দু'টি মাদানী ফুল
★ভাল নিয়্যত ছাড়া কোন ভাল কাজের সাওয়াব পাওয়া যায় না।

★ভাল নিয়্যত যত বেশী, সাওয়াবও তত বেশী।
দরূদ শরীফের ফযীলত
প্রিয় আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, রাসূলুল্লাহ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: "নিশ্চয় কিয়ামতের দিন মানুষদের মধ্যে আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী সেই হবে, যে আমার প্রতি সর্বাপেক্ষা বেশি দরূদ শরীফ প্রেরণ করবে।"

(তিরমিযী, ২য় খন্ড, ২৭ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৪৮৪)

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيْب صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দয়ালু আল্লাহ পাকের কোটি কোটি অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদেরকে রমযানের মতো মহান নেয়ামত দ্বারা ধন্য করেছেন। রমযান মাসের ফযীলত সম্পর্কে কী বলবো! এর প্রতিটি মুহুর্তই রহমতে পরিপূর্ণ, রমযানুল মোবারকে প্রত্যেক নেকীর সাওয়াব ৭০ গুণের চেয়েও বেশি। (মীরাত, ৩য় খন্ড, ১৩৭ পৃষ্ঠা) নফলের সাওয়াব ফরযের সমান, আর ফরযের সাওয়াব সত্তর গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়, আরশ বহনকারী ফিরিশতারা রোযাদারদের দোয়ায় 'আমীন' বলেন এবং প্রিয় নবী عَلى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর বাণী অনুযায়ী: “রমযানে রোযাদারের জন্য মাছেরা ইফতার পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে।"

(আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড, ৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৬)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর সারাদিনে ৫০ বার দরূদ শরীফ পড়ে, আমি কিয়ামতের দিন তার সাথে মুসাফাহা করবো।" (আল কওলুল বদী)

ইবাদতের দরজা
তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুয়ত, মাহবুবে রব্বুল ইয্যত হুযুর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “রোযা হলো ইবাদতের দরজা।"

(আল জামেউস সগীর, ১৪৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৪১৫)
কোরআন অবতীর্ণ
এই মোবারক মাসের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ পাক এতে কোরআন শরীফ অবতীর্ণ করেছেন। যেমনটি পবিত্র কোরআনের ২য় পারার সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার মহান ইরশাদ হচ্ছে:
 شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أَخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَذَسُكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ )
(পারা- ২, সূরা বাকারা, আয়াত- ১৮৫)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ:
রমযান মাস, যাতে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে- মানুষের জন্য হিদায়াত ও পথ-নির্দেশ এবং মীমাংসার সুস্পষ্ট বাণী সমূহ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেনো অবশ্যই সেটার রোযা পালন করে। আর যে কেউ অসুস্থ হয় কিংবা সফরে থাকে, তবে ততসংখ্যক রোযা অন্য দিনগুলোতে (পূর্ণ করবে)। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কঠিন (ক্লেশ) চান না। আর এজন্য যেন তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে এবং আল্লাহ (তায়ালার) মহিমা বর্ণনা করবে এর উপর যে, তিনি তোমাদেরকে হিদায়ত করেছেন এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী হও।

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যখন তোমরা কোন কিছু ভুলে যাও, তখন আমার উপর দরূদ শরীফ পড়ো إن شاء الله عزوجل স্মরণে এসে যাবে।" (সা'য়াদাতুদ দা'রাঈন)

মাসগুলোর নামকরণের কারণ
রমযান )رمضان( এটি "رَمَضٌ” থেকে নির্গত, যার অর্থ হচ্ছে "গরমে পুড়ে যাওয়া"। কেননা যখন মাসগুলোর নাম প্রাচীন আরবদের ভাষা থেকে উদ্ধৃত করা হয়েছে, তখন যে ধরনের ঋতু ছিলো, সে অনুসারেই মাস সমূহের নাম রাখা হয়েছে, ঘটনাক্রমে সে সময় রমযান খুবই গরমে এসেছিলো, তাই এই নাম রাখা হয়েছে। (আন নিহায়াতু লিইবনিল আ'সির, ২য় খন্ড, ২৪০ পৃষ্ঠা) হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন رَحْمَةُ اللَّهِ تَعَالَى عَلَيْهِ বলেন: কোন কোন তাফসীরকারক رَحِمَهُمُ الله تعالى বলেন: যখন মাসগুলোর নাম রাখা হলো, তখন যে ঋতুতে যে মাস ছিলো, সে অনুসারেই ওই মাসের নাম রাখা হয়েছে। যে মাস গরমের দিনে ছিলো, সে মাসকে 'রমযান' বলা হয়েছে এবং যা বসন্ত কালে ছিলো সেটাকে 'রবিউল আউয়াল' আর যে মাস শীতের দিনে ছিলো, যখন পানি জমে যাচ্ছিলো, 'সেটাকে জমাদিউল আউয়ালা' বলা হলো। (তাফসীরে নঈমী, ২য় খন্ড, ২০৫ পৃষ্ঠা)
صَلُّوا عَلَى الْحَبِيبِ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

লাল ইয়াকুত পাথরের ঘর
লাল ইয়াকুত পাথরের ঘর

হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী رَضِيَ اللهُ تَعَالٰی عَنْهُ থেকে বর্ণিত; মদীনার তাজেদার, নবীকুল সরদার, হুযুরে আনওয়ার صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর রহমতপূর্ণ বাণী হচ্ছে: "যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং শেষ রাত পর্যন্ত বন্ধ করা হয় না। যেকোন বান্দা এই মোবারক মাসের যেকোন রাতে নামায আদায় করে, তবে আল্লাহ তায়ালা তার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে তার জন্য পনেরশত নেকী লিখে দেন এবং তার জন্য জান্নাতে লাল পদ্মরাগ পাথরের দ্বারা ঘর তৈরী করেন। আর যে কেউ রমযান মাসের প্রথম রোযা রাখে, তবে তার পূর্ববর্তী গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়, আর তার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফিরিশতা মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। রাত ও দিনে যখনই সে সিজদা করে, তার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে তাকে (জান্নাতের) এক একটি এমন বৃক্ষ দান করা হয় যে, এর ছায়ায় (ঘোড়া) আরোহী পাঁচশত বছর পর্যন্ত চলতে থাকবে।"

(শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩১৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬৩৫)

রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "ঐ ব্যক্তির নাক ধূলামলিন হোক, যার নিকট আমার আলোচনা হলো আর সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়লো না।" (হাকিম)

صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !

صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد

অন্ধ ভাগিনীর অন্ধত্ব দূর হয়ে গেলো (মাদানী বাহার)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! الحمد لله عزوجل আশিকানে রাসূলের মাদানী সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত আশিকানে রাসূলের সহচর্য অর্জিত হওয়াবস্থায় রমযানুল মোবারক মাসের বরকত লুটতে উত্তম মানসিকতা তৈরী হয়, নতুবা খারাপ সংস্পর্শ থেকে এই মোবারক মাসেও অধিকাংশ লোক গুনাহে ডুবে থাকে। আসুন! গুনাহের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত এক অভিনেতার "মাদানী বাহার" শ্রবণ করি, যাকে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশই আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে মাদানী রঙে রাঙিয়ে দিয়েছে এবং তার অন্ধ ভাগিনীর অন্ধত্ব দূর করে দিলেন! যেমনটি আওরঙ্গি টাউন (বাবুল মদীনা) এর এক ইসলামী ভাই অভিনেতা ছিলো, মিউজিক্যাল প্রোগ্রাম ও ফ্যাংশনে জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো, অন্তর ও মস্তিস্কে অলসতার এমন পর্দা পড়ে গিয়েছিলো যে, না নামায আদায় করার সৌভাগ্য হতো, না গুনাহের প্রতি অনুশোচনা হতো। সাহারায়ে মদীনা বাবুল মদীনায় বাবুল ইসলাম পর্যায়ে অনুষ্ঠিত তিন দিনের সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় (১৪২৪ হিজরী, ২০০৩ ইং) অংশগ্রহণ করার জন্য এক যিম্মাদার ইসলামী ভাই ইনফিরাদী কৌশিশ করে উৎসাহিত করলো। সৌভাগ্যক্রমে! এতে তার অংশগ্রহন করার সৌভাগ্য নসীব হয়ে গেলো। তিন দিনের ইজতিমা শেষে হৃদয়গ্রাহী দোয়ায় তার জীবনের গুনাহের প্রতি খুবই অনুশোচনা হলো, সে তার উদ্দীপনাকে আর ধরে রাখতে পারলো না এবং ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদতে লাগলো, ব্যস এই কান্না কাজে এসে গেলো!
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যার নিকট আমার আলোচনা হলো এবং সে আমার উপর দরূদ শরীফ পড়লো না, সে জুলুম করলো।" (আব্দুর রাজ্জাক)

الْحَمْدُ لِلَّهِ عَزَوجة সে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশ পেয়ে গেলো এবং সে আনন্দ উৎসবের অনুষ্ঠান থেকে তাওবা করে নিলো এবং মাদানী কাফেলায় সফর করাকে নিজের অভ্যাসে পরিণত করে নিলো। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৪ ইং তারিখে মাদানী কাফেলায় যাত্রা করার সময় তার ছোট বোনের ফোন আসলো, সে বুক ভরা কান্না নিয়ে তার এক অন্ধ মেয়ের জন্মের সংবাদ শুনালো এবং আরো বললো: ডাক্তার এও বলে দিয়েছে যে, এর দৃষ্টিশক্তি কখনো ঠিক হবে না। ততটুকু বলেই তার কথা আটকে গেলো এবং ছোট বোন প্রচন্ড বেদনায় ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে লাগলো। সেই ইসলামী তাকে ভাই তাকে এই বলে সান্ত্বনা দিলো যে, إن شاء الله عزوجل মাদানী কাফেলায় দোয়া করবো। সে মাদানী কাফেলায় নিজেও দোয়া করলো এবং আশিকানে রাসূলের দ্বারাও দোয়া করালো। যখন মাদানী কাফেলা থেকে ফিরলো দ্বিতীয় দিনই ছোট বোন ফোনে খুশি মনে এই আনন্দের সংবাদটুকু শুনাল যে, الحَمْدُ اللهِ عزوجل আমার অন্ধ মেয়ে মেহেকের দৃষ্টিশক্তি ফিরে এসেছে এবং ডাক্তাররা আশ্চর্য হয়ে গেলো যে, এটা কিভাবে সম্ভব! কেননা আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন চিকিৎসাই ছিলো না! الْحَمْدُ لِلَّهِ عَؤوجق সে বাবুল মদীনা করাচীতে এলাকায়ী মুশাওয়ারাতের একজন রোকন (সদস্য) হিসেবে দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী কাজ করার সৌভাগ্যও অর্জন করছে।

আফাতু সে না ডর, রাখ করম পর নযর, আপকো চা'রা গর, নে গো মায়ুস কর,

রৌশন আঁখে মিলে, কাফিলে মে চলো। ভী দিয়া মত ডরে, কাফিলে মে চলো।
صَلُّوا عَلَى الْحَبِيب !

صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَى مُحَمَّد


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! দা'ওয়াতে ইসলামীর মাদানী পরিবেশ কতইনা সুন্দর! এর সংস্পর্শে এসে সমাজের না জানি কতযে পথহারা মানুষ সৎচরিত্রবান হয়ে সুন্নাতে ভরা সম্মানের জীবন অতিবাহিত করছে! তাছাড়া মাদানী কাফেলার মাদানী বাহার তো আপনাদের সামনেই। যেমনিভাবে
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করো, আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উপর রহমত নাযিল করবেন।" (ইবনে আ'দী)

মাদানী কাফেলায় সফরের বরকতে অনেকের দুনিয়াবী সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَزَّوَجَنَّ তেমনি নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত হুযুর صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَأَيْهِ وَسَلَّم এর সুপারিশে আখিরাতের বিপদাপদও প্রশান্তিতে পরিণত হয়ে যাবে।

টুট যায়েঙ্গে গুনাহগারোঁ কে ফওরান কয়দ ও বন্দ, হাশর কো খোল জায়ে'গি তাকৃত রাসূলুল্লাহ কি। (হাদায়িকে বখশীশ, ১৫৩ পৃষ্ঠা)

৫টি বিশেষ দয়া
হযরত সায়্যিদুনা জাবির বিন আব্দুল্লাহ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ থেকে বর্ণিত; খাতামুল মুরসালীন, শফীউল মুযনিবীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন, হুযুর পুরনূর صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: "আমার উম্মতকে রমযান মাসে পাঁচটি এমন বিষয় দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে অন্য কোন নবীকে প্রদান করা হয়নি: (১) যখন রমযানুল মোবারকের প্রথম রাত আসে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করেন আর যার প্রতি আল্লাহ তায়ালা রহমতের দৃষ্টি দান করেন, তাকে কখনো আযাব দিবেন না। (২) সন্ধ্যায় তাদের মুখের গন্ধ (যা ক্ষুধার কারণে সৃষ্টি হয়) আল্লাহ তায়ালার নিকট মেশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি উত্তম। (৩) ফিরিশতারা প্রত্যেক রাত ও দিনে তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। (৪) আল্লাহ তায়ালা জান্নাতকে নির্দেশ দেন: "আমার (নেক) বান্দাদের জন্য সু-সজ্জিত হয়ে যাও! শীঘ্রই তারা দুনিয়ার কষ্ট হতে আমার ঘর ও অনুগ্রহে প্রশান্তি লাভ করবে।" (৫) যখন রমযান মাসের সর্বশেষ রাত আসে তখন আল্লাহ তায়ালা সবাইকে ক্ষমা করে দেন।"

উপস্থিতিদের মাঝে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আরয করলেন: “ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم ! এটা কি লাইলাতুল কদর? ইরশাদ করলেন: "না"। তোমরা কি দেখনি যে, শ্রমিকরা যখন নিজের কাজ সম্পন্ন করে নেয়, তখন তাদেরকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়?" (শুয়াবুল ঈমান, ৩য় খন্ড, ৩০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৬০৩)
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি আমার উপর জুমার দিন ২০০বার দরূদ শরীফ পড়ে, তার ২০০ বছরের গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।" (কানযুল উম্মাল)

'সগীরা' গুনাহের কাফ্ফারা
হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা رضی الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত; হুযুরে আকরাম, নূরে মুজাস্সাম صَلَّى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর প্রশান্তিমূলক বাণী হচ্ছে: "পাঁচ ওয়াক্তের নামায আর এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং এক রমযান মাস থেকে পরবর্তী রমযান মাস পর্যন্ত গুনাহ সমূহের কাফ্ফারা হয়ে যায়, যতক্ষণ কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।" (মুসলিম, ১৪৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৩৩)

আহ! সারা বছর যদি রমযানই হতো!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী, হুযুর পূরনূর صَلَّى اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ وَآلِهِ وَسَلَّم এর মহান বাণী হচ্ছে: "যদি বান্দারা জানতো যে, রমযান কি, তবে আমার উম্মতরা আশা করতো যে, আহ! সারা বছর যদি রমযান হতো।” (ইবনে খুযাইমা, ৩য় খন্ড, ১৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৮৮৬)

আসসালামু আলাইকুম ইসলামী বিশ্বকোষ গ্রবথ S2 : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.srizwan.bookhozur500
Top