৯ম অধ্যায়: দুরূদ পাঠের অগণিত ফজিলত
❏ হাদিস ১-৮২:
❏ সাক্ষাত, বিদায়, কোন মজলিশে দুরূদ পাঠ
❏ রহমত নাজিল হয়
❏ ফেরেশতাগণ কর্তৃক দুরূদ প্রেরণকারীর জন্য দোয়া প্রার্থনা
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকটবর্তী হয়ে শাফায়াত লাভ
❏ দোয়া কবুলের পূর্বশর্ত
➠দোয়া আসমান ও জমীনের মাঝখানে ঝুলন্ত থাকে
➠প্রত্যেক দো'আ পর্দাবৃত থাকে
➠দুরূদের মাধ্যমে দোয়া কবুল হয়
➠কিয়ামতের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মুসাফাহা
❏ উম্মতের জন্য মাগফিরাত ও গুনাহের কাফফারা
❏ আশি বছরের গুনাহ্ মাফ
❏ জিকির ও কুরআন তেলাওয়াতের পর দুরূদ পাঠ
❏ দুরূদ পাঠ উম্মতের জন্য পবিত্রতা
❏ অভাব ও বিপদাপদ দূরীভূত হয়
❏ কিয়ামতের দিন মুক্তি লাভ
❏ মিজানের পাল্লা ভারী
❏ আরশের ছায়াতলে অবস্থান
❏ কিয়ামতের দিন মুক্তি লাভ
❏ জান্নাত লাভ
❏ উহুদ পর্বতের সম-পরিমাণ সাওয়াব
❏ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ
❏ গোলাম আযাদ, হজ্জ্ব ও জিহাদের সমপরিমাণ সাওয়াব
❏ ৪০০ জিহাদের সওয়াব (প্রত্যেক জিহাদ ৪০০ হজ্জের সমান)
❏ ৭০জন ফেরেশতা সাওয়াব লিখতে থাকেন
❏ অযু করার সময় দুরূদ শরীফ পাঠ
❏ কানে শব্দ হলে দুরূদ শরীফ পাঠ
❏ আযাব থেকে মুক্তি
❏ নিরাপদে পুলসিরাত পার
❏ চেহারার উজ্জ্বলতা ও দুরূদ পাঠের ঘটনা
❏ দুরূদ শরীফ বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈদের رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ বাণী
❏ দুরূদ পাঠের মাধ্যমে বংশধর কল্যাণপ্রাপ্ত হয়
❏ কোন কিছু ভুলে গেলে দুরূদ পাঠ।
সাক্ষাত, বিদায় ও কোন মজলিশে দুরূদ পাঠ
❏ হাদিস ১:
ইবন হিব্বান (رحمة الله) হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) বলেন, কিছু লােক যখন কোন এক মজলিসে একত্রিত হয় এবং আল্লাহর যিকির ও নবী করীম (ﷺ)-এর উপর দুরূদ পড়া ছাড়া ঐ মজলিস ত্যাগ করে, তবে রােজ কিয়ামতে সেই মজলিস তাদের জন্য আফসােসের কারণ হবে। এমনকি যদিও সে সব লােক জান্নাতে প্রবেশ করে (কিন্তু তাদের অন্তরে সর্বদা আফসােস অনুভূত হবে)।
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইবনু হিব্বান, সহীহ, ২:৩৫২, নং-৫৯১।
(২) ইবনু আবি আসিম, কিতাবুয যুহুদ, ১:২৭।
(৩) মুনযিরী, তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২:২৬৩, নং-২৩৩১।
(৪) হাইছামী, মাওয়ারিদুয যামআন, ১:৫৭৭, নং-২৩২২।
(৫) হাইছামী, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১০:৭৯, ।
❏ হাদিস ২:
তিরমিযি শরীফে হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যে সকল লোক কোন মজলিশে বসে, আর তাতে আল্লাহ্ তাআলার যিকির করল না এবং তাঁর নবী আকরাম (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফও পাঠ করল না, কিয়ামতের দিন ঐ মজলিশ তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে (আল্লাহ্ তা'আলা) চাইলে তাদেরকে আযাব দিবেন, নতুবা ক্ষমা করে দিবেন।”
তথ্যসূত্রঃ
(১) ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, ১/৬৭৪ পৃ. হা/১৮২৬,
(২) তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৩৯১,
(৩) আল্লামা মুত্তাকি হিন্দি, কানযুল উম্মাল, ৯/১৪১ পৃ. হা/২৫৪১০,
(৪) ইমাম ইবনে আছির, জামেউল উসূল, ৪/৪৭২ পৃ. হা/২৫৫৭,
(৫) হাইসামী, মাওয়ারেদুয যামান, হা/২৩২১,
(৬) মিশকাত শরীফঃ বাবে যিকিরিল্লাহ অধ্যায়ঃ হাদিস নং-২১৬৫
(৭) ইমাম সুয়ূতি, খাসায়েসুল কোবরা, ২/৪৫৪ পৃ. ২/২৫।
(৮) ইমাম কাস্তালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৩য় খন্ড, ৪২৪ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী।
❏ হাদিস ৩:
ইমাম ইসমাঈল কাযী (رحمة الله) হযরত আবু সাঈদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন,
"কোন গােত্র বৈঠক করে আর খাড়া হয়ে যায়, আর নবী আকরাম (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফ না পড়ে। তাহলে এ মজলিশ তাদের আক্ষেপের কারণ হবে। আর যদি তারা জান্নাতে প্রবেশ করে, তাহলে সাওয়াব পাবে না।"
[নাসাঈ, আস-সুনানুল কোবরা, হা/১০২৪৩, ইমাম কাস্তালানীঃ আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যাহঃ ৩য় খন্ড, ৪২৪ পৃ, সাকলাইন প্রকাশনী]
❏ হাদিস ৪:
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, “যে লোক নিজেদের মজলিশ থেকে আল্লাহ তাআলার যিকির এবং হুযুর (ﷺ) এর উপর দুরূদ শরীফ পাঠ করা ব্যতীত উঠে যায়, তবে সে দুর্গন্ধময় লাশ থেকে উঠল।” (শুয়াবুল ঈমান, ২য় খন্ড, ২১৫ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৫৭০)