কোন সম্মানী ব্যক্তির আগমনে দাঁড়ানো এবং
না‘রা বা তাকবীর ধ্বনি দেয়ার বর্ণনা-
❏ প্রশ্ন-১২৫ঃ কোন সম্মানিত ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির আগমনে না‘রা বা তাকবীর দেয়ার বিধান কী?
✍ উত্তরঃ এটা সুন্নাত ও সওয়াবের কাজ। আর উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উত্তম আদর্শ ও ভদ্রতার পরিচায়ক। পবিত্র কা’বা ঘর পুনঃনির্মাণকালে সৃষ্ট জটিলতা হুযূর কর্তৃক নিরসন ও সমাধানের পর আনন্দিত হয়ে উপস্থিত সবাই না‘রা দেয়। যখন হুযূর এর বয়স ৩২ বছর তখন কুরাইশগণ কা’বা শরীফকে নতুন করে নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যেহেতু পূর্বের নির্মাণ এত সুদৃঢ় ও মজবুত ছিল না যে, বন্যার প্লাবন মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আর পবিত্র কা’বাও ছিল তখন সকল গোত্রের উপসনালয়। সে কারণে সকলেই আগ্রহী ছিল যে, উক্ত পূণ্যময় নির্মাণ কাজের সৌভাগ্য অর্জন করবে। তাই প্রত্যেক গোত্রের লোকেরা ভাগাভাগি করে কা’বা শরীফের দেয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু ‘হাজরে আসওয়াদ’ নির্ধারিত স্থানে রাখার প্রাক্কালে চরম জটিলতা দেখা দেয় এবং বিরোধ ও ঝগড়া চরম পর্যায়ে চলে যাওয়ার কারণে যুদ্ধ বেধে যাওয়া উপক্রম হয়ে যায়। পরিশেষে কুরাইশ গোত্রের সবচেয়ে বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তি আবু ইলাহিয়া ইবনে মুগীরা সিদ্ধান্ত দেন যে, আগামীকাল সকালে যে ব্যক্তি সবার আগে হেরম শরীফে প্রবেশ করবেন তিনিই উক্ত সমস্যার ফয়সালা করবেন এবং তিনিই উক্ত কাজের উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবেন। মহান আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছেও ছিল যে, কা’বা শরীফের নির্মাণ কাজ তাঁর প্রিয় হাবীব এর মাধ্যমে সমাপ্ত ও পূর্ণতা দান করবেন।
সুতরাং আগামীকাল সকালে সর্বপ্রথম যিনি হেরেম শরীফে তাশরীফ নিলেন, তিনি ছিলেন আল্লাহর প্রিয় হাবীব মোস্তফা(ﷺ) । তাঁর আগমণে সকলেই খুশী হয়ে উচ্চস্বরে ‘নারায়ে তাকবীর’ ধ্বনি উচ্চারণ করেন এবং বলতে থাকেন- এসেছেন আল-আমীন অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তাদানকারী এসেছেন। তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা সকলেই তা মেনে নেব। আর হুযূর (ﷺ) এমনভাবে সিদ্ধান্ত দিলেন যে, তা সকলেই সানন্দে গ্রহণ করেন এবং মেনে নেন।