❏ বনী ইসরাঈলের গাভীর ঘটনা
আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
(وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦۤ إِنَّ ٱللَّهَ یَأۡمُرُكُمۡ أَن تَذۡبَحُوا۟ بَقَرَةࣰۖ قَالُوۤا۟ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوࣰاۖ قَالَ أَعُوذُ بِٱللَّهِ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡجَـٰهِلِینَ قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا هِیَۚ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ لَّا فَارِضࣱ وَلَا بِكۡرٌ عَوَانُۢ بَیۡنَ ذَ ٰلِكَۖ فَٱفۡعَلُوا۟ مَا تُؤۡمَرُونَ قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا لَوۡنُهَاۚ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ صَفۡرَاۤءُ فَاقِعࣱ لَّوۡنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِینَ قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا هِیَ إِنَّ ٱلۡبَقَرَ تَشَـٰبَهَ عَلَیۡنَا وَإِنَّاۤ إِن شَاۤءَ ٱللَّهُ لَمُهۡتَدُونَ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ لَّا ذَلُولࣱ تُثِیرُ ٱلۡأَرۡضَ وَلَا تَسۡقِی ٱلۡحَرۡثَ مُسَلَّمَةࣱ لَّا شِیَةَ فِیهَاۚ قَالُوا۟ ٱلۡـَٔـٰنَ جِئۡتَ بِٱلۡحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا۟ یَفۡعَلُونَ وَإِذۡ قَتَلۡتُمۡ نَفۡسࣰا فَٱدَّ ٰرَ ٰٔۡ تُمۡ فِیهَاۖ وَٱللَّهُ مُخۡرِجࣱ مَّا كُنتُمۡ تَكۡتُمُونَ فَقُلۡنَا ٱضۡرِبُوهُ بِبَعۡضِهَاۚ كَذَ ٰلِكَ یُحۡیِ ٱللَّهُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَیُرِیكُمۡ ءَایَـٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ)[Surat Al-Baqarah ৬৭ - ৭৩]
অর্থাৎ স্মরণ কর, যখন মূসা (عليه السلام) আপন সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ আল্লাহ তোমাদেরকে একটি গরু যবেহর আদেশ দিয়েছেন। তারা বলেছিল, তুমি কি আমাদের সঙ্গে ঠাট্টা করছ? মূসা বলল, আল্লাহর শরণ নিচ্ছি যাতে আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত না হই। তারা বলল, আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বল, ওটা কী রূপ? মূসা বলল, আল্লাহ্ বলেছেন, ‘এটা এমন গরু যা বৃদ্ধও নয়, অল্পবয়স্কও নয়— মধ্যবয়সী। সুতরাং তোমরা যা আদিষ্ট হয়েছ তা কর। তারা বলল, আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বল, এটার রং কি? মূসা বলল, আল্লাহ্ বলছেন, এটা হলুদ বর্ণের গরু, এটার রং উজ্জ্বল গাঢ়, যা দর্শকদেরকে আনন্দ দেয়। তারা বলল, আমাদের জন্য তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বল, তা কোনটি? আমরা গরুটি সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছি এবং আল্লাহ ইচ্ছে করলে নিশ্চয়ই আমরা দিশা পাব। মূসা বলল, তিনি বলছেন, ওটা এমন এক গরু যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি, সুস্থ ও নিখুঁত। তারা বলল, এখন তুমি সত্য এনেছে যদিও তারা যবেহ করতে প্রস্তুত ছিল না, তবুও তারা এটাকে যবেহ্ করল। স্মরণ কর, যখন তোমরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে। তোমরা যা গোপন রাখছিলে, আল্লাহ্ তা ব্যক্ত করছেন। আমি বললাম, “এটার কোন অংশ দ্বারা ওকে আঘাত কর, এভাবে আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন এবং তার নিদর্শন তোমাদেরকে দেখিয়ে থাকেন, যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার। (২ বাকারাঃ ৬৭ - ৭৩)
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (رضي الله عنه) উবাইদা সালমানী আবুল আলীয়া (رحمة الله) মুজাহিদ আর সূদ্দী (رحمة الله) ও প্রাচীনকালের অনেক আলিম বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল খুবই ধনী ও অতিশয় বৃদ্ধ। তার ছিল বেশ কয়েকজন ভাতিজা। তারা তার ওয়ারিশ হবার জন্যে তার মৃত্যু কামনা করছিল। তাই একরাতে তাদের একজন তাকে হত্যা করল এবং তার লাশ চৌরাস্তায় ফেলে রেখে এল। আবার কেউ কেউ বলেন, ভাতিজাদের একজনের ঘরের সামনে তা রেখে এল। ভোর বেলায় হত্যাকারী সম্বন্ধে লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল। তার ঐ ভাতিজা এসে কান্নাকাটি করতে লাগল এবং তার উপরে জুলুম হয়েছে বলে অভিযোগ করতে লাগল। অন্য লোকজন বলতে লাগল, তোমরা কেন ঝগড়া করছ এবং আল্লাহর নবীর কাছে গিয়ে কেন এটার ফয়সালা প্রার্থনা করছ না? তাই মৃত ব্যক্তির ভাতিজা আল্লাহর নবী মূসা (عليه السلام)-এর কাছে আগমন করে তার চাচার হত্যার ব্যাপারে অভিযোগ করল। মূসা (عليه السلام) তাদেরকে আল্লাহ্ তাআলার শপথ দিয়ে বললেন, কেউ যদি এ বিষয়ে কিছু জানে তাহলে সে যেন বিষয়টি আমাকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের মধ্যে এমন একটি লোকও পাওয়া গেল না, যে এ বিষয়ে জানে। তারা বরং মূসা (عليه السلام)-কে অনুরোধ করল তিনি যেন নিজ প্রতিপালককে এই বিষয়ে প্রশ্ন করে তা জেনে নেন। সুতরাং মূসা (عليه السلام) আপন প্রতিপালকের নিকট তা জানতে চান।
আল্লাহ্ তা’আলা মূসা (عليه السلام)-কে হুকুম দিলেন; যাতে তিনি তাদেরকে একটি গাভী যবেহু করতে আদেশ করেন। তিনি বললেনঃ
(إِنَّ ٱللَّهَ یَأۡمُرُكُمۡ أَن تَذۡبَحُوا۟ بَقَرَةࣰۖ قَالُوۤا۟ أَتَتَّخِذُنَا هُزُوࣰاۖ
অর্থাৎ - “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে একটি গরু যবেহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারা প্রতি উত্তরে বলল, তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছ? অর্থাৎ আমরা তোমাকে নিহত ব্যক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করছি আর তুমি আমাদের গরু যবেহ্ করার পরামর্শ দিচ্ছ? মূসা (عليه السلام) বললেন, আমার কাছে প্রেরিত ওহী ব্যতীত অন্য কিছু বলার ব্যাপারে আমি আল্লাহ্ তা’আলার শরণ নিচ্ছি। তোমরা আল্লাহ তাআলাকে প্রশ্ন করার জন্যে আবেদন করেছ, আল্লাহ্ তা’আলা প্রশ্নের উত্তরে এটা বলেছেন। আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (رضي الله عنه), উবায়দা, মুজাহিদ, ইকরিমা, আবুল আলীয়া প্রমুখ বলেছেন, যদি তারা যে কোন একটি গাভী যবেহ করত তাহলে তার দ্বারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল হত। কিন্তু তারা ব্যাপারটি জটিল করাতে তাদের কাছে এটা জটিল আকার ধারণ করেছিল। একটি মারফু হাদীসে এ সম্পর্কে বর্ণিত আছে তবে এটার সূত্রে কিছু রয়েছে। অতঃপর তারা গরুটির গুণাগুণ, রঙ ও বয়স সম্পর্কে প্রশ্ন করল এবং তাদেরকে প্রতিপালক আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে এমনভাবে জবাব দেয়া হল যে, এরূপ গরু খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে দাঁড়াল। তাফসীর গ্রন্থে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বস্তুত তাদেরকে একটি মধ্য বয়সী গরু যবেহ্ করার জন্যে হুকুম দেয়া হয়েছিল। অন্য কথায়, এটা বৃদ্ধও নয়, আবার অল্প বয়সীও নয়।
এই অভিমতটি আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (رضي الله عنه), মুজাহিদ, আবুল আলীয়া, ইকরামা, হাসান, কাতাদা (رحمة الله) প্রমুখ তাফসীরবিদের। তারপর তারা নিজেদের জন্য সংকীর্ণতা ও জটিলতা ডেকে আনল। তারা গরুটির রং সম্বন্ধে প্রশ্ন করল। তাই তাদেরকে এমন লোহিতাভ হলুদ রং-এর কথা বলা হল, যা দর্শকদেরও আনন্দ দেয়। এই রংটি একান্তই দুর্লভ। এরপর তারা আরো সংকীর্ণতা ও জটিলতা সৃষ্টি করে বলল, হে মূসা! তোমার প্রতিপালককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে বল যে, তা কোনটি? আমরা গরুটি সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছি এবং আল্লাহ ইচ্ছে করলে নিশ্চয়ই আমরা দিশা পাব।’ এই প্রসঙ্গে ইবন আবু হাতিম (رحمة الله) ও ইবন মারদুওয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বরাতে একটি হাদীস বর্ণনা করেন যে, ইসরাঈল যদি গরু সম্বন্ধে পরিচিতি লাভ করার ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ্ না বলত তাহলে কখনও তাদেরকে এ কাজ সম্পাদন করার জন্যে তাওফীক দেয়া হত না। তবে এ হাদীসের বিশুদ্ধতা সন্দেহমুক্ত নয়। আল্লাহ্ তা’আলাই অধিকতর জ্ঞাত।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
(قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا هِیَۚ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ لَّا فَارِضࣱ وَلَا بِكۡرٌ عَوَانُۢ بَیۡنَ ذَ ٰلِكَۖ فَٱفۡعَلُوا۟ مَا تُؤۡمَرُونَ قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا لَوۡنُهَاۚ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ صَفۡرَاۤءُ فَاقِعࣱ لَّوۡنُهَا تَسُرُّ ٱلنَّـٰظِرِینَ قَالُوا۟ ٱدۡعُ لَنَا رَبَّكَ یُبَیِّن لَّنَا مَا هِیَ إِنَّ ٱلۡبَقَرَ تَشَـٰبَهَ عَلَیۡنَا وَإِنَّاۤ إِن شَاۤءَ ٱللَّهُ لَمُهۡتَدُونَ قَالَ إِنَّهُۥ یَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةࣱ لَّا ذَلُولࣱ تُثِیرُ ٱلۡأَرۡضَ وَلَا تَسۡقِی ٱلۡحَرۡثَ مُسَلَّمَةࣱ لَّا شِیَةَ فِیهَاۚ قَالُوا۟ ٱلۡـَٔـٰنَ جِئۡتَ بِٱلۡحَقِّۚ فَذَبَحُوهَا وَمَا كَادُوا۟ یَفۡعَلُونَ)[Surat Al-Baqarah ৬৮ - ৭১]
অর্থাৎ মূসা বলল, তিনি বলছেন, ওটা এমন এক গরু যা জমি চাষে ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হয়নি। সুস্থ, নিখুঁত। তারা বলল, এখন তুমি সত্য এনেছ। যদিও তারা যবেহ্ করতে উদ্যত ছিল না। তবুও তারা তা যবেহ্ করল। (সূরা বাকারাঃ ৬৮ - ৭১)
উক্ত আয়াতে আরোপিত এ বৈশিষ্ট্যগুলো পূর্বের বৈশিষ্ট্যগুলোর তুলনায় আরো দুষ্প্রাপ্য ছিল। কেননা এতে শর্ত আরোপ করা হয়েছে যেন গরুটি জমি চাষ ও ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার ফলে দুর্বল ও অসুস্থ না হয়ে থাকে, এবং তা যেন সুস্থ, সবল ও নিখুঁত হয়। এটি আবুল আলীয়া ও কাতাদা (رحمة الله)-এর অভিমত। আয়াতে উক্ত: لا شية فيها এর অর্থ হচ্ছে এটার মধ্যে নিজস্ব রঙ ব্যতীত এতে যেন অন্য কোন রঙ এর মিশ্রণ না থাকে। বরং এটা যাবতীয় দোষ ও অন্য সব রঙয়ের মিশ্রণ থেকে যেন নিখুঁত হয়। যখন গরুটিতে উল্লেখিত শর্ত ও গুণসমূহ আরোপিত করা হল তখন তারা বলল, এখন তুমি সত্য এনেছ। কথিত আছে যে, তারা এসব গুণবিশিষ্ট গরুটি খোঁজাখুঁজি করে এমন এক ব্যক্তির কাছে এটাকে পেয়েছিল, যে ছিলেন অত্যন্ত পিতৃভক্ত। তারা তার কাছ থেকে গরুটি কিনতে চাইল, কিন্তু সে তাদের কাছে গরুটি বিক্রি করতে রাজি হল না। তারা তাকে অত্যন্ত চড়ামূল্য দিয়ে গরুটি খরিদ করল।
সুদ্দী (رحمة الله) উল্লেখ করেছেন, তারা প্রথমত গরুটির সম-ওজনের স্বর্ণ দিয়ে গরুটি ক্রয় করতে চায়। কিন্তু গরুর মালিক রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তার ওজনের দশগুণ স্বর্ণ দিয়ে তারা গরুটি খরিদ করল। অতঃপর আল্লাহর নবী মূসা (عليه السلام) এটাকে যবেহ করার নির্দেশ দিলেন। তারা গরুটি যবেহ করার ব্যাপারে প্রথমত ইতস্তত করছিল। পরে রাজি হল। এরপর আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে হুকুম আসল যেন তারা নিহত ব্যক্তিটিকে যবেহ কৃত গরুটির কোন অঙ্গ দ্বারা আঘাত করে। কেউ কেউ বলেন, উরুর গোশত দ্বারা আঘাত করার কথা বলা হয়েছিল; আবার কেউ কেউ কোমলাস্থি দ্বারা, আবার কেউ কেউ দুই কাঁধের মধ্যবর্তী গোশত দ্বারা আঘাত করার কথা বলা হয়েছিল বলে মত প্রকাশ করেন। যখন তারা মৃত ব্যক্তিকে ওটার দ্বারা আঘাত করল, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে পুনর্জীবিত করলেন এবং লোকটি উঠে দাঁড়াল। তার গলার শিরা থেকে রক্ত ঝরছিল। মূসা (عليه السلام) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে তোমাকে হত্যা করেছে?’ সে বলল, আমার ভাতিজা। তার পর সে পূর্বের মত অবস্থায় ফিরে গেল।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ
(كَذَ ٰلِكَ یُحۡیِ ٱللَّهُ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَیُرِیكُمۡ ءَایَـٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ)
‘এভাবে আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন এবং তার নিদর্শন তোমাদের দেখিয়ে থাকেন যাতে তোমরা অনুধাবন করতে পার।’ অর্থাৎ তোমরা যেমন আল্লাহ্ তা’আলার হুকুমে নিহত ব্যক্তির পুনর্জীবিত হওয়া প্রত্যক্ষ করলে, তেমনি আল্লাহ তা’আলা এক মুহূর্তে সমস্ত মৃতকে যখন ইচ্ছে তখন জীবিত করবেন।
যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ
(مَّا خَلۡقُكُمۡ وَلَا بَعۡثُكُمۡ إِلَّا كَنَفۡسࣲ وَ ٰحِدَةٍۚ )
[Surat Luqman ২৮]
অর্থাৎ—তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি মাত্র প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানেরই অনুরূপ।