নেফাসের বর্ণনা
মাসআলাঃ ফরয গোসলের এক প্রকার, নেফাস বন্ধ হওয়ার পরে যে গোসল করা হয়।
প্রকাশ থাকে নেফাস ঐ রক্তকে বলা হয়, যা সন্তান প্রসবের পর জরায়ু তথা বাচ্চাদানী থেকে যে রক্ত বের হয়ে থাকে। ১৪
➥১৪. তানবীরুল আবছার, দুররে মুখতার।
মাসআলাঃ নেফাসের নিম্নতম কোন সময় নেই। তবে সর্বোচ্চ সময়সীমা হচ্ছে চলিশ দিন। এর চেয়ে বেশী নেফাসের সময়সীমা নেই। ১৫
➥১৫. তানবীরুল আবছার।
মাসআলাঃ যদি কোন মহিলার সন্তান অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হয় এক্ষেত্রে যদি খুন তথা স্রাব প্রবাহিত হয়, তবে তার উপর নেফাসের হুকুম আরোপিত হবে। নতুবা আহত বলে গণ্য হবে এবং নামায রোযা সব আদায় করবে।
মাসআলাঃ অপারগ ঐ ব্যক্তিকে বলা হয় যার অপারগতা এক নামাজের পূর্ণ ওয়াক্তের সমান বিদ্যমান থাকে এবং তা নিজে দূর করার ক্ষমতা না হয়। যেমন নাক দিয়ে রক্ত চালু থাকে অথবা ইস্তেহাজা কিংবা বায়ু কিংবা পেশাব নির্গমণ (বের হওয়া) অথবা শরীরের কোন স্থান হতে পুঁজ কিংবা পানি বের হওয়া।
তার হুকুম এই যে, সে প্রত্যেক নামাজের জন্য নতুন ওজু করবে এবং এ অযু দ্বারা এ ওয়াক্তের মধ্যে যা চাইবে ফরয ও নফল আদায় করতে পারবে। যখন ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে অথবা অন্য কোন অযু ভঙ্গের কারণ পাওয়া যাবে তখনই অপারগের অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন: এক মুস্তাহাজা মহিলা জোহরের অযু করল। এখন সে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মুহাম্মদ (رضي الله عنه) এর মতানুযায়ী ঐ অযু দ্বারা জোহরের ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত নামাজ, যা ইচ্ছা করবে তা পড়তে পারবে। যখন জোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে তখন অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি ঐ মহিলার অযু ভঙ্গের অন্য কোন কারণ ওয়াক্তের ভিতর পাওয়া যায়। যেমন- নাক থেকে রক্ত জারী হওয়া, তাহলে ঐ দ্বিতীয় হদছ পাওয়া যাওয়ার কারণে অযু ভঙ্গ হবে। প্রথম অর্থাৎ ইস্তেহাজার কারণে নয়। ১৬
➥১৬. আলমগীরী, দুররে মুখ্তার।
মাসআলাঃ যদি কারো অপারগতা পূর্ণ ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে বরং কোন কোন সময় কিছুক্ষণ বিদ্যামান থাকার পর তা দূর হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে যার অপারগতা মাঝে মধ্যে কিছু সময়ের জন্য দূর হয়ে যায়, এ দূর হওয়াটা দূর না হওয়ার মতই অর্থাৎ তাকে অপারগই মনে করতে হবে। ১৭
➥১৭. দুররে মুখ্তার।
মাসআলাঃ মাঝে মধ্যে ওজর কিছু সময়ের জন্য দূর হলে তা দূর না হওয়ার মত অর্থাৎ তাকে অপারগই ধরতে হয়। এ সামান্য সময় বলতে ঐ পরিমাণ সময়কে বুঝানো হয়েছে, যে সময়ের ভিতরে অপারগ ব্যক্তি অপারগতা হতে খালী থেকে পূর্ণ এক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারে। ১৮
➥১৮. ফতোওয়ায়ে শামী।