
★ শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দেসে দেহলবী রহঃ প্রণীত তাফসীরে ফাতহুল আজীজ-১/১৮৩।
এ হাদীসের মূল বক্তব্যের উপর আরো দু’টি হাদীস রয়েছে। যথা-
عن عبد الله بن شقيق ؛ أن رجلا سأل النبي صلى الله عليه وسلم : متى كنت نبيا ؟ قال : كنت نبيا وآدم بين الروح والجسد (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب المغازى، ما جاء في مبعث النبي صلى الله عليه وسلم، رقم الحديث-৩৭৭০৮)
অনুবাদ-আব্দুল্লাহ বিন শাকিক থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে এক লোক প্রশ্ন করল-আপনি কখন থেকে নবী? তিনি বললেন-আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আঃ রুহ ও শরীরের মাঝামাঝি ছিলেন।
Reference :-
★মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩৭৭০৮,
★মাশকিলুল আসার লিত তাহাবী, হাদীস নং-৫২২২,
★কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল ★আফআল, হাদীস নং-৩১৯১৭,
★জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১৫৮৩৫
عن العرباض بن سارية الفزاري قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول : ( إني عند الله مكتوب بخاتم النبيين وإن آدم لمنجدل في طينته (صحيح ابن حبان، كتاب التاريخ، باب من صفته صلى الله عليه و سلم وأخباره، رقم الحديث-৬৪০৪)
অনুবাদ-হযরত ইরবায বিন সারিয়্যা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-নিশ্চয় আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বশেষ নবী হিসেবে লিপিবদ্ধ ছিলাম তখন, যখন আদম আঃ মাটিতে মিশ্রিত ছিলেন।
Reference :-
★সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬৪০৪,
★মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৭১৬৩,
★মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৪১৯৯,
★মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-১৪৫৫,
★শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩২২২,
★মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদীস নং-৫৭৫৯,
★আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৬৩১
সুতরাং এ বর্ণনাটিকে জাল বলাটা বাড়াবাড়ি আর কিছু নয়।
→→→→→→→→→→→→→→→
STEP 3 :-
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এর ব্যাপারে সহীহ সনদে অনেক হাদীস হাদীসের কিতাব সমূহে সহীহ সনদে বিদ্যমান আছে। আমি ভিন্ন করে নোট আকারে লিখবো ইনশাআল্লাহ্। আপাততো দুইটি হাদীস পেশ করছি।
পুরো lecture এর মুলনীতি :-
রিসালাতের ঘোষনা :- এ নিয়ে অনেক হাদিস আছে।
যেখান থেকে আমি [মাসুম বিল্লাহ সানি (আল্লাহর কসম! আমি যেহেতু খুজে বের করেছি আমিই নিজেই ১০০% এইসব Reference এর সত্যতার স্বীকৃতি দিচ্ছি ) এমন কিছু হাদিসের reference দিচ্ছি যেগুলোতে স্পস্টভাবে বিভিন্নভাবে একি সাথে তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষনা অর্থাত মুলত এইসব হাদিসে কালেমা তাইয়্যেবাহ ও কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে ঠিক এই ভাবে:-
(প্রথম) :-
""""" আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দান।
(দ্বিতীয়) :-
মুহাম্মদ(সা) বলেছেন যে, "আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসুল।
(তৃতীয়) :-
সাহাবিগন বলেছেন,"আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসুল।""""
(চতুর্থ) :-
কালেমা শাহাদাত এ রিসালাতের এর সাক্ষ্য:-
আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শারীক নাই, তিনি একক এবং আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল।
সবগুলোর একই উদ্দেশ্য যে, "
১) """আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই"" এই কথা দারা তাওহিদের ঘোষনা দেয়া সাথে সাথে
২) """মুহাম্মদ(সা) আল্লাহর রাসুল""" এই বলে রিসালাতের সাক্ষ্য প্রমান করা।
একসাথে এতগুলো হাদিস আমি post করতে পারছি না আর আপনাদের পড়ারও আগ্রহ থাকবে না তাই শুধু অধ্যায় সহ reference দিচ্ছি কেউ চাইলে check করতে পারেন।আমি একটা একটা করে সব হাদিস check করে দিয়েছি।
Name: Sahih Bukhari (সহীহ বুখারি)
publication: Islamic foundation Bangladesh
অধ্যায়:হাদিস নং
ইমান: ৭,২৪,৫১,
ইলম: ৮৭,১৩০,
সালাত: ৪৪৮
সালাতের ওয়াক্তসমুহ: ৪৯৮
আযান: ৭৯৬(শ)
তাহাজ্জুত: ১১২৯(শ)
জানাযা: ১২৪৭(শ),১২৮৫,১২৯১(শ)
যাকাত: ১৩১৩,১৪০৯
হজ্জ: ১৭৬০
ক্রয় বিক্রয়: ২০২৩
অংশিদারিত্ত: ২৩২২
জিহাদ: ২৬৯৮,২৭৭৪,২৮৪০,২৮৪৬(শ)
আম্বিয়া কেরাম(আ) : ৩১৯৩(শ),৩০৯৪,৩২৬৮(শ),৩৬৫৪,
যুদ্ধাভিযান: ৩৮৮৮,৩৮৯২,৪০০৯,৪০৩৩
তফসির : ৪১২৮,৪৫৪০
আহার: ৫০৪৯
রক্তপন: ৬৪১২
খবরে ওয়াহিদ: ৬৭৭০
Note: যেসব হাদিসের পাষে ""(শ)"" লিখলাম সেগুলোতে কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য রয়েছে।
Name: Sahih Muslim(সহীহ মুসলিম)
publication: Islamic foundation bangladesh
অধ্যায়: হাদিস নং
ইমান: ১,২১,২৩,২৪,৩৬,৪৫,৪৬,৪৭(শ),৪৯,৫৫,৫৬,২০৬(শ),২০৭,২২১
তাহারাত বা পবিত্রতা: ৪৪৪(শ),৪৪৫(শ),
সালাত: ৭২৬,৭৩৫,৭৮০(All=শ)
জুমুয়া: ১৮৮১(শ)
কসম: ৪২২৮,৪২৩০
জিহাদ: ৪৪৩৭,৪৭৬১(All= শ)
সাহাবীগনের ফজিলত: ৬০০৪,৬১৩৮,৬১৭১(শ)
জান্নাত ও জান্নাতের নিয়ামত ও জান্নাতবাসীদের বিবরন: ৬৯৫২(শ)
ফিতনা সমুহ ও কিয়ামতের নিদর্শন: ৭০৮২,৭০৯০
Note: যেসব হাদিসের পাষে ""(শ)"" লিখলাম সেগুলোতে কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য রয়েছে।
Name: Sonanu Nasai (সুনানু নাসাই)
Publication : Islamic foundation Bangladesh
অধ্যায়: হাদিস নং
পবিত্রতা: ১৪৮,১৮৯,
আযান: ৬৭৯
সুর্য ও চন্দ্র গ্রহন: ১৪৮৭(কালেমা তাইয়েবা)
জানাযা: ২০৫৪,২০৫৫,২১১৬,২১১৭
All=কালেমা শাহাদাত সম্পর্কিত হাদিস।
Note: যেসব হাদিসের পাষে ""(শ)"" লিখলাম সেগুলোতে কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য রয়েছে।
Name: Ibne Majah(ইবনে মাজাহ)
Publication : Islamic foundation Bangladesh
অধ্যায়:
রাসুল(সা) এর সুন্নতের অনুসরন: ৬৩,৭১,৭২,৮৭
পবিত্রতা ও এর সুন্নতসমুহ : ৪১৯,৪৬৯(শ)
আযান ও এর সুন্নত: ৭০৬,৭০৮,৭০৯,৭২১(শ),৮৯৯(শ)
সালাত কায়েম ও এর নিয়মকানুন: ৯০০,৯০১(শ)
Note: যেসব হাদিসের পাষে ""(শ)"" লিখলাম সেগুলোতে কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য রয়েছে।
Name:Musnade Ahmmad (মুসনাদে আহমদ):
হাদিস নং: ২১(শ),২২,২৩,৩৫
Name: Sahih Tirmizi(সহিহ তিরমিযি)
অধ্যায় : হাদিস নং
পবিত্রতা: ৫৫(শ)
সালাত: ২৮৯(শ), ২৯০
যাকাত: ৬২৩
রোজা: ৬৮৮
দাফন কাফন: ১০৭১(শ)
বিবাহ: ১১০৫(শ)
রক্তপন: ১৪০৬
Note: যেসব হাদিসের পাষে ""(শ)"" লিখলাম সেগুলোতে কালেমা শাহাদাত এর সাক্ষ্য রয়েছে।
Name: Riyadussalehin (রিয়াদুস সালেহীন)
হাদিস সংকলক: ইমাম নববী(রহ:)
Publication: তাওহীদ
হাদিস নং:
১/৬১,
৫/৭৯,
৮/৯৫,
৬/২১৩
→→→→→→→→→→→→→→→
STEP 4 :-
এ সম্পর্কে কিছু হাদিস তারপরও বর্ননা করা খুব দরকার বোধ করছি :
রিসালাত এর ঘোষনা দিয়ে ইমান আনা :-
1) “যেকোনো লোক মন থেকে সত্য জেনে এ-সাক্ষ্য দিবে যে,
আল্লাহ ব্যতীত হক কোন মা’বুদ নেই আর মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও
রাসূল, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম হারাম করেছেন।“
[বুখারি, হাদিস নং ১২৮; মুসলিম : (১/৬১)]
রিসালাতের ঘোষনা আছে আযানে ও সালাতে :-
2) আযান ও ইকামতের সময় বলা হয়ঃ
"আশহাদু আল্লা ই-লাহা ইল্লাল্লাহ"।
"আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ"।
" লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ"।
***মুত্বাফাক্ব আলাইহ; আবু দাউদঃ ৫০০-০১, ৫০৪; আওনুল মা'বুদ, আবু মাহযুরাহ হ'তে, হা/৪৯৬; মিশকাতঃ ৬৪১,৬৪৫, ইবনু রাসনাল, আমীরুল ইয়ামানী ও শায়খ আলবানীঃ সুবুলুস সালামঃ ১৬৭; ১/২৫০; তামামুল মিননাহ ১৪৭ পৃঃ; লাজনা দায়েমাহ- ফতওয়া নম্বরঃ ১৩৯৬।
3) "সালাতের বৈঠকে"
আমরা সালাতের বৈঠকের সময় তাশাহহুদের/আত্বাহিয়াতুর মধ্যে পড়িঃ
"আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"।
***মুত্বাফাক আলাইহ; মিশকাতঃ ৯০৯- সালাত অধ্যায়।
4) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে,
এরপর আলী ইবনু আবূ তালেব (রাঃ) তাশাহুদ তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য বানী পাঠ করলেন, তারপর বললেনঃ, হে আবূ বাকর! আপনার মর্যাদা এবং আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যে সম্মান প্রদান করেছেন, তা আমরা জানি। আর আল্লাহ তা আলা আপনাকে যে নিয়ামত প্রদান করেছেন, তাতে আমার কোন ঈর্ষা নেই।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ৩২/ জিহাদ ও এর নীতিমালা | হাদিস নাম্বার: 4428
5) তাওহীদ ও রিসালাতের উপর যথাযতভাবে ইমান আনয়নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে :-
উমার ইবনুল খাত্তাব থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে কোন মুসলিম ব্যাক্তি উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার পর বলে (কালিমা শাহাদাত): আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শারীক নাই, তিনি একক এবং আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করবে।
সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ | হাদিস নাম্বার: 470
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৫৫, নাসায়ী ১৪৮, আহমাদ ১৬৯৪২।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
6) আবূ খায়সামা যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়া’মার (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন "
জিবরীল রসূলুল্লাহকে (সঃ) জিজ্ঞেস ইসলাম সম্পর্কে।
وَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِسْلَامِ.
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم الْإِسْلَامُ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ، وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إنْ اسْتَطَعْت إلَيْهِ سَبِيلًا.
قَالَ: صَدَقْت
তিনি [জিবরীল] বললেন, "হে মুহাম্মদ, আপনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করুন।"
রসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন, "ইসলাম হচ্ছেঃ আপনি সাক্ষ্য দিবেন যে "লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ" এবং "মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ" [অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া ইবাদত পাওয়ার যোগ্য আর কেউ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল], তুমি সালাত কায়েম করবে, যাকাত দান করবে, রমজানে রোজা রাখবে এবং আল্লাহর ঘরের হজ্জ করবে যদি সে পর্যন্ত যাওয়ার সক্ষমতা রাখ।"
এছাড়াও সূরা ফাতহ (৪৮ নং সূরা) এর ২৯ নং আয়াত আল্লাহ শুরু করেছেন "মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ" বলে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ মুসলিম
অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান | হাদিস নাম্বার: 1
7) তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষনা ইসলামের ৫টি ভিত্তির মধ্যে ১টির অন্তর্ভুক্ত :-
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ".
পরিচ্ছদঃ ২/ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বানীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি
৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রাঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।
১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।
২। সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা
৩। যাকাত দেওয়া
৪। হাজ্জ (হজ্জ) করা এবং
৫। রামাদান এর সিয়াম পালন করা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ২/ ঈমান | হাদিস নাম্বার: 7
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
8) আবূ সালামা ইয়াহইয়া ইবনু খালাফ বাসরী (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত।
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি কোন ইলাহ নেই আল্লাহ্ ছাড়া, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | জামে তিরমিজী
অধ্যায়ঃ ১০/ কাফন-দাফন | হাদিস নাম্বার: 1071
9) মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) আবূ জামরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুল(সা) বললেনঃ তা হল এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল , সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা, যাকাত দেওয়া এবং রমযান এর সিয়াম পালন করা আর তোমাদের গনীমাতের মাল থেকে এক-পঞ্চমাংশ দান করবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৩/ ইলম বা জ্ঞান | হাদিস নাম্বার: 87
10) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "
যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল ’ তার জন্য আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৩/ ইলম বা জ্ঞান | হাদিস নাম্বার: 130
11) আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল ”।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৮/ সালাত | হাদিস নাম্বার: 448
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
12-14) হাফস ইবনু উমর রহ বারাআ ইবনু আযিব (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মু'মিন ব্যাক্তিকে যখন তার কবরে বসানো হয় তখন তার কাছে উপস্থিত করা হবে ফিরিশতাগণকে। তারপর (ফিরিশতাগণের জিজ্ঞাসার জওয়াবে) সে সাক্ষ্য প্রদান করে যে == আল্লাহ ব্যতিত কোন ইলাহ নেই আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল। ঐ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করেছে আল্লাহর কালাম- আল্লাহ পার্থিব জীবনে ও আখিরাতে অবিচল রাখবেন সে সকল লোককে যারা ঈমান এনেছে শ্বাশ্বত বাণীতে(কালেমা তাইয়েবা)। (১৪:২৭)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা | হাদিস নাম্বার: 1285
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ২০/ জানাযা | হাদিস নাম্বার: 1291
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ২১/ যাকাত | হাদিস নাম্বার: 1313
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
15-17) আবূ ‘আসীম যাহ্হাক ইবনু মাখলাক (রাঃ)… ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয (রাঃ) কে (শাসকরূপে) ইয়ামান অভিমুখে প্রেরণকালে বলেন, সেখানের অধিবাসীদেরকে আল্লাহ ব্যতিত কোন ইলাহ নেই এবং আমি (মুহাম্মদ) আল্লাহর রাসূল - এ কথার সাক্ষ্যদানের দাওয়াত দিবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ৯/ সালাতের ওয়াক্তসমূহ | হাদিস নাম্বার: 498
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ১০/ আযান | হাদিস নাম্বার: 796
ইসলামিক ফাউন্ডেশন | সহীহ বুখারি (ইফা)
অধ্যায়ঃ ১৯/ তাহাজ্জুদ বা রাতের সালাত | হাদিস নাম্বার: 1129
18) আরো বর্নিত আছে :-
عن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم دخلت الجنة فرأيت فى عارضتى الجنة مكتوبا ثلاثة اسطر بالذهب السطر الاول لاإله الا الله محمد رسول الله والسطر الثانى ما قدمنا وجدنا وما أكلنا ربحنا وما خلفنا خسرنا والسطر الثالث امة مذنبة ورب غفور- (رواه الرافعى وابن النجار وهو حديث صحيح الجامع الصغير-১/৬৪৫
হযরত আনাস র. বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি জান্নাতে প্রবেশ করে জান্নাতের উভয় পার্শে ৩টি লাইন লিখা দেখলাম।
১ম লাইন :- لاإله الا الله محمد رسول الله অর্র্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহ তাআ’লার রসুল।
২য় লাইন :- যা আমরা আগে পাঠিয়েছি তার প্রতিদান পেয়েছি, যা দুনিয়াতে পানাহার করেছি তা দ্বার লাভবান হয়েছি, আর যা দুনিয়াতে ছেড়ে এসেছি তাতে আমরা খতিগ্রস্ত হয়েছি।
৩য় লাইন :- উম্মত গুনাহগার এবং রব ক্ষমাকারী। (হাদিসটি সহীহ। রাফেঈ, ইবনে নাজ্জার, জামে সগীর))
19) অপর হাদিসে আছে :-
روى الامام يونس بن بكير فى زيادات المغازى عن يوسف بن صهيب عن عبدالله بن بريدة عن ابيه قال انطلق ابو ذر ونعيم بن عم ابى ذ ر و انا معهم يطلب رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو مستتر با لجبل فقال له ابو ذر يا محمد اتيناك لنسمع ما تقول قال اقول لااله الا الله محمد رسول الله فآمن به ابوذروصاحبه – الاصابة -৬/৪৬৩ اسناده صحيص ورجاله ثقات
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুরায়দা তার পিতা হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আবু যর এবং তার চাচাত ভাই নুআইম নবী করিম স. কে তালাশ করছিলেন আর আমি তাদের সাথে ছিলাম। নবী করিম (স.) কে তখন পাহাড়ে লুকিয়েছিলেন। হযরত আবু যর তখন আওয়াজ দিয়ে বললেন ‘হে মুহাম্মাদ (স.) আমরা আপনার কথা শোনার জন্য আপনার নিকট এসেছি। তখন নবী করিম (স.) ইরশাদ করলেন, আমি তোমাদেরকে বলছি لااله الا الله محمد رسول الله অর্র্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই মুহাম্মাদ (স.) আল্লাহ তাআ’লার রসুল। অতঃপর আবু যর এবং তার সাথি এ কথার উপর ঈমান আনলেন।
(আল ইসাবা-৬/৪৬৩) উল্লোখ্য :- হাদিসটি সনদ সহীহ এবং বর্ণনাকারীগণ সকলেই নির্ভশীল।
20) আনাস ইবনু মালিক থেকে বর্ণিত,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে কোন মুসলিম ব্যাক্তি উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার পর তিনবার বলে (কালিমা শাহাদাত): আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, তাঁর কোন শারীক নাই, তিনি একক এবং আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রসূল, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সে যে কোন দরজা দিয়ে ইচ্ছা তাতে প্রবেশ করবে।
★আবূল হাসান ইবুন সালামাহ আল-কাত্তান, ইব্রাহীম ইবনু নাস্র, আবূ নুআয়ম (রহঃ) থেকে এ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আহমাদ ১৩৩৮১ , আবূ দাঊদ ১০৫০ সহীহ, জামি সগীর ৬১৬৮, মাজাহ ১০৯০ সহীহ, তিরমিযী ৪৯৮ সহীহ, মিশকাত ১৩৮৩ সহীহ, ইরওয়াহ ৯৬, সহীহ আবূ দাউদ ১৬২, সহীহ তারগীব ২১৯
★ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ | হাদিস নাম্বার: 469