🕋 আন নিসা আয়াত নং : ০

بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ


📕 কানযুল ঈমান


০.আল্লাহ্‌র নামে আরম্ভ, যিনি পরম দয়ালু, করুণাময় (১)


📗 ইরফানুল কুরআন


০.আল্লাহর নামে শুরু, যিনি পরম করুণাময়, সতত অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّ خَلَقَ مِنۡہَا زَوۡجَہَا وَ بَثَّ مِنۡہُمَا رِجَالًا کَثِیۡرًا وَّ نِسَآءً ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ الَّذِیۡ تَسَآءَلُوۡنَ بِہٖ وَ الۡاَرۡحَامَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلَیۡکُمۡ  رَقِیۡبًا ﴿۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১. মানবজাতি! নিজ রবকে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তারই থেকে তার জোড়া (সঙ্গীনী) সৃষ্টি করেছেন আর এ দু’জন থেকে বহু নর-নারী বিস্তার করেছেন। এবং আল্লাহ্‌কে ভয় করো, যাঁর নাম নিয়ে যাচ্ঞা করো আর আত্মীয়তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সর্বদা তোমাদেরকে দেখছেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১. হে মানবজাতি! তোমরা ভয় করো তোমাদের প্রতিপালককে যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন (অর্থাৎ সৃষ্টির সূচনা করেছেন) একক সত্তা থেকে, অতঃপর তা থেকেই তাঁর সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের উভয় হতে অগণিত পুরুষ ও নারীর (সৃষ্টির) বিস্তার ঘটিয়েছেন। আর ভয় করো আল্লাহ্কে যাঁর মাধ্যমে তোমরা একে অপরের নিকট যাচ্ঞা করো এবং আত্মীয়তার সম্পর্ককে (যার মধ্যেও খোদাভীতি অবলম্বন করো)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষণকারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২

وَ اٰتُوا الۡیَتٰمٰۤی اَمۡوَالَہُمۡ وَ لَا تَتَبَدَّلُوا الۡخَبِیۡثَ بِالطَّیِّبِ ۪ وَ لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَہُمۡ  اِلٰۤی اَمۡوَالِکُمۡ ؕ اِنَّہٗ کَانَ حُوۡبًا کَبِیۡرًا ﴿۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২. আর এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ সমর্পণ করো এবং পবিত্রের পরিবর্তে অপবিত্র গ্রহণ করো না আর তাদের ধন-সম্পদ তোমাদের ধন-সম্পদের সাথে মিশিয়ে গ্রাস করো না। নিঃসন্দেহে, এটা মহাপাপ।


📗 ইরফানুল কুরআন


২. আর এতিমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ সমর্পণ করো এবং মন্দকে ভালো কিছুর মাধ্যমে পরিবর্তন করো না; আর তাদের সম্পদ নিজেদের সম্পদের সাথে মিশিয়ে গ্রাস করো না। অবশ্যই তা মহাপাপ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩

وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ﴿۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩. এবং যদি তোমাদের এ আশংকা হয় যে, এতিম মেয়েদের ক্ষেত্রে সুবিচার করবে না; তবে বিবাহ করে নাও যেসব নারী তোমাদের ভালো লাগে- দুই দুই, তিন তিন, চার চার। অতঃপর যদি তোমরা আশংকা করো যে, দু’জন স্ত্রীকে সমানভাবে রাখতে পারবে না, তবে একজনকেই করো অথবা দাসীদেরকে, যাদের তোমরা অধিকারী হও। এটা এরই অধিক নিকট যে, তোমাদের দ্বারা অত্যাচার হবে না।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩. আর যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, তোমরা এতিম কন্যাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমাদের ভালো লাগে এবং যারা বৈধ তাদেরকে বিবাহ করো; দুই দুই, তিন তিন, চার চার (তবে সমতা বিধানের শর্তে এ অনুমতি)। অতঃপর যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, তোমরা (একাধিক স্ত্রীর মাঝে) সমতা বজায় রাখতে পারবে না, তবে কেবলমাত্র একজন নারীকেই (বিবাহ করো) অথবা তোমাদের দাসীদেরকে যারা (শরীয়ত সম্মতভাবে) তোমাদের অধিকারে রয়েছে। এটিই তোমাদের দ্বারা অবিচার সংঘটিত না হবার অধিকতর সম্ভাবনা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪

وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِہِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡہُ نَفۡسًا فَکُلُوۡہُ ہَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا ﴿۴﴾


📕 কানযুল ঈমান


৪. এবং নারীদেরকে তাদের ‘মহর’ সন্তুষ্ট চিত্তে প্রদান করো! অতঃপর যদি তারা সন্তুষ্ট মনে ‘মহর’ থেকে তোমাদেরকে কিছু দিয়ে দেয় তবে তা খাও, স্বচ্ছন্দে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪. আর নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে তাদের দেনমোহর প্রদান করো। অতঃপর যদি তারা এ (দেনমোহর) থেকে কিয়দংশ তোমাদের জন্যে নিজেদের সন্তুষ্টিতে ছেড়ে দেয়, তবে তোমরা তা (তোমাদের জন্যে) সন্তোষজনক ও অনুকূল জেনে গ্রহণ করো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫

وَ لَا تُؤۡتُوا السُّفَہَآءَ اَمۡوَالَکُمُ الَّتِیۡ جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ قِیٰمًا وَّ ارۡزُقُوۡہُمۡ فِیۡہَا وَ اکۡسُوۡہُمۡ وَ قُوۡلُوۡا لَہُمۡ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا ﴿۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫. এবং নির্বোধদেরকে তাদের সম্পদ অর্পণ করো না, যা তোমাদের নিকট আছে, যেগুলোকে আল্লাহ্‌ তোমাদের উপজীবিকা করেছেন এবং তাদেরকে তা থেকে খাওয়াও ও পরিধান করাও এবং তাদের সাথে সদালাপ করো।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫. আর তোমরা তোমাদের (অথবা তাদের) সম্পদ নির্বোধদের হাতে অর্পণ করো না, যা আল্লাহ্ তোমাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপকরণ করেছেন। হ্যাঁ, তাদেরকে তা থেকে খাওয়াতে থাকো এবং পরিধান করাতে থাকো এবং তাদের সাথে উত্তম কথা বলো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬

وَ ابۡتَلُوا الۡیَتٰمٰی حَتّٰۤی  اِذَا بَلَغُوا النِّکَاحَ ۚ فَاِنۡ اٰنَسۡتُمۡ مِّنۡہُمۡ رُشۡدًا فَادۡفَعُوۡۤا اِلَیۡہِمۡ اَمۡوَالَہُمۡ ۚ وَ لَا تَاۡکُلُوۡہَاۤ اِسۡرَافًا وَّ بِدَارًا اَنۡ یَّکۡبَرُوۡا ؕ وَ مَنۡ کَانَ غَنِیًّا فَلۡیَسۡتَعۡفِفۡ ۚ وَ مَنۡ کَانَ فَقِیۡرًا فَلۡیَاۡکُلۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ؕ فَاِذَا دَفَعۡتُمۡ  اِلَیۡہِمۡ اَمۡوَالَہُمۡ فَاَشۡہِدُوۡا عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ حَسِیۡبًا ﴿۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬. এবং এতীমদের পরীক্ষা করতে থাকো, এ পর্যন্ত যে, তারা বিয়ের উপযুক্ত হবে। অতঃপর যদি তোমরা তাদের বোধশক্তি ঠিক দেখো, তবে তাদের ধন সম্পদ তাদেরকে অর্পন করে দাও এবং সেগুলো খেওনা সীমা অতিক্রম করে এবং এ তাড়াহুড়ায় যে, তারা বড় হয়ে যায় কিনা। আর যার প্রয়োজন হয় না সে যেন নিবৃত্ত থাকে। এবং যে অভাবী হয় সে যেন সংগত পরিমাণ খায়। অতঃপর যখন তোমরা তাদের ধন-সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ করো তখন তাদের উপর সাক্ষী করে নাও! এবং আল্লাহ্‌ যথেষ্ট হিসাব গ্রহণের ক্ষেত্রে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬. আর এতিমদেরকে (শিক্ষাদানের নিমিত্তে) যাচাই ও পরীক্ষা করতে থাকো, যতক্ষণ না তারা বিবাহ-যোগ্য হয়। অতঃপর যদি তাদের মধ্যে ভালো-মন্দ বিচারের জ্ঞান (এবং পরিকল্পনার নৈপুণ্য) লক্ষ্য করো, তবে তাদেরকে তাদের সম্পদ বুঝিয়ে দাও। আর তাদের সম্পদ অনর্থক ব্যয় ও তাড়াহুড়া করে গ্রাস করো না (এ আশঙ্কায়) যে, তারা পূর্ণবয়সে পৌঁছে (তা ফেরত নিয়ে) যাবে। আর যে ব্যক্তি স্বচ্ছল, সে যেন (এতিমের সম্পদ থেকে) সম্পূর্ণ নিবৃত্ত থাকে এবং যে (নিজে) অভাবগ্রস্ত সে যেন (কেবল) সংগত পরিমাণে গ্রহণ করে। আর তোমরা যখন তাদের সম্পদ তাদেরকে সমর্পণ করতে শুরু করবে, তখন তাদের জন্যে সাক্ষী রেখো। আর হিসাব গ্রহণকারী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭

لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَ الۡاَقۡرَبُوۡنَ ۪ وَ لِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَ الۡاَقۡرَبُوۡنَ مِمَّا قَلَّ مِنۡہُ اَوۡ کَثُرَ ؕ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا ﴿۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭. পুরুষদের জন্য অংশ আছে তা থেকেই, যা ছেড়ে গেছে মাতা-পিতা এবং নিকটাত্মীয়রা আর নারীদের জন্য অংশ আছে তা থেকেই, যা ছেড়ে গেছে মাতাপিতা এবং নিকটাত্মীয়তা; পরিত্যক্ত সম্পত্তি অল্প হোক কিংবা বেশী, অংশ হচ্ছে নির্দ্ধারিত। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৭. পুরুষদের জন্যে (সে সম্পদে) অংশ রয়েছে, যা পিতামাতা ও নিকটাত্মীয়রা রেখে যায় এবং নারীদের জন্যে(ও) পিতামাতা ও নিকটাত্মীয়দের পরিত্যক্ত সম্পদে অংশ রয়েছে। পরিত্যক্ত সম্পদ কম হোক বা বেশী, এ অংশ (আল্লাহ্ কর্তৃক) নির্ধারিত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮

وَ  اِذَا حَضَرَ الۡقِسۡمَۃَ  اُولُوا الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنُ فَارۡزُقُوۡہُمۡ  مِّنۡہُ وَ قُوۡلُوۡا لَہُمۡ  قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا ﴿۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮. অতঃপর বন্টনকালে যদি নিকটাত্মীয়র এতিম এবং মিসকীন এসে উপস্থিত হয়, তবে তাদেরকে তা থেকে কিছু দাও এবং তাদের সাথে সদালাপ করো।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮. আর যদি (উত্তরাধিকার) বণ্টনের বেলায় (উত্তরাধিকারী নয় এমন) কোনো নিকটাত্মীয়, এতিম এবং অভাবগ্রস্ত উপস্থিত থাকে, তবে এর মধ্য থেকে তাদেরকেও কিছু দাও এবং তাদের সাথে সদালাপ করো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯

وَ لۡیَخۡشَ الَّذِیۡنَ لَوۡ تَرَکُوۡا مِنۡ خَلۡفِہِمۡ ذُرِّیَّۃً ضِعٰفًا خَافُوۡا عَلَیۡہِمۡ ۪ فَلۡیَتَّقُوا اللّٰہَ وَ لۡیَقُوۡلُوۡا قَوۡلًا سَدِیۡدًا ﴿۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯. এবং যেন ভয় করে ঐসব লোক, যদি তারা নিজেদের পরে অক্ষম সন্তানদের ছেড়ে যেতো, তবে তারা তাদের সম্পর্কে কেমন উদ্বিগ্ন হতো! সুতরাং তারা যেন আল্লাহ্‌কে ভয় করে এবং সরল কথা বলে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯. আর (যারা এতিমদের বিষয়াদি দেখাশুনা করে) তারা যেন ভয় করে যে, তারা নিজেদের পশ্চাতে অসহায় সন্তান রেখে গেলে (মৃত্যুর সময়ে) এসব সন্তান সম্পর্কে তারাও (কিরূপ) শঙ্কিত (ও চিন্তিত) হতো। সুতরাং তারা যেন (এতিমদের ব্যাপারে) আল্লাহ্কে ভয় করে এবং (তাদের সাথে) সংগত কথা বলে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَاۡکُلُوۡنَ اَمۡوَالَ الۡیَتٰمٰی ظُلۡمًا اِنَّمَا یَاۡکُلُوۡنَ فِیۡ بُطُوۡنِہِمۡ نَارًا ؕ وَ سَیَصۡلَوۡنَ  سَعِیۡرًا ﴿۱۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০. ঐসব লোক, যারা এতিমদের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা তো তাদের পেটের মধ্যে নিরেট আগুনই ভর্তি করে এবং অনতিবিলম্বে তারা জ্বলন্ত আগুনে যাবে।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০. নিশ্চয়ই যারা এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, তারা তাদের উদরে আগুনই ভর্তি করে। আর তারা শীঘ্রই প্রজ্বলিত অগ্নিকান্ডে নিক্ষিপ্ত হবে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ  اَوۡلَادِکُمۡ ٭ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَۃً  فَلَہَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡہِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَہٗ  وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ  یَکُنۡ لَّہٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَہٗۤ اَبَوٰہُ فَلِاُمِّہِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہٗۤ  اِخۡوَۃٌ فَلِاُمِّہِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّہُمۡ اَقۡرَبُ  لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ  اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১. আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে; পুত্রের অংশ দু’কন্যার সমান; অতঃপর যদি শুধু কন্যাগণ হয়, যদিও হয় দু’ এর অধিক, তবে তাদের জন্য ত্যাজ্য সম্পদের দু’তৃতীয়াংশ। আর যদি একটি মাত্র কন্যা হয়, তবে তার (সম্পত্তির) অর্ধেক; এবং মৃতের মাতা পিতা; প্রত্যেকের জন্য তার ত্যাজ্য সম্পত্তি থেকে এক ষষ্ঠাংশ যদি মৃতের সন্তান থাকে। যদি তার সন্তান না থাকে এবং মাতাপিতা রেখে যায়, তবে মায়ের জন্য সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ। অতঃপর যদি তার কতিপয় ভাই-বোন থাকে, তবে মায়ের জন্য এক ষষ্ঠাংশ তার ঐ অসীয়ত পূর্ণ করার পর, যা সে করে গেছে ও ঋণ পরিশোধ করার পর। তোমাদের পিতা ও তোমাদের পুত্রগণ, তোমরা কী জানো তাদের মধ্যে কে তোমাদের মধ্যে অধিক কাজে আসবে? এ অংশ নির্ধারিত আল্লাহ্‌রই পক্ষ থেকে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


১১. আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের (উত্তরাধিকারের) ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, পুত্রের জন্যে দুই কন্যার সমান অংশ; অতঃপর যদি কেবল (দুই অথবা) দুইয়ের অধিক কন্যাই থাকে তবে তাদের জন্যে পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ, আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্যে অর্ধেক। আর মৃতের পিতামাতার প্রত্যেকের জন্যে (থাকবে) এক ষষ্ঠাংশ, যদি মৃত ব্যক্তি সন্তান রেখে যায়; কিন্তু যদি মৃতের কোনো সন্তান না থাকে এবং তার উত্তরাধিকারী কেবল তার পিতামাতা হয় তবে তার মায়ের জন্যে এক তৃতীয়াংশ (এবং অবশিষ্ট পুরো অংশ পিতার); অতঃপর যদি মৃতের ভাইবোন থাকে, তবে তার মায়ের জন্যে এক ষষ্ঠাংশ। (এ বণ্টন) তার কৃত অছিয়ত (পূর্ণ করার পর) অথবা ঋণ পরিশোধের পর। উপকারের ক্ষেত্রে তোমাদের পিতা এবং তোমাদের পুত্রগণের মধ্যে কে তোমাদের নিকটতর তা তোমরা অবগত নও। এ (বণ্টন) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (নির্ধারিত) বিধান। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২

وَ لَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ   اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ  مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ لَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ  اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ  اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ  اِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ  کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ  وَّ لَہٗۤ  اَخٌ  اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ فَاِنۡ  کَانُوۡۤا  اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ وَصِیَّۃً  مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ  عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ﴿ؕ۱۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২. এবং তোমাদের স্ত্রীগণ যা ছেড়ে যায় তা থেকে তোমাদের জন্য অর্দ্ধেক- যদি তাদের সন্তান না থাকে। অতঃপর যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে তোমাদের জন্য এক চতুর্থাংশ যেই ওসীয়ত তারা করে গেছে তা এবং ঋণ বের করে নেয়ার পর। আর তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির মধ্যে স্ত্রীদের জন্য এক চতুর্থাংশ যদি তোমাদের সন্তান না থাকে। অতঃপর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি থেকে এক অষ্টমাংশ যে ওসীয়ত তোমরা করে যাও তা এবং ঋণ বের করে নেয়ার পর। আর যদি এমন কোন পুরুষ অথবা নারীর পরিত্যক্ত সম্পত্তি বন্টন করা হয়, যে মাতাপিতা, সন্তান-সন্ততি কাউকেও রেখে যায়নি এবং মায়ের দিক থেকে তার ভাই অথবা বোন থাকে, তবে তাদের মধ্যে প্রত্যেকের জন্য এক ষষ্ঠাংশ। অতঃপর যদি ঐ ভাই-বোন একাধিক বে সবাই এ তৃতীয়াংশের মধ্যে অংশীদার হবে মৃত ব্যত্তির ওসীয়ত ও ঋণ বের করে নেয়ার পর, যার মধ্যে সে কারো ক্ষতি না করে থাকে। এটা আল্লাহ্‌র নির্দেশ এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।


📗 ইরফানুল কুরআন


১২. আর তোমাদের জন্যে (সে সম্পদের) অর্ধেক যা তোমাদের স্ত্রীগণ রেখে যায়, যদি তাদের কোনো সন্তান না থাকে; আর যদি তাদের সন্তান-সন্ততি থাকে তবে তোমাদের জন্যে তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ। (তাও) তাদের কৃত অছিয়ত (পূর্ণ করার) অথবা ঋণ পরিশোধের পর। আর তোমাদের স্ত্রীদের জন্যে তোমাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, যদি তোমাদের কোনো সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান-সন্ততি থাকে তবে তাদের জন্যে তোমাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক অষ্টমাংশ; (এ সম্পদ) তোমাদের কৃত অছিয়ত (পূর্ণ করা) অথবা (তোমাদের) ঋণ পরিশোধের পর। আর যদি কোনো পুরুষ অথবা নারীর পরিত্যাক্ত সম্পত্তি বণ্টন করা হয় যে পিতামাতাহীন এবং যার কোনো সন্তান-সন্ততিও নেই, কিন্তু (মায়ের দিক থেকে) তার এক (বৈপিত্রেয়) ভাই অথবা এক বোন থাকে তবে তাদের প্রত্যেকের জন্যে এক ষষ্ঠাংশ। অতঃপর যদি এরূপ একাধিক ভাইবোন থাকে তবে সকলে এক তৃতীয়াংশের অংশীদার হবে। (এ বণ্টনও) কৃত অছিয়ত যা (উত্তরাধিকারীদেরকে) ক্ষতিগ্রস্ত না করে অথবা ঋণ পরিশোধের পর। এ হলো আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নির্দেশ। আর তিনি অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান, সর্বাধিক সহনশীল।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩

تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ یُدۡخِلۡہُ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَا ؕ وَ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ  الۡعَظِیۡمُ ﴿۱۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩. এগুলো আল্লাহ্‌র নির্দ্ধারিত সীমা। আর যে নির্দেশ মান্য করে আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রসূলের, আল্লাহ্‌ তাদেরকে এমন বাগানসমূহ নিয়ে যাবেন, যেগুলোর নিম্মদেশ নহরসমূহ প্রবাহিত, সর্বদা তাতে থাকবে। আর এটাই হচ্ছে মহাসাফল্য।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩. এগুলো আল্লাহ্‌র (নির্ধারিত) সীমারেখা। আর যে কেউ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করে, তাকে তিনি প্রবিষ্ট করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত; তাতে তারা চিরকাল থাকবে। আর এটিই মহাসাফল্য।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪

وَ مَنۡ یَّعۡصِ اللّٰہَ  وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَتَعَدَّ حُدُوۡدَہٗ یُدۡخِلۡہُ نَارًا خَالِدًا فِیۡہَا ۪ وَ لَہٗ عَذَابٌ مُّہِیۡنٌ ﴿۱۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪. আর যে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের অবাধ্য হয় এবং তাঁর সমস্ত সীমা লংঘন করে আল্লাহ্‌ তাকে আগুনের মধ্যে প্রবেশ করাবেন, যার মধ্যে সর্বদা থাকবে। আর তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনার শাস্তি।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪. আর যে কেউ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর অবাধ্য হয় এবং তাঁর সীমারেখা অতিক্রম করে, তাকে তিনি নিক্ষেপ করবেন জাহান্নামে, যাতে সে চিরকাল থাকবে। আর তার জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫

وَ الّٰتِیۡ یَاۡتِیۡنَ الۡفَاحِشَۃَ مِنۡ نِّسَآئِکُمۡ فَاسۡتَشۡہِدُوۡا عَلَیۡہِنَّ اَرۡبَعَۃً مِّنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ شَہِدُوۡا فَاَمۡسِکُوۡ ہُنَّ فِی الۡبُیُوۡتِ حَتّٰی یَتَوَفّٰہُنَّ الۡمَوۡتُ اَوۡ یَجۡعَلَ اللّٰہُ  لَہُنَّ  سَبِیۡلًا ﴿۱۵﴾


📕 কানযুল ঈমান


১৫. এবং তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষতঃ তোমাদের নিজেদের মধ্যেকার চারজন পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণ করো। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে সেসব নারীকে ঘরে আবদ্ধ রাখো, যে পর্যন্ত না তাদেরকে মৃত্যু উঠিয়ে নেয় কিংবা আল্লাহ্‌ তাদের জন্য কোন সুরাহা বের করেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫. আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চারজন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে আহ্বান করো। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সে নারীদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করো যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় অথবা আল্লাহ্ তাদের জন্যে কোনো (নতুন বিধান দেন কিংবা) ব্যবস্থা করেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬

وَ الَّذٰنِ یَاۡتِیٰنِہَا مِنۡکُمۡ  فَاٰذُوۡہُمَا ۚ فَاِنۡ تَابَا وَ اَصۡلَحَا فَاَعۡرِضُوۡا عَنۡہُمَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ تَوَّابًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬. এবং তোমাদের মধ্যে যেই নারী-পুরুষ এমন অপকর্ম করে, তাদেরকে কষ্ট দাও। অতঃপর যদি তারা তাওবা করে নেয় এবং সৎ হয়ে যায় তবে তাদের রেহাই দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মহা তাওবা কবূলকারী, দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬. আর তোমাদের মধ্যে যে দু’জন ব্যভিচারে লিপ্ত হয় তাদেরকে শাস্তি প্রদান করো। অতঃপর যদি তারা তওবা করে এবং (নিজেদেরকে) সংশোধন করে নেয় তবে তাদেরকে শাস্তি দেয়া থেকে নিবৃত হও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওবা কবুলকারী, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭

اِنَّمَا التَّوۡبَۃُ عَلَی اللّٰہِ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السُّوۡٓءَ بِجَہَالَۃٍ ثُمَّ  یَتُوۡبُوۡنَ مِنۡ قَرِیۡبٍ فَاُولٰٓئِکَ یَتُوۡبُ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  عَلِیۡمًا  حَکِیۡمًا ﴿۱۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭. সেই তাওবা, যা কবুল করা আল্লাহ্‌ আপন অনুগ্রহক্রমে অপরিহার্য করে নিয়েছেন, তা তাদের জন্যেই , যারা না জেনে মন্দ কাজ করে বসেছে, তারপর সত্ত্বর তাওবা করে নেয়, এমন লোকদের প্রতি আল্লাহ্‌ স্বীয় দয়া সহকারে প্রত্যাবর্তন করেন; এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭. আল্লাহ্ কেবলমাত্র সেসব লোকের তওবা কবুলের অঙ্গীকার করেছেন যারা না জেনে পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তারপর সত্বর তওবা করে; অতঃপর আল্লাহ্ তাদেরই নিকট কৃপা সহকারে উপস্থিত হবেন। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৮

وَ لَیۡسَتِ التَّوۡبَۃُ لِلَّذِیۡنَ یَعۡمَلُوۡنَ السَّیِّاٰتِ ۚ حَتّٰۤی  اِذَا حَضَرَ اَحَدَہُمُ الۡمَوۡتُ قَالَ  اِنِّیۡ تُبۡتُ الۡـٰٔنَ  وَ لَا الَّذِیۡنَ یَمُوۡتُوۡنَ وَ ہُمۡ کُفَّارٌ ؕ اُولٰٓئِکَ اَعۡتَدۡنَا لَہُمۡ عَذَابًا  اَلِیۡمًا ﴿۱۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৮. এবং সেই তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা গুনাহসমূহে লিপ্ত থাকে, এ পর্যন্ত যে, যখন তাদের মধ্যে কারো নিকট মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলে, ‘এখন আমি তাওবা করলাম’ এবং না তাদের জন্য যারা কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তাদের জন্য আমি বেদনাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৮. কিন্তু তওবা (কবুলের সুযোগ) তাদের জন্যে নয় যারা পাপকর্ম করতেই থাকে যতক্ষণ না তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, অতঃপর (তখন) সে বলে, ‘আমি এখন তওবা করছি’; এবং তাদের জন্যেও নয় যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। তাদেরই জন্যে আমরা প্রস্তুত রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৯

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا یَحِلُّ لَکُمۡ اَنۡ تَرِثُوا النِّسَآءَ کَرۡہًا ؕ وَ لَا تَعۡضُلُوۡہُنَّ لِتَذۡہَبُوۡا بِبَعۡضِ مَاۤ اٰتَیۡتُمُوۡہُنَّ  اِلَّاۤ اَنۡ یَّاۡتِیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ ۚ وَ عَاشِرُوۡہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ ۚ فَاِنۡ کَرِہۡتُمُوۡہُنَّ فَعَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ یَجۡعَلَ اللّٰہُ فِیۡہِ خَیۡرًا کَثِیۡرًا ﴿۱۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৯. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য হালাল নয় যে, নারীদের উত্তরাধিকারী হয়ে যাবে জোর পূর্বক; এবং স্ত্রীগণকে বাধা দিওনা এ উদ্দেশ্যে যে, যে মহর তাদেরকে দিয়েছিলে তা থেকে কিছু নিয়ে নেবে, কিন্তু এমতাবস্থায় যে, তারা প্রকাশ্য ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে যায় এবং তাদের সাথে সৎভাবে জীবন-যাপন করো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অপছন্দ হয়, তবে এটা সন্নিকটে যে, কোন বস্তু তোমাদের নিকট অপছন্দনীয় হয় আর আল্লাহ্‌ সেটার মধ্যে প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৯. হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্যে বৈধ নয় যে, তোমরা জোরপূর্বক নারীদের উত্তরাধিকারী হও। আর তোমরা তাদেরকে যে সম্পদ দিয়েছিলে তার কিছু (ফিরিয়ে) নেবার উদ্দেশ্যে তাদেরকে আটকে রেখো না; যদি না তারা প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়। আর তাদের সাথে সৎভাবে জীবনযাপন করো। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ করো, তবে এমন হতে পারে আল্লাহ্ যাতে প্রভুত কল্যাণ রেখেছেন তোমরা তা অপছন্দ করছো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২০

وَ اِنۡ اَرَدۡتُّمُ اسۡتِبۡدَالَ زَوۡجٍ مَّکَانَ زَوۡجٍ ۙ وَّ اٰتَیۡتُمۡ  اِحۡدٰہُنَّ قِنۡطَارًا فَلَا تَاۡخُذُوۡا مِنۡہُ شَیۡئًا ؕ اَتَاۡخُذُوۡنَہٗ بُہۡتَانًا وَّ  اِثۡمًا مُّبِیۡنًا ﴿۲۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২০. আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাও এবং তাকে প্রচুর অর্থও দিয়ে থাকো তবুও তা থেকে কিছু ফেরত নিওনা। তোমরা কি সেটা ফেরত নেবে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এবং প্রকাশ্য পাপাচার দ্বারা?


📗 ইরফানুল কুরআন


২০. আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করতে চাও এবং তোমরা তাকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাকো, তবুও তা থেকে কিছুই ফিরিয়ে নিও না। তোমরা কি অন্যায় অপবাদ ও সুস্পষ্ট গোনাহের মাধ্যমে এ ধন-সম্পদ (ফিরিয়ে) নিতে চাও?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২১

وَ کَیۡفَ تَاۡخُذُوۡنَہٗ وَ قَدۡ  اَفۡضٰی بَعۡضُکُمۡ  اِلٰی بَعۡضٍ وَّ اَخَذۡنَ مِنۡکُمۡ مِّیۡثَاقًا غَلِیۡظًا ﴿۲۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২১. এবং কিরুপে সেটা ফেরত নেবে; অথচ তোমরা একে অপরের সম্মুখে বেপর্দা হয়ে গেছো এবং তারা তোমাদের নিকট থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে?


📗 ইরফানুল কুরআন


২১. আর তোমরা তা কিভাবে ফেরত নেবে যখন তোমরা একে অপরের নিকট গমন করেছিলে? আর তারা তোমাদের নিকট থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার(ও) গ্রহণ করেছিলো?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২২

وَ لَا تَنۡکِحُوۡا مَا نَکَحَ اٰبَآؤُکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ  اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّہٗ کَانَ فَاحِشَۃً وَّ مَقۡتًا ؕ وَ سَآءَ  سَبِیۡلًا ﴿۲۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২২. এবং পিতৃপুরুষদের বিবাহকৃত নারীদের সাথে বিবাহ করো না কিন্তু পূর্বে যা হয়ে গেছে। তা নিঃসন্দেহে অশ্লীলতা এবং ক্রোধের কাজও অতি ঘৃণ্য পথ।


📗 ইরফানুল কুরআন


২২. আর ওইসব নারীদেরকে বিবাহ করো না যাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষগণ বিবাহ্ করেছিলেন; তবে (এ বিধানের পূর্বে) যা কিছু গত হয়েছে, (তা ক্ষমা করা হলো যা) হয়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই তা অত্যন্ত অশ্লীল, ঘৃণ্য এবং নিকৃষ্ট প্রথা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৩

حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّہٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ  اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ  وَ اُمَّہٰتُ نِسَآئِکُمۡ  وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ  حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ ۫ فَاِنۡ  لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ  وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ  غَفُوۡرًا  رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৩. হারাম করা হয়েছে তোমাদের উপর তোমাদের মাতাগণ, কন্যাগণ, বোনগণ, ফুফুগণ, খালাগণ, ভ্রাতুষ্পত্রীগণ, ভাগ্নীগণ, তোমাদের ওই সব মাতা যারা (তোমাদেরকে) দুধ পান করিয়েছে; দুধ-বোনগণ, তোমাদের স্ত্রীদের মাতাগণ, তাদের ঐসব কন্যা যারা তোমাদের কোলে (লালন-পালনে) রয়েছে- ঐসব স্ত্রী থেকে, যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছো। অতঃপর যদি তোমরা তাদের সাথে সহবাস না করে থাকো, তবে তাদের কন্যাদের বিবাহ করার মধ্যে কোন ক্ষতি নেই, তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রীগণ, এবং দু’বোনকে একত্রিত করা; কিন্তু যা হয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৩. তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের মাতাগণ, তোমাদের কন্যাগণ, তোমাদের ভগ্নীগণ, তোমাদের ফুফুগণ, তোমাদের খালাগণ, ভ্রাতৃকন্যাগণ, ভগিনীকন্যাগণ, তোমাদের (সেসব) মাতাগণ যারা তোমাদেরকে দুগ্ধ পান করিয়েছেন, তোমাদের সাথে দুগ্ধপানে অংশীদার ভগিনীগণ, তোমাদের শাশুড়ীগণ এবং (এভাবে) তোমাদের স্ত্রীগণের মধ্যে যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছো তাদের (গর্ভজাত) কন্যাগণ (হারাম), যারা তোমাদের অভিভাবকত্বে রয়েছে; তবে যদি তোমরা তাদের সাথে সহবাস না করে থাকো তবে তোমাদের জন্যে (তাদের কন্যাগণকে বিবাহ করায়) কোনো অসুবিধা নেই। আর তোমাদের ঔরসজাত পুত্রগণের স্ত্রীগণ (তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ); আর (নিষিদ্ধ করা হয়েছে) দু’বোনকে (বিবাহে) একত্রিত করা, তবে জাহেলী যুগে যা অতিক্রান্ত হয়েছে, তা হয়ে গিয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৪

وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ  اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৪. এবং হারাম সধবা নারীরা কিন্তু (হালাল) কাফিরদের ওই সব স্ত্রী, যারা তোমাদের অধিকারে এসে যায়; এটা আল্লাহ্‌র লিপিবদ্ধ (বিধান) তোমাদের উপর; এবং এসব ছাড়া যারা অবশিষ্ট আছে তারা তোমাদের জন্য হালাল (এ শর্তে) যে, নিজেদের অর্থের বিনিময়ে তালাশ করো (বিবাহ) বন্ধনে আনতে, যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য নয়। সুতরাং যেসব নারীকে বিবাহাধীনে আনতে চাও তাদের নির্দ্ধারিত মহর তাদেরকে অর্পণ করো এবং মহর নির্দ্ধারণের পর যদি তোমাদের পরষ্পরের মধ্যে কোন সন্তুষ্টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তবে তাতে গুনাহ্‌ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৪. আর (তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ) বিবাহিতা নারীগণ, তাদের ব্যতীত (যুদ্ধবন্দী নারীগণের) যারা তোমাদের অধিকারভুক্ত হয়েছে; (এ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত নির্দেশনা) আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন। আর তাদের ব্যতীত (নারীগণের মধ্যে) অন্য সকলকে তোমাদের জন্যে বৈধ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তোমাদের অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে পবিত্রতা রক্ষার্থে বিবাহের অন্বেষণ করো, প্রবৃত্তি চরিতার্থে নয়। অতঃপর তাদের মধ্যে যাদের থেকে তোমরা এর (এ অর্থ ব্যয়ের) মাধ্যমে সুবিধা নিয়েছো, তাদেরকে তাদের নির্ধারিত দেনমোহর পরিশোধ করো। আর দেনমোহর নির্ধারণের পর কোনো বিষয়ে পরস্পরে সন্তুষ্ট হলে তোমাদের জন্যে এ সম্পদের ব্যাপারে কোনো অপরাধ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৫

وَ مَنۡ لَّمۡ یَسۡتَطِعۡ مِنۡکُمۡ طَوۡلًا اَنۡ یَّنۡکِحَ الۡمُحۡصَنٰتِ الۡمُؤۡمِنٰتِ فَمِنۡ مَّا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ مِّنۡ فَتَیٰتِکُمُ الۡمُؤۡمِنٰتِ ؕ وَ اللّٰہُ اَعۡلَمُ  بِاِیۡمَانِکُمۡ ؕ بَعۡضُکُمۡ مِّنۡۢ بَعۡضٍ ۚ فَانۡکِحُوۡہُنَّ بِاِذۡنِ اَہۡلِہِنَّ وَ اٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ بِالۡمَعۡرُوۡفِ مُحۡصَنٰتٍ غَیۡرَ مُسٰفِحٰتٍ وَّ لَا مُتَّخِذٰتِ اَخۡدَانٍ ۚ فَاِذَاۤ   اُحۡصِنَّ فَاِنۡ اَتَیۡنَ بِفَاحِشَۃٍ فَعَلَیۡہِنَّ نِصۡفُ مَا عَلَی الۡمُحۡصَنٰتِ مِنَ الۡعَذَابِ ؕ ذٰلِکَ لِمَنۡ خَشِیَ الۡعَنَتَ مِنۡکُمۡ ؕ وَ اَنۡ تَصۡبِرُوۡا خَیۡرٌ  لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ  غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৫. এবং তোমাদের মধ্যে সামর্থ্য না থাকার কারণে যাদের বিবাহ বন্ধনে স্বাধীনা ঈমানদার নারী না থাকে তবে তাদেরকেই বিবাহ করো, যারা তোমাদের হাতের মালিকানাধীন রয়েছে- ঈমানদার দাসীগণ এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের ঈমান সম্বন্ধে ভাল জানেন। তোমাদের মধ্যে একে অপর থেকে। সুতরাং তাদেরকেই বিবাহ করো তাদের মালিকদের অনুমতি সাপেক্ষে এবং রীতি মাফিক তাদের মহর তাদেরকে অর্পণ করো এমতাবস্থায় যে, তারা বিবাহ বন্ধনে আসবে- না যৌন-উম্মাদনা চরিতার্থকারীনী হয়ে, না উপপতি গ্রহণকারীণী রুপে। যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায় অতঃপর ব্যভিচার করে তবে তাদের উপর ঐ শাস্তির অর্ধেক (বর্তাবে) যা স্বাধীনা নারীদের উপর বর্তায়। এটা তারই জন্য যে তোমাদের মধ্যে ব্যভিচারের আশংকা করে। এবং ধৈর্যধারণ করা তোমাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৫. আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি স্বাধীন মুসলমান নারীকে বিবাহে সক্ষম নয়, সে যেন (শরীয়ত সম্মতভাবে) তোমাদের অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী কৃতদাসীকে বিবাহ করে। আর আল্লাহ্ তোমাদের ঈমানের (অবস্থার) ব্যাপারে ভালো জানেন। তোমরা (সকলে) একে অপর থেকেই। অতঃপর তোমরা তাদেরকে (অর্থাৎ কৃতদাসীদেরকে) তাদের মুনিবের অনুমতিক্রমে বিবাহ করো এবং রীতি অনুযায়ী তাদেরকে দেনমোহর প্রদান করো এমতাবস্থায় যে, তারা (সতীত্ব অটুট রেখে) বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবে, ব্যভিচারিণী অথবা গোপন প্রণয়িনী হবে না। অতএব বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পর যদি সে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তবে তার জন্যে স্বাধীন (কুমারী) নারীর (নির্ধারিত) শাস্তির অর্ধেক আরোপিত হবে। এ অনুমতি তার জন্যে তোমাদের মধ্যে যার আশঙ্কা গোনাহে (লিপ্ত হওয়ার); যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করো তবে (তা) তোমাদের জন্যে উত্তম। আর আল্লাহ্ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৬

یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیُبَیِّنَ لَکُمۡ وَ یَہۡدِیَکُمۡ سُنَنَ الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ یَتُوۡبَ عَلَیۡکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ  عَلِیۡمٌ  حَکِیۡمٌ ﴿۲۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৬. আল্লাহ্‌ চান আপন বিধানাবলী তোমাদের জন্য বর্ণনা করতে এবং তোমাদের পূববর্তীদের রীতিনীতি বলে দিতে আর তোমাদের প্রতি আপন করুনা সহকারে প্রর্ত্যাবর্তন করতে। এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞানময় , প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৬. আল্লাহ্ চান তোমাদের জন্যে (তাঁর বিধিবিধান) সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে, তোমাদেরকে সেসব (পূণ্যবান) ব্যক্তিগণের পথে পরিচালিত করতে যারা তোমাদের পূর্বে গত হয়েছে এবং অনুগ্রহ সহকারে তোমাদের অভিমুখী হতে। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৭

وَ اللّٰہُ یُرِیۡدُ اَنۡ یَّتُوۡبَ عَلَیۡکُمۡ ۟ وَ یُرِیۡدُ الَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الشَّہَوٰتِ اَنۡ تَمِیۡلُوۡا مَیۡلًا عَظِیۡمًا ﴿۲۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৭. এবং আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি আপন কৃপা সহকারে প্রর্ত্যাবর্তন করতে চান এবং যারা আপন প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা চায় যেন তোমরা সরল পথ থেকে বিস্তর পৃথক হয়ে যাও।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৭. আর আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ্ করতে চান, কিন্তু যারা (নফসের) কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করছে তারা চায় যে, তোমরা সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে বহুদূর চলে যাও।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৮

یُرِیۡدُ اللّٰہُ اَنۡ یُّخَفِّفَ عَنۡکُمۡ ۚ وَ خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ ضَعِیۡفًا ﴿۲۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৮. আল্লাহ্‌ চান তোমাদের ভার লঘু করে দিতে এবং মানুষকে দূর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


২৮. আল্লাহ্ চান তোমাদের বোঝা হালকা করতে, আর মানুষকে দুর্বল করে সৃষ্টি করা হয়েছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ২৯

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


২৯. হে ঈমানদারগণ! পরষ্পরের মধ্যে একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু কোন ব্যবসা তোমাদের পারষ্পরিক সম্মতিতে হলে (বৈধ হবে)। এবং নিজেদের প্রাণগুলোকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি দয়াবান। 


📗 ইরফানুল কুরআন


২৯. হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ পরস্পরে অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কেবলমাত্র তোমাদের পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে যে ব্যবসা সংঘটিত হয় তা ব্যতীত। আর নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩০

وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ عُدۡوَانًا وَّ ظُلۡمًا فَسَوۡفَ نُصۡلِیۡہِ نَارًا ؕ وَ کَانَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ  یَسِیۡرًا ﴿۳۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩০. আর যে সীমালংঘন ও অত্যাচার করে এমন করবে, তবে অনতিবিলম্বে আমি তাকে আগুনে প্রবিষ্ট করবো এবং এটা আল্লাহ্‌র পক্ষে সহজসাধ্য।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩০. আর যে সীমালঙ্ঘন এবং যুলুমের মাধ্যমে এমনটি করবে তাকে আমরা অচিরেই (জাহান্নামের) অগ্নিতে নিক্ষেপ করবো, আর তা আল্লাহ্‌র জন্যে খুবই সহজ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩১

اِنۡ تَجۡتَنِبُوۡا کَبَآئِرَ مَا تُنۡہَوۡنَ عَنۡہُ نُکَفِّرۡ عَنۡکُمۡ سَیِّاٰتِکُمۡ وَ نُدۡخِلۡکُمۡ  مُّدۡخَلًا کَرِیۡمًا ﴿۳۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩১. যদি কবীরাহ্‌ গুনাহ্‌গুলো বিরত থাকো, যেগুলো তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবে তোমাদের অন্যান্য গুনাহ্‌ আমি ক্ষমা করে দেবো এবং তোমাদেরকে সম্মানজনক স্থানে প্রবেশ করাবো।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩১. আর তোমাদেরকে যা নিষেধ করা হয়েছে  তোমরা যদি সেসব কবীরা গোনাহ্ থেকে বেঁচে থাকো, তবে আমরা তোমাদের লঘুতর পাপসমূহ মোচন করে দেবো এবং তোমাদেরকে প্রবিষ্ট করাবো সম্মানজনক স্থানে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩২

وَ لَا تَتَمَنَّوۡا مَا فَضَّلَ اللّٰہُ بِہٖ بَعۡضَکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ لِلرِّجَالِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا اکۡتَسَبُوۡا ؕ وَ لِلنِّسَآءِ نَصِیۡبٌ مِّمَّا اکۡتَسَبۡنَ ؕ وَ سۡئَلُوا اللّٰہَ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمًا ﴿۳۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩২. এবং সেটার লালসা করো না, যা দ্বারা আল্লাহ্‌ তোমাদের মধ্য থেকে একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। পুরুষদের জন্য তাদের উপার্জন থেকে অংশ রয়েছে এবং নারীদের জন্য তাদের উপার্জন থেকে অংশ রয়েছে আর আল্লাহ্‌র নিকট থেকে তাঁর অনুগ্রহ চাও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩২. আর তোমরা সেসব কিছুর আকাঙ্ক্ষা করো না, যার মাধ্যমে আল্লাহ্ তোমাদেরকে একে অপরের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন। পুরুষদের জন্যে তাদের প্রাপ্য অংশ যা তারা অর্জন করে; নারীদের জন্যে তাদের প্রাপ্য অংশ যা তারা অর্জন করে। আর আল্লাহ্‌র নিকট তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে সম্যক অবগত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৩

وَ لِکُلٍّ جَعَلۡنَا مَوَالِیَ  مِمَّا تَرَکَ الۡوَالِدٰنِ وَ الۡاَقۡرَبُوۡنَ ؕ وَ الَّذِیۡنَ عَقَدَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ فَاٰتُوۡہُمۡ نَصِیۡبَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ  شَہِیۡدًا ﴿۳۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৩. এবং প্রত্যেকটি সম্পত্তির জন্য উত্তরাধিকারী করে দিয়েছি -যা কিছু রেখে যায় মাতা পিতা এবং নিকটাত্মীয়গণ আর ঐসব লোক, যাদের সাথে তোমাদের অঙ্গীকার সম্পন্ন হয়েছে তাদেরকে তাদের অংশ অর্পণ করো। নিশ্চয় প্রত্যেক কিছু আল্লাহ্‌র সম্মুখে রয়েছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৩. আর আমরা প্রত্যেকের জন্যে পিতামাতা ও নিকটাত্মীয়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে অধিকারী (অর্থাৎ উত্তরাধিকারী) সাব্যস্ত করেছি। আর যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছো তাদেরকে তাদের অংশ দাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে প্রত্যক্ষ দ্রষ্টা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৪

اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّ بِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ ؕ فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٰتٌ حٰفِظٰتٌ لِّلۡغَیۡبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰہُ ؕ وَ الّٰتِیۡ تَخَافُوۡنَ نُشُوۡزَہُنَّ فَعِظُوۡہُنَّ وَ اہۡجُرُوۡہُنَّ فِی الۡمَضَاجِعِ وَ اضۡرِبُوۡہُنَّ ۚ فَاِنۡ اَطَعۡنَکُمۡ فَلَا تَبۡغُوۡا عَلَیۡہِنَّ سَبِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیۡرًا ﴿۳۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৪. পুরুষ নারীদের উপর কর্তা এ জন্য যে, আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে, পুরুষগণ তাদের উপর ধন-সম্পদ ব্যয় করেছে। সুতরাং পূণ্যবর্তী স্ত্রীগণ আদবসম্পন্না, স্বামীগণের পিছনে হিফাজতে রাখে যেভাবে আল্লাহ্‌ হিফাযত করার হুকুম দিয়েছেন এবং যে সমস্ত স্ত্রীর অবাধ্যতা সম্পর্কে তোমাদের আশংকা হয় তবে তাদেরকে বুঝাও, তাদের থেকে পৃথক হয়ে শয়ন করো এবং তাদেরকে প্রহার করো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্যে এসে যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ মহান, শ্রেষ্ঠ।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৪. পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক ও পৃষ্ঠপোষক; তা এ জন্যে যে, আল্লাহ্ তাদের একজনকে অপরের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন এবং এ কারণে(ও) যে, পুরুষ (তাদের জন্যে) নিজের সম্পদ ব্যয় করে। সুতরাং পূণ্যবান স্ত্রীগণ আনুগত্যশীল, স্বামীর অনুপস্থিতিতে আল্লাহ্‌র রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে (নিজের সতীত্বের) রক্ষাকারী। আর তোমাদের নিকট যেসব নারীর নাফরমানী ও অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদেরকে উপদেশ দাও, (যদি সংশোধন না হয় তবে তোমাদের থেকে) তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং (যদি তাতেও সংশোধন না হয় তবে) তাদেরকে (শিষ্টাচার শিক্ষাদানের নিমিত্তে মৃদু) প্রহার করো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে (যুলুমের) কোনো পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমুচ্চ, সুমহান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৫

وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ شِقَاقَ بَیۡنِہِمَا فَابۡعَثُوۡا حَکَمًا مِّنۡ اَہۡلِہٖ وَ حَکَمًا مِّنۡ اَہۡلِہَا ۚ اِنۡ یُّرِیۡدَاۤ  اِصۡلَاحًا یُّوَفِّقِ اللّٰہُ بَیۡنَہُمَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا خَبِیۡرًا ﴿۳۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৫. এবং যদি তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার আশংকা হয় তবে একজন সালীস বর-পক্ষ থেকে প্রেরণ করো আর একজন সালীস স্ত্রী-পক্ষ থেকে, তারা উভয়ে যদি সমঝোতা করাতে চায়, তবে আল্লাহ্‌ তাদের মধ্যে মিল করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৫. আর যদি তোমরা উভয়ের মাঝে বিরোধের আশঙ্কা করো তবে পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিস এবং নারীর পরিবার থেকে একজন সালিস নিযুক্ত করো। যদি তারা দু’জন (সালিস) সমঝোতা স্থাপনের ইচ্ছা করে, তবে আল্লাহ্ উভয়ের মাঝে সম্প্রীতি স্থাপন করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবগত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৬

وَ اعۡبُدُوا  اللّٰہَ وَ لَا تُشۡرِکُوۡا بِہٖ شَیۡئًا وَّ بِالۡوَالِدَیۡنِ  اِحۡسَانًا وَّ بِذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡیَتٰمٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡجَارِ ذِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡجَارِ الۡجُنُبِ وَ الصَّاحِبِ بِالۡجَنۡۢبِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ۙ وَ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یُحِبُّ مَنۡ  کَانَ  مُخۡتَالًا  فَخُوۡرَا ﴿ۙ۳۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৬. এবং আল্লাহ্‌র বন্দেগী করো আর কাউকে তাঁর শরীক দাঁড় করাবে না; এবং মাতা -পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করো আর আত্মীয়-স্বজন, এতিম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, করটের সঙ্গী, পথচারী এবং স্বীয় দাস-দাসীদের সাথেও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র পছন্দ হয় না কোন দাম্ভিক, আত্ম-গৌরবকারী। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৬. আর তোমরা আল্লাহ্‌র ইবাদত করো এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না; পিতামাতার প্রতি সদাচরণ করো, আর (সদাচরণ করো) নিকটাত্মীয়, এতিম এবং অভাবগ্রস্ত, নিকট-প্রতিবেশী, অপরিচিত-প্রতিবেশী, সহচর, মুসাফির এবং তোমরা যাদের অধিকারী হয়েছো (তাদের প্রতি)। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাকে পছন্দ করেন না যে (আত্ম-প্রতারিত) দাম্ভিক, (আত্মবাদী) অহঙ্কারী;


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৭

ۣالَّذِیۡنَ یَبۡخَلُوۡنَ وَ یَاۡمُرُوۡنَ النَّاسَ بِالۡبُخۡلِ وَ یَکۡتُمُوۡنَ مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ  عَذَابًا مُّہِیۡنًا ﴿ۚ۳۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৭. যারা নিজেরা কৃপণতা করে এবং অন্যান্যদেরকে ও কৃপণতা করার জন্য বলে আর আল্লাহ্‌ তা’আলা যা তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দিয়েছেন তা গোপন করে; এবং কাফিরদের জন্য আমি লাঞ্ছনার শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৭. যারা (নিজেরাও) কৃপণতা করে এবং মানুষকে(ও) কৃপণতার নির্দেশ দেয়, আর আল্লাহ্ নিজ অনুগ্রহ থেকে তাদেরকে যা প্রদান করেছেন সেসব (নিয়ামত) গোপন করে। আর আমরা লাঞ্ছনাকর শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি কাফেরদের জন্যে;


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৮

وَ الَّذِیۡنَ یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ رِئَآءَ النَّاسِ وَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ لَا بِالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ وَ مَنۡ  یَّکُنِ  الشَّیۡطٰنُ  لَہٗ  قَرِیۡنًا فَسَآءَ  قَرِیۡنًا ﴿۳۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৮. আর যারা আপন ধন-সম্পদ মানুষকে দেখানোর জন্য ব্যয় করে এবং ঈমান আনে না আল্লাহ্‌র উপর আর না ক্বিয়ামতের উপর এবং শয়তান যার সঙ্গী হয়েছে, তবে সে কতই মন্দ সাথী!


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৮. আর যারা মানুষকে দেখানোর জন্যে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহ্ ও শেষদিনে বিশ্বাস করে না, এবং শয়তানও যার সঙ্গী হয়েছে, তবে সে খুবই নিকৃষ্ট সঙ্গী!


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৩৯

وَ مَاذَا عَلَیۡہِمۡ لَوۡ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَنۡفَقُوۡا مِمَّا رَزَقَہُمُ اللّٰہُ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  بِہِمۡ  عَلِیۡمًا ﴿۳۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৩৯. এবং তাদের কি ক্ষতি ছিলো যদি ঈমান আনতো আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামতের উপর এবং আল্লাহ্‌-প্রদত্ত থেকে তাঁর পথে ব্যয় করতো? এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে জানেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৩৯. আর তাদের কী ক্ষতি হতো যদি তারা আল্লাহ্ ও শেষদিনে বিশ্বাস স্থাপন করতো এবং আল্লাহ্ তাদেরকে যা কিছু দিয়েছিলেন তা (তাঁর পথে) ব্যয় করতো? অথচ আল্লাহ্ তাদের (অবস্থা) সম্পর্কে যথার্থ অবগত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪০

اِنَّ اللّٰہَ لَا یَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّۃٍ ۚ وَ اِنۡ تَکُ حَسَنَۃً  یُّضٰعِفۡہَا وَ یُؤۡتِ مِنۡ لَّدُنۡہُ  اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿۴۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪০. আল্লাহ্‌ এক অণু পরিমাণও যুলুম করেন না এবং যদি কোন পূণ্য কাজ হয়, তবে সেটাকে দ্বিগুণ করেন আর তাঁর নিকট থেকে মহাপুরষ্কার প্রদান করেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪০. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অনু পরিমাণও যুলুম করেন না। আর কোনো পূণ্য হলে তিনি তা দ্বিগুণ করে দেন এবং তাঁর নিকট থেকে প্রদান করেন মহাপুরস্কার।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪১

فَکَیۡفَ اِذَا جِئۡنَا مِنۡ کُلِّ اُمَّۃٍۭ بِشَہِیۡدٍ وَّ جِئۡنَا بِکَ عَلٰی ہٰۤؤُلَآءِ شَہِیۡدًا ﴿ؕ؃۴۱﴾


📕 কানযুল ঈমান


৪১. তবে কেমন হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো? এবং হে মাহবুব! আপনাকে তাদের সবার উপর সাক্ষী এবং পর্যবেক্ষণকারীরুপে উপস্থিত করবো?


📗 ইরফানুল কুরআন


৪১. অতঃপর সেদিন কী অবস্থা হবে যখন আমরা প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করবো এবং (হে হাবীব!) আপনাকে আমরা সাক্ষীরূপে উপস্থিত করবো তাদের সবার বিরুদ্ধে!


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪২

یَوۡمَئِذٍ یَّوَدُّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ عَصَوُا الرَّسُوۡلَ لَوۡ تُسَوّٰی بِہِمُ الۡاَرۡضُ ؕ وَ لَا یَکۡتُمُوۡنَ اللّٰہَ  حَدِیۡثًا ﴿۴۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪২. ওই দিন কামনা করবে ওই সব লোক, যারা কুফর করেছে এবং রাসূলের অবাধ্য হয়েছে- ‘আহা! যদি তাদেরকে মাটির মধ্যে ধ্বসিয়ে মিশিয়ে ফেলা হতো!’ এবং কোন কথাই আল্লাহ্‌ থেকে গোপন করতে পারবে না।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪২. যারা কুফরী করেছে এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর অবাধ্য হয়েছে সেদিন তারা কামনা করবে যদি (তাদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে) তাদের উপর জমিন সমান করে দেয়া হতো! অথচ তারা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে কোনো কথাই গোপন করতে পারবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৩

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡرَبُوا الصَّلٰوۃَ وَ اَنۡتُمۡ سُکٰرٰی حَتّٰی تَعۡلَمُوۡا مَا تَقُوۡلُوۡنَ وَ لَا جُنُبًا اِلَّا عَابِرِیۡ سَبِیۡلٍ حَتّٰی تَغۡتَسِلُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  کَانَ عَفُوًّا غَفُوۡرًا ﴿۴۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৩. হে ঈমানদারগণ, নেশাগ্রস্থ অবস্থায় নামাযের নিকট যেওনা যতক্ষণ পর্যন্ত এতটুকু হুশ না হয় যে, যা বলো তা বুঝতে পারো এবং না অপবিত্র অবস্থায় গোসল ব্যতিরেকে, কিন্তু মুসাফিরীর মধ্যে স্বতন্ত্রবিধান এবং যদি তোমরা পীড়িত হও কিংবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ শৌচকর্ম সমাধা করে এসেছো, কিংবা তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করেছো আর পানি পাওনি, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো, সুতরাং আপন মুখমন্ডল এবং হাতগুলোর উপর মসেহ্‌ করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৩. হে ঈমানদারগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাযের নিকটবর্তী হয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা বুঝতে পারো যা তোমরা বলো; আর যদি না তোমরা সফরে পথ অতিক্রম করো তবে অপবিত্র অবস্থায়ও (নামাযের নিকটবর্তী হয়ো) না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা গোসল করো। আর যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্যে কেউ শৌচকর্ম সমাধা করে ফিরে আসে অথবা তোমরা (তোমাদের) স্ত্রীদের সাথে সহবাস করো, অতঃপর পানি সংগ্রহ করতে অক্ষম হও; তবে পবিত্র মাটি দিয়ে ‘তায়াম্মুম’ করো। সুতরাং তোমাদের চেহারা এবং তোমাদের হস্তযুগল মাসেহ্ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মার্জনাকারী, অত্যন্ত ক্ষমাশীল।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৪

اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ اُوۡتُوۡا نَصِیۡبًا مِّنَ الۡکِتٰبِ یَشۡتَرُوۡنَ الضَّلٰلَۃَ وَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَضِلُّوا السَّبِیۡلَ ﴿ؕ۴۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৪. আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি, যারা কিতাব থেকে একটা অংশ লাভ করেছে? গোমরাহী ক্রয় করে নেয় এবং চায় যেন তোমরাও পথভ্রষ্ট হয়ে যাও!


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৪. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে (আসমানী) কিতাবের একটি অংশ প্রদান করা হয়েছিলো? তারা গোমরাহী ক্রয় করতো এবং চাইতো যে, তোমরা(ও) সরল পথ থেকে বিচ্যুত হও?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৫

وَ اللّٰہُ اَعۡلَمُ بِاَعۡدَآئِکُمۡ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَلِیًّا ٭۫  وَّ کَفٰی  بِاللّٰہِ نَصِیۡرًا ﴿۴۵﴾  


📕 কানযুল ঈমান


৪৫. এবং আল্লাহ্‌ খুব জানেন তোমাদের শত্রুদেরকে আর আল্লাহ্‌ যথেষ্ট অভিভাবকরুপে এবং আল্লাহ্‌ যথেষ্ট সাহায্যকারীরুপে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৫. আর আল্লাহ্ তোমাদের শত্রুদের ব্যাপারে সর্বাধিক অবগত। অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসেবেও আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৬

مِنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا یُحَرِّفُوۡنَ الۡکَلِمَ  عَنۡ مَّوَاضِعِہٖ وَ یَقُوۡلُوۡنَ سَمِعۡنَا وَ عَصَیۡنَا وَ اسۡمَعۡ غَیۡرَ مُسۡمَعٍ وَّ رَاعِنَا لَـیًّۢا بِاَلۡسِنَتِہِمۡ وَ طَعۡنًا فِی الدِّیۡنِ ؕ وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا وَ اسۡمَعۡ وَ انۡظُرۡنَا لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ وَ اَقۡوَمَ ۙ وَ لٰکِنۡ لَّعَنَہُمُ اللّٰہُ بِکُفۡرِہِمۡ  فَلَا  یُؤۡمِنُوۡنَ  اِلَّا  قَلِیۡلًا ﴿۴۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৬. কিছু সংখ্যক ইহুদী বাণীগুলোকে সেগুলোর স্থান থেকে পরিবর্তন করে এবং বলে, ‘আমরা শুনেছি ও অমান্য করেছি এবং আপনি শুনুন, না শুনানোর মত! এবং ‘রা’ইনা’ বলে জিহ্‌বাগুলো ঘুরিয়ে আর দ্বীনের প্রতি বিদ্রুপ করার জন্য। এবং যদি তারা বলতো, ‘আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি এবং হুযুর, আমাদের কথা শুনুন! এবং হুযুর, আমাদের প্রতি লক্ষ্য করুন!’ তবে তাদের জন্য মঙ্গল ও সরলতার বৃদ্ধি হতো। কিন্তু তাদের উপর তো আল্লাহ্‌ লা’নত করেছেন তাদের কুফরের কারণে। সুতরাং দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করে না কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৬. আর ইহুদীদের মধ্যে কিছু লোক (তাওরাতের) বাণীগুলো স্বীয় (মূল) স্থান থেকে বিকৃত করে এবং বলে, ‘আমরা শ্রবণ করলাম এবং অমান্য করলাম’। আর (এও বলে,) ‘শুনুন!’ [আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাই] যেন আপনাকে শুনানো হয়নি, আর নিজেদের জিহ্বা কুঞ্চিত করে দ্বীনের ব্যাপারে তাচ্ছিল্যার্থে বলে “রাঈনা”। আর তারা যদি (এর পরিবর্তে) বলতো, ‘আমরা শ্রবণ করলাম এবং আনুগত্য করলাম‘; এবং ‘(হুযুর! আমাদের আর্জি) শুনুন এবং আমাদের দিকে (অনুগ্রহের) দৃষ্টি দিন’, তবে তাদের জন্যে তা কল্যাণকর হতো এবং (এ বক্তব্যও) সঠিক ও যথোপযুক্ত হতো। কিন্তু তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ তাদের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। ফলে তাদের অল্পসংখ্যকই ঈমান আনয়ন করে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৭

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ اٰمِنُوۡا بِمَا نَزَّلۡنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ نَّطۡمِسَ وُجُوۡہًا فَنَرُدَّہَا عَلٰۤی اَدۡبَارِہَاۤ اَوۡ نَلۡعَنَہُمۡ کَمَا لَعَنَّاۤ اَصۡحٰبَ السَّبۡتِ ؕ وَ کَانَ اَمۡرُ اللّٰہِ مَفۡعُوۡلًا ﴿۴۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৭. হে কিতাবীগণ! ঈমান আনো সেটার উপর, যা আমি অবতারণ করেছি তোমাদের সঙ্গেকার কিতাব এর সত্যায়নকারীরুপে এর পূর্বে যে, আমি বিকৃত করে দেবো কিন্তু চেহারাকে; অতঃপর সেগুলো ঘুরিয়ে দেবো সেগুলোর পিঠের দিকে, অথবা তাদেরকে অভিশম্পাত করবো যেমন অভিশম্পাত করেছি শনিবার পালনকারীদেরকে এবং আল্লাহ্‌র নির্দেশ কার্যকারী হয়েই থাকে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৭. হে আহলে কিতাব! ঈমান আনয়ন করো এতে (এ কিতাবে) যা আমরা (এখন আমাদের হাবীব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের প্রতি) অবতীর্ণ করেছি, যা (মূলত) তোমাদের নিকট থাকা কিতাবের সত্যায়ন করে; এর পূর্বেই যখন আমরা (কিছু) চেহারা বিকৃত করে দেবো, তাদেরকে তাদের পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দেবো অথবা তাদের প্রতি অভিসম্পাত করবো যেমন করে আমরা শনিবার দিবস-অমান্যকারীদের প্রতি করেছিলাম। আর আল্লাহ্‌র নির্দেশ কার্যকর হয়েই থাকে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৮

اِنَّ اللّٰہَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِہٖ وَ یَغۡفِرُ  مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی  اِثۡمًا عَظِیۡمًا ﴿۴۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৮. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তাঁর সাথে কুফর (শির্ক) করার অপরাধ ক্ষমা করেন না যে এবং কুফরের নিম্ন পর্যায়ের যা কিছু আছে তা যাকে চান ক্ষমা করে দেন; এবং যে খোদার শরীক স্থির করেছে সে মহা পাপের তুফান গড়েছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে শরীক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না; আর এর চেয়ে ক্ষুদ্রতর (যে অপরাধই হোক), যাকে চান ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সাথে শরীক সাব্যস্ত করেছে, সে কার্যতই অনেক বড় গোনাহের অপবাদ রচনা করেছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৪৯

اَلَمۡ تَرَ  اِلَی الَّذِیۡنَ یُزَکُّوۡنَ اَنۡفُسَہُمۡ ؕ بَلِ اللّٰہُ یُزَکِّیۡ مَنۡ یَّشَآءُ وَ لَا یُظۡلَمُوۡنَ فَتِیۡلًا ﴿۴۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৪৯. আপনি কি তাদের দেখেন নি যারা নিজেরাই নিজেদের পবিত্রতা বর্ণনা করে? বরং আল্লাহ্‌ যাকে চান পবিত্র করেন এবং তাদের প্রতি যুলুম হবে না খোরমা-বীজের আঁশ পরিমাণও।


📗 ইরফানুল কুরআন


৪৯.  আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যারা নিজেদেরকে পূতঃপবিত্ররূপে প্রকাশ করে? বরং আল্লাহ্ই যাকে চান পূতঃপবিত্র করেন এবং তাদের উপর এক সুতা পরিমাণও অন্যায় করা হবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫০

اُنۡظُرۡ کَیۡفَ یَفۡتَرُوۡنَ عَلَی اللّٰہِ الۡکَذِبَ ؕ وَ کَفٰی بِہٖۤ   اِثۡمًا مُّبِیۡنًا ﴿۵۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫০. দেখুন, তারা আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে কিরুপ মিথ্যা রচনা করছে! এবং এটাই যথেষ্ট প্রকাশ্য পাপরুপে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫০. লক্ষ্য করুন, কিভাবে তারা আল্লাহ্‌র প্রতি মিথ্যা অপবাদ রচনা করে। আর (তাদের শাস্তির জন্যে) এই প্রকাশ্য অপরাধই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫১

اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ اُوۡتُوۡا نَصِیۡبًا مِّنَ الۡکِتٰبِ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡجِبۡتِ وَ الطَّاغُوۡتِ وَ یَقُوۡلُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ہٰۤؤُلَآءِ اَہۡدٰی مِنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا سَبِیۡلًا ﴿۵۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫১. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা কিতাবের একটা অংশ লাভ করেছে, (তারা) ঈমান আনছে বোত ও শয়তানের উপর? এবং কাফিরদের সম্পর্কে বলে, ‘এরা মুসলমানদের অপেক্ষা অধিকতর সঠিক পথের উপর রয়েছে।’


📗 ইরফানুল কুরআন


৫১. আপনি কি তাদেরকে দেখেননি যাদেরকে (আসমানী) কিতাবের একটি অংশ প্রদান করা হয়েছিল? (এরপরও) তারা মূর্তি ও শয়তানে বিশ্বাস রাখে এবং কাফেরদের ব্যাপারে বলে, ‘মুসলমান অপেক্ষা এরা (এ কাফেরগণ) অধিকতর সরল পথে রয়েছে’।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫২

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ لَعَنَہُمُ اللّٰہُ ؕ وَ مَنۡ یَّلۡعَنِ اللّٰہُ  فَلَنۡ تَجِدَ  لَہٗ  نَصِیۡرًا ﴿ؕ۵۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫২. এরা হচ্ছে ঐসব লোক, যাদের উপর আল্লাহ্‌ লা’নত করেছেন এবং যাকে আল্লাহ্‌ লা’নত করেন, তবে কখনো তার কোন সাহায্যকারী পাবে না।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫২. এরাই সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেছেন। বস্তুত যাকে আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেন তার জন্যে কখনো কোনো সাহায্যকারী পাবেন না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৩

اَمۡ لَہُمۡ نَصِیۡبٌ مِّنَ الۡمُلۡکِ فَاِذًا لَّا یُؤۡتُوۡنَ النَّاسَ نَقِیۡرًا ﴿ۙ۵۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৩. তাদের কি রাজ্যে কোন অংশ আছে? এমন হলে তারা মানুষকে এক কপর্দক (তিল) পরিমাণও দেবেনা।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৩. তাদের কি রাজত্বে কোনো অংশ রয়েছে? যদি এমন হয়, তবে এরা (নিজেদের কৃপণতার কারণে) মানুষকে তিল পরিমাণও (কিছু) প্রদান করবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৪

اَمۡ یَحۡسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضۡلِہٖ ۚ فَقَدۡ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ  اِبۡرٰہِیۡمَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ اٰتَیۡنٰہُمۡ مُّلۡکًا عَظِیۡمًا ﴿۵۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৪. অথবা মানুষের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে সেটারই উপর, যা আল্লাহ্‌ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে দিয়েছেন? সুতরাং আমি তো ইব্রাহীমের বংশধরগণকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে বিশাল রাজ্য দান করেছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৪. তবে কি এরা (এসব ইহুদীরা) মানুষের (প্রতি প্রদত্ত নিয়ামতের) প্রতি হিংসা করে যা আল্লাহ্ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ থেকে প্রদান করেছেন? সুতরাং আমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর বংশধরগণকে যথার্থই কিতাব ও প্রজ্ঞা প্রদান করেছিলাম এবং তাদেরকে দিয়েছিলাম বিশাল সাম্রাজ্য।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৫

فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ اٰمَنَ بِہٖ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ صَدَّ عَنۡہُ ؕ وَ کَفٰی  بِجَہَنَّمَ  سَعِیۡرًا ﴿۵۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৫. অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ এর উপর ঈমান এনেছে এবং কেউ কেউ তা থেকে মুখ ফিরিয়েছে আর দোযখ যথেষ্ট প্রজ্জ্বলিত আগুন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৫. অতঃপর তাদের কেউ কেউ এতে ঈমান আনয়ন করেছিল এবং কেউ কেউ তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল; আর (যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের জন্যে) জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৬

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا سَوۡفَ نُصۡلِیۡہِمۡ نَارًا ؕ کُلَّمَا نَضِجَتۡ جُلُوۡدُہُمۡ بَدَّلۡنٰہُمۡ جُلُوۡدًا غَیۡرَہَا لِیَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَزِیۡزًا حَکِیۡمًا ﴿۵۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৬. যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে অনতিবিলম্বে আমি তাদেরকে আগুনে প্রবেশ করাবো। যখন তাদের চামড়া দগ্ধ হয়ে যাবে তখন আমি তাদেরকে সেগুলোর স্থলে অন্য চামড়া বদলে দেবো, যাতে শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৬. নিশ্চয়ই যারা আমাদের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে অচিরেই আমরা তাদেরকে (জাহান্নামের) অগ্নিতে নিক্ষেপ করবো। যখনই তাদের চামড়াগুলো দগ্ধ হয়ে যাবে তখনই আমরা সেগুলো নতুন চামড়ায় রূপান্তর করে দেবো, যাতে তারা (বিরামহীন) শাস্তি আস্বাদন করতে পারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৫

فَمِنۡہُمۡ مَّنۡ اٰمَنَ بِہٖ وَ مِنۡہُمۡ مَّنۡ صَدَّ عَنۡہُ ؕ وَ کَفٰی  بِجَہَنَّمَ  سَعِیۡرًا ﴿۵۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৫. অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ এর উপর ঈমান এনেছে এবং কেউ কেউ তা থেকে মুখ ফিরিয়েছে আর দোযখ যথেষ্ট প্রজ্জ্বলিত আগুন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৫. অতঃপর তাদের কেউ কেউ এতে ঈমান আনয়ন করেছিল এবং কেউ কেউ তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল; আর (যারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাদের জন্যে) জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত অগ্নিই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৬

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِاٰیٰتِنَا سَوۡفَ نُصۡلِیۡہِمۡ نَارًا ؕ کُلَّمَا نَضِجَتۡ جُلُوۡدُہُمۡ بَدَّلۡنٰہُمۡ جُلُوۡدًا غَیۡرَہَا لِیَذُوۡقُوا الۡعَذَابَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَزِیۡزًا حَکِیۡمًا ﴿۵۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৬. যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে অনতিবিলম্বে আমি তাদেরকে আগুনে প্রবেশ করাবো। যখন তাদের চামড়া দগ্ধ হয়ে যাবে তখন আমি তাদেরকে সেগুলোর স্থলে অন্য চামড়া বদলে দেবো, যাতে শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৬. নিশ্চয়ই যারা আমাদের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে অচিরেই আমরা তাদেরকে (জাহান্নামের) অগ্নিতে নিক্ষেপ করবো। যখনই তাদের চামড়াগুলো দগ্ধ হয়ে যাবে তখনই আমরা সেগুলো নতুন চামড়ায় রূপান্তর করে দেবো, যাতে তারা (বিরামহীন) শাস্তি আস্বাদন করতে পারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৭

وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَنُدۡخِلُہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ  اَبَدًا ؕ لَہُمۡ  فِیۡہَاۤ اَزۡوَاجٌ مُّطَہَّرَۃٌ ۫ وَّ نُدۡخِلُہُمۡ ظِلًّا ظَلِیۡلًا ﴿۵۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৭. এবং যেসব লোক ঈমান এনেছে ও সৎ কাজ করেছে অনতিবিলম্বে আমি তাদেরকে বাগানসমূহে নিয়ে যাবো, যেগুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত; (তারা) সেগুলোতে স্থায়ীভাবে থাকবে। তাদের জন্য সেখানে পবিত্র স্ত্রীরা রয়েছে এবং আমি তাদেরকে সেখানেই প্রবেশ করাবো যেখানে শুধু ছায়া আর ছায়া হবে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৭. আর যারা ঈমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করতে থাকে তাদেরকে আমরা প্রবিষ্ট করাবো জান্নাতে, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত, তথায় তারা থাকবে চিরকাল। সেখানে তাদের জন্যে থাকবে পূতঃপবিত্র স্ত্রীগণ, আর আমরা তাদেরকে প্রবেশ করাবো স্নিগ্ধ ঘন ছায়ায়।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৮

اِنَّ اللّٰہَ یَاۡمُرُکُمۡ اَنۡ تُؤَدُّوا الۡاَمٰنٰتِ اِلٰۤی اَہۡلِہَا ۙ وَ اِذَا حَکَمۡتُمۡ بَیۡنَ النَّاسِ اَنۡ تَحۡکُمُوۡا بِالۡعَدۡلِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ نِعِمَّا یَعِظُکُمۡ بِہٖ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا ﴿۵۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৮. নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন- যেন আমানসমূহ যাদের, তাদেরকে অর্পণ করো এবং এরই যে, যখন তোমরা মানুষের মধ্যে ফয়সালা করো তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে ফয়সালা করো। নিশ্চয়ই, আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে কতোই উৎকৃষ্ট উপদেশ দেন! নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সব শুনেন, দেখেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৮. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা যথোপযুক্ত লোকদের নিকট আমানত প্রত্যর্পণ করো। আর যখন মানুষের মাঝে ফায়সালা করো তখন ন্যায়পরায়ণতার সাথে ফায়সালা করো। আল্লাহ্ তোমাদের কতোই না উত্তম উপদেশ দেন! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৫৯

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰہَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ وَ اُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡکُمۡ ۚ فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِیۡ شَیۡءٍ فَرُدُّوۡہُ اِلَی اللّٰہِ وَ الرَّسُوۡلِ  اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ ذٰلِکَ خَیۡرٌ  وَّ  اَحۡسَنُ  تَاۡوِیۡلًا ﴿۵۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৫৯. হে ঈমানদারগণ, নির্দেশ মান্য করো আল্লাহ্‌র এবং নির্দেশ মান্য করো রসূলের আর তাদেরই, যারা তোমাদের মধ্যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন বিষয়ে মতভেদ ঘটে, তবে সেটাকে আল্লাহ্‌ ও রসূলের সম্মুখে রুজু করো, যদি আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামতের উপর ঈমান রাখো। এটা উত্তম এবং এর পরিণাম সবচেয়ে উৎকৃষ্ট।


📗 ইরফানুল কুরআন


৫৯. হে ঈমানদারগণ! আনুগত্য করো আল্লাহ্‌র, আর আনুগত্য করো রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর এবং তোমাদের মধ্যে (সত্যানুসারী) নির্দেশের অধিকারীগণের। অতঃপর যদি তোমরা কোনো বিষয়ে পরস্পরে মতবিরোধ করো তবে (চুড়ান্ত ফায়সালার জন্যে) একে আল্লাহ্ ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর নিকট প্রত্যর্পণ করো, যদি তোমরা আল্লাহ্ এবং শেষদিনে বিশ্বাস রাখো; (তখন) এটাই (তোমাদের জন্যে) উত্তম এবং পরিণামের দিক থেকে উৎকৃষ্টতর।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬০

اَلَمۡ تَرَ  اِلَی الَّذِیۡنَ یَزۡعُمُوۡنَ اَنَّہُمۡ اٰمَنُوۡا بِمَاۤ  اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَ مَاۤ  اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّتَحَاکَمُوۡۤا اِلَی الطَّاغُوۡتِ وَ قَدۡ اُمِرُوۡۤا اَنۡ یَّکۡفُرُوۡا بِہٖ ؕ وَ یُرِیۡدُ الشَّیۡطٰنُ اَنۡ یُّضِلَّہُمۡ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا ﴿۶۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬০. আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি, যাদের দাবী হচ্ছে যে, তারা ঈমান এনেছে সেটারই উপর, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেটার উপর, যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে, অতঃপর শয়তানকে তাদের সালীস বানাতে চায় এবং তাদের প্রতি নির্দেশ তো এ ছিলো যেন তাকে মোটেই মান্য না করে। আর ইবলীস তাদেরকে দূরে পথভ্রষ্ট করতে চায়।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬০. আপনি কি তাদেরকে (সেসব মুনাফিককে) দেখেননি যারা (মুখে মুখে) দাবী করে যে, তারা এতে (এ কিতাবে অর্থাৎ কুরআনে) বিশ্বাস স্থাপন করেছে, যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং (সেসব ঐশী গ্রন্থে) যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিল? (কিন্তু) এরা নিজেদের বিরোধগুলো (মীমাংসার জন্যে) শয়তানের কাছে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌র বিধান লঙ্ঘনের উপর ভিত্তিশীল আইনের কাছে) অর্পণ করতে চায়, যদিও তাদেরকে (প্রকাশ্যভাবে) এসব প্রত্যাখ্যান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর শয়তান তো তাদেরকে গভীর থেকে গভীরতর গোমরাহীতেই বিভ্রান্ত করতে চায়।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬১

وَ  اِذَا قِیۡلَ لَہُمۡ تَعَالَوۡا اِلٰی مَاۤ  اَنۡزَلَ اللّٰہُ وَ اِلَی الرَّسُوۡلِ رَاَیۡتَ الۡمُنٰفِقِیۡنَ یَصُدُّوۡنَ عَنۡکَ  صُدُوۡدًا ﴿ۚ۶۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬১. এবং যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ কিতাব এবং রসূলের প্রতি এসো।’ তখন তোমরা দেখবে যে, মুনাফিক তোমাদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে ফিরে যাচ্ছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬১. আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন (অর্থাৎ কুরআন) এর দিকে এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর দিকে এসো, তখন আপনি মুনাফিকদেরকে দেখবেন যে, তারা আপনার (নিকট প্রত্যাবর্তন করা) থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬২

فَکَیۡفَ اِذَاۤ  اَصَابَتۡہُمۡ مُّصِیۡبَۃٌۢ بِمَا قَدَّمَتۡ اَیۡدِیۡہِمۡ ثُمَّ جَآءُوۡکَ یَحۡلِفُوۡنَ ٭ۖ بِاللّٰہِ  اِنۡ اَرَدۡنَاۤ اِلَّاۤ اِحۡسَانًا وَّ تَوۡفِیۡقًا ﴿۶۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬২. কেমন হবে যখন তাদের উপর কোন মুসীবত এসে পড়বে সেটারই পরিণাম স্বরুপ, যা তাদের হস্তসমূহ অগ্রে প্রেরণ করেছে? অতঃপর হে মাহবুব! আপনার নিকট হাযির হয়ে আল্লাহ্‌র শপথ করে (বলে), ‘আমাদের উদ্দেশ্যে তো ছিলো কল্যাণ এবং সম্প্রীতিই।’


📗 ইরফানুল কুরআন


৬২. অতঃপর (সে সময়) তাদের অবস্থা কেমন হবে যখন নিজেদের কৃতকর্মের কারণে তাদের উপর কোনো মুসিবত নেমে আসবে; অতঃপর তারা আপনার নিকট হাযির হয়ে আল্লাহ্‌র নামে শপথ করবে (এবং একথা বলবে), ‘আমরা তো কেবল কল্যাণ ও পারস্পরিক সম্প্রীতিরই ইচ্ছা করেছিলাম’?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৩

اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ یَعۡلَمُ اللّٰہُ مَا فِیۡ قُلُوۡبِہِمۡ ٭ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ عِظۡہُمۡ وَ قُلۡ لَّہُمۡ  فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِمۡ  قَوۡلًۢا  بَلِیۡغًا ﴿۶۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৩. তাদের অন্তরের কথা তো আল্লাহ্‌ জানেন। সুতরাং আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং তাদেরকে বুঝিয়ে দিন আর তাদের মামলায় তাদেরকে মর্মস্পশী কথা বলুন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৩. তারাই ওইসব (মুনাফিক ও বিপর্যয়সৃষ্টিকারী) লোক যাদের অন্তরের সবকিছু আল্লাহ্ খুব ভালোভাবে অবগত আছেন। সুতরাং আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন, তাদেরকে উপদেশ দিতে থাকুন এবং তাদেরকে তাদের ব্যাপারে এমন কথা বলুন যা প্রভাব বিস্তার করে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৪

وَ مَاۤ اَرۡسَلۡنَا مِنۡ رَّسُوۡلٍ اِلَّا لِیُطَاعَ بِاِذۡنِ اللّٰہِ ؕ وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ اِذۡ ظَّلَمُوۡۤا اَنۡفُسَہُمۡ جَآءُوۡکَ فَاسۡتَغۡفَرُوا اللّٰہَ وَ اسۡتَغۡفَرَ لَہُمُ الرَّسُوۡلُ لَوَجَدُوا اللّٰہَ تَوَّابًا  رَّحِیۡمًا ﴿۶۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৪. এবং কোন রসূল প্রেরণ করিনি কিন্তু এ জন্য যে, আল্লাহ্‌র নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হবে; আর যদি কখনো তারা নিজেদের আত্মার প্রতি যুলুম করে তখন, হে মাহবুব! (তারা) আপনার দরবারে হাযির হয়, অতঃপর আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, আর রসূল তাদের পক্ষে সুপারিশ করেন, তবে অবশ্যই আল্লাহ্‌কে অত্যন্ত তাওবা কবূলকারী, দয়ালু পাবে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৪.  আর আমরা এ জন্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি যে, আল্লাহ্‌র নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হবে। আর (হে হাবীব!) যখন তারা নিজেদের উপর যুলুম করে, অতঃপর আপনার নিকট আগমন করে এবং আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, আর রাসূলও (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তাদের জন্যে ক্ষমা চান, তবে তারা (এ ওয়াসিলা এবং শাফায়াতের ভিত্তিতে) অবশ্যই আল্লাহ্কে তওবা কবুলকারী ও অসীম দয়ালুরূপে পাবে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৫

فَلَا وَ رَبِّکَ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ حَتّٰی  یُحَکِّمُوۡکَ فِیۡمَا شَجَرَ  بَیۡنَہُمۡ ثُمَّ  لَا  یَجِدُوۡا فِیۡۤ  اَنۡفُسِہِمۡ حَرَجًا  مِّمَّا قَضَیۡتَ  وَ یُسَلِّمُوۡا  تَسۡلِیۡمًا ﴿۶۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৫. সুতরাং হে মাহবুব! আপনার রবের শপথ, তারা মুসলমান হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত পরষ্পরের ঝগড়ার ক্ষেত্রে আপনাকে বিচারক মানবে না অতঃপর যা কিছু আপনি নির্দেশ করবেন, তাদের অন্তরসমূহে সে সম্পর্কে কোন দ্বিধা পাবে না এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নেবে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৫. অতঃপর (হে হাবীব!) আপনার প্রতিপালকের শপথ, এসব লোকেরা মুসলমান হতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের মাঝে সংঘটিত মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে আপনাকে বিচারক নিরূপণ করে; অতঃপর আপনার পক্ষ থেকে প্রদত্ত ফায়সালায় নিজেদের মনে কোনো দ্বিধা অনুভব না করে এবং সন্তুষ্টচিত্তে সম্পূর্ণ আনুগত্যের সাথে (আপনার নির্দেশ) মেনে নেয়।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৬

وَ لَوۡ اَنَّا کَتَبۡنَا عَلَیۡہِمۡ اَنِ اقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ اَوِ اخۡرُجُوۡا مِنۡ دِیَارِکُمۡ مَّا فَعَلُوۡہُ  اِلَّا قَلِیۡلٌ مِّنۡہُمۡ ؕ وَ لَوۡ اَنَّہُمۡ فَعَلُوۡا مَا یُوۡعَظُوۡنَ بِہٖ لَکَانَ خَیۡرًا لَّہُمۡ  وَ اَشَدَّ  تَثۡبِیۡتًا ﴿ۙ۶۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৬. এবং যদি আমি তাদের উপর ফরয করতাম, ‘তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে হত্যা করে ফেলো কিংবা আপন ঘরবাড়ী ত্যাগ করে বের হয়ে যাও’ তবে তাদের মধ্যে কমসংখ্যক লোকই এমন করতো। এবং যে কথার তাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে যদি তারা তা পালন করতো, তবে তাতে তাদের মঙ্গল ছিলো আর ঈমানের উপর খুব প্রতিষ্ঠিত থাকা (এর পরিচায়ক ছিলো)। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৬. আর যদি আমরা তাদের প্রতি বিধান করে দিতাম, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো অথবা নিজেদের গৃহ ত্যাগ করো’, তখন তাদের অল্পসংখ্যকই তা করতো। আর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল যদি তারা তা পালন করতো তবে তা তাদের জন্যে উত্তম হতো এবং (তারা ঈমানে) আরো বেশী দৃঢ়তর হতো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৭

وَّ اِذًا لَّاٰتَیۡنٰہُمۡ مِّنۡ لَّدُنَّـاۤ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿ۙ۶۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৭. এবং এমন হলে নিশ্চয় আমি তাদেরকে আমার নিকট থেকে মহা পুরষ্কার দিতাম।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৭. আর তখন আমরাও তাদেরকে আমাদের পক্ষ থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করতাম;


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৮

وَّ لَہَدَیۡنٰہُمۡ صِرَاطًا مُّسۡتَقِیۡمًا ﴿۶۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৮. আর নিশ্চয় তাদেরকে সোজা পথে হিদায়ত করতাম।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৮. আর আমরা তাদেরকে নিশ্চিত সরল পথের দিকে পরিচালিত করতাম।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৬৯

وَ مَنۡ یُّطِعِ اللّٰہَ وَ الرَّسُوۡلَ فَاُولٰٓئِکَ مَعَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیۡہِمۡ مِّنَ النَّبِیّٖنَ وَ الصِّدِّیۡقِیۡنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ الصّٰلِحِیۡنَ ۚ وَ حَسُنَ اُولٰٓئِکَ رَفِیۡقًا ﴿ؕ۶۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৬৯. এবং যে আল্লাহ্‌ ও রসূলের হুকুম মান্য করে, তবে সে তাঁদের সঙ্গ লাভ করবে যাদের উপর আল্লাহ্‌ অনুগ্রহ করেছেন- অর্থাৎ নবীগণ, সিদ্দীক্বগ্ণ (সত্যনিষ্ঠগণ), শহীদ এবং সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তিগণ। এরা কতই উত্তম সঙ্গী।


📗 ইরফানুল কুরআন


৬৯. আর যে কেউ আল্লাহ্ ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর আনুগত্য করে, তারাই (কিয়ামতের দিনে) তাদের (অর্থাৎ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের) সাথী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ্ (বিশেষ) অনুগ্রহ করেছেন; তারা হলেন নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ ও সৎকর্মশীলগণ। তারা কতোই না উত্তম সঙ্গী!


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭০

ذٰلِکَ الۡفَضۡلُ مِنَ اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ عَلِیۡمًا ﴿۷۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭০. এটা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ এবং আল্লাহ্‌ যথেষ্ট জ্ঞানী। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৭০. এ অনুগ্রহ (বিশেষভাবে) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ্ই যথেষ্ট সর্বজ্ঞ রূপে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭১

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا خُذُوۡا حِذۡرَکُمۡ فَانۡفِرُوۡا ثُبَاتٍ اَوِ انۡفِرُوۡا جَمِیۡعًا ﴿۷۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭১. হে ঈমানদারগণ! সতর্কতা সহকারে কাজ করো অতঃপর শত্রুর দিকে অল্প অল্প হয়ে বের হও অথবা একত্রিত হয়ে অগ্রসর হও।


📗 ইরফানুল কুরআন


৭১. হে ঈমানদারগণ! নিজেদের নিরাপত্তার উপকরণ গ্রহণ করো; অতঃপর (জিহাদের জন্যে) ভিন্ন ভিন্ন দলে বের হও অথবা একসঙ্গে অগ্রসর হও।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭২

وَ اِنَّ مِنۡکُمۡ لَمَنۡ لَّیُبَطِّئَنَّ ۚ فَاِنۡ اَصَابَتۡکُمۡ مُّصِیۡبَۃٌ قَالَ قَدۡ اَنۡعَمَ اللّٰہُ عَلَیَّ اِذۡ لَمۡ اَکُنۡ مَّعَہُمۡ شَہِیۡدًا ﴿۷۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭২. এবং তোমাদের মধ্যে এমন কিছু লোক আছে, যারা অবশ্যই দেরী (গড়িমসি) করবে। অতঃপর যদি তোমাদের উপর কোন মুসীবত এসে পড়ে তবে বলে, ‘আমার উপর আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ছিলো যে, আমি তাদের সাথে উপস্থিত ছিলাম না।’


📗 ইরফানুল কুরআন


৭২. আর অবশ্য তোমাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক এমনও রয়েছে যারা (ইচ্ছাকৃতভাবে আলস্যে) গড়িমসি করে। অতঃপর (যুদ্ধে) তোমাদের উপর কোনো মুসিবত এলে (তাতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকাকে) সে বলে, ‘আল্লাহ্ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সাথে (যুদ্ধের ময়দানে) উপস্থিত ছিলাম না’।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৩

وَ لَئِنۡ اَصَابَکُمۡ فَضۡلٌ مِّنَ اللّٰہِ لَیَقُوۡلَنَّ کَاَنۡ لَّمۡ تَکُنۡۢ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَہٗ مَوَدَّۃٌ یّٰلَیۡتَنِیۡ کُنۡتُ مَعَہُمۡ فَاَفُوۡزَ فَوۡزًا عَظِیۡمًا ﴿۷۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৩. আর যদি তোমরা আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ লাভ করো তবে অবশ্যই (এমনভাবে) বলে যেন তোমাদের ও তাদের মধ্যে কোন বন্ধুত্বই ছিলো না, (এ কথা) ‘আহা ! যদি আমি তাদের সাথে থাকতাম তবে (আমিও) বিরাট সাফল্য লাভ করতাম।’


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৩. আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে কোনো অনুগ্রহ হলে, যেন তোমাদের এবং তাদের মাঝে কোনো সম্পর্কই ছিল না এরা (এসব মুনাফিকেরা এমনভাবে আফসোস করে) বলবে, ‘হায়! আমি যদি তাদের সাথে থাকতাম তবে আমিও বিরাট সাফল্য অর্জন করতাম!’


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৪

فَلۡیُقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ الَّذِیۡنَ یَشۡرُوۡنَ الۡحَیٰوۃَ الدُّنۡیَا بِالۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ مَنۡ یُّقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ فَیُقۡتَلۡ اَوۡ یَغۡلِبۡ فَسَوۡفَ نُؤۡتِیۡہِ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿۷۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৪. সুতরাং তাদের আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করা উচিৎ, যারা পার্থিব জীবন বিক্রয় করে আখিরাতকে গ্রহণ করে এবং যে আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করে অতঃপর নিহত হয় কিংবা বিজয়ী হয়, তবে অবিলম্বে আমি তাকে মহা পুরষ্কার দেবো।


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৪. অতঃপর (মুমিনদের মধ্যে) যারা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে দেয় তারা যেন আল্লাহ্‌র পথে (কল্যাণ ও মানবিক মর্যাদা উত্তরণের জন্যে) যুদ্ধ করে। আর যে আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করে, সে (নিজে) নিহত হোক অথবা বিজয়ী হোক (উভয় অবস্থায়) অচিরেই আমরা তাকে মহা পুরস্কার দান করবো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৫

وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ ہٰذِہِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَہۡلُہَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا ﴿ؕ۷۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৫. আর তোমাদের কী হলো যে, যুদ্ধ করছো না আল্লাহ্‌র পথে এবং দুর্বল নর-নারী ও শিশুদের জন্য? যারা এ প্রার্থনা করছে, ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে এ বস্তী থেকে বের করো, যার অধিবাসীরা অত্যাচারী এবং আমাদেরকে তোমার নিকট থেকে কোন ত্রাণকর্তা দাও এবং আমাদেরকে তোমার নিকট থেকে কোন সাহায্যকারী প্রদান করো।’


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৫. আর (হে মুসলমানগণ!) তোমাদের কী হলো যে, তোমরা আল্লাহ্‌র পথে (নির্যাতিতদের মুক্তির জন্যে) যুদ্ধ করো না; অথচ দুর্বল, নির্যাতিত ও পরাভুত পুরুষ, নারী এবং শিশু (নির্যাতন ও নিপীড়নে অসহায় হয়ে নিজেদের মুক্তির জন্যে) আহ্বান করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে উদ্ধার করো এ জনপদ থেকে, যেখানকার (শাসকশ্রেণীর) লোকেরা অত্যাচারী। আর তোমার পক্ষ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক নিযুক্ত করো এবং কাউকে তোমার পক্ষ থেকে আমাদের সাহায্যকারী করো।’


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৬

اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ الطَّاغُوۡتِ فَقَاتِلُوۡۤا اَوۡلِیَآءَ الشَّیۡطٰنِ ۚ اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا ﴿۷۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৬. ঈমানদারগণ আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করে এবং কাফিরগণ শয়তানের পথে যুদ্ধ করে। সুতরাং শয়তানের বন্ধুদের সাথে যুদ্ধ করো। নিশ্চয় শয়তানের কৌশল দুর্বল।


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৬. যারা বিশ্বাস স্থাপন করে তারা আল্লাহ্‌র পথে (নিপীড়িতদের শান্তি ও স্বাধীনতার জন্যে) যুদ্ধ করে। আর যারা কুফরী করে তারা শয়তানের পথে (অনিষ্টকর ও মন্দ উদ্দেশ্যে) যুদ্ধ করে। অতঃপর (হে ঈমানদারগণ!) তোমরা শয়তানের বন্ধুদের (অর্থাৎ শয়তানী মিশনের সাহায্যকারীদের) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৭

اَلَمۡ تَرَ اِلَی الَّذِیۡنَ قِیۡلَ لَہُمۡ کُفُّوۡۤا اَیۡدِیَکُمۡ وَ اَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ  وَ اٰتُوا الزَّکٰوۃَ ۚ فَلَمَّا کُتِبَ عَلَیۡہِمُ الۡقِتَالُ اِذَا فَرِیۡقٌ مِّنۡہُمۡ یَخۡشَوۡنَ النَّاسَ  کَخَشۡیَۃِ  اللّٰہِ اَوۡ اَشَدَّ خَشۡیَۃً ۚ وَ قَالُوۡا رَبَّنَا لِمَ کَتَبۡتَ عَلَیۡنَا الۡقِتَالَ ۚ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنَاۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ؕ قُلۡ مَتَاعُ الدُّنۡیَا قَلِیۡلٌ ۚ وَ الۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ  لِّمَنِ  اتَّقٰی ۟ وَ لَا تُظۡلَمُوۡنَ  فَتِیۡلًا ﴿۷۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৭. আপনি কি তাদেরকে দেখেন নি যাদেরকে বলা হয়েছে, ‘নিজেদের হস্ত সংবরণ করো, নাময কায়েম রাখো এবং যাকাত দাও।’ অতঃপর যখন তাদের উপর জিহাদ ফরয করা হলো তখন তাদের কেউ কেউ মানুষকে এমনভাবে ভয় করতে লাগলো যেমন আল্লাহ্‌কে ভয় করে অথবা তদপেক্ষাও বেশী। এবং বললো, ‘হে আমাদের রব! তুমি আমদের উপর জিহাদ কেন ফরয করে দিলে? আরো কিছুকাল যদি আমাদেরকে জীবিত থাকতে দেয়া হতো!’ (হে হাবীব) আপনি বলে দিন, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য এবং ভীতিসম্পন্নদের জন্য পরকাল উত্তম আর তোমাদের উপর সুতা পরিমাণ যুলুমও হবে না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৭. আপনি কি তাদের অবস্থা দেখেননি যাদেরকে (প্রথমদিকে কিছুদিনের জন্যে) বলা হয়েছিল, ‘(যুদ্ধ থেকে) তোমাদের হস্ত সংবরণ করো, নামায কায়েম করো এবং যাকাত দিতে থাকো?’ (তখন তারা এতে সন্তুষ্ট ছিল।) কিন্তু যখন তাদের জন্যে জিহাদ (অর্থাৎ কুফর ও নির্যাতনের বিরোধিতা করা) ফরয করে দেয়া হলো, তখন তাদের একদল (প্রতিপক্ষ) লোকদেরকে (এমনভাবে) ভয় করতে লাগলো যেভাবে আল্লাহ্কে ভয় করে অথবা এরচেয়েও বেশী; আর বলতে লাগলো, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের জন্যে (এতো শীঘ্র) কেন জিহাদ ফরয করে দিলে? তুমি কেন আমাদেরকে কিছু সময়ের অবকাশ দিলে না?’ (তাদেরকে) বলে দিন, ‘পার্থিব ভোগ তো সামান্য! আর যারা পরহেযগারিতা অবলম্বন করে তাদের জন্যে পরকালই উত্তম (নিয়ামত)। সেখানে তোমাদের অধিকার সামান্য পরিমাণও বিনষ্ট করা হবে না।’


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৮

اَیۡنَ مَا تَکُوۡنُوۡا یُدۡرِکۡکُّمُ الۡمَوۡتُ وَ لَوۡ کُنۡتُمۡ  فِیۡ  بُرُوۡجٍ مُّشَیَّدَۃٍ ؕ وَ  اِنۡ تُصِبۡہُمۡ حَسَنَۃٌ  یَّقُوۡلُوۡا ہٰذِہٖ مِنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ۚ وَ اِنۡ تُصِبۡہُمۡ سَیِّئَۃٌ یَّقُوۡلُوۡا ہٰذِہٖ مِنۡ عِنۡدِکَ ؕ قُلۡ کُلٌّ مِّنۡ عِنۡدِ اللّٰہِ ؕ فَمَالِ ہٰۤؤُلَآءِ الۡقَوۡمِ لَا یَکَادُوۡنَ یَفۡقَہُوۡنَ حَدِیۡثًا ﴿۷۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৮. তোমরা যেখানে থাকো না কেন মৃত্যু তোমাদেরকে পেয়ে বসবে যদিও সুদৃঢ় দুর্গ সমূহে অবস্থান করো এবং তাদের নিকট যদি কোন কল্যাণ পৌঁছে, তবে বলে, ‘এটা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে’ আর তাদের নিকট যদি কোন ক্ষতি পৌঁছে তবে বলে, ‘এটা হুযুরের দিক থেকে এসেছে।’ আপনি বলুন ! ‘সবকিছু আল্লাহ্‌র নিকট থেকেই’। কাজেই, ঐসব লোকের কী হলো? তারা কোন কথা বুঝছে বলে মনে হয় না।


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৮. (হে মৃত্যুর ভয়ে জিহাদ থেকে পলায়নকারী!) তোমরা যেখানেই থাকো (সেখানেই) মৃত্যু এসে তোমাদেরকে পাকড়াও করবে, (এমনকি) যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান করো। (আর তাদের মানসিকতা এমন যে) যখন তাদের কোনো কল্যাণ হয় তখন তারা বলে, ‘এটি (তো) আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (এতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের কোনো বরকত ও ভুমিকা নেই)’। আর যখন তাদের কাছে কোনো অকল্যাণ পৌঁছে, তখন তারা বলে, ‘(হে রাসূল!) এটি আপনার নিকট থেকে (অর্থাৎ আপনার কারণে)’। আপনি বলে দিন, ‘(প্রকৃতপক্ষে) সবকিছুই আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (হয়ে থাকে)’। অতঃপর এ সম্প্রদায়ের কী হলো যে, তারা কোনো বিষয় উপলদ্ধি করার ধারেকাছেও নেই?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৭৯

مَاۤ  اَصَابَکَ مِنۡ حَسَنَۃٍ  فَمِنَ اللّٰہِ ۫ وَ مَاۤ اَصَابَکَ مِنۡ سَیِّئَۃٍ  فَمِنۡ نَّفۡسِکَ ؕ وَ اَرۡسَلۡنٰکَ لِلنَّاسِ رَسُوۡلًا ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ شَہِیۡدًا ﴿۷۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৭৯. হে শ্রোতা! তোমার নিকট যা কল্যাণ পৌঁছে তা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে এবং যে অকল্যাণ পৌঁছে তা তোমার নিজের তরফ থেকেই। এবং হে মাহবুব! আমি আপনাকে সমস্ত মানুষের জন্য রসূলরুপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহ্‌ যথেষ্ট সাক্ষীরুপে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৭৯. (হে মানুষ! নিজেকে এভাবে প্রশিক্ষিত করো যে,) যখন তোমার নিকট কোনো কল্যাণ পৌঁছে তখন (বুঝে নাও যে,) তা আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (একে নিজের উত্তম প্রচেষ্টার দিকে সম্পৃক্ত করো না); আর যখন তোমাদের নিকট কোনো অকল্যাণ পৌঁছে তখন (বুঝে নাও যে,) তা তোমাদের নিজের পক্ষ থেকে (অর্থাৎ একে স্বীয় সত্তার অকল্যাণের দিকে সম্পৃক্ত করো)। আর (হে প্রিয়তম!) আমরা আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি, এবং (আপনার রিসালাতের জন্যে) আল্লাহ্ই সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮০

مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰہَ ۚ وَ مَنۡ تَوَلّٰی  فَمَاۤ  اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡہِمۡ حَفِیۡظًا  ﴿ؕ۸۰﴾


📕 কানযুল ঈমান


৮০. যে ব্যক্তি রসূলের নির্দেশ মান্য করেছে, নিঃসন্দেহে সে আল্লাহ্‌র নির্দেশ মান্য করেছে এবং যে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তবে আমি আপনাকে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য প্রেরণ করিনি।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮০. যে রাসূলে আকরাম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর হুকুম মান্য করলো সে তো আল্লাহ্‌রই হুকুম মান্য করলো, কিন্তু যে মুখ ফিরিয়ে নিলো তবে আমি আপনাকে তাদের রক্ষণাবেক্ষণকারীরূপে প্রেরণ করিনি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮১

وَ یَقُوۡلُوۡنَ طَاعَۃٌ ۫ فَاِذَا بَرَزُوۡا مِنۡ عِنۡدِکَ بَیَّتَ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ غَیۡرَ الَّذِیۡ تَقُوۡلُ ؕ وَ اللّٰہُ یَکۡتُبُ مَا یُبَیِّتُوۡنَ ۚ فَاَعۡرِضۡ عَنۡہُمۡ وَ تَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ  وَکِیۡلًا ﴿۸۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮১. এবং বলে, ‘আমরা নির্দেশ মান্য করেছি।’ অতঃপর যখন আপনার নিকট থেকে বের হয়ে যায় তখন তাদের মধ্যে একদল যা বলে দিয়েছিলো রাতে তার বিপরীত পরিকল্পনা করে এবং আল্লাহ্‌ লিখে রাখেন তাদের রাতের পরিকল্পনাসমূহ। সুতরাং হে মাহবুব! আপনি তাদেরকে উপেক্ষা করুন এবং আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখুন। আর আল্লাহ্‌ যথেষ্ট কার্য সমাধানের জন্য।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮১. আর (সেসব মুনাফিকদের অবস্থা এমন যে, আপনার সম্মুখে) তারা বলে, ‘(আমরা আপনার নির্দেশ) মেনে নিলাম’; অতঃপর যখন তারা আপনার নিকট থেকে (উঠে) বের হয়ে যায় তখন রাতে তাদের একদল আপনার কথার বিপরীত মত প্রকাশ করে (এবং ষড়যন্ত্রমূলক আলোচনায় লিপ্ত হয়)। আর আল্লাহ্ লিখে রাখেন রাতের বেলা তারা যে (সব) চক্রান্ত করে। সুতরাং (হে মহবুব!) তাদের থেকে আপনার সমুজ্জ্বল চেহারা ফিরিয়ে নিন এবং আল্লাহ্‌র উপর ভরসা রাখুন। আর কার্য সম্পাদনকারী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮২

اَفَلَا یَتَدَبَّرُوۡنَ الۡقُرۡاٰنَ ؕ وَ لَوۡ  کَانَ مِنۡ عِنۡدِ غَیۡرِ اللّٰہِ لَوَجَدُوۡا فِیۡہِ اخۡتِلَافًا کَثِیۡرًا ﴿۸۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮২. তবে কি তারা গভীর চিন্তা করে না ক্বোরআনের মধ্যে? এবং যদি তা খোদা ব্যতীত অন্য কারো নিকট থেকে হতো তবে তাতে বহু বিরোধ পেতো।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮২. তবে কি তারা কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে না? আর যদি এ (কুরআন) আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো পক্ষ থেকে (অবতীর্ণ) হতো, তবে তারা এতে অনেক অসঙ্গতি পেতো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৩

وَ  اِذَا جَآءَہُمۡ  اَمۡرٌ مِّنَ الۡاَمۡنِ اَوِ  الۡخَوۡفِ اَذَاعُوۡا بِہٖ ؕ وَ لَوۡ رَدُّوۡہُ  اِلَی الرَّسُوۡلِ وَ اِلٰۤی اُولِی الۡاَمۡرِ مِنۡہُمۡ لَعَلِمَہُ الَّذِیۡنَ یَسۡتَنۡۢبِطُوۡنَہٗ مِنۡہُمۡ ؕ وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ وَ رَحۡمَتُہٗ لَاتَّبَعۡتُمُ الشَّیۡطٰنَ  اِلَّا  قَلِیۡلًا ﴿۸۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৩. এবং যখন তাদের (অবুঝ ও দূর্বল মুসলমানদের) নিকট প্রশান্তি অথবা শংকার কোন বার্তা আসতো তখন (তারা) সেটা প্রচার করে বেড়াতো আর যদি সেক্ষেত্রে (তারা) সেটা (প্রচার না করে) রসূল এবং নিজেদের ক্ষমতাসম্পন্ন লোকদের গোচরে আনতো তবে নিশ্চয় তাঁদের নিকট থেকে সেটার বাস্তবতা জানতে পারতো, যারা পরবর্তী (তথ্যানুসন্ধানের জন্য) প্রচেষ্টা চালায়; এবং যদি তোমাদের উপর আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ এবং তাঁর দয়া না হতো, তবে অবশ্যই তোমরা শয়তানের অনুসরণ আরম্ভ করতে, অল্প সংখ্যক লোক ব্যতীত।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৩. আর যখন তাদের নিকট শান্তি অথবা শংকার কোনো সংবাদ আসে তখন তারা তা প্রচার করে বেড়ায়; আর যদি তারা (তা না করে) রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) অথবা তাদের মধ্যে দায়িত্বশীলদের গোচরে আনতো তবে অবশ্যই তাদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শীরা এর (এ সংবাদের) যথার্থতা জানতে পারতো। যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ এবং তাঁর রহমত না হতো তবে অবশ্যই অল্পসংখ্যক ব্যতীত তোমরা (সকলে) শয়তানের অনুসরণ শুরু করতে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৪

فَقَاتِلۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ لَا تُکَلَّفُ اِلَّا نَفۡسَکَ وَ حَرِّضِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّکُفَّ بَاۡسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ وَ اللّٰہُ اَشَدُّ  بَاۡسًا وَّ اَشَدُّ تَنۡکِیۡلًا ﴿۸۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৪. সুতরাং হে মাহবুব! আল্লাহ্‌র পথে যুদ্ধ করুন। আপনাকে কষ্ট দেয়া হবে না, কিন্তু নিজেরই কাজের জন্য এবং মুসলমানদেরকে উদ্বুদ্ধ করুন! এটা দূরে নয় যে, আল্লাহ্‌ কাফিরদের প্রচন্ডতা প্রতিহত করবেন আর আল্লাহ্‌র শক্তি সর্বাধিক প্রবল এবং তাঁর শাস্তি সর্বাধিক কঠোর।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৪. অতঃপর (হে প্রিয়তম!) আপনি আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করুন; আপনাকে আপনার নিজকে ব্যতীত (অন্য কারো ব্যাপারে) দায়ী করা হবে না এবং আপনি মুসলমানদেরকে (জিহাদের জন্যে) উদ্বুদ্ধ করুন। হয়তো আল্লাহ্ কাফেরদের সামরিক শক্তি বিনষ্ট করে দেবেন। আর আল্লাহ্ পাকড়াও করার ক্ষেত্রে(ও) অত্যন্ত শক্তিশালী এবং শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে(ও) খুবই কঠোর।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৫

مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً حَسَنَۃً یَّکُنۡ لَّہٗ نَصِیۡبٌ مِّنۡہَا ۚ وَ مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً سَیِّئَۃً یَّکُنۡ لَّہٗ کِفۡلٌ مِّنۡہَا ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  عَلٰی کُلِّ  شَیۡءٍ  مُّقِیۡتًا ﴿۸۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৫. যে ব্যক্তি ভাল সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্যে অংশ রয়েছে এবং যে মন্দ সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্য থেকে অংশ রয়েছে আর আল্লাহ্‌ প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৫. যে ব্যক্তি ন্যায়নিষ্ঠ সুপারিশ করে, তার জন্যে এর (পূণ্যের) অংশ (নির্ধারিত) রয়েছে। আর যে ব্যক্তি অন্যায় সুপারিশ করে, তার জন্যেও এর (গোনাহের) অংশ রয়েছে। আর আল্লাহ্ সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৬

وَ اِذَا حُیِّیۡتُمۡ بِتَحِیَّۃٍ فَحَیُّوۡا بِاَحۡسَنَ مِنۡہَاۤ  اَوۡ رُدُّوۡہَا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلٰی کُلِّ  شَیۡءٍ  حَسِیۡبًا ﴿۸۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৬. এবং যখন তোমাদেরকে কেউ কোন বচন দ্বারা সালাম করে, তবে তোমরা তা অপেক্ষা উত্তম বচন তার জবাবে বলো, কিংবা অনুরুপই বলে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ প্রত্যেক কিছুর হিসাব গ্রহণকারী।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৬. আর যখন তোমাদেরকে (কোনো শব্দে) অভিবাদনের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়, তখন তোমরা (প্রতিউত্তরে) এর চেয়েও উত্তম (শব্দে) জবাব দাও অথবা (কমপক্ষে) অনুরূপ (শব্দাবলীতে প্রতিউত্তর) বিনিময় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সকল কিছুর হিসাব গ্রহণকারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৭

اَللّٰہُ لَاۤ اِلٰہَ  اِلَّا ہُوَ ؕ لَیَجۡمَعَنَّکُمۡ اِلٰی یَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ لَا رَیۡبَ فِیۡہِ ؕ وَ مَنۡ اَصۡدَقُ مِنَ  اللّٰہِ  حَدِیۡثًا ﴿۸۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৭. আল্লাহ্‌, তিনি ব্যতীত কারো ইবাদত নেই এবং তিনি নিশ্চয় তোমাদেরকে একত্র করবেন ক্বিয়ামতের দিন, যার মধ্যে কোন সন্দেহ নেই, আর আল্লাহ্‌ অপেক্ষা কার কথা অধিক সত্য?


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৭. আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কেউ নেই। তিনি তোমাদেরকে অবশ্যই কিয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যাতে কোনো সন্দেহ নেই। আর কথায় আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিক সত্যবাদী কে?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৮

فَمَا  لَکُمۡ فِی الۡمُنٰفِقِیۡنَ فِئَتَیۡنِ وَ اللّٰہُ اَرۡکَسَہُمۡ بِمَا کَسَبُوۡا ؕ اَتُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ تَہۡدُوۡا مَنۡ اَضَلَّ اللّٰہُ ؕ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَلَنۡ تَجِدَ لَہٗ سَبِیۡلًا ﴿۸۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৮. সুতরাং তোমাদের কী হলো যে, মুনাফিকদের সম্বন্ধে দু’দল হয়ে গেছো? এবং আল্লাহ্‌ তাদেরকে কুঁজো করে দিয়েছেন তাদের কৃতকর্মের কারণে। তোমরা কি এটা চাও যে, তাকেই সৎপথ প্রদর্শন করবে যাকে আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেছেন? এবং যাকে আল্লাহ্‌ পখভ্রষ্ট করেন, তবে তুমি কখনো তার জন্য পথ পাবে না।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৮. অতঃপর তোমাদের কী হলো যে, মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমরা দু’দলে বিভক্ত হয়ে পড়লে, অথচ আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের স্বীয় অপকর্মের কারণে কুফরের দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন? তোমরা কি তাকে সঠিক পথে আনয়ন করতে চাও যাকে আল্লাহ্ গোমরাহ্ করেছেন? আর (হে শ্রোতা!) যাকে আল্লাহ্ গোমরাহ্ করেন, তুমি তার জন্যে কখনো (হেদায়াতের) কোনো পথ পাবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৮৯

وَدُّوۡا لَوۡ تَکۡفُرُوۡنَ کَمَا کَفَرُوۡا فَتَکُوۡنُوۡنَ سَوَآءً  فَلَا تَتَّخِذُوۡا مِنۡہُمۡ اَوۡلِیَآءَ حَتّٰی یُہَاجِرُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ فَاِنۡ تَوَلَّوۡا فَخُذُوۡہُمۡ وَ اقۡتُلُوۡہُمۡ حَیۡثُ وَجَدۡتُّمُوۡہُمۡ ۪ وَ لَا تَتَّخِذُوۡا مِنۡہُمۡ  وَلِیًّا وَّ لَا  نَصِیۡرًا ﴿ۙ۸۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৮৯. তারা তো এটা কামনা করে যে, কোনমতে তোমরাও কাফির হয়ে যাও, যেমন তারা কাফির হয়েছে যাতে তোমরা সবাই এক সমান হয়ে যাও। সুতারাং তাদের মধ্যে থেকে কাউকে স্বীয় বন্ধুরুপে গ্রহণ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ্‌র পথে ঘর বাড়ি পরিত্যাগ করবে না। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তাদেরকে গ্রেফতার করো এবং যেখানে পাও হত্যা করো, আর তাদের মধ্যে থেকে কাউকেও না বন্ধুরুপে গ্রহণ করো, না সাহায্যকারীরূপে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৮৯. এসব (মুনাফিক তো) কামনা করে যে, তোমরাও সেরূপ কুফরী করো যেরূপ কুফরী তারা করেছে, যাতে তোমরা সবাই সমান হও। কাজেই তোমরা তাদের কাউকে মিত্ররূপে গ্রহণ করো না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা আল্লাহ্‌র পথে (মদীনার দিকে) হিজরত (করে নিজেদের ঈমান ও একনিষ্ঠতা সুদৃঢ়) করে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তাদেরকে গ্রেফতার করো এবং যেখানেই পাও হত্যা করো। আর তাদের (কাউকে) না মিত্ররূপে গ্রহণ করো আর না সাহায্যকারীরূপে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯০

اِلَّا الَّذِیۡنَ یَصِلُوۡنَ اِلٰی قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَہُمۡ مِّیۡثَاقٌ اَوۡ جَآءُوۡکُمۡ حَصِرَتۡ صُدُوۡرُہُمۡ اَنۡ یُّقَاتِلُوۡکُمۡ اَوۡ یُقَاتِلُوۡا قَوۡمَہُمۡ ؕ وَ لَوۡ شَآءَ اللّٰہُ لَسَلَّطَہُمۡ عَلَیۡکُمۡ فَلَقٰتَلُوۡکُمۡ ۚ فَاِنِ اعۡتَزَلُوۡکُمۡ فَلَمۡ یُقَاتِلُوۡکُمۡ  وَ اَلۡقَوۡا اِلَیۡکُمُ السَّلَمَ ۙ فَمَا جَعَلَ اللّٰہُ لَکُمۡ عَلَیۡہِمۡ  سَبِیۡلًا ﴿۹۰﴾


📕 কানযুল ঈমান


৯০. কিন্তু ওই সব (লোককে হত্যা করো না) যারা এমন সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্ক রাখে, যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারবদ্ধ অথবা তোমাদের নিকট এমনভাবে আসলো যে, তাদের অন্তরসমূহে সাহস ছিলো না- তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার অথবা আপন সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধ করার। আর আল্লাহ্‌ ইচ্ছা করলে অবশ্যই তাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দিতেন। তখন তারা নিশ্চয় তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। অতঃপর যদি তারা তোমাদের নিকট থেকে চলে যায় এবং যুদ্ধ না করে ও শান্তি প্রস্তাব করে, তবে আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ রাখেন নি।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯০. কিন্তু ওইসব লোককে (হত্যা করো না) যাদের সাথে সেসব সম্প্রদায়ের সম্পর্ক রয়েছে যাদের সাথে তোমাদের (নিরাপত্তা) চুক্তি (সম্পাদিত) হয়েছে; অথবা যারা (সাহস হারিয়ে) তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আগমন করে যে, তাদের মন (এ বিষয়ে) দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে যে, তারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে নাকি নিজের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আর যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে (তাদের অন্তরে সাহস প্রদান করে) অবশ্যই তাদেরকে তোমাদের উপর কর্তৃত্বপরায়ণ করে দিতেন; তখন তারা অবশ্যই তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতো। সুতরাং যদি তারা তোমাদের থেকে সরে দাঁড়ায় অতঃপর তোমাদের সাথে যুদ্ধ না করে এবং শান্তি (বার্তা) প্রস্তাব করে, তবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে (সন্ধি স্থাপনের অযুহাতে) তাদের বিরুদ্ধে (আক্রমণের) কোনো পথ রাখেননি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯১

سَتَجِدُوۡنَ اٰخَرِیۡنَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّاۡمَنُوۡکُمۡ وَ یَاۡمَنُوۡا قَوۡمَہُمۡ ؕ کُلَّمَا رُدُّوۡۤا  اِلَی الۡفِتۡنَۃِ  اُرۡکِسُوۡا فِیۡہَا ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَعۡتَزِلُوۡکُمۡ وَ یُلۡقُوۡۤا اِلَیۡکُمُ السَّلَمَ وَ یَکُفُّوۡۤا اَیۡدِیَہُمۡ فَخُذُوۡہُمۡ وَ اقۡتُلُوۡہُمۡ حَیۡثُ ثَقِفۡتُمُوۡہُمۡ ؕ وَ اُولٰٓئِکُمۡ جَعَلۡنَا لَکُمۡ عَلَیۡہِمۡ سُلۡطٰنًا مُّبِیۡنًا ﴿۹۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯১. এখন তোমরা আরো এমন কিছু লোক পাবে, যারা এটা চায় যে, তোমাদের নিকট থেকেও নিরাপদে থাকবে এবং নিজেদের সম্প্রদায়ের নিকট থেকেও নিরাপদে থাকবে। যখনই তাদের সম্প্রদায় তাদেরকে ফ্যাসাদ এর দিকে ফেরায় তখন তারা সেটার উপর কুঁজো হয়ে পতিত হয়; অতঃপর যদি তারা তোমাদের নিকট থেকে চলে না যায় এবং সন্ধির গর্দান অবনত না করে ও আপন হাত সংবরণ না করে, তবে তাদেরকে গ্রেফতার করো এবং যেখানে পাও হত্যা করো। আর এরাই হচ্ছে তারা, যাদের বিরুদ্ধে আমি তোমাদেরকে সুস্পষ্ট ইখ্‌তিয়ার দিয়েছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯১. এখন তোমরা আরো কিছু লোক পাবে যারা (মুনাফিকদের মতো ঈমান আনার ভান করে) তোমাদের থেকে(ও) নিরাপদ থাকতে চায় এবং (গোপনে কাফেরদের সাথে মিলিত হয়ে) নিজ সম্প্রদায় থেকে(ও) নিরাপদ থাকতে চায়। (কিন্তু তাদের অবস্থা এরকম যে,) যখনই তাদেরকে (মুসলমানদের বিরুদ্ধে) ফ্যাসাদের দিকে ফেরানো হয় তখনই তারা (হঠকারিতায়) এতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সুতরাং যদি এরা তোমাদের বিরুদ্ধে (যুদ্ধ করা থেকে) বিরত না হয়, তোমাদের নিকট সন্ধি (প্রস্তাবও) প্রেরণ (না) করে এবং (নাশকতামূলক কর্মকান্ড থেকে) নিজেদের হস্তও সংবরণ (না) রাখে, তবে তোমরা তাদেরকে পাকড়াও করো এবং তাদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা করো। আর তাদের বিরুদ্ধেই আমরা তোমাদেরকে সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব প্রদান করেছি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯২

وَ مَا کَانَ لِمُؤۡمِنٍ اَنۡ یَّقۡتُلَ مُؤۡمِنًا اِلَّا خَطَـًٔا ۚ وَ مَنۡ قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَـًٔا فَتَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ مُّؤۡمِنَۃٍ وَّ دِیَۃٌ مُّسَلَّمَۃٌ اِلٰۤی اَہۡلِہٖۤ  اِلَّاۤ اَنۡ یَّصَّدَّقُوۡا ؕ فَاِنۡ کَانَ مِنۡ قَوۡمٍ عَدُوٍّ لَّکُمۡ وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَتَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ مُّؤۡمِنَۃٍ ؕ وَ اِنۡ کَانَ مِنۡ قَوۡمٍۭ بَیۡنَکُمۡ وَ بَیۡنَہُمۡ مِّیۡثَاقٌ فَدِیَۃٌ مُّسَلَّمَۃٌ اِلٰۤی اَہۡلِہٖ وَ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ مُّؤۡمِنَۃٍ ۚ فَمَنۡ لَّمۡ  یَجِدۡ فَصِیَامُ شَہۡرَیۡنِ مُتَتَابِعَیۡنِ ۫ تَوۡبَۃً مِّنَ  اللّٰہِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۹۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯২. এবং মুসলমানের জন্য এটা শোভা পায় না যে, মুসলমানদেরকে হত্যা করবে; কিন্তু হাত লক্ষ্যচ্যুত হলে (তা’স্বতন্ত্র); এবং যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে না জেনে হত্যা করে, তবে তার উপর একটা মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য) এবং রক্তপণ, যা নিহতের লোকজনকে অর্পণ করা হবে, যদি না তারা ক্ষমা করে দেয়; অতঃপর যদি সে ঐ সম্প্রদায় থেকে হয়, যারা তোমাদের শত্রু এবং নিজে হয় মুসলমান, তবে একজন মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য) এবং যদি সে এমন সম্প্রদায়ভূক্ত হয় যে, তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে তবে, তার লোকজনকে রক্তপণ অর্পন করা হবে এবং একজন মুসলিম ক্রীতদাস আযাদ করা (অপরিহার্য), সুতরাং যার সামর্থ্য নেই সে লাগাতার দু’মাস রোযা রাখবে। এটা হচ্ছে আল্লাহ্‌র নিকট তার তাওবা, এবং আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯২. আর কোনো মুসলমানের জন্যে (সংগত) নয় যে, সে কোনো মুসলমানকে হত্যা করে, (অনিচ্ছাকৃত) ভুলবশতঃ ব্যতীত। আর কেউ ভুলবশতঃ কোনো মুসলমানকে হত্যা করলে (তার জন্যে) একজন মুসলমান কৃতদাস/দাসী মুক্ত করা এবং নিহতের উত্তরাধিকারীগণের নিকট রক্তমূল্য অর্পণ করা (আবশ্যক), যদি না তারা ক্ষমা করে। অতঃপর যদি সে (নিহত ব্যক্তি) তোমাদের শত্রু পক্ষের হয় এবং মুমিনও হয়, তবে (শুধুমাত্র) একজন কৃতদাস/দাসী মুক্ত করা (আবশ্যক)। আর যদি সে (নিহত ব্যক্তি) এমন সম্প্রদায়ভুক্ত হয় তোমাদের এবং যাদের মাঝে (সন্ধি) চুক্তি রয়েছে, তবে তার উত্তরাধিকারীদেরকে রক্তমূল্য অর্পণ করা এবং একজন মুসলমান কৃতদাস/দাসী মুক্ত করা (আবশ্যক)। অতঃপর যে ব্যক্তি (কৃতদাস/দাসী মুক্তিতে) সক্ষম নয়, সে ধারাবাহিকভাবে দু’মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে (এটি তার) তওবা। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৩

وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا وَ غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ وَ لَعَنَہٗ وَ اَعَدَّ  لَہٗ عَذَابًا عَظِیۡمًا ﴿۹۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৩. আর যে ব্যক্তি কোন মুসলমানকে জেনে বুঝে হত্যা করে, তবে তার বদলা জাহান্নাম, দীর্ঘদিন তাতে থাকবে এবং আল্লাহ্‌ তার উপর রুষ্ট হয়েছেন আর তাকে অভিশম্পাত করেছেন। আর তার জন্য তৈরী রেখেছেন মহা শাস্তি। 


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৩. আর যে কেউ কোনো মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে তবে তার শাস্তি জাহান্নাম, তথায় সে থাকবে চিরকাল এবং তার উপর আল্লাহ্ ক্রোধান্বিত হবেন, তার প্রতি অভিসম্পাত করবেন এবং তিনি তার জন্যে প্রস্তুত রাখবেন মহাশাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৪

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ فَتَبَیَّنُوۡا وَ لَا تَقُوۡلُوۡا لِمَنۡ اَلۡقٰۤی اِلَیۡکُمُ السَّلٰمَ لَسۡتَ مُؤۡمِنًا ۚ تَبۡتَغُوۡنَ عَرَضَ الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۫ فَعِنۡدَ اللّٰہِ مَغَانِمُ کَثِیۡرَۃٌ ؕ کَذٰلِکَ کُنۡتُمۡ مِّنۡ قَبۡلُ فَمَنَّ اللّٰہُ عَلَیۡکُمۡ فَتَبَیَّنُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرًا ﴿۹۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৪. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা জিহাদে যাত্রা করো তখন বাচাই করে নাও এবং যে তোমাদেরকে সালাম করে তাকে এটা বলো না, ‘তুমি মুসলমান নও।’ তোমরা ইহ-জীবনের সামগ্রী কামনা করছো। সুতরাং আল্লাহ্‌র নিকট প্রচুর অনায়াসলভ্য সম্পদ (গনীমত) রয়েছে। পূর্বে তোমরাও এরুপ ছিলো। অতঃপর আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর অনুগ্রহ করেছেন। সুতরাং তোমাদের উপর যাচাই করা অপরিহার্য। নিশ্চয় আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের কার্যাদির খবর রয়েছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৪. হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা আল্লাহ্‌র পথে (জিহাদে) যাত্রা করো তখন যাচাই করে নিও এবং কেউ তোমাদেরকে সালাম প্রদান করলে তাকে বলো না যে, তুমি মুসলমান নও। তোমরা (এক মুসলমানকে কাফের সাব্যস্ত করে হত্যার পর গণীমতের সম্পদের আকারে) পার্থিব জীবনের উপকরণ অন্বেষণ করছো। কাজেই (বিশ্বাস রাখো) আল্লাহ্‌র নিকট প্রচুর গনীমতের সম্পদ রয়েছে। পূর্বে তোমরা তো এরূপই ছিলে; অতঃপর আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন (এবং তোমরা মুসলমান হলে)। সুতরাং (অন্যান্যদের ব্যাপারেও) যাচাই করে নিও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে সবিশেষ অবগত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৫

لَا یَسۡتَوِی الۡقٰعِدُوۡنَ مِنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ غَیۡرُ اُولِی الضَّرَرِ وَ الۡمُجٰہِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ ؕ فَضَّلَ اللّٰہُ الۡمُجٰہِدِیۡنَ بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ عَلَی الۡقٰعِدِیۡنَ دَرَجَۃً ؕ وَ کُلًّا وَّعَدَ اللّٰہُ الۡحُسۡنٰی ؕ وَ فَضَّلَ اللّٰہُ الۡمُجٰہِدِیۡنَ عَلَی الۡقٰعِدِیۡنَ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿ۙ۹۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৫. মুসলমানদের মধ্যে, যারা বিনা ওযরে জিহাদ থেকে বিরত থাকে এবং যারা আল্লাহ্‌র পথে স্বীয় প্রাণ ও ধন-সম্পদ দ্বারা জিহাদ করে তারা সমান নয়। আল্লাহ্‌ স্বীয় ধন সম্পদ এবং প্রাণ দ্বারা জিহাদকারীদের মর্যাদাকে যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে তাদের চেয়ে বড় করেছেন, এবং আল্লাহ্‌ সকলের সাথে কল্যাণের ওয়াদা করেছেন; আর আল্লাহ্‌ জিহাদকারীদেরকে, যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে তাদের উপর মহা পুরষ্কার দ্বারা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৫. মুসলমানদের মধ্যে যারা কোনো অক্ষমতা (ও ওযর) ব্যতীত (জিহাদে অংশ না নিয়ে ঘরে) বসে থাকে এবং যারা আল্লাহ্‌র পথে স্বীয় সম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদ করে (এ উভয় দল সাওয়াব লাভের ক্ষেত্রে) সমান হতে পারে না। যারা স্বীয় সম্পদ ও জীবন দিয়ে জিহাদ করে আল্লাহ্ তাদেরকে, যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে তাদের উপরে মর্যাদা দান করেছেন। আর আল্লাহ্ সকলকেই (সকল ঈমানদারকে) কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আল্লাহ্ মুজাহিদদেরকে (সকল ক্ষেত্রে) যুদ্ধ থেকে বিরত থাকা লোকদের উপর মহাপুরস্কারে (ও সাওয়াবে) শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৬

دَرَجٰتٍ مِّنۡہُ وَ مَغۡفِرَۃً وَّ رَحۡمَۃً ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  غَفُوۡرًا  رَّحِیۡمًا ﴿۹۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৬. তার নিকট থেকে অনেক মর্যাদা, ক্ষমা এবং দয়া; আর আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৬. তাঁর নিকট থেকে (তাদের জন্যে রয়েছে অনেক) পদমর্যাদা, ক্ষমা এবং অনুগ্রহ। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৭

اِنَّ الَّذِیۡنَ تَوَفّٰہُمُ الۡمَلٰٓئِکَۃُ ظَالِمِیۡۤ اَنۡفُسِہِمۡ قَالُوۡا فِیۡمَ کُنۡتُمۡ ؕ قَالُوۡا کُنَّا مُسۡتَضۡعَفِیۡنَ فِی الۡاَرۡضِ ؕ قَالُوۡۤا اَلَمۡ تَکُنۡ اَرۡضُ اللّٰہِ وَاسِعَۃً فَتُہَاجِرُوۡا فِیۡہَا ؕ فَاُولٰٓئِکَ مَاۡوٰىہُمۡ جَہَنَّمُ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا ﴿ۙ۹۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৭. ঐসব লোক, যাদের প্রাণ ফিরিশ্‌তারা বের করেন, এমতাবস্থায় যে, তারা নিজেদের উপর অত্যাচার করতো, তাদেরকে ফিরিশ্‌তারা বলে, ‘তোমরা কী অবস্থায় ছিলে?’ তারা বলে, ‘আমরা পৃথিবীতে দুর্বল ছিলাম।’ তারা বলে, ‘আল্লাহ্‌র যমীন কি প্রশস্ত ছিলো না যে, তোমরা তাতে হিজরত করতে?’ সুতরাং এমন লোকদের ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম এবং অতীব মন্দ জায়গা ফিরে যাবার;


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৭. নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ যাদের প্রাণ এ অবস্থায় হরণ করে যে, তারা (কুফরী ও পাপাচারে নিবিষ্ট থেকে) নিজেদের প্রতি যুলুম করেছে, (তখন) তারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করে, ‘তোমরা কেমন অবস্থায় ছিলে (তোমরা না তোমাদের দ্বীন ও ঈমান রক্ষা করেছো, আর না কুফরী ও পাপ-পংকিল ভুমি ছেড়ে এসেছো)?’ তারা (অযুহাত স্বরূপ) বলবে, ‘পৃথিবীতে আমরা দুর্বল ও অসহায় ছিলাম’। ফেরেশতারা (প্রতিউত্তরে) বলবে, ‘আল্লাহ্‌র জমিন কি প্রশস্ত ছিল না যে তোমরা এতে (কোথাও) হিজরত করে চলে যেতে?’ সুতরাং তারাই সেসব লোক যাদের ঠিকানা জাহান্নাম, আর তা খুবই নিকৃষ্ট ঠিকানা!


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৮

اِلَّا الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ حِیۡلَۃً  وَّ لَا  یَہۡتَدُوۡنَ سَبِیۡلًا ﴿ۙ۹۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৮. কিন্তু ঐসব লোক, যাদেরকে দমিয়ে রাখা হয়েছে- পুরুষ, নারী ও শিশুগণ, যাদের না উপায় অবলম্বনের সুযোগ হয়, না পথের সন্ধান জানে,


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৮. তবে সেসব প্রকৃত নিরূপায় ও অসহায় পুরুষ, নারী এবং শিশুরা ব্যতীত যারা না কোনো উপায় অবলম্বন করতে পারে, আর না (সেখান থেকে বের হবার) কোনো পথ পায়;


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ৯৯

فَاُولٰٓئِکَ عَسَی اللّٰہُ اَنۡ یَّعۡفُوَ عَنۡہُمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَفُوًّا غَفُوۡرًا ﴿۹۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


৯৯. তবে অনতিবিলম্বে আল্লাহ্‌ এমন লোকদেরকে ক্ষমা করবেন; এবং আল্লাহ্‌ পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।


📗 ইরফানুল কুরআন


৯৯. আর তাদেরকে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মার্জনা করবেন, আর আল্লাহ্ মার্জনাকারী, মহাক্ষমাশীল।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০০

وَ مَنۡ یُّہَاجِرۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ یَجِدۡ فِی الۡاَرۡضِ مُرٰغَمًا کَثِیۡرًا وَّ سَعَۃً ؕ وَ مَنۡ یَّخۡرُجۡ مِنۡۢ بَیۡتِہٖ مُہَاجِرًا  اِلَی اللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ  یُدۡرِکۡہُ الۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ اَجۡرُہٗ عَلَی اللّٰہِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۰۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০০. আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র পথে ঘরবাড়ি ত্যাগ করে বের হবে সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং অবকাশ পাবে; আর যে ব্যক্তি আপন ঘর থেকে বের হয়েছে আল্লাহ্‌ ও রসূলের প্রতি হিজরতকারী হয়ে, অতঃপর তাকে মৃত্যু পেয়ে বসেছে, তবে তার পুরষ্কার আল্লাহ্‌র দায়িত্বে এসে গেছে। এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০০.আর যে আল্লাহ্‌র পথে গৃহ ত্যাগ করে, সে (হিজরতের জন্যে) পৃথিবীতে বহু স্থান এবং (জীবনযাত্রার) অনেক উপকরণ লাভ করবে। আর যে ব্যক্তিই নিজ গৃহ থেকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর উদ্দেশ্যে হিজরত করে, অতঃপর (পথেই) তার মৃত্যু ঘটে, তবে তার প্রতিদান আল্লাহ্‌র কাছে নিশ্চিত। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০১

وَ اِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِی الۡاَرۡضِ فَلَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ جُنَاحٌ اَنۡ تَقۡصُرُوۡا مِنَ الصَّلٰوۃِ ٭ۖ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَنۡ یَّفۡتِنَکُمُ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا ؕ اِنَّ الۡکٰفِرِیۡنَ کَانُوۡا لَکُمۡ عَدُوًّا مُّبِیۡنًا ﴿۱۰۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০১. এবং যখন তোমরা যমীনে সফর করো তখন তোমাদের এ’তে গুনাহ নেই যে, কোন কোন নামায ‘ক্বসর’ করে পড়বে; যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফির তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। নিশ্চয় কাফিরগণ তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১০১. আর যখন তোমরা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করো তখন নামায সংক্ষিপ্ত করলে (অর্থাৎ চার রাকাত ফরযের স্থলে দু’রাকাত পড়লে) তোমাদের কোনো দোষ নেই; যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফেরেরা তোমাদেরকে কষ্টে নিপতিত করবে। নিশ্চয়ই কাফেরেরা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০২

وَ اِذَا کُنۡتَ فِیۡہِمۡ فَاَقَمۡتَ لَہُمُ الصَّلٰوۃَ فَلۡتَقُمۡ طَآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ مَّعَکَ وَ لۡیَاۡخُذُوۡۤا اَسۡلِحَتَہُمۡ ۟ فَاِذَا سَجَدُوۡا فَلۡیَکُوۡنُوۡا مِنۡ وَّرَآئِکُمۡ ۪ وَ لۡتَاۡتِ طَآئِفَۃٌ اُخۡرٰی لَمۡ یُصَلُّوۡا فَلۡیُصَلُّوۡا مَعَکَ وَ لۡیَاۡخُذُوۡا حِذۡرَہُمۡ وَ اَسۡلِحَتَہُمۡ ۚ وَدَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَوۡ تَغۡفُلُوۡنَ عَنۡ اَسۡلِحَتِکُمۡ وَ اَمۡتِعَتِکُمۡ فَیَمِیۡلُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ مَّیۡلَۃً وَّاحِدَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ اِنۡ کَانَ بِکُمۡ اَذًی مِّنۡ مَّطَرٍ اَوۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَنۡ تَضَعُوۡۤا اَسۡلِحَتَکُمۡ ۚ وَ خُذُوۡا حِذۡرَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ اَعَدَّ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابًا مُّہِیۡنًا ﴿۱۰۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০২. এবং হে মাহবুব! যখন আপনি তাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকেন, অতঃপর নামাযে তাদের ইমামত করেন, তখন উচিৎ যেন তাদের মধ্যে থেকে একটা দল আপনার সঙ্গে থাকে এবং তারা (অপর দল) নিজেদের হাতীয়ার নিয়ে প্রস্তুত থাকে। অতঃপর যখন তারা (যারা সাথে নামায আরম্ভ করেছে) সাজদা করে নেয় তখন তারা হটে দিয়ে তোমাদের পেছনে এসে যাবে। আর এখন দ্বিতীয় দল আসবে, যারা তখনো পর্যন্ত নামাযে শরীক ছিলো না, এখন তারা আপনার মুক্তাদী হবে এবং উচিৎ যেন স্বীয় আশ্রয় এবং হাতিয়ার নিয়ে অবস্থান করে, কাফিদের কামনা হচ্ছে যে, কখনো তোমরা নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র এবং আসবাবপত্র থেকে অসর্তক হয়ে যাবে, তখনই তারা তোমাদের উপর একবারে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর বৃষ্টির কারণে যদি তোমাদের কষ্ট হয় কিংবা (তোমরা) পীড়িত হও তবে স্বীয় অস্ত্রশস্ত্র খুলে রাখার মধ্যে র ক্ষতি নেই এবং আশ্রয় নিয়ে অবস্থান করো। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি তৈরী করে রেখেছেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০২. আর (হে প্রিয়তম!) যখন আপনি তাদের মাঝে (অর্থাৎ মুজাহিদগণের মাঝে বিদ্যমান) থাকেন, তখন তাদেরকে নিয়ে (জামা’আতে) নামায কায়েম করুন। অতঃপর তাদের একদল যেন (প্রথমে) আপনার সাথে (মুক্তাদী হয়ে) দন্ডায়মান হয় এবং তারা যেন সশস্ত্রও থাকে। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে তখন যেন (পিছু হঠে) তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান নেয় এবং (এরপর) অপর দলটি এগিয়ে আসে যারা (তখনো) নামাযে অংশ নেয়নি; অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে (মুক্তাদী হয়ে) নামায আদায় করে এবং (রীতি অনুযায়ী) তারাও যেন নিজেদের নিরাপত্তা বিধান করে এবং সশস্ত্র থাকে। কাফেরেরা চায় যে, তোমরা তোমাদের অস্ত্র ও উপকরণ থেকে অসতর্ক হয়ে পড়ো, তখন তারা তোমাদের উপর অকস্মাৎ আক্রমণ করে বসবে। আর বৃষ্টির কারণে যদি তোমাদের কোনো কষ্ট হয় অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ো তবে নিজেদের অস্ত্র (খুলে) রাখায় তোমাদের কোনো অপরাধ নেই। আর নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফেরদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাকর শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৩

فَاِذَا قَضَیۡتُمُ الصَّلٰوۃَ فَاذۡکُرُوا اللّٰہَ قِیٰمًا وَّ قُعُوۡدًا وَّ عَلٰی جُنُوۡبِکُمۡ ۚ فَاِذَا اطۡمَاۡنَنۡتُمۡ فَاَقِیۡمُوا الصَّلٰوۃَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوۃَ  کَانَتۡ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ  کِتٰبًا مَّوۡقُوۡتًا ﴿۱۰۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৩. অতঃপর যখন তোমরা নামায পড়ে নাও তখন আল্লাহ্‌র স্মরণ করো দন্ডায়মান হয়ে ও উপবিষ্ট হয়ে এবং করটসমূহের উপর শুয়ে। অতঃপর যখন নিরাপদ হয়ে যাও তখন বিধি মোতাবেক নামায কায়েম করো। নিঃসন্দেহে নামায মুসলমানদের জন্য সময় নির্দ্ধারিত ফরয।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৩. অতঃপর (হে মুসলমানগণ!) যখন তোমরা নামায সম্পন্ন করো তখন দন্ডায়মান হয়ে, উপবিষ্ট হয়ে এবং তোমাদের পার্শ্বের উপর (শয়ন করে, সর্বাবস্থায়) আল্লাহ্কে স্মরণ করতে থাকো। অতঃপর যখন তোমরা (ভীত অবস্থা থেকে) নিরাপদ হবে তখন (রীতি অনুযায়ী) নামায কায়েম করো। নিশ্চয়ই মুমিনদের জন্যে নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করা আবশ্যক।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৪

وَ لَا تَہِنُوۡا فِی ابۡتِغَآءِ الۡقَوۡمِ ؕ اِنۡ تَکُوۡنُوۡا تَاۡلَمُوۡنَ فَاِنَّہُمۡ یَاۡلَمُوۡنَ کَمَا تَاۡلَمُوۡنَ ۚ وَ تَرۡجُوۡنَ مِنَ اللّٰہِ مَا لَا یَرۡجُوۡنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  عَلِیۡمًا  حَکِیۡمًا ﴿۱۰۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৪. এবং কাফিরদের তালাশ করার বেলায় আলস্য করো না। যদি তোমরা ক্লেশ পেয়ে থাকো, তবে তারাও ক্লেশ পায় যেমনি তোমরা পাও। আর তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট থেকে ওই আশা রাখো যা তারা রাখে না। এবং আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৪. আর তোমরা (শত্রু-) সম্প্রদায়ের অন্বেষণে অবহেলা করো না। যদি (পশ্চাদ্ধাবনে) তোমাদের কষ্ট হয়, তবে তাদেরও (তো এমনই) কষ্ট হয়েছিল যেমন কষ্ট তোমাদের হচ্ছে; অথচ তোমরা আল্লাহ্‌র নিকট (প্রতিদান ও সাওয়াবের) আশা রাখো যা তারা রাখে না। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৫

اِنَّاۤ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکَ الۡکِتٰبَ بِالۡحَقِّ لِتَحۡکُمَ بَیۡنَ النَّاسِ بِمَاۤ  اَرٰىکَ اللّٰہُ ؕ وَ لَا تَکُنۡ  لِّلۡخَآئِنِیۡنَ خَصِیۡمًا ﴿۱۰۵﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৫. হে মাহবুব! নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের মধ্যে ফয়সালা করেন যেভাবে আল্লাহ্‌ আপনাকে দেখিয়েছেন; আর প্রতারণাকারীদের পক্ষ থেকে বিতর্ক করবেন না।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৫. (হে মহিমান্বিত রাসূল!) নিশ্চয়ই আমরা আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যনির্ভর কিতাব, যাতে আল্লাহ্ আপনাকে যা দেখিয়েছেন আপনি মানুষের মাঝে সে (সত্য) অনুসারে ফায়সালা করেন। আর আপনি (কখনো) বিশ্বাস ভঙ্গকারীদের সমর্থনে বিতর্ককারী হবেন না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৬

وَّ اسۡتَغۡفِرِ اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۰۶﴾ۚ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৬. এবং আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা চাও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু।


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৬. আর আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৭

وَ لَا تُجَادِلۡ عَنِ الَّذِیۡنَ یَخۡتَانُوۡنَ اَنۡفُسَہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ  لَا یُحِبُّ مَنۡ کَانَ خَوَّانًا اَثِیۡمًا ﴿۱۰۷﴾ۚۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৭. এবং তাদের পক্ষ থেকে ঝগড়া করো না, যারা আপন আত্নাসমূহকে অবিশ্বস্ততার মধ্যে নিক্ষেপ করে। নিশ্চয় আল্লাহ্‌ কোন মহা প্রতারণাকারী পাপীকে ভালবাসেন না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৭. আর (প্রতিহত করার নিমিত্তে) আপনি তাদের পক্ষে কথা বলবেন না যারা নিজেদেরকেই প্রতারিত করছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এমন কাউকে পছন্দ করেন না যে বিশ্বাস ভঙ্গকারী ও পাপাচারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৮

یَّسۡتَخۡفُوۡنَ مِنَ النَّاسِ وَ لَا یَسۡتَخۡفُوۡنَ مِنَ اللّٰہِ وَ ہُوَ  مَعَہُمۡ  اِذۡ  یُبَیِّتُوۡنَ مَا لَا یَرۡضٰی مِنَ الۡقَوۡلِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ  مُحِیۡطًا ﴿۱۰۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৮. লোকদের নিকট থেকে গোপন থাকে এবং আল্লাহ্‌র নিকট গোপন থাকে না আর আল্লাহ্‌ তাদের নিকটেই আছেন যখন অন্তরে সে কথার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যা আল্লাহ্‌র নিকট অপছন্দনীয় এবং আল্লাহ্‌ তাদের কার্যাদিকে পরিবেষ্টন করে আছেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৮. তারা মানুষের কাছে (লজ্জায় নিজেদের প্রতারণা) গোপন করে কিন্তু তারা আল্লাহ্‌র সম্মূখে লজ্জাবোধ করে না, অথচ তিনি তাদের সাথে সে সময়েও আছেন যখন তারা রাতে (গোপন) কোনো বিষয়ে পরামর্শ করে যা আল্লাহ্ পছন্দ করেন না। আর তারা যা কিছু করে আল্লাহ্ (তা) সর্বোতভাবে বেষ্টন করে আছেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১০৯

ہٰۤاَنۡتُمۡ ہٰۤؤُلَآءِ جٰدَلۡتُمۡ عَنۡہُمۡ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۟ فَمَنۡ یُّجَادِلُ اللّٰہَ عَنۡہُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ  اَمۡ مَّنۡ یَّکُوۡنُ عَلَیۡہِمۡ  وَکِیۡلًا ﴿۱۰۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১০৯. শুনছো, এই যে তোমরা! পার্থিব জীবনে তোমরা তো তাদের পক্ষ থেকে ঝগড়া করেছো। সুতরাং কে তাদের পক্ষ থেকে ঝগড়া করবে আল্লাহ্‌র সাথে ক্বিয়ামতের দিনে কিংবা কে তাদের মধ্যস্থতাকারী হবে?


📗 ইরফানুল কুরআন


১০৯. সাবধান! তোমরাই পার্থিব জীবনে তাদের পক্ষে তর্ক-বিতর্ক করেছো; কিন্তু এমন কে আছে যে কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষে আল্লাহ্‌র সাথে বিতর্ক করবে অথবা কে আছে যে (সেদিনও) তাদের উকিল হবে?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১০

وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ سُوۡٓءًا اَوۡ یَظۡلِمۡ  نَفۡسَہٗ ثُمَّ یَسۡتَغۡفِرِ اللّٰہَ یَجِدِ اللّٰہَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۱۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১০. এবং যে কেউ মন্দ কাজ কিংবা স্বীয় আত্নার উপর অত্যাচার করে, অতঃপর আল্লাহ্‌র নিকট থেকে ক্ষমা চায়, তাহলে আল্লাহ্‌কে ক্ষমাশীল, দয়ালু পাবে।


📗 ইরফানুল কুরআন


১১০. আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে অথবা নিজের আত্মার প্রতি যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহ্‌র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহ্কে মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালুরূপে পাবে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১১

وَ مَنۡ یَّکۡسِبۡ اِثۡمًا فَاِنَّمَا یَکۡسِبُہٗ عَلٰی نَفۡسِہٖ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۱۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১১. এবং যে পাপ উপার্জন করে, তাহলে তার উপার্জন তারই আত্নার উপর পতিত হয়; আর আল্লাহ্‌ জ্ঞানময়, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


১১১. আর যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ করে সে তো নিজের প্রাণের উপরই (এর পরিণতি ডেকে) আনে। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১২

وَ مَنۡ یَّکۡسِبۡ خَطِیۡٓىـَٔۃً اَوۡ اِثۡمًا ثُمَّ یَرۡمِ بِہٖ بَرِیۡٓــًٔا فَقَدِ احۡتَمَلَ بُہۡتَانًا وَّ اِثۡمًا مُّبِیۡنًا ﴿۱۱۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১২. এবং যে ব্যক্তি কোন দোষ কিংবা পাপ উপার্জন করে, অতঃপর সেটা কোন নিরপরাধ ব্যক্তির উপর নিক্ষেপ করে, সে অবশ্যই অপবাদ ও প্রকাশ্য গুনাহ বহন করেছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১১২. আর যে ব্যক্তি কোনো ত্রুটি বা পাপে লিপ্ত হয়, অতঃপর কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির উপর এর অপবাদ আরোপ করে, তবে নিশ্চয়ই সে মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করলো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৩

وَ لَوۡ لَا فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکَ وَ رَحۡمَتُہٗ لَہَمَّتۡ طَّآئِفَۃٌ مِّنۡہُمۡ اَنۡ یُّضِلُّوۡکَ ؕ وَ مَا یُضِلُّوۡنَ  اِلَّاۤ اَنۡفُسَہُمۡ وَ مَا یَضُرُّوۡنَکَ مِنۡ شَیۡءٍ ؕ وَ اَنۡزَلَ اللّٰہُ عَلَیۡکَ الۡکِتٰبَ وَ الۡحِکۡمَۃَ وَ عَلَّمَکَ مَا لَمۡ تَکُنۡ تَعۡلَمُ ؕ وَ کَانَ فَضۡلُ اللّٰہِ عَلَیۡکَ عَظِیۡمًا ﴿۱۱۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৩. এবং হে মাহবূব! যদি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়া আপনার উপর না থাকতো তবে তাদের মধ্যেকার কিছু লোক এটা চাচ্ছে যে, আপনাকে ধোঁকা দেবে; এবং তারা নিজেরা নিজেদেরকেই পথভ্রষ্ট করছে। আর আপনার কোন ক্ষতি করবে না এবং আল্লাহ্‌ আপনার উপর কিতাব ও হিকমত অবতীর্ণ করেছেন আর আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন যা কিছু আপনি জানতেন না এবং আপনার উপর আল্লাহ্‌র মহা অনুগ্রহ রয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৩. আর (হে হাবীব!) যদি আপনার প্রতি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও তাঁর রহমত না হতো তবে এদের (এ প্রতারকদের) একদল আপনাকে বিচ্যুত করতে সংকল্প করেই ফেলেছিল; যখন তারা নিজেরা শুধুমাত্র নিজেদেরকেই গোমরাহ্ করছে এবং কোনোভাবেই আপনার কোনো ক্ষতিই করতে পারে না। আর আল্লাহ আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন কিতাব ও প্রজ্ঞা এবং তিনি আপনাকে সেসব বিষয়ের জ্ঞান দান করেছেন যা আপনি জানতেন না। আর আপনার প্রতি রয়েছে আল্লাহ্‌র মহা অনুগ্রহ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৪

لَا  خَیۡرَ  فِیۡ  کَثِیۡرٍ  مِّنۡ نَّجۡوٰىہُمۡ  اِلَّا مَنۡ اَمَرَ بِصَدَقَۃٍ اَوۡ مَعۡرُوۡفٍ اَوۡ اِصۡلَاحٍۭ  بَیۡنَ النَّاسِ ؕ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰہِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِیۡـہِ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿۱۱۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৪. তাদের অধিকাংশ পরামর্শের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই, কিন্তু যে ব্যক্তি নির্দেশ দেয়- দান-খয়রাত কিংবা ভালো কথা অথবা মানুষের মধ্যে সন্ধি স্থাপনের এবং যে আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি চাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন (কাজ) করে, তাকে অবিলম্বে আমি মহা প্রতিদান দেবো।


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৪. তাদের অধিকাংশ গোপন শলাপরামর্শে কোনো কল্যাণ নেই, সে ব্যক্তির (পরামর্শ) ব্যতীত যে দানখয়রাত করে অথবা সৎকর্ম করে অথবা মানুষের মাঝে সন্ধি স্থাপনের নির্দেশ দেয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে এ কাজ করে আমরা অচিরেই তাকে মহা পুরস্কার প্রদান করবো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৫

وَ مَنۡ یُّشَاقِقِ الرَّسُوۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا تَبَیَّنَ لَہُ الۡہُدٰی وَ یَتَّبِعۡ غَیۡرَ  سَبِیۡلِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ نُوَلِّہٖ مَا تَوَلّٰی وَ نُصۡلِہٖ جَہَنَّمَ ؕ وَ سَآءَتۡ مَصِیۡرًا ﴿۱۱۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৫. এবং যে ব্যক্তি রসূলের বিরোধিতা করে এর পর যে, সঠিক পথ তার সম্মুখে সুস্পষ্ট হয়েছে এবং মুসলমানদের পথ থেকে আলাদা পথে চলে, আমি তাকে তার অবস্থার উপর ছেড়ে দেবো এবং তাকে দোযখে প্রবেশ করাবো; আর (তা) প্রত্যাবর্তন করার কতোই মন্দ স্থান!


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৫. আর যে ব্যক্তি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এঁর বিরোধিতা করে তার নিকট হেদায়াতের পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পর এবং মুসলমানদের পথ ব্যতীত ভিন্ন পথ অনুসরণ করে, তবে আমরা তাকে সে দিকেই ফিরিয়ে দেবো যে (গোমরাহীর) দিকে সে (নিজে) ফিরে গিয়েছে। আর (পরিশেষে) তাকে নিক্ষেপ করবো জাহান্নামে। আর তা খুবই নিকৃষ্ট ঠিকানা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৬

اِنَّ اللّٰہَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِہٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدۡ  ضَلَّ  ضَلٰلًۢا  بَعِیۡدًا ﴿۱۱۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৬. আল্লাহ্‌ এটা ক্ষমা করেন না যে, তার কোন শরীক দাঁড় করানো হবে এবং এর নিম্নপর্যায়ে যা কিছু আছে তা যাকে চান ক্ষমা করে দেন; আর যে আল্লাহ্‌র শরীক দাঁড় করায় সে দূরের পথভ্রষ্টতার মধ্যে পতিত হয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৬. নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে কাউকে শরীক করা (অপরাধ) ক্ষমা করেন না, কিন্তু এরচেয়ে ক্ষুদ্রতর যা কিছু (অপরাধ) যাকে চান তাকে ক্ষমা করে দেন। আর যে কেউ আল্লাহ্‌র শরীক সাব্যস্ত করে, সে অবশ্যই ভীষণভাবে গোমরাহীতে নিমজ্জিত হয়েছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৭

اِنۡ یَّدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِہٖۤ  اِلَّاۤ اِنٰثًا ۚ وَ اِنۡ یَّدۡعُوۡنَ  اِلَّا شَیۡطٰنًا مَّرِیۡدًا ﴿۱۱۷﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৭. এ অংশীবাদীগণ আল্লাহ্‌ ব্যতীত পূজা করে না, কিন্তু কতেক স্ত্রী লোককে; এবং পূজা করে না, কিন্তু বিদ্রোহী শয়তানকে; 


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৭. এরা (অর্থাৎ মুশরিকেরা) আল্লাহ্‌র পরিবর্তে কেবল দেবীর পূজা করে আর পূজা করে অবাধ্য শয়তানের,


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৮

لَّعَنَہُ اللّٰہُ ۘ وَ قَالَ لَاَتَّخِذَنَّ مِنۡ عِبَادِکَ نَصِیۡبًا مَّفۡرُوۡضًا ﴿۱۱۸﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১১৮. যার উপর আল্লাহ্‌ অভিসম্পাত্য করেছেন এবং (সে) বলেছে, ‘শপথ রইলো, আমি তোমার বান্দাদের মধ্যে থেকে কিছু নির্ধারিত অংশ অবশ্যই নেবো’।


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৮. (শয়তান) যার প্রতি আল্লাহ্ অভিসম্পাত করেছেন এবং যে বলতো, ‘আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশ (আমার করে) নেবো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১১৯

وَّ لَاُضِلَّنَّہُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّہُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ فَقَدۡ خَسِرَ  خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا  ﴿۱۱۹﴾ؕ


📕 কানযুল ঈমান


১১৯. শপথ রইলো, আমি নিশ্চয় তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে ছাড়বো এবং নিশ্চয় তাদের মধ্যে বাসনা সৃষ্টি করবো। আর অবশ্যই তাদেরকে নির্দেশ দেবো, অতঃপর তারা চতুষ্পদ পশুর কর্ণচ্ছেদ করবে এবং নিশ্চয়ই তাদেরকে বলবো, অতঃপর তারা আল্লাহ্‌র সৃষ্ট বস্তুগুলোকে বিকৃত করবে এবং যে আল্লাহ্‌কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করছে সে সুস্পষ্ট ক্ষতির মধ্যে পতিত হয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১১৯. আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবোই, তাদেরকে ভ্রান্ত আশায় আশান্বিত করবোই এবং তাদেরকে অবশ্যই নির্দেশ দিতে থাকবো, সুতরাং তারা নিশ্চিত চতুষ্পদ জন্তুর কর্ণচ্ছেদ করবে; আর আমি তাদেরকে অবশ্যই নির্দেশ দিতে থাকবো, সুতরাং তারা নিশ্চিত আল্লাহ্‌র সৃষ্টিতে পরিবর্তন আনবে।’ আর যে আল্লাহ্কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, সে তো নিশ্চিত প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২০

یَعِدُہُمۡ وَ یُمَنِّیۡہِمۡ ؕ وَ مَا یَعِدُہُمُ الشَّیۡطٰنُ  اِلَّا  غُرُوۡرًا ﴿۱۲۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২০. শয়তান তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং (তাদের মধ্যে) মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করে; এবং শয়তান তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় না, কিন্তু ধোকার। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২০. শয়তান তাদেরকে (মিথ্যা) প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে (প্রতারণাপূর্ণ) আশ্বাস দেয়। বস্তুত শয়তান প্রতারণা ব্যতীত তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দেয় না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২১

اُولٰٓئِکَ مَاۡوٰىہُمۡ جَہَنَّمُ ۫ وَ لَا یَجِدُوۡنَ عَنۡہَا  مَحِیۡصًا ﴿۱۲۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২১. তাদের ঠিকানা হচ্ছে দোযখ। (তারা) তা থেকে নিষ্কৃতি পাবার স্থান পাবে না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২১. তাদেরই ঠিকানা জাহান্নাম, আর তারা সেখান থেকে পলায়নের কোনো উপায় খুঁজে পাবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২২

وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ سَنُدۡخِلُہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ  اَبَدًا ؕ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقًّا ؕ وَ مَنۡ اَصۡدَقُ مِنَ اللّٰہِ قِیۡلًا ﴿۱۲۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২২. এবং যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, অবিলম্বে আমি তাদেরকে বাগানসমূহে নিয়ে যাবো, যে গুলোর পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত, সদা সর্বদা তারা সেগুলোর মধ্যে থাকবে। আল্লাহ্‌র প্রতিশ্রুতি সত্য; এবং আল্লাহ্‌ অপেক্ষা কার কথা অধিক সত্য?


📗 ইরফানুল কুরআন


১২২. আর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করে চলেছে, আমরা অচিরেই তাদেরকে প্রবিষ্ট করাবো বেহেশতে, যার তলদেশে স্রোতধারা প্রবাহিত। তথায় তারা থাকবে চিরকাল। (এটি) আল্লাহ্‌র সত্য অঙ্গীকার, আর আল্লাহ্‌র চেয়ে অধিকতর সত্যবাদী কে হতে পারে?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৩

لَیۡسَ بِاَمَانِیِّکُمۡ وَ لَاۤ اَمَانِیِّ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ ؕ مَنۡ یَّعۡمَلۡ سُوۡٓءًا یُّجۡزَ  بِہٖ ۙ وَ لَا یَجِدۡ لَہٗ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ وَلِیًّا وَّ لَا نَصِیۡرًا ﴿۱۲۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৩. কাজ না তোমাদের খেয়াল-খুশী অনুসারে এবং না কিতাবীদের কামনা অনুসারে। যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে (সে) তার প্রতিফল পাবে এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত নিজের জন্য না কোন অভিভাবক পাবে, না কোন সাহায্যকারী।


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৩. (আল্লাহ্‌র ক্ষমার অঙ্গীকার) না তোমাদের বাসনার উপর নির্ভরশীল, আর না আহলে কিতাবের বাসনার উপর নির্ভরশীল। যে মন্দ কাজ করবে তাকে এর শাস্তি প্রদান করা হবে। আর সে আল্লাহ্ ব্যতীত নিজের জন্যে না কোনো সমর্থনকারী পাবে আর না কোনো সাহায্যকারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৪

وَ مَنۡ یَّعۡمَلۡ مِنَ الصّٰلِحٰتِ مِنۡ ذَکَرٍ اَوۡ اُنۡثٰی وَ ہُوَ مُؤۡمِنٌ فَاُولٰٓئِکَ یَدۡخُلُوۡنَ الۡجَنَّۃَ  وَ لَا  یُظۡلَمُوۡنَ  نَقِیۡرًا ﴿۱۲۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৪. এবং যে ব্যক্তি কিছু সৎ কাজ করবে- পুরুষ হোক কিংবা নারী আর যদি হয় মুসলমান, তবে ঐ সব লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদেরকে অণু পরিমাণও কম দেয়া হবে না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৪. আর পুরুষ কিংবা নারী, যে কেউ সৎকর্ম করে এবং সে মুমিন তবে এরাই প্রবিষ্ট হবে জান্নাতে, আর তার অধিকার তিল পরিমাণও বিনষ্ট করা হবে না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৫

وَ مَنۡ اَحۡسَنُ دِیۡنًا مِّمَّنۡ اَسۡلَمَ  وَجۡہَہٗ لِلّٰہِ وَ ہُوَ مُحۡسِنٌ وَّ اتَّبَعَ مِلَّۃَ اِبۡرٰہِیۡمَ حَنِیۡفًا ؕ وَ اتَّخَذَ اللّٰہُ اِبۡرٰہِیۡمَ خَلِیۡلًا ﴿۱۲۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৫. এবং ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কার দ্বীন উত্তম, যে আপন চেহারা আল্লাহ্‌র জন্য ঝুকিয়ে দিয়েছে এবং সে হয় সৎকর্মপরায়ণ ও ইব্রাহীমের দ্বীনের অনুসরণ করেছে, যে প্রত্যেক প্রকার বাতিল থেকে পৃথক ছিলো? এবং আল্লাহ্‌ ইব্রাহীমকে আপন ঘনিষ্ট বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৫. আর দ্বীন অবলম্বনে তার চেয়ে উত্তম আর কে হতে পারে যে নিজেকে সম্পূূর্ণরূপে আল্লাহ্‌র নিমিত্তে সমর্পণ করে, সৎকর্মে নিয়োজিত থাকে এবং ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এঁর দ্বীনের অনুসরণ করে, যিনি ছিলেন (আল্লাহ্‌র জন্যে) একনিষ্ঠ, সরলপথের অনুসারী? আর আল্লাহ্ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে নিজের ঘনিষ্ট বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছিলেন। (সুতরাং এ ব্যক্তিও হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সাথে আধ্যাত্মিকভাবে সম্বন্ধযুক্ত হওয়ায় আল্লাহ্‌র বন্ধুরূপে পরিগণিত হবে।)


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৬

وَ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ  مُّحِیۡطًا ﴿۱۲۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৬. আর আল্লাহ্‌রই, যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনের মধ্যে, আর প্রত্যেক বস্তুর উপর আল্লাহ্‌র ক্ষমতা রয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৬. আর যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে সবকিছু আল্লাহ্‌রই। আর আল্লাহ্ সবকিছু পরিবেষ্টন করে আছেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৭

وَ یَسۡتَفۡتُوۡنَکَ فِی النِّسَآءِ ؕ قُلِ اللّٰہُ یُفۡتِیۡکُمۡ فِیۡہِنَّ ۙ وَ مَا یُتۡلٰی عَلَیۡکُمۡ فِی الۡکِتٰبِ فِیۡ یَتٰمَی النِّسَآءِ الّٰتِیۡ لَاتُؤۡ تُوۡنَہُنَّ مَا کُتِبَ لَہُنَّ وَ تَرۡغَبُوۡنَ  اَنۡ تَنۡکِحُوۡہُنَّ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الۡوِلۡدَانِ ۙ وَ اَنۡ تَقُوۡمُوۡا لِلۡیَتٰمٰی بِالۡقِسۡطِ ؕ وَ مَا تَفۡعَلُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِہٖ عَلِیۡمًا ﴿۱۲۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৭. এবং আপনার নিকট নারীদের সম্পর্কে ‘ফত্‌ওয়া’ জিজ্ঞাসা করছে। আপনি বলে দিন, ‘আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে ফত্‌ওয়া দিচ্ছেন; এবং তাও (বলে দিচ্ছেন) যা তোমাদের নিকট কুরআনের মধ্যে পাঠ করা হয় ঐ এতিম কন্যাদের সম্পর্কে, যাদেরকে তোমরা প্রদান করছো না যা তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে এবং তাদেরকে বিবাহাধীণ আনতেও বিমুখ থাকছো আর দুর্বল শিশুদের সম্বন্ধে; এবং এটাও যে, এতিমদের প্রতি ন্যায়বিচারের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো; এবং তোমরা যেই সৎকর্ম করো, আল্লাহ্‌ সে সম্বন্ধে অবহিত রয়েছেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৭. আর (হে রাসূল!) লোকে আপনাকে (এতিম) নারীদের ব্যাপারে ফতোয়া জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে তাদের ব্যাপারে নির্দেশ দিচ্ছেন এবং যে নির্দেশ তিনি তোমাদেরকে (পূর্ব থেকেই) মহিমান্বিত কিতাবে শুনাচ্ছেন, (তাও) এসব এতিম নারীদের ব্যাপারেই, যাদেরকে তোমরা তাদের জন্যে নির্ধারিত (অধিকার) প্রদান করো না; অথচ (তাদের সম্পদ অধীনস্ত করার নিমিত্তে) নিজেরাই তাদেরকে বিবাহ করার বাসনা রাখো। আর অসহায় শিশুদের ব্যাপারেও (নির্দেশ এই) যে, এতিমদের ব্যাপারে ন্যায়বিচারে অবিচল থাকো। আর তোমরা যে সৎকর্মই করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা ভালোভাবেই অবগত।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৮

وَ اِنِ امۡرَاَۃٌ خَافَتۡ مِنۡۢ بَعۡلِہَا نُشُوۡزًا اَوۡ اِعۡرَاضًا فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَاۤ  اَنۡ یُّصۡلِحَا بَیۡنَہُمَا صُلۡحًا ؕ وَ الصُّلۡحُ  خَیۡرٌ ؕ وَ اُحۡضِرَتِ الۡاَنۡفُسُ الشُّحَّ ؕ وَ اِنۡ تُحۡسِنُوۡا وَ تَتَّقُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ  خَبِیۡرًا ﴿۱۲۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৮. এবং যদি কোন নারী আপন স্বামীর দুর্ব্যবহার অথবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে তাদের জন্য এতে গুনাহ্‌ নেই যে, পরস্পরের মধ্যে আপোষ-নিষ্পত্তি করে নেবে আর আপোষ-নিষ্পত্তি উত্তম এবং অন্তরসমূহ লোভ-লিপ্সার ফাঁদে আটক রয়েছে; আর যদি তোমরা সৎকর্ম ও খোদাভীরুতা অবলম্বন করো, তবে তোমাদের কর্মগুলো সম্পর্কে আল্লাহ্‌ খবর রাখেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৮. আর যদি কোনো নারী তার স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে কোনো উপযুক্ত বিষয়ে সমঝোতা করলে তাদের কোনো দোষ নেই। আর (প্রকৃতপক্ষে) সমঝোতা উত্তম। মানুষের স্বভাবে (অবশ্যই কমবেশী) কৃপণতা রাখা হয়েছে; কিন্তু যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও এবং পরহেযগারিতা অবলম্বন করো, তবে অবশ্যই আল্লাহ্ (খুব ভালোভাবে) খবর রাখেন তোমরা যা করছো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১২৯

وَ لَنۡ تَسۡتَطِیۡعُوۡۤا اَنۡ تَعۡدِلُوۡا بَیۡنَ النِّسَآءِ وَ لَوۡ حَرَصۡتُمۡ فَلَا تَمِیۡلُوۡا کُلَّ الۡمَیۡلِ فَتَذَرُوۡہَا کَالۡمُعَلَّقَۃِ ؕ وَ اِنۡ تُصۡلِحُوۡا وَ تَتَّقُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۲۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১২৯. এবং তোমরা কখনো স্ত্রীদেরকে সমানভাবে রাখতে পারবে না, যতোই ইচ্ছা করো না কেন, তখন এমন যেন না হয় যে, এক স্ত্রীর দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়বে যার দরুন অপর স্ত্রীকে ঝুলানো অবস্থায় রেখে দেবে; এবং যদি তোমরা সৎকর্ম ও খোদাভীরুতা অবলম্বন করো, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, দয়ালু। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১২৯. তোমরা কখনোই (একের অধিক) স্ত্রীর মাঝে (পুরোপুরি) সমতা বিধান করতে সক্ষম হবে না, তোমরা যতোই ইচ্ছা করো না কেন। অতঃপর (কোনো এক স্ত্রীর দিকে) পূর্ণ অনুরাগে (এভাবে) ঝুঁকে পড়ো না যে, অন্যান্যদেরকে (মধ্যবর্তী স্থানে) ঝুলন্ত বস্তুর ন্যায় রেখে দাও। আর যদি তোমরা মীমাংসা করো এবং (অধিকার নষ্ট করা ও অসদাচরণ থেকে) বেঁচে থাকো, তবে আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩০

وَ  اِنۡ یَّتَفَرَّقَا یُغۡنِ اللّٰہُ  کُلًّا مِّنۡ سَعَتِہٖ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  وَاسِعًا حَکِیۡمًا ﴿۱۳۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩০. এবং যদি তারা উভয়ে পরস্পর পৃথক হয়ে যায়, তবে আল্লাহ্‌ তার প্রাচুর্য দ্বারা তোমাদের প্রত্যেককে অপরের দিক থেকে অভাবমুক্ত করে দেবেন এবং আল্লাহ্‌ প্রাচুর্যময়, প্রজ্ঞাময়। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩০. আর যদি (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ে পৃথক হয়ে যায় তবে আল্লাহ্ তাঁর প্রাচুর্য দ্বারা (একে অপরের থেকে) অনধীন করে দেবেন। আর আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, অত্যন্ত প্রজ্ঞাময়।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩১

وَ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ لَقَدۡ وَصَّیۡنَا الَّذِیۡنَ اُوۡتُوا الۡکِتٰبَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ وَ اِیَّاکُمۡ اَنِ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ وَ اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَنِیًّا حَمِیۡدًا ﴿۱۳۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩১. আর আল্লাহ্‌রই যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে; আর নিশ্চয়ই আমি তাকীদ দিয়েছি তাদেরকে, যাদেরকে তোমাদের পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছে এবং তোমাদেরকেও; যেন (তোমরা) আল্লাহ্‌কে ভয় করতে থাকো আর যদি কুফর করো, তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ্‌রই যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে আর যা কিছু রয়েছে যমীনে; এবং আল্লাহ্‌ অভাবমুক্ত, যাবতীয় প্রশংসাভাজন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩১. আর সবকিছু আল্লাহ্‌রই যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে। আর নিশ্চয়ই তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও আমরা নির্দেশ প্রদান করেছি যে, আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো। আর যদি তোমরা নাফরমানীও করো, তবে নিশ্চয়ই যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে তা (সব) আল্লাহ্‌রই। আর আল্লাহ্ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসা ও স্তুতির অধিকারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩২

وَ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ وَکِیۡلًا ﴿۱۳۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩২. আর আল্লাহ্‌রই যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে আর আল্লাহ্‌ যথেষ্ট কর্মব্যবস্থাপকরূপে।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩২. আর যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে তা আল্লাহ্‌রই এবং অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৩

اِنۡ یَّشَاۡ یُذۡہِبۡکُمۡ اَیُّہَا النَّاسُ وَ یَاۡتِ بِاٰخَرِیۡنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَلٰی ذٰلِکَ قَدِیۡرًا ﴿۱۳۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৩. হে মানবকুল! তিনি ইচ্ছা করলে তোমাদেরকে নিয়ে যাবেন এবং অন্যান্যদেরকে নিয়ে আসবেন; এবং এর উপর আল্লাহ্‌র ক্ষমতা রয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৩. হে মানবজাতি! যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে তোমাদেরকে বিলীন করবেন এবং (তোমাদের স্থলে) অন্যদেরকে নিয়ে আসবেন। আর আল্লাহ্ এতে সম্পূর্ণ সক্ষম।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৪

مَنۡ کَانَ یُرِیۡدُ ثَوَابَ الدُّنۡیَا فَعِنۡدَ اللّٰہِ ثَوَابُ الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ  ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ  سَمِیۡعًۢا بَصِیۡرًا ﴿۱۳۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৪. যে ব্যক্তি দুনিয়ার পুরস্কার চায়, তবে আল্লাহ্‌রই নিকট দুনিয়া ও আখিরাত উভয়ের পুরস্কার রয়েছে এবং আল্লাহ্‌ শ্রোতা, দ্রষ্টা। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৪.  যে ব্যক্তি ইহকালের পুরস্কার চায়, তবে আল্লাহ্‌র নিকট ইহকাল এবং পরকালের (উভয়ের) পুরস্কার রয়েছে। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৫

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُوۡنُوۡا قَوّٰمِیۡنَ بِالۡقِسۡطِ شُہَدَآءَ  لِلّٰہِ وَ لَوۡ عَلٰۤی اَنۡفُسِکُمۡ اَوِ الۡوَالِدَیۡنِ وَ الۡاَقۡرَبِیۡنَ ۚ اِنۡ یَّکُنۡ غَنِیًّا اَوۡ فَقِیۡرًا فَاللّٰہُ اَوۡلٰی بِہِمَا ۟ فَلَا تَتَّبِعُوا الۡہَوٰۤی اَنۡ تَعۡدِلُوۡا ۚ وَ اِنۡ تَلۡوٗۤا اَوۡ تُعۡرِضُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ  کَانَ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرًا ﴿۱۳۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৫. হে ঈমানদারগণ! ন্যায়বিচারের উপর দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাও আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য প্রদানকারী অবস্থায়, যদিও তাতে তোমাদের নিজেদের ক্ষতি হয় অথবা মাতাপিতার কিংবা আত্নীয়-স্বজনের; যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দাও সে বিত্তবান হোক কিংবা বিত্তহীন, সর্বাবস্থায় আল্লাহ্‌রই সেটার সর্বাধিক ইখতিয়ার রয়েছে। সুতরাং প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ো না যাতে সত্য থেকে আলাদা হয়ে পড়ো; এবং যদি তোমরা হেরফের করো অথবা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আল্লাহ্‌র নিকট তোমাদের কর্মগুলোর খবর রয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৫. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকো। (কেবলমাত্র) আল্লাহ্‌র জন্যে সাক্ষীদাতা হও, যদিও (সাক্ষ্য) স্বয়ং তোমাদের নিজেদের অথবা (তোমাদের) পিতামাতা অথবা (তোমাদের) নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে হয়। (যার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে) চাই সে বিত্তবান হোক কিংবা বিত্তহীন, আল্লাহ্ তাদের উভয়ের ব্যাপারে (তোমাদের চেয়ে) অধিক হিতাকাঙ্ক্ষী। কাজেই অন্তরের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, এতে তোমরা ন্যায়বিচার থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। আর যদি তোমরা (সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে) পেঁচালো কথা বলো অথবা (সত্য থেকে) পিছু হঠো, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সেসব কর্মকান্ড সম্পর্কে সম্যক অবগত যা তোমরা করছো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৬

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ وَ الۡکِتٰبِ الَّذِیۡ نَزَّلَ عَلٰی رَسُوۡلِہٖ وَ الۡکِتٰبِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ مَنۡ یَّکۡفُرۡ بِاللّٰہِ وَ مَلٰٓئِکَتِہٖ وَ کُتُبِہٖ وَ رُسُلِہٖ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ  ضَلٰلًۢا  بَعِیۡدًا ﴿۱۳۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৬. হে ঈমানদারগণ! ঈমান রাখো আল্লাহ্‌ ও আল্লাহ্‌র রসূলের উপর এবং সেই কিতাবের উপর, যা আপন সেই রসূলের উপর অবতীর্ণ করেছেন আর ওই কিতাবের উপর যা পূর্বে অবতীর্ণ করেছেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌কে এবং তার ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ, রসূলগণ এবং ক্বিয়ামতকে অমান্য করে, সে অবশ্যই দূরের পথভ্রষ্টতার মধ্যে পড়েছে।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৬. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনয়ন করো আল্লাহ্তে, তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম)-এ, এ কিতাবে যা তিনি তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এঁর প্রতি অবতীর্ণ করেছেন এবং সে কিতাবেও যা তিনি (এর) পূর্বে অবতীর্ণ করেছিলেন। আর যে ব্যক্তি অস্বীকার করে আল্লাহ্কে, তাঁর ফেরেশতাগণকে, তাঁর কিতাবসমূহকে, তাঁর রাসূলগণকে এবং শেষদিবসকে, তবে নিশ্চয়ই সে ঘোর থেকে ঘোরতর গোমরাহীতে নিমজ্জিত রয়েছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৭

اِنَّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ثُمَّ  کَفَرُوۡا ثُمَّ  اٰمَنُوۡا ثُمَّ  کَفَرُوۡا ثُمَّ  ازۡدَادُوۡا کُفۡرًا لَّمۡ  یَکُنِ اللّٰہُ لِیَغۡفِرَ لَہُمۡ وَ لَا لِیَہۡدِیَہُمۡ سَبِیۡلًا ﴿۱۳۷﴾ؕ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৭. নিশ্চয় ঐ সব লোক, যারা ঈমান এনেছে, এরপর কাফির হয়েছে, অতঃপর ঈমান এনেছে, এরপর কাফির হয়েছে, অতঃপর কুফরের মধ্যে আরো অগ্রসর হয়েছে, আল্লাহ্‌ তাদেরকে না কখনো ক্ষমা করবেন, না তাদেরকে সৎপথ দেখাবেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৭. নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনয়ন করেছে অতঃপর কাফের হয়ে গিয়েছে, আবার ঈমান আনয়ন করেছে এবং কাফের হয়ে গিয়েছে, অতঃপর কুফরীতে আরো অগ্রসর হয়েছে, তবে আল্লাহ্ কখনো এমন (ইচ্ছাপোষণকারী) নন যে, তিনি তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং না (এরূপ যে,) তাদেরকে সরলপথ দেখাবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৮

بَشِّرِ الۡمُنٰفِقِیۡنَ بِاَنَّ لَہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمَۨا ﴿۱۳۸﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৮. শুভ সংবাদ দিন মুনাফ্বিকদেরকে যে, তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি রয়েছে; 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৮. (হে নবী!) মুনাফিকদেরকে এ সংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৩৯

الَّذِیۡنَ یَتَّخِذُوۡنَ الۡکٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ اَیَبۡتَغُوۡنَ عِنۡدَہُمُ الۡعِزَّۃَ فَاِنَّ الۡعِزَّۃَ لِلّٰہِ جَمِیۡعًا ﴿۱۳۹﴾ؕ 


📕 কানযুল ঈমান


১৩৯. ঐ সব লোক, যারা মুসলমানদের ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারা কি ওদের নিকট সম্মান তালাশ করে? তবে সম্মান তো সব আল্লাহ্‌রই জন্য।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৩৯. (তারা) সেসব লোক যারা মুসলমানদের পরিবর্তে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে; তারা কি তাদের নিকট মর্যাদা অন্বেষণ করে? বস্তুত সমস্ত (সম্মান ও) মর্যাদা তো আল্লাহ্‌রই।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪০

وَ قَدۡ نَزَّلَ عَلَیۡکُمۡ  فِی الۡکِتٰبِ اَنۡ  اِذَا سَمِعۡتُمۡ اٰیٰتِ اللّٰہِ یُکۡفَرُ بِہَا وَ یُسۡتَہۡزَاُ بِہَا فَلَا تَقۡعُدُوۡا مَعَہُمۡ حَتّٰی یَخُوۡضُوۡا فِیۡ حَدِیۡثٍ غَیۡرِہٖۤ  ۫ۖ اِنَّکُمۡ  اِذًا مِّثۡلُہُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ جَامِعُ الۡمُنٰفِقِیۡنَ وَ الۡکٰفِرِیۡنَ فِیۡ جَہَنَّمَ جَمِیۡعَۨا ﴿۱۴۰﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪০. এবং নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি কিতাবের মধ্যে অবতীর্ণ করেছেন যে, যখন তোমরা আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ সম্পর্কে শুনবে যে, সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে এবং সেগুলোর প্রতি বিদ্রূপ করা হচ্ছে, তবে ঐ সব লোকের সাথে বসো না, যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় লিপ্ত হয়। অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হবে। নিঃসন্দেহে, আল্লাহ্‌ মুনাফিক্ব এবং কাফির সবাইকে জাহান্নামের মধ্যে একত্রিত করবেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪০. আর নিশ্চয়ই (আল্লাহ্) তোমাদের প্রতি কিতাবে এ (নির্দেশ) অবতীর্ণ করেছেন যে, যখন তোমরা শুনো আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহ অস্বীকার করা হচ্ছে এবং একে উপহাস করা হচ্ছে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসো না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা (অস্বীকার ও উপহাস ছেড়ে) অন্য কোনো প্রসংগে লিপ্ত হয়; অন্যথায় তোমরাও তাদের মতো হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সমস্ত মুনাফিক ও কাফেরকে জাহান্নামে একত্রিত করবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪১

الَّذِیۡنَ یَتَرَبَّصُوۡنَ بِکُمۡ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ فَتۡحٌ مِّنَ اللّٰہِ قَالُوۡۤا اَلَمۡ نَکُنۡ مَّعَکُمۡ ۫ۖ وَ اِنۡ کَانَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ نَصِیۡبٌ ۙ قَالُوۡۤا اَلَمۡ نَسۡتَحۡوِذۡ عَلَیۡکُمۡ وَ نَمۡنَعۡکُمۡ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ فَاللّٰہُ یَحۡکُمُ بَیۡنَکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ وَ لَنۡ یَّجۡعَلَ اللّٰہُ لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ  سَبِیۡلًا ﴿۱۴۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪১. ঐ সব লোক, যারা তোমাদের (শুভা-শুভ) অবস্থার প্রতীক্ষা করে, তবে যদি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তোমাদের বিজয় লাভ হয়, তাহলে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?’ আর ভাগ্য (বিজয়) যদি কাফিরদের অনুকূলে হয়, তবে তাদেরকে বলে, ‘তোমাদের উপর কি আমাদের ক্ষমতা ছিলো না? এবং আমরা তোমাদেরকে মুসলমানদের হাত থেকে রক্ষা করেছি। সুতরাং আল্লাহ্‌ তোমাদের সবার মধ্যে ক্বিয়ামত দিবসের ফয়সালা করে দেবেন; এবং আল্লাহ্‌ কাফিরদেরকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে কোন পথ (করে) দেবেন না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪১. (মুনাফিকেরা) যারা তোমাদের (জয়-পরাজয়ের) অপেক্ষায় থাকে, অতঃপর আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তোমাদের বিজয় লাভ হলে তারা বলে, ‘আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?’ আর কাফেরেরা সামান্য কিছু (প্রকাশ্য বিজয়) লাভ করলে (তাদেরকে) বলে, ‘আমরা কি তোমাদের উপর কর্তৃত্বপরায়ণ ছিলাম না? আর (তা সত্তেও) আমরা কি তোমাদেরকে মুসলমানদের (হাতে ধ্বংস হওয়া) থেকে রক্ষা করিনি?’ সুতরাং আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন তোমাদের মাঝে ফায়সালা করবেন। আর আল্লাহ্ কখনো কাফেরদের জন্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে (আধিপত্য লাভের) কোনো পথ রাখবেন না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪২

اِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ یُخٰدِعُوۡنَ اللّٰہَ وَ ہُوَ خَادِعُہُمۡ ۚ وَ اِذَا قَامُوۡۤا اِلَی الصَّلٰوۃِ قَامُوۡا کُسَالٰی ۙ یُرَآءُوۡنَ النَّاسَ وَ لَا  یَذۡکُرُوۡنَ اللّٰہَ  اِلَّا  قَلِیۡلًا ﴿۱۴۲﴾۫ۙ  


📕 কানযুল ঈমান


১৪২. নিশ্চয় মুনাফিক্ব লোকেরা নিজের ধারণায়, আল্লাহ্‌কে প্রতারিত করতে চায়; বস্তুত তিনিই তাদেরকে অন্যমনস্ক করে মারবেন; আর যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন মনভোলা অবস্থায়, মানুষকে দেখায় (মাত্র) এবং আল্লাহ্‌কে স্মরণ করে না কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪২. নিশ্চয়ই মুনাফিকগণ (নিজেদের ধারণায়) আল্লাহ্কে প্রতারিত করতে চায়, অথচ তিনিই তাদেরকে (তাদের) প্রতারণার শাস্তিদানকারী। আর যখন তারা নামাযে দাঁড়ায় তখন শৈথিল্যের সাথে (কেবল) মানুষকে দেখানোর জন্যে দাঁড়ায়, আর তারা আল্লাহ্কে যৎসামান্যই স্মরণ করে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৩

مُّذَبۡذَبِیۡنَ بَیۡنَ ذٰلِکَ ٭ۖ لَاۤ اِلٰی ہٰۤؤُلَآءِ وَ لَاۤ اِلٰی ہٰۤؤُلَآءِ ؕ وَ مَنۡ یُّضۡلِلِ اللّٰہُ فَلَنۡ تَجِدَ  لَہٗ  سَبِیۡلًا ﴿۱۴۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৩. মাঝখানে দোদুল্যমান থাকে, না এদিকের, না ওদিকের; এবং যাকে আল্লাহ্‌ পথভ্রষ্ট করেন, তবে তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৩. এরা (কুফরী ও ঈমানের) মধ্যখানে দোদুল্যমান, তারা না ওই (কাফেরদের) দিকে আর না এ (মুমিনদের) দিকে। আর আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা গোমরাহ্ করেন; কাজেই আপনি তাদের জন্যে কখনো (হেদায়াতের) কোনো পথ পাবেন না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৪

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوا الۡکٰفِرِیۡنَ اَوۡلِیَآءَ مِنۡ دُوۡنِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَؕ اَتُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ  تَجۡعَلُوۡا لِلّٰہِ عَلَیۡکُمۡ  سُلۡطٰنًا مُّبِیۡنًا ﴿۱۴۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৪. হে ঈমানদাররা! কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না মুসলমানদের ব্যতীত। তোমরা কি এটা চাও যে, নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহ্‌র জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ স্থির করে নেবে?


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৪. হে ঈমানদারগণ! মুসলমানগণের পরিবর্তে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তোমরা কি চাও যে, (অবাধ্যদের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে) নিজেদের বিপক্ষে আল্লাহ্‌র জন্যে সুস্পষ্ট প্রমাণ নির্ধারণ করবে?


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৫

اِنَّ الۡمُنٰفِقِیۡنَ فِی الدَّرۡکِ الۡاَسۡفَلِ مِنَ النَّارِ ۚ وَ لَنۡ  تَجِدَ لَہُمۡ  نَصِیۡرًا ﴿۱۴۵﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৫. নিশ্চয় মুনাফিক্ব দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে এবং তুমি কখনো তাদের কোন সাহায্যকারী পাবে না;


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৫. নিশ্চয়ই মুনাফিকেরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে থাকবে, আর আপনি তাদের জন্যে কখনো কোনো সাহায্যকারী পাবেন না।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৬

اِلَّا الَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اَصۡلَحُوۡا وَ اعۡتَصَمُوۡا بِاللّٰہِ وَ اَخۡلَصُوۡا دِیۡنَہُمۡ  لِلّٰہِ فَاُولٰٓئِکَ مَعَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ؕ وَ سَوۡفَ یُؤۡتِ اللّٰہُ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿۱۴۶﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৬. কিন্তু ঐ সব লোক, যারা তাওবা করেছে এবং সংশোধন করেছে আর আল্লাহ্‌র রজ্জুকে আকড়ে ধরেছে এবং নিজেদের দ্বীনকে শুধু আল্লাহ্‌রই উদ্দেশ্যে করে নিয়েছে, তবে এরা মুসলমানদের সাথে রয়েছে আর অবিলম্বে আল্লাহ্‌ মুসলমানদের মহা পুরস্কার দেবেন।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৬. কিন্তু তারা ব্যতীত যারা তওবা করে নিয়েছে, সংশোধন করে নিয়েছে, আল্লাহ্‌র সাথে দৃঢ় বন্ধন স্থাপন করেছে এবং আল্লাহ্‌র উদ্দেশ্যে নিজেদের দ্বীনকে একনিষ্ট করে নিয়েছে। সুতরাং তারা থাকবে মুমিনদের সাথে এবং অচিরেই আল্লাহ্ মুমিনদেরকে মহা পুরস্কার দান করবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৭

مَا یَفۡعَلُ اللّٰہُ بِعَذَابِکُمۡ  اِنۡ شَکَرۡتُمۡ وَ اٰمَنۡتُمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ شَاکِرًا عَلِیۡمًا ﴿۱۴۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৭. এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো ও ঈমান আনো? এবং আল্লাহ্‌ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৭. আল্লাহ্ তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কী করবেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো এবং ঈমান আনয়ন করো? আর আল্লাহ্ (সমস্ত সত্যের) পুরস্কার দাতা, সর্বজ্ঞ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৮

لَا یُحِبُّ اللّٰہُ  الۡجَہۡرَ  بِالسُّوۡٓءِ مِنَ الۡقَوۡلِ اِلَّا مَنۡ ظُلِمَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ سَمِیۡعًا عَلِیۡمًا ﴿۱۴۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৮. আল্লাহ্‌ ভালবাসেন না মন্দ কথার প্রচারণা, কিন্তু নির্যাতিতের নিকট হতে; এবং আল্লাহ্‌ শুনেন জানেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৮. আল্লাহ্ কারো মন্দ কথার (প্রকাশ্যে এবং খোলাখুলি) প্রচারণা পছন্দ করেন না, তবে যার প্রতি যুলুম করা হয়েছে তার কথা ভিন্ন। (অত্যাচারীর অত্যাচার প্রকাশ করার অনুমতি তার রয়েছে)। আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৪৯

اِنۡ تُبۡدُوۡا خَیۡرًا اَوۡ تُخۡفُوۡہُ اَوۡ تَعۡفُوۡا عَنۡ سُوۡٓءٍ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَفُوًّا قَدِیۡرًا ﴿۱۴۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৪৯. যদি তোমরা কোন সৎকর্ম প্রকাশ্যে করো কিংবা গোপনে অথবা কারো দোষ ক্ষমা করো, তবে আল্লাহ্‌ নিশ্চয় ক্ষমাশীল, শক্তিমান। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৪৯. যদি তোমরা কোনো সৎকর্ম প্রকাশ করো অথবা এটি গোপন রাখো অথবা কোনো (ব্যক্তির) দোষ ক্ষমা করো, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, সর্বময় ক্ষমতাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫০

اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یُّفَرِّقُوۡا بَیۡنَ اللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ یَقُوۡلُوۡنَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٍ وَّ نَکۡفُرُ بِبَعۡضٍ ۙ وَّ یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یَّتَّخِذُوۡا بَیۡنَ ذٰلِکَ  سَبِیۡلًا ﴿۱۵۰﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫০. এবং (নিশ্চয়) যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলগণকে অমান্য করে এবং চায় যে, আল্লাহ্‌ থেকে তার রসূলগণকে পৃথক করে নেবে, এবং বলে, ‘আমরা কতেকের উপর ঈমান আনি এবং কতেককে অস্বীকার করি’, আর এটা চায় যে, ঈমান ও কুফরের মাঝখানে অন্য একটা পথ বের করে নেবে; 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫০. নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের সাথে কুফরী করে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের মাঝে তারতম্য করতে চায় এবং বলে, ‘আমরা কতিপয়কে মানি এবং কতিপয়কে মানি না’, এবং (ঈমান ও কুফরীর) মধ্যবর্তী কোনো পথ অবলম্বন করতে চায়,


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫১

اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡکٰفِرُوۡنَ حَقًّا ۚ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ عَذَابًا مُّہِیۡنًا ﴿۱۵۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫১. এরাই হচ্ছে সত্যি সত্যি কাফির; এবং আমি কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনার শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫১. এসব লোকেরাই প্রকৃতপক্ষে কাফের এবং আমরা কাফেরদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছি লাঞ্ছনাকর শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫২

وَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ وَ لَمۡ یُفَرِّقُوۡا بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡہُمۡ اُولٰٓئِکَ سَوۡفَ یُؤۡتِیۡہِمۡ اُجُوۡرَہُمۡ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿۱۵۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫২. এবং ওই সব লোক, যারা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলগণের উপর ঈমান এনেছে আর তাদের মধ্যে কারো উপর ঈমান আনার ক্ষেত্রে পার্থক্য করে না, অবিলম্বে আল্লাহ্‌ তাদেরকে তাদের প্রতিদান দেবেন; এবং আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল দয়ালু। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫২. আর যারা আল্লাহ্ ও তাঁর (সকল) রাসূলগণে বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং (ঈমান আনয়নের ক্ষেত্রে) তাঁদের কারো মাঝে কোনো পার্থক্য করেনি, তবে অচিরেই তিনি তাদেরকে তাদের পুরস্কার প্রদান করবেন। আর আল্লাহ্ মহাক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৩

یَسۡـَٔلُکَ اَہۡلُ الۡکِتٰبِ اَنۡ تُنَزِّلَ عَلَیۡہِمۡ کِتٰبًا مِّنَ السَّمَآءِ فَقَدۡ سَاَلُوۡا مُوۡسٰۤی اَکۡبَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَقَالُوۡۤا اَرِنَا اللّٰہَ جَہۡرَۃً فَاَخَذَتۡہُمُ الصّٰعِقَۃُ بِظُلۡمِہِمۡ ۚ ثُمَّ اتَّخَذُوا الۡعِجۡلَ مِنۡۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡہُمُ الۡبَیِّنٰتُ فَعَفَوۡنَا عَنۡ ذٰلِکَ ۚ وَ اٰتَیۡنَا مُوۡسٰی سُلۡطٰنًا مُّبِیۡنًا ﴿۱۵۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৩. হে মাহবূব! কিতাবী সম্প্রদায় আপনার নিকট দাবী করছে, যেন (আপনি) তাদের প্রতি আসমান থেকে একটা কিতাব অবতরণ করিয়ে দেন; তবে তারা তো মূসার নিকট এটা অপেক্ষাও বড় দাবী করেছে। সুতরাং তারা বলেছে, ‘আমাদেরকে প্রকাশ্যে আল্লাহ্‌ দেখাও।’ তখন তাদেরকে বজ্রাঘাত পেয়ে বসলো তাদের পাপরাশির কারণে; অতঃপর গো-বৎসকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করে বসেছে এরপর যে, স্পষ্ট প্রমাণাদি তাদের নিকট এসেছে। তখন আমি ক্ষমা করে দিয়েছি; এবং আমি মূসাকে স্পষ্ট বিজয় দান করেছি। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৩. (হে হাবীব!) আহলে কিতাবগণ আপনার নিকট দাবি করে, আপনি যেন তাদের জন্যে আসমান থেকে (একত্রে পূর্ণরূপে লিখিত) কোনো কিতাব অবতীর্ণ করে নিয়ে আসেন। তারা তো মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর নিকট এরচেয়েও বড় কিছু দাবী করেছিল। তারা বলেছিল, ‘আমাদেরকে প্রকাশ্যে আল্লাহ্কে (অর্থাৎ আল্লাহ্‌র সত্তাকে) দেখিয়ে দিন’। অতঃপর তাদের (এ বেআদবীপূর্ণ প্রশ্ন ও) পাপের কারণে বজ্রপাত তাদেরকে গ্রাস করলো (ফলে তারা মৃত্যু বরণ করলো; পরে মূসা আলাইহিস সালামের দোয়ার প্রেক্ষিতে পুনরায় তারা জীবিত হয়েছিল)। অতঃপর তাদের নিকট (সত্য নির্দেশক) সুস্পষ্ট নিদর্শন আগমনের পর তারা গো-বৎসকে (নিজেদের উপাস্য) বানিয়ে নিয়েছিল। এরপর আমরা তাও ক্ষমা করেছিলাম এবং মূসা (আলাইহিস সালাম)-কে (তাদের উপর) প্রদান করেছিলাম সুস্পষ্ট আধিপত্য।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৪

وَ رَفَعۡنَا فَوۡقَہُمُ الطُّوۡرَ بِمِیۡثَاقِہِمۡ وَ قُلۡنَا لَہُمُ ادۡخُلُوا الۡبَابَ سُجَّدًا وَّ قُلۡنَا لَہُمۡ لَا تَعۡدُوۡا فِی السَّبۡتِ وَ اَخَذۡنَا مِنۡہُمۡ مِّیۡثَاقًا غَلِیۡظًا ﴿۱۵۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৪. অতঃপর আমি তাদের ঊর্ধ্বে ‘তূর’ (পাহাড়) কে উত্তোলন করেছি তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নেওয়ার জন্য; এবং তাদেরকে বলেছি, ‘প্রবেশদ্বার দিয়ে সাজদারত অবস্থায় প্রবেশ করো’ এবং তাদেরকে বলেছি, ‘শনিবারে সীমালংঘন করো না’; আর তাদের নিকট থেকে আমি দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছি। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৪. আর (ইহুদীরা যখন আবারো তাওরাতের বিধিবিধান অস্বীকার করলো, তখন) আমরা তাদের নিকট থেকে (দৃঢ়) অঙ্গীকার গ্রহণের উদ্দেশ্যে তূর পর্বতকে (ঝুলন্তাবস্থায়) তাদের উপর তুলে ধরেছিলাম এবং আমরা তাদেরকে বলেছিলাম, ‘(কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এ শহরের ঈলীয়া ফটকের) দ্বারে সেজদাবনত অবস্থায় প্রবেশ করো’। আর আমরা তাদেরকে (আরো) বলেছিলাম, ‘সাবাতেও (অর্থাৎ শনিবার দিন মৎস শিকারের নিষেধাজ্ঞায়) সীমালঙ্ঘন করো না’; এবং আমরা তাদের থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়েছিলাম।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৫

فَبِمَا نَقۡضِہِمۡ مِّیۡثَاقَہُمۡ وَ کُفۡرِہِمۡ بِاٰیٰتِ اللّٰہِ وَ قَتۡلِہِمُ الۡاَنۡۢبِیَآءَ بِغَیۡرِ حَقٍّ وَّ قَوۡلِہِمۡ قُلُوۡبُنَا غُلۡفٌ ؕ بَلۡ طَبَعَ اللّٰہُ عَلَیۡہَا بِکُفۡرِہِمۡ فَلَا یُؤۡمِنُوۡنَ  اِلَّا قَلِیۡلًا ﴿۱۵۵﴾۪ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৫. তখন তাদের কেমন অঙ্গীকার-ভঙ্গের কারণেই আমি তাদের উপর অভিসম্পাত করেছি! এবং এ কারণেও যে, তারা আল্লাহ্‌র আয়াতকে অস্বীকার করেছে এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে শহীদ করতো এবং তাদের এ উক্তির কারণেও- ‘আমাদের হৃদয়ের উপর আচ্ছাদন রয়েছে;’ বরং আল্লাহ্‌ তাদের কুফরের কারণেই তাদের হৃদয়গুলোর উপর মোহর চেপে দিয়েছেন। সুতরাং ঈমান আনে না, কিন্তু অল্প সংখ্যকই। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৫. অতঃপর (তাদেরকে যে শাস্তি দেয়া হয়েছিল, তা) তাদের স্বীয় অঙ্গীকার ভঙ্গ করা, আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহকে অস্বীকার করা, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা এবং তাদের এ উক্তির কারণে, ‘আমাদের অন্তর আচ্ছাদিত’। (প্রকৃতপক্ষে এরকম ছিল না) বরং আল্লাহ্ তাদের কুফরীর কারণে তাদের অন্তরকে মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন। ফলে তাদের অল্পসংখ্যকই ঈমান আনয়ন করবে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৬

وَّ بِکُفۡرِہِمۡ وَ قَوۡلِہِمۡ عَلٰی مَرۡیَمَ  بُہۡتَانًا عَظِیۡمًا ﴿۱۵۶﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৬. এবং এ কারণে যে, ‘তারা কুফর করেছে এবং মরিয়মের বিরুদ্ধে জঘন্য অপবাদ রটনা করেছে;’


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৬. আর (উপরন্তু) তাদের কুফরী ও উক্তির কারণে, যা তারা মারইয়াম (আলাইহাস সালাম)-এঁর প্রতি জঘন্য অপবাদ হিসেবে আরোপ করেছিল;


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৭

وَّ قَوۡلِہِمۡ اِنَّا قَتَلۡنَا الۡمَسِیۡحَ عِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ رَسُوۡلَ اللّٰہِ ۚ وَ مَا قَتَلُوۡہُ وَ مَا صَلَبُوۡہُ وَ لٰکِنۡ شُبِّہَ لَہُمۡ ؕ وَ  اِنَّ الَّذِیۡنَ اخۡتَلَفُوۡا فِیۡہِ لَفِیۡ شَکٍّ مِّنۡہُ ؕ مَا لَہُمۡ بِہٖ مِنۡ عِلۡمٍ  اِلَّا اتِّبَاعَ الظَّنِّ ۚ وَ مَا قَتَلُوۡہُ  یَقِیۡنًۢا ﴿۱۵۷﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৭. এবং তাদের এ উক্তির কারণে, ‘আমরা আল্লাহ্‌র রসূল মরিয়ম তনয় ঈসা মসীহ্‌কে শহীদ করেছি’ আর প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে এটাই যে, তারা তাকে না হত্যা করেছে এবং না তাকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে; বরং তাদের জন্য তারই সদৃশ একটা তৈরী করে দেয়া হয়েছে; এবং ঐ সব লোক, যারা তার সম্পর্কে মতভেদ করছে নিশ্চয় তারা তার ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে পড়ে রয়েছে; তাদের এ সম্পর্কে কোন খবরই নেই, কিন্তু এ ধারণারই অনুসরণ মাত্র; এবং নিঃসন্দেহে তারা তাকে হত্যা করেনি; 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৭. আর তাদের এ (দাম্ভিকতাপূর্ণ দাবী) উচ্চারণের কারণে(ও); ‘আমরা আল্লাহ্‌র রাসূল, মারইয়াম-তনয় ঈসা মাসীহকে হত্যা করেছি’; অথচ তারা তাঁকে হত্যাও করেনি এবং তাঁকে শূলেও চড়ায়নি, বরং (আসল ঘটনা এই যে,) তাদের চোখে (কাউকে ঈসা আলাইহিস সালামের) সাদৃশ্যপূর্ণ করে দেয়া হয়েছিল। আর নিশ্চয়ই যারা তাঁর ব্যাপারে মতবিরোধ করছে, তারা অবশ্যই এ (হত্যাকান্ডের) ব্যাপারে সংশয়ে পতিত রয়েছে। অনুমানের অনুসরণ (করা) ব্যতীত তাদের (প্রকৃত অবস্থার) কোনো জ্ঞানই নেই। আর তারা নিশ্চিত ঈসা (আলাইহিস সালাম)-কে হত্যা করেনি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৮

بَلۡ رَّفَعَہُ اللّٰہُ اِلَیۡہِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَزِیۡزًا حَکِیۡمًا ﴿۱۵۸﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৮. বরং আল্লাহ্‌ তাকে নিজের দিকে উঠিয়ে নিয়েছেন এবং আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৮. বরং আল্লাহ্ তাঁকে তাঁর নিকট (আকাশে) তুলে নিয়েছেন। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৫৯

وَ اِنۡ مِّنۡ اَہۡلِ الۡکِتٰبِ اِلَّا لَیُؤۡمِنَنَّ بِہٖ قَبۡلَ مَوۡتِہٖ ۚ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ  یَکُوۡنُ عَلَیۡہِمۡ  شَہِیۡدًا ﴿۱۵۹﴾ۚ 


📕 কানযুল ঈমান


১৫৯. কোন কিতাবী এমন নেই যে, যে তার মৃত্যুর পূর্বে তার উপর ঈমান আনবে না; এবং ক্বিয়ামত দিবসে সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হবে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৫৯. আর (কিয়ামতের পূর্বক্ষণে মাসীহ্ আলাইহিস সালামের অবতীর্ণের সময়) আহলে কিতাবের (প্রতিটি ব্যক্তি বা দলের) প্রত্যেকেই ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি তাঁর মৃত্যুর পূর্বে অবশ্যই (বিশুদ্ধ পন্থায়) ঈমান আনয়ন করবে এবং কিয়ামতের দিন ঈসা (আলাইহিস সালাম) তাদের জন্যে সাক্ষ্য দেবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬০

فَبِظُلۡمٍ مِّنَ الَّذِیۡنَ ہَادُوۡا حَرَّمۡنَا عَلَیۡہِمۡ طَیِّبٰتٍ اُحِلَّتۡ لَہُمۡ وَ بِصَدِّہِمۡ عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ  کَثِیۡرًا ﴿۱۶۰﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬০. অতঃপর ইহুদীদের বড় যুল্‌মের কারণে আমি ঐ কতেক পবিত্র বস্তু, যেগুলো তাদের জন্য হালাল ছিলো, তাদের উপর হারাম করে দিয়েছি; এবং এ কারণে যে, তারা অনেককে আল্লাহ্‌র পথে বাধা দিয়েছে; 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬০. বস্তুত ইহুদীদের সীমালঙ্ঘনের কারণেই আমরা তাদের জন্যে (অনেক) পবিত্র বস্তু হারাম করেছি, যা (পূর্বে) তাদের জন্যে হালাল করা হয়েছিল; আর এ কারণে(ও) যে, তারা (মানুষকে) আল্লাহ্‌র পথে অধিক পরিমাণে বাধা দিতো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬১

وَّ اَخۡذِہِمُ الرِّبٰوا وَ قَدۡ نُہُوۡا عَنۡہُ وَ اَکۡلِہِمۡ اَمۡوَالَ النَّاسِ بِالۡبَاطِلِ ؕ وَ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ مِنۡہُمۡ عَذَابًا اَلِیۡمًا ﴿۱۶۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬১. এবং এ কারণে যে, তারা সুদ গ্রহণ করতো; অথচ তা তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো; এবং লোকের ধন-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করে বসতো; আর তাদের মধ্যে যারা কাফির হয়েছে, আমি তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬১. আর তাদের সূদ গ্রহণের কারণে, অথচ তাদেরকে তা নিষেধ করা হয়েছিল; এবং তারা অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ গ্রাস করার কারণে (তাদের শাস্তি দেয়া হয়েছিল)। তাদের মধ্যে যারা কাফের তাদের জন্যে আমরা প্রস্তুত রেখেছি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬২

لٰکِنِ الرّٰسِخُوۡنَ فِی الۡعِلۡمِ مِنۡہُمۡ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ وَ مَاۤ اُنۡزِلَ مِنۡ قَبۡلِکَ وَ الۡمُقِیۡمِیۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ الۡمُؤۡتُوۡنَ الزَّکٰوۃَ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ؕ اُولٰٓئِکَ سَنُؤۡتِیۡہِمۡ اَجۡرًا عَظِیۡمًا ﴿۱۶۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬২. হাঁ, তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে পরিপক্ক এবং ঈমানদার, তারা ঈমান আনে সেটার উপর যা, হে মাহবূব! আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূর্বে অবতীর্ণ হয়েছে আর নামায প্রতিষ্ঠাকারীগণ, যাকাত প্রদানকারীগণ এবং আল্লাহ্‌ ও ক্বিয়ামতের উপর ঈমান আনয়নকারীগণ। এমন লোকদেরকে আমি অবিলম্বে বড় সাওয়াব দান করবো। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬২. তবে তাদের মধ্যে যারা স্থিতপ্রাজ্ঞ এবং যারা মুমিন, (সমানভাবে ওহীর প্রতি) ঈমান আনয়ন করে যা আপনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা আপনার পূূর্বে অবতীর্ণ হয়েছিল। আর (কতোই না উত্তম যে,) তারা নামায প্রতিষ্ঠাকারী, যাকাত আদায়কারী এবং কিয়ামতের দিনে বিশ্বাস স্থাপনকারী। তাদেরকেই আমরা শীঘ্রই মহাপুরস্কার প্রদান করবো।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৩

اِنَّاۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلَیۡکَ کَمَاۤ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰی نُوۡحٍ وَّ النَّبِیّٖنَ مِنۡۢ بَعۡدِہٖ ۚ وَ اَوۡحَیۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہِیۡمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ وَ یَعۡقُوۡبَ وَ الۡاَسۡبَاطِ وَ عِیۡسٰی وَ اَیُّوۡبَ وَ یُوۡنُسَ وَ ہٰرُوۡنَ وَ سُلَیۡمٰنَ ۚ وَ اٰتَیۡنَا دَاوٗدَ  زَبُوۡرًا ﴿۱۶۳﴾ۚ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৩. নিঃসন্দেহে, হে মাহবূব! আমি আপনার প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি, যেমন ওহী নূহ ও তার পরবর্তী নবীগণের প্রতি প্রেরণ করেছি; এবং আমি ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক্ব, ইয়া’ক্বূব ও তাদের পুত্রগণ; আর ঈসা, আইয়ূব, ইয়ূনুস, হারূন এবং সুলায়মানের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছি; এবং আমি দাঊদকে যাবূর দান করেছি। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৩. (হে হাবীব!) নিশ্চয়ই আমরা আপনার প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেছি, যেমন অবতীর্ণ করেছিলাম নূহ (আলাইহিস সালাম)-এঁর প্রতি এবং তাঁর পরবর্তীতে (অন্যান্য) নবীগণের প্রতি; আর ওহী অবতীর্ণ করেছিলাম ইবরাহীম ও ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকূব, (তাঁর) সন্তান-সন্ততি, ঈসা, আইয়ুব, ইউনুস, হারুন এবং সুলাইমান (আলাইহিমুস সালাম)-এঁর প্রতিও। আর আমরা দাউদ (আলাইহিস সালাম)-কে দান করেছিলাম যাবূর।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৪

وَ رُسُلًا قَدۡ قَصَصۡنٰہُمۡ عَلَیۡکَ مِنۡ قَبۡلُ وَ رُسُلًا لَّمۡ نَقۡصُصۡہُمۡ عَلَیۡکَ ؕ وَ کَلَّمَ اللّٰہُ مُوۡسٰی تَکۡلِیۡمًا ﴿۱۶۴﴾ۚ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৪. এবং ঐ রসূলগণকে (প্রেরণ করেছি) যাদের উল্লেখ আমি আপনার নিকট পূর্বে করেছি আর ঐ সব রসূলকে যাদের উল্লেখ আপনার নিকট করিনি। আর আল্লাহ্‌ মূসার সাথে প্রকৃত অর্থে কথা বলেছেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৪. আর (আমরা প্রেরণ করেছি) এমন অনেক রাসূল যাদের বৃত্তান্ত আমরা পূর্বেই আপনাকে শুনিয়েছি এবং এমনও অনেক রাসূল (প্রেরণ করেছি) যাদের বৃত্তান্ত (এখনো) আমরা আপনাকে শুনাইনি। আর আল্লাহ্ মূসা (আলাইহিস সালাম)-এঁর সাথে (মাধ্যম ব্যতীত) বাক্যালাপও করেছেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৫

رُسُلًا مُّبَشِّرِیۡنَ وَ مُنۡذِرِیۡنَ لِئَلَّا یَکُوۡنَ لِلنَّاسِ عَلَی اللّٰہِ حُجَّۃٌۢ بَعۡدَ الرُّسُلِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَزِیۡزًا  حَکِیۡمًا ﴿۱۶۵﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৫. রসূলগণকে (প্রেরণ করেছি) সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী করে, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহ্‌র নিকট মানুষের কোন অভিযোগের অবকাশ না থাকে; এবং আল্লাহ্‌ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৫. রাসূলগণ, যারা ছিলেন সুসংবাদদাতা, সতর্ককারীও (তারা এ জন্যে প্রেরিত হয়েছিলেন) যাতে (এ সকল) নবীগণের (আগমনের) পর মানুষের জন্যে আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে কোনো অযুহাত না থাকে। আর আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৬

لٰکِنِ اللّٰہُ یَشۡہَدُ بِمَاۤ اَنۡزَلَ اِلَیۡکَ اَنۡزَلَہٗ بِعِلۡمِہٖ ۚ وَ الۡمَلٰٓئِکَۃُ  یَشۡہَدُوۡنَ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ  شَہِیۡدًا ﴿۱۶۶﴾ؕ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৬. কিন্তু, হে মাহবূব! আল্লাহ্‌ সেটারই সাক্ষী, যা তিনি আপনার প্রতি অবতারণ করেছেন। তিনি তা স্বীয় জ্ঞান থেকে অবতীর্ণ করেছেন; আর ফিরিশ্‌তারাও সাক্ষী রয়েছে; এবং আল্লাহ্‌র সাক্ষ্যই যথেষ্ট।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৬. (হে হাবীব! কেউ আপনার নবুয়্যতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুক বা না করুক) বরং আল্লাহ্ (স্বয়ং এ বিষয়ে) সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, যা কিছু তিনি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন তা স্বজ্ঞানে অবতীর্ণ করেছেন, এবং সাক্ষ্য দিচ্ছেন ফেরেশতাগণও। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৭

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ صَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ  قَدۡ ضَلُّوۡا ضَلٰلًۢا  بَعِیۡدًا ﴿۱۶۷﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৭. ওই সব লোক, যারা কুফর করেছে এবং আল্লাহ্‌র পথে বাধা দিয়েছে নিশ্চয় তারা দূরের পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়েছে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৭. নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে (অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামকে মিথ্যাপ্রতিপন্ন করেছে) এবং (মানুষকে) আল্লাহ্‌র পথে বাধা দিয়েছে, অবশ্যই তারা (সত্য থেকে) ঘোরতর গোমরাহীতে বিপথগামী হয়েছে।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৮

اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا وَ ظَلَمُوۡا لَمۡ  یَکُنِ اللّٰہُ لِیَغۡفِرَ لَہُمۡ  وَ لَا  لِیَہۡدِیَہُمۡ  طَرِیۡقًا ﴿۱۶۸﴾ۙ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৮. (নিশ্চয়) যারা কুফর করেছে এবং সীমালঙ্ঘন করেছে আল্লাহ্‌ কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না; আর না তাদেরকে কোন পথ দেখাবেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৮. নিশ্চয়ই যারা (আল্লাহ্‌র সাক্ষ্য অগ্রাহ্য করে) কুফরী করেছে এবং (রাসূলের শানকে অস্বীকার করে) সীমালঙ্ঘন করেছে, আল্লাহ্ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না এবং (পরকালেও) তাদেরকে কোনো পথ দেখাবেন না,


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৬৯

اِلَّا طَرِیۡقَ جَہَنَّمَ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ  اَبَدًا ؕ وَ کَانَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ  یَسِیۡرًا ﴿۱۶۹﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৬৯. কিন্তু জাহান্নামের পথ। সেখানে তারা সদা-সর্বদা থাকবে এবং এটা আল্লাহ্‌র পক্ষে সহজ। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৬৯. জাহান্নামের পথ ব্যতীত; যাতে তারা চিরকাল থাকবে। আর এ কাজ আল্লাহ্‌র জন্যে সহজ।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭০

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ قَدۡ جَآءَکُمُ الرَّسُوۡلُ بِالۡحَقِّ مِنۡ رَّبِّکُمۡ فَاٰمِنُوۡا خَیۡرًا لَّکُمۡ ؕ وَ اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ لِلّٰہِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۱۷۰﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭০. হে মানবজাতি! তোমাদের নিকট এ রসূল সত্য সহকারে তোমাদের রবের নিকট থেকে শুভাগমন করেছেন; সুতরাং ঈমান আনো তোমাদের কল্যাণার্থে; এবং তোমরা যদি কুফর করো, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌রই যা কিছু আসমানসমূহ ও যমীনের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে; আর আল্লাহ্‌ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭০. হে মানবজাতি! নিশ্চয়ই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম) তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সত্য সহকারে আগমন করেছেন। সুতরাং তোমরা (তাঁর প্রতি) নিজেদের কল্যাণের জন্যে ঈমান আনয়ন করো। আর যদি তোমরা (তাঁর রিসালাতকে) অস্বীকার করো, তবে (জেনে রেখো, তিনি তোমাদের মুখাপেক্ষী নন, কেননা) যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং পৃথিবীতে রয়েছে, অবশ্যই (তার সবকিছু) আল্লাহ্‌রই। আর আল্লাহ্ সম্যক অবগত, প্রজ্ঞাবান।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭১

یٰۤاَہۡلَ الۡکِتٰبِ لَا تَغۡلُوۡا فِیۡ دِیۡنِکُمۡ وَ لَا تَقُوۡلُوۡا عَلَی اللّٰہِ  اِلَّا الۡحَقَّ ؕ اِنَّمَا الۡمَسِیۡحُ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ رَسُوۡلُ اللّٰہِ وَ کَلِمَتُہٗ ۚ اَلۡقٰہَاۤ اِلٰی مَرۡیَمَ وَ رُوۡحٌ مِّنۡہُ ۫ فَاٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رُسُلِہٖ ۚ۟ وَ لَا تَقُوۡلُوۡا ثَلٰثَۃٌ ؕ اِنۡتَہُوۡا خَیۡرًا  لَّکُمۡ ؕ اِنَّمَا اللّٰہُ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ ؕ سُبۡحٰنَہٗۤ اَنۡ یَّکُوۡنَ لَہٗ  وَلَدٌ ۘ لَہٗ  مَا  فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا  فِی  الۡاَرۡضِ ؕ وَ کَفٰی بِاللّٰہِ  وَکِیۡلًا ﴿۱۷۱﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭১. হে কিতাবীগণ, স্বীয় দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বলো না, কিন্তু সত্যকথা। মসীহ ঈসা, মার্‌য়াম-তনয় আল্লাহ্‌র রসূলই এবং তার একটা ‘কলেমা’, যা তিনি মরিয়মের নিকট প্রেরণ করেছেন আর তারই নিকট থেকে একটা ‘রূহ’। সুতরাং আল্লাহ্‌ ও তার রসূলগণের উপর ঈমান আনো; এবং ‘তিন’ বলো না; বিরত থাকো স্বীয় কল্যাণার্থে। আল্লাহ্‌ তো একমাত্র খোদা। পবিত্রতা তারই এ থেকে যে, ‘তার কোন সন্তান থাকবে’; তারই সম্পদ যা কিছু আসমানসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু রয়েছে যমীনে। আর আল্লাহ্‌ই যথেষ্ট কর্মবিধানে। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭১. হে আহলে কিতাব! তোমাদের ধর্মে সীমালঙ্ঘন করো না এবং আল্লাহ্‌র ব্যাপারে সত্য ব্যতীত অন্য কিছু বলো না। প্রকৃত সত্য তো এ যে, মারইয়াম তনয় ঈসা মাসীহ্ (আলাইহিমাস সালাম) আল্লাহ্‌র রাসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি মারইয়ামের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং তাঁরই (পক্ষ) থেকে এক রূহ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি ঈমান আনয়ন করো এবং বলো না যে, ‘(উপাস্য) তিনজন!’ (এ আকীদা থেকে) নিবৃত্ত হও, (তা) তোমাদের জন্যে কল্যাণকর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ই একক উপাস্য। তিনি এ থেকে পূতঃপবিত্র যে, তাঁর সন্তান রয়েছে। (সবকিছু) তাঁরই, যা কিছু আকাশমন্ডলীতে এবং যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে। আর অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭২

لَنۡ یَّسۡتَنۡکِفَ الۡمَسِیۡحُ اَنۡ یَّکُوۡنَ عَبۡدًا لِّلّٰہِ وَ لَا الۡمَلٰٓئِکَۃُ الۡمُقَرَّبُوۡنَ ؕ وَ مَنۡ یَّسۡتَنۡکِفۡ عَنۡ عِبَادَتِہٖ وَ یَسۡتَکۡبِرۡ فَسَیَحۡشُرُہُمۡ  اِلَیۡہِ جَمِیۡعًا ﴿۱۷۲﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭২. মসীহ ‘আল্লাহ্‌র বান্দা হওয়া’কে বিন্দুমাত্র ঘৃণা করে না এবং না ঘনিষ্ট ফিরিশ্‌তাগণ; আর যে আল্লাহ্‌র ‘বান্দা হওয়া’কে ঘৃণা করে ও অহংকার করে, তবে অনতিবিলম্বে তিনি তাদের সবাইকে নিজের দিকে একত্র করবেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭২. মাসীহ্ (আলাইহিস সালাম) কখনো বিব্রতবোধ করেন না যে, তিনি আল্লাহ্‌র বান্দা; আর ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাগণও না। আর যে কেউ তাঁর ইবাদতে লজ্জাবোধ করে এবং অহঙ্কার করে, তবে তিনি এ ধরণের সবাইকে অচিরেই তাঁর নিকট একত্র করবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭৩

فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَیُوَفِّیۡہِمۡ اُجُوۡرَہُمۡ وَ یَزِیۡدُہُمۡ مِّنۡ فَضۡلِہٖ ۚ وَ اَمَّا الَّذِیۡنَ اسۡتَنۡکَفُوۡا وَ اسۡتَکۡبَرُوۡا فَیُعَذِّبُہُمۡ  عَذَابًا اَلِیۡمًا ۬ۙ وَّ لَا یَجِدُوۡنَ لَہُمۡ مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰہِ  وَلِیًّا وَّ لَا نَصِیۡرًا ﴿۱۷۳﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭৩. সুতরাং ওই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং ভালোকাজ করেছে তিনি তাদের কর্মের প্রতিদান তাদেরকে পূর্ণরূপে প্রদান করবেন এবং নিজ করুণায় তাদেরকে বেশী দেবেন; আর ওই সব লোক, যারা ঘৃণা ও অহংকার করেছিলো তাদেরকে বেদনাদায়ক শাস্তি প্রদান করবেন; এবং আল্লাহ্‌ ব্যতীত নিজেদের জন্য না কোন অভিভাবক পাবে, না সহায়ক।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭৩. অতঃপর যে ব্যক্তি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, তিনি তাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার প্রদান করবেন এবং (তখন) নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো অতিরিক্ত দান করবেন। কিন্তু যারা (আল্লাহ্‌র ইবাদতে) হেয় বোধ করে এবং অহঙ্কার করে তাদেরকে তিনি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন। আর তারা নিজেদের জন্যে আল্লাহ্ ব্যতীত না কোনো বন্ধু পাবে আর না কোনো সাহায্যকারী।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭৪

یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ قَدۡ جَآءَکُمۡ  بُرۡہَانٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ نُوۡرًا مُّبِیۡنًا ﴿۱۷۴﴾ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭৪. হে মানবকুল, নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের প্রতি উজ্ব্বল আলো (নূর) অবতীর্ণ করেছি।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭৪. হে মানবজাতি! নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে (মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের সত্তার আকৃতিতে মহিমান্বিত আল্লাহ্‌র সত্তার সবচেয়ে সুদৃঢ়, পরিপূর্ণ ও সুস্পষ্ট) অকাট্য প্রমাণ এসেছে। আর আমরা (তাঁর সাথে কুরআনের আকৃতিতে) তোমাদের নিকট অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট ও প্রজ্বলিত জ্যোতি।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭৫

فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ اعۡتَصَمُوۡا بِہٖ  فَسَیُدۡخِلُہُمۡ  فِیۡ  رَحۡمَۃٍ مِّنۡہُ وَ فَضۡلٍ ۙ وَّ یَہۡدِیۡہِمۡ  اِلَیۡہِ صِرَاطًا  مُّسۡتَقِیۡمًا ﴿۱۷۵﴾ؕ 


📕 কানযুল ঈমান


১৭৫. সুতরাং ঐ সব লোক, যারা আল্লাহ্‌র উপর ঈমান এনেছে এবং তার রজ্জুকে আকড়ে ধরেছে, অদূর ভবিষ্যতে (আল্লাহ্‌) তাদেরকে স্বীয় দয়া ও অনুগ্রহের মধ্যে দাখিল করবেন এবং তাদেরকে তার দিকে সরল পথ দেখাবেন। 


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭৫. অতএব যারা আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান এনেছে এবং (আশ্রয় হিসেবে) তাঁকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে রেখেছে, অচিরেই (আল্লাহ্) তাদেরকে তাঁর (বিশেষ) অনুগ্রহ ও করুণায় প্রবিষ্ট করাবেন এবং তাদেরকে তাঁর দিকে (পৌঁছার) সরল পথ দেখাবেন।


🕋 আন নিসা আয়াত নং : ১৭৬

یَسۡتَفۡتُوۡنَکَ ؕ قُلِ اللّٰہُ یُفۡتِیۡکُمۡ فِی الۡکَلٰلَۃِ ؕ اِنِ امۡرُؤٌا ہَلَکَ لَیۡسَ لَہٗ  وَلَدٌ وَّ لَہٗۤ اُخۡتٌ فَلَہَا نِصۡفُ مَا تَرَکَ ۚ وَ ہُوَ یَرِثُہَاۤ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہَا وَلَدٌ ؕ فَاِنۡ کَانَتَا اثۡنَتَیۡنِ فَلَہُمَا الثُّلُثٰنِ مِمَّا تَرَکَ ؕ وَ  اِنۡ کَانُوۡۤا اِخۡوَۃً رِّجَالًا وَّ  نِسَآءً فَلِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ؕ یُبَیِّنُ اللّٰہُ  لَکُمۡ اَنۡ تَضِلُّوۡا ؕ وَ اللّٰہُ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ ﴿۱۷۶﴾  


📕 কানযুল ঈমান


১৭৬. হে মাহবূব! আপনার নিকট ‘ফতোয়া’ জিজ্ঞাসা করছে। সুতরাং আপনি বলে দিন! ‘আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে পিতা ও সন্তানবিহীন ব্যক্তি সম্বন্ধে ‘ফতোয়া’ দিচ্ছেন- যদি এমন কোন পুরুষ লোকান্তর হয়, যে নিঃসন্তান হয় এবং তার এক বোন থাকে তবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির মধ্যে তার বোনের জন্য অর্ধাংশ; এবং পুরুষ তার বোনের উত্তরাধিকারী হবে যদি বোনের সন্তান না থাকে। অতঃপর, যদি দু’বোন থাকে তবে পরিত্যক্ত সম্পত্তির মধ্যে তাদের জন্য দু’তৃতীয়াংশ। আর যদি ভাই বোন উভয়ই থাকে- পুরুষও, নারীও, তবে পুরুষের অংশ দু’নারীর মধ্যে সমান। আল্লাহ্‌ তোমাদের জন্য পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেন, যাতে কিছুতেই তোমরা পথভ্রষ্ট না হও এবং আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে অবহিত।


📗 ইরফানুল কুরআন


১৭৬. তারা আপনার নিকট ফতোয়া (অর্থাৎ শরঈ বিধান) জিজ্ঞেস করে। বলে দিন, ‘আল্লাহ্ তোমাদেরকে (নিঃসন্তান ও পিতৃমাতৃহীন মৃত ব্যক্তি) কালালাহর (উত্তরাধিকারের) ব্যাপারে এ বিধান দিচ্ছেন যে, যদি মৃত ব্যক্তি নিঃসন্তান হয় কিন্তু তার এক বোন থাকে, তবে তার জন্যে রেখে যাওয়া সম্পদের অর্ধাংশ। আর (যদি এর বিপরীতে বোন কালালাহ্ হয়, তবে তার মৃত্যুর পর তার) ভাই তার (পরিপূর্ণ) উত্তরাধিকারী হবে, যদি সে (বোন) নিঃসন্তান হয়। অতঃপর যদি (কালালাহ্ ভাইয়ের মৃত্যুর পর) দু’জন (বোন উত্তরাধিকারী) থাকে, তবে তাদের জন্যে পরিত্যাক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি (মৃত কালালাহর ক্ষেত্রে) কয়েকজন ভাইবোন, পুরুষ এবং নারী (উত্তরাধিকারী) থাকে, তবে প্রত্যেক পুরুষের (অংশ) দু’জন নারীর অংশের সমান। আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করছেন, যাতে তোমরা বিপথগামী না হও। আর আল্লাহ্ সকল কিছু সম্পর্কে সম্যক অবগত।



Top