কথা বলার পদ্ধতি!

<div>কিছু মানুষের অভ্যাসই এমন, তারা খুব উচ্চ আওয়াজে কথা বলে। এটা ছোটবেলা থেকেই নিত্য অভ্যাসে পরিনত হওয়ার করণে পরবর্তীতে চাইলেও এটা ত্যাগ করতে পারে না।</div><div><br></div><div>তাই বাচ্চাদেরকেও ছোটবেলা থেকেই নম্র-কোমল আওয়াজে কথা বলার তরবিয়্যত দিন। যেন খুব চিৎকার করে নয় বরং মধ্যম আওয়াজে কথা বলে। আর মিম্বর-মেহরাব এর মুবাল্লিগদেরও এ বিষয়টি বিশেষ করে খেয়াল রাখা উচিত। </div><div><br></div><div>যাতে তাদের বয়ান-লেকচার মানুষের কানের ওপর বোঝা না হয়ে দাঁড়ায়। এখন তো প্রয়োজনের অধিক সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবহারও মানুষের কষ্টের কারণ হয়। কোমল ভাষায় কথা বলা, মনযোগসহকারে কথা শোনা এটা কথা বলার আদবের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অতিরিক্ত আওয়াজ মানুষ ৪৫ মিনিট এর বেশি শুনতে পারে না৷ তারপরেও যদি আপনার সামনে বসে থাকে তাহলে সেটা তার ওপর বোঝা হচ্ছে। সে কখনো আপনার কথাগুলোকে মনযোগের সাথে নিচ্ছে না। দুনিয়ার বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলোতে লক্ষ টাকা ব্যয় করে লেকচারার আনা হয়। তার মানে এই নয় যে সে ঘন্টার পর ঘন্টা লেকচার দিতে থাকে। তার লেকচারের পিরিয়ড ৩০-৪০ মিনিটই হয়। মানুষের আরামের সাথে শোনার একটা পিরিয়ড আছে।</div><div><br></div><div>আর এ সম্পর্কে ওনার চেয়ে ভালো কে বলবে যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলছেন–</div><div><br></div><div>'পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।' -সূরা লোকমান, আয়াত: ১৯</div><div><br></div><div>শুধু চিৎকার-চেচামেচি করে আওয়াজ করলেই মানুষের মনযোগ পাওয়া যাবে, মানুষ আমার কথায় আন্দোলিত হবে এমন টা নয়। উচ্চ আওয়াজের কারণে কথা মানুষের হৃদয়ে যায় না, যায় দলিল দ্বারা। মাওলানা রুমি আলাইহির রাহমা বলেন– বজ্রপাতের বিকট আওয়াজে তো ফুল ফুটে না; ফুল ফুটে রিমঝিম বৃষ্টির বর্ষণে।</div><div><br></div><div>~স্বাধীন আহমেদ আত্তারী</div>

কথা বলার পদ্ধতি!

কিছু মানুষের অভ্যাসই এমন, তারা খুব উচ্চ আওয়াজে কথা বলে। এটা ছোটবেলা থেকেই নিত্য অভ্যাসে পরিনত হওয়ার করণে পরবর্তীতে চাইলেও এটা ত্যাগ করতে পারে না।তাই বাচ্চাদেরকেও ছোটবেলা থেকেই নম্র-কোমল আওয়াজে কথা বলার তরবিয়্যত দিন। যেন খুব চিৎকার করে নয় বরং মধ্যম আওয়াজে কথা বলে। আর মিম্বর-মেহরাব এর মুবাল্লিগদেরও এ …

Read more »

দৈনন্দিন জীবনে আমল

<div style="text-align: justify;">দৈনন্দিন জীবনে আমল</div><div style="text-align: justify;">সকল শ্রেণীর মুসলমানদের জন্য জরুরী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উভয় জগতে কামিয়াবীর জন্য হক্কানী উলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গানে দীনের সাথে মুহাব্বত ও শ্রদ্ধা রাখা জরুরী। আল্লাহ তা‘আলাকে পাওয়া এবং হেদায়েতের উপর কায়েম থাকার জন্য আল্লাহওয়ালাদের সোহবত অপরিহার্য বিষয়। (সুরায়ে তাওবা ১১৯, সূরায়ে নাহল ৪৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নিচের কাজগুলো সারাজীবন আনজাম দিতে হবেঃ<br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ক. ঈমানী বিষয়ের তা‘লীমের মাধ্যমে নিজের ঈমান ও আক্বীদা বিশ্বাসকে সঠিক করতে হবে এবং ঈমানকে কুফরী ও শিরকী বিশ্বাস থেকে হেফাজত করতে হবে এবং ঈমানী দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানকে মজবুত ও পোক্তা করতে হবে। (সূরায়ে নিসা ১১৫, সূরায়ে বাকারা ১৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খ. ইবাদাত তথা নামায, রোযা, কুরআনে কারীমের তিলাওয়াত, যাকাত, হজ্জ্ব ইত্যাদি ইবাদাতসমূহ সুন্নাত মুতাবিক সুন্দরভাবে করতে হবে। এর জন্য হক্কানী আলেমদের মজলিসে শরীক হয়ে নামায ও অন্যান্য আমলের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। (সূরায়ে আলে ইমরান ৩১, তিরমিযী ২৬৭৮, মুয়াত্তা মালেক ৪৩৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গ. মু‘আমালাত তথা হালাল রিযিকের পাবন্দী করবে। সুতরাং ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, কৃষিজীবীসহ সকল স্তরের উপার্জনকারী স্ব-স্ব পেশার হালাল-হারাম কোন হক্কানী মুফতী থেকে ভালভাবে জেনে নিবে। কারো ইনতিকাল হলে মীরাছ বণ্টনে দেরী করবে না, তার কোন ইয়াতীম বাচ্চা থাকলে তার অংশ খুব হেফাজত করবে, তার মাল খাওয়া থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকবে। হালাল রিযিক ইবাদতের দিকে ধাবিত করে আর হারাম রিযিক গোনাহের দিকে ধাবিত করে। (সূরায়ে মুমিনূন-৫১, সূরায়ে বাকারাহ-১৬৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘ. মু‘আশারাত তথা বান্দার হক বিশেষ করে পিতা-মাতা, বিবি বাচ্চা ও অন্যান্যদের হক হক্কানী উলামায়ে কেরাম থেকে জেনে নিয়ে তা পরিপূর্ণভাবে আদায় করবে। কারো হক নষ্ট করবে না। কাউকে অনর্থক কষ্ট দিবে না। এমনকি জীব-জন্তুকে কষ্ট দেয়া থেকেও বিরত থাকবে। নিজের হক উসুলের তুলনায় অন্যের হক আদায় করাকে প্রাধান্য দিবে। আল্লাহর হক আল্লাহ হয়তো মাফ করে দিবেন কিন্তু বান্দার হক তিনি মাফ করবেন না। হাশরের ময়দানে পাওনাদারকে নেকী দিতে হবে কিংবা তার গোনাহের বোঝা বহন করতে হবে। (সূরায়ে নিসা ৩৬, বুখারী শরীফ ৬৪৮৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঙ. তাযকিয়াহ তথা আত্মশুদ্ধির ফিকির রাখবে। কুরআনে কারীমে আত্মশুদ্ধির গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে যত কসম ব্যবহৃত হয়েছে অন্য কোন হুকুমের ব্যাপারে তা হয়নি। সুতরাং অন্তরের দশটি মন্দ স্বভাব তথা আধ্যাত্মিক রোগ বা গুনাহ সংশোধনের মাধ্যমে যাবতীয় গুনাহ পরিত্যাগ করার জন্য এবং অন্তরের দশটি ভাল স্বভাব অর্জনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কোন আল্লাহওয়ালা শাইখের সাথে সরাসরি অথবা চিঠিপত্রের মাধ্যমে ইসলাহী সম্পর্ক রাখাকে ফরয মনে করবে। এবং সুযোগমত তাদের মজলিসে বসতে চেষ্টা করবে। (সূরায়ে শামস-৯-১০, মুসলিম শরীফ হাঃ নং ১৫৯৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* এই পাঁচটি বিষয়ের ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরযে আইন এবং এ পাঁচ বিষয়ের উপর আমলকারীকে মুত্তাকী বা আল্লাহওয়ালা বলা হয় এবং প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য আল্লাহওয়ালা হওয়া ফরয। (বাকারা-১৭৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর দীনের জন্য সময় ফারেগ করা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখিত পাঁচটি বিষয়ের উপর আমল করার লক্ষ্যে সারা জীবন দাওয়াত, তা‘লীম, তাযকিয়াহ-এই তিন প্রকার মেহনতের জন্য সময় বের করবে। এর কোন একটির জন্য মেহনত করাকে যথেষ্ট মনে করবে না। এ তিনটির ব্যাখ্যা হক্কানী উলামায়ে কেরাম থেকে জেনে নিবে। (বাকারা-১২৯, আলে ইমরান-১৬৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দৈনন্দিন আমল</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জামা‘আতের সাথে নামায আদায় করা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করবে। জামা‘আতের সাথে নামায পড়া ওয়াজিব। জামা‘আত তরককারী ফাসিক হিসেবে গণ্য হবে। তাহাজ্জুদ সহ অন্যান্য নফল নামায পড়বে। মহিলাদের জন্য বিনা উযরে মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে শরীক হওয়া নাজায়িয ও গুনাহ। (বাকারা-৪২, বুখারী-৯৬)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গুনাহ বর্জন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শিরক বিদ‘আত ও গুনাহ থেকে কঠোরভাবে বেঁচে থাকবে। একটি গুনাহই মানুষকে দোযখে নিয়ে যেতে পারে। নেক কাজ দুধের মত আর গুনাহ হল বিষের মত। উভয়টি একত্রিত হলে বিষের ক্রিয়াই প্রকাশ পায়। (আনআম-১২০, মিশকাত-২২৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুন্নাতের অনুসরণ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রতিটি কাজ নবীজীর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুন্নাত অনুযায়ী করার জন্য সুন্নাত শিখতে থাকবে, সুন্নাতের প্রশিক্ষণ নিবে এবং তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সহজ সুন্নাতকে (তথাঃ ক. পরস্পর সালাম আদান প্রদান। খ. উপরে উঠতে আল্লাহু আকবার বলা। নিচে নামতে সুবহানাল্লাহ বলা। সমতলে চলতে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র যিকির করা। গ.প্রত্যেক ভাল কাজে ডানকে প্রাধান্য দেওয়া। নিম্ন কাজে বামকে প্রাধান্য দেওয়া) আমলে আনবে। যাতে করে অবশিষ্ট সকল সুন্নাতের উপর আমল করা সহজ হয়ে যায়। (আলে ইমরান-৩১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআন শরীফ তিলাওয়াত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআনে কারীমের সহীহ শুদ্ধ তিলাওয়াত করবে। এটা ফরয। সূরা কিরা‘আত অশুদ্ধ তিলাওয়াত করা বড়ই আফসোসের বিষয়। ফরয তরককারী কখনো আল্লাহর ওলী হতে পারে না। প্রতিদিন এক পারা করে কুরআন তিলাওয়াত করতে চেষ্টা করবে। এজন্যই কুরআনকে ত্রিশ পারায় বিভক্ত করা হয়েছে। যারা হাফেয তারা তিন পারা করে তিলাওয়াত করবে। তবে সাধারণ অবস্থায় সাত দিন বা তিন দিনের কমে খতম করবে না। কেননা, হাদীস শরীফে তাড়াহুড়া করে খতম করতে নিষেধ করা হয়েছে। বাদ ফজর সূরায়ে ইয়াসীন, বাদ মাগরিব সূরায়ে ওয়াক্বিয়াহ ও শোয়ার পূর্বে সূরায়ে মুলক তিলাওয়াত করবে। (আবু দাউদ-১৩৮৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফরয নামাযের পরে ওজীফা পড়বে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে তিনবার ইস্তিগফার পড়বে। (তাবারানী কাবীর-৮৫৪১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">أَسْتَغْفِرُ الله الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এবং এ দু‘আটি পড়লেও ভাল হয়। (বুখারী শরীফ-১/১১৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরো কিছু দু‘আ কালাম আছে যা ফরযের পর সুন্নাত ও নফল থাকলে, সুন্নাত ও নফলের পরে পড়বে। আর সুন্নাত নফল না থাকলে ফরযের পরে পড়বে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(ক) আয়াতুল কুরসী, একবার। (নাসাঈ-৯৮৪৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(খ) সূরা ফালাক, সূরা নাস-তিনবার করে, এর সাথে সূরায়ে কাফিরুন ও ইখলাস মিলিয়ে নিলে ভাল। (তিরমিযী-২৯০৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(গ) তাসবীহে ফাতেমী একবার। (৩৩ বার سُبحَا نَ ا لله, ৩৩ বার اَلحَمدُ لِلّهِ, ৩৪ বার اَللهُ اَكبَر) (মুসলিম ৫৯৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এগুলো পাঁচ ওয়াক্তেই পড়বে। শুধু ফজর ও মাগরিবে এ তিনটির আগে নিচের দুটি পড়বে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(ঘ) اللَّهُمَّ أجِرْنِي مِنَ النَّارِ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(ঙ) ফজর ও মাগরিবের পর পড়বে-৩ বার اعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم পড়ে, বিসমিল্লাহ পড়ার পর ১ বার سورة الحشر এর শেষ ৩ আয়াত পড়বে। (তিরমিযী, ২ : ১২০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিঃদ্রঃ হাদীসে আরো কিছু দু‘আ আছে, সুযোগ হলে সেগুলোও পড়বে। জুমু‘আর দিন আসরের পরে এই দুরুদটি ৮০ বার পড়বে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍن النَّبِيِّ الأُمَّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسلم تَسْلِيمًا</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* তাছাড়া প্রতিদিন যে কোন সময় একশবার দুরূদ শরীফ পড়বে। (আদদুররুল মানদূদ-১৬০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* প্রতিদিন মুনাজাতে মকবূল থেকে এক মনযিল পাঠ করতে চেষ্টা করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* আল্লাহ তা‘আলার যিকির করবে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* তাহাজ্জুদের পরে বা ফজরের পরে অথবা যখন সুযোগ হয় আসন দিয়ে বসবে। তারপরে কয়েকবার ইস্তিগফার ও কয়েকবার সহীহ দরূদ শরীফ পড়বে। (ইবনে হিব্বান-৮১৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* তারপরে কসদুস সাবীলের বর্ণনা অনুযায়ী যিকির করবে। যিকিরের সময় শরীর সামান্য হেলাবে। যথেষ্ট পরিমাণ সময় না পেলে বা অন্য কোন সমস্যা হলে বার তাসবীহ এর যিকির করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* বার তাসবীহ এর যিকিরের বিবরণ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ২০০ বার (১০/১৫ বার পর পর পূর্ণ কালেমা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইল্লাল্লাহ ৪০০ বার। (প্রত্যেকটায় একবার পরে শ্বাস ফেলবে।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহু আল্লাহ ৬০০ বার। (প্রথমটার শেষে পেশ।)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ ১০০ বার। (শেষে সাকিন।)</div>

দৈনন্দিন জীবনে আমল

দৈনন্দিন জীবনে আমলসকল শ্রেণীর মুসলমানদের জন্য জরুরীউভয় জগতে কামিয়াবীর জন্য হক্কানী উলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গানে দীনের সাথে মুহাব্বত ও শ্রদ্ধা রাখা জরুরী। আল্লাহ তা‘আলাকে পাওয়া এবং হেদায়েতের উপর কায়েম থাকার জন্য আল্লাহওয়ালাদের সোহবত অপরিহার্য বিষয়। (সুরায়ে তাওবা ১১৯, সূরায়ে নাহল ৪৩)নিচের কাজগুলো সারাজী…

Read more »

মানযুর আহমদ রিফায়ী (রহ.) এক অমরসত্ত্বা

<div style="text-align: justify;">মানযুর আহমদ রিফায়ী (রহ.) এক অমরসত্ত্বা</div><div style="text-align: justify;">Manjur Ahmed Refayi (R.A)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">পরিচিতি: আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মানযুর আহমদ উয়েসী রিফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন একজন আশেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সুফিসাধক। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, নবীপ্রেমে নিবেদিত অসংখ্য ক্বাসিদা নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জন্ম: শায়খ মানযুর আহমদ রিফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ১৯৪২ সালের ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মুহাম্মাদ বোরহানুদ্দীন উয়েসী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন সুফি সাধক, মাতা জামিলা খাতুন। বংশীয়ভাবে তাঁরা ছিলেন শায়খ সায়্যিদ। জানা যায়, তাঁদের পুর্বপুরুষ আরব দেশ থেকে দ্বীন প্রচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে হিজরত করেন। পরবর্তীতে চাঁদপুর মতলবের ফরাজীকান্দী গ্রামে বসতি স্থাপন করেন।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">শিক্ষা জীবন: তিনি ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা থেকে মুমতাযুল মুহাদ্দিস, মুমতাযুল ফুকাহা (মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে) কৃতিত্বের সাথে উত্তির্ণ হন। পাশাপাশী প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজে কৃতিত্বের সাথে (ফাস্ট ক্লাস) অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে মেধা তালিকায় প্রথম হয়ে এল.এল. বি সম্পন্ন ও “ইমাম বাহাউদ্দীন নকশবন্দি ও নকশবন্দিয়া তরিকা” শীর্ষক উচ্চতর গবেষনামূলক থিসিস রচনা করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বেশ কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উর্দু ভাষার উপর ডিপ্লোমা এবং এস.সি.পি ইন পারসিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পন্ন করেন। এছাড়া মাতৃভাষা বাংলার পাশাপাশী আরবী, ইংরেজী ও হিন্দী ভাষাতেও তিনি পারদর্শী ছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামে অবদান: তাঁর পিতা শায়খ বোরহানুদ্দীন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ৯ মে, ১৯৬৪ইং ইন্তেকালের পর ১৯৬৪ সাল থেকে সুদীর্ঘ ৪৮ বছর অত্যন্ত দক্ষতা, বিচক্ষণতার সাথে তিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত ফরাজীকান্দী ঊয়েসীয়া শরীফের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শায়খ বোরহানুদ্দীন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রায় বিশটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আল আমিন ইয়াতিমখানা, ঊয়েসীয়া আলীয়া মাদ্রাসা, খাজা গরীবে নেওয়াজ হাসপাতাল, জিলানীয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল ইত্যাদি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সেই আদর্শ ও অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহনের এক বছরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার মধ্যে শায়খ মানযূর আহমাদ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রতিষ্ঠা করেন একুশতম প্রতিষ্ঠান “শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ”। যা ঢাকা মহানগরীর প্রথম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এছাড়া তাঁর দায়িত্বকালীন সময়ে দেশ বিদেশে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইয়াতিম খানা, হেফজ খানা, মসজিদ, যুব প্রশিক্ষণ, মহিলা মাদ্রাসা, পাঠাগার, বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, কিন্ডারগার্টেন, চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ও কমপ্লেক্স গড়ে ওঠে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা (১৯৭৮- ৮০) ও অন্যান্য জাতীয় দায়িত্ব পালন করেন। সুন্নিয়ত প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান অপরিসীম। বিশেষকরে বাংলাদেশে হানাফী মাযহাব ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা প্রতিষ্ঠায় তাঁর কার্যক্রম ছিলো বহুমাত্রিক।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">পদকপ্রাপ্ত: বাংলাদেশের সর্বত্র সমাজ সেবায় অসমান্য অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে তিনি কুমিল্লা ফাঊন্ডেশন কর্তৃক “স্বর্ণপদক” প্রাপ্ত হন। সমাজ সংস্কার ও উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হন। ২০১৫ সালে সুন্নিয়ত প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদানের জন্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ইসলামী ছাত্র সেনা তাঁকে মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">গবেষনা ও প্রকাশনা: শায়খ মানযূর আহমদ উয়েসী নকশবান্দী রিফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হচ্ছেন বাংলা ভাষায় নবী প্রেমে নিবেদিত সর্বাধিক ক্বাসিদার রচয়িতা। তাঁর মৌলিক ক্বাসিদার গ্রন্থ- পরশ মনি,আশিক্বী (দুই খন্ড)। এছাড়া ইলমে তাসাউফের ঊপর ‘আধ্যাত্মিক বিজ্ঞান’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রনয়ণ করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">খিলাফত প্রাপ্তি: আশির দশকের দিকে টানা এগারো বছর (১৯৭৮-১৯৮৯) মদীনা শরীফের বিখ্যাত শায়খ মুহাম্মাদ আদিল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর শিক্ষালয়ে অনুবাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাগদাদ শরীফে দরবারের বড়পীর গাউসে পাক আব্দুল ক্বাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর আউলাদ সায়্যিদ ইউসুফ আল জিলানী সাহেব কিবলা কর্তৃক কাদিরিয়া ত্বরিকায় এবং শায়খ ফাহমী শাজুলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক তিনি শাজুলিয়া ত্বরিকায় বায়াত ও খিলাফত প্রাপ্ত হন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শায়খ মানযূর আহমাদ উয়েসী নকশবান্দী রেফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মাধ্যমেই প্রথম রিফাইয়া, সাম্মানিয়া, তিযানিয়া তরিকা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তিনিই ছিলেন রিফাইয়া তরিকার শায়খ আউলাদে রাসূল সায়্যেদ ইউসুফ হাশেম আল রিফায়ী’র (মা.জি.আ) বাংলাদেশের প্রথম ও প্রধান খলিফা। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন তরিকায় খিলাফতপ্রাপ্ত হন। সেগুলো হলো- ক্বাদেরিয়া, চিশতিয়া (চিশতিয়া আলীয়া, চিশতিয়া সাবেরিয়া, চিশতিয়া নিযামিয়া), নকশবন্দিয়া, মুজাদ্দেদিয়া, আহমাদীয়া, মুহাম্মাদীয়া, উয়েসীয়া, সোহরাউয়ারদিয়া, রিফাইয়া, উসমানীয়া, শাযুলিয়া, জাযুলিয়া, সাম্মানিয়া, তিযানিয়া তরিকা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">সফর: দ্বীন,সুন্নিয়ত ও ত্বরিকা প্রচারে তিনি প্রায় ১৩ টি দেশ ভ্রমণ করে বিশ্ববিখ্যাত আউলিয়া কেরামের রওদ্বা শরীফ যিয়ারত এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশেষ দাওয়াত প্রাপ্ত হয়ে অংশগ্রহন করেন। ১৯৯৬ সালে আমেরিকার শিকাগোতে অনুষ্ঠিত ‘আন্তর্জাতিক ঈদে মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কনফারেন্সে’ তিনি বাংলায় স্বরচিত কাসিদা পাঠ করে বাঙলা ভাষার মর্যাদাকে বিশ্ব দরবারে সমুন্নত করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কারামত: তিনি আশেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লামা শায়খ মানযুর আহমদ রিফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর আজীবন সাধনা ছিলো হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামার কদম মুবারকে স্থান পাওয়ার। বিভিন্ন ক্বাসিদার মাঝে তাঁর এই নেক ইচ্ছা বারংবারই পরিলক্ষিত হয়। বিস্ময়করভাবে তাঁর এই আরজু যে কবুল হয়েছে এবং শেষ ঠিকানা যে জান্নাতুল বাকীতে হবে সেই সুসংবাদের ইশারাও তিনি তাঁর অসংখ্য ক্বাসিদাতে বর্নিত করেছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওফাত: তাঁর সাধনা, আরজু বাস্তবে পরিণত করে হাজ্বের সফরে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর ১৫ জিলক্বদ সোমবার সকালে মদীনা শরীফে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বাদ আসর মাদীনা শরীফের প্রখ্যাত সুন্নী আলেম শায়খ হুজাইফী (মা.জি.আ) এর ইমামতীতে মসজিদে নববীতে নামাজে জানাজা শেষে জান্নাতুল বাকীতে তাঁকে দাফন করা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

মানযুর আহমদ রিফায়ী (রহ.) এক অমরসত্ত্বা

মানযুর আহমদ রিফায়ী (রহ.) এক অমরসত্ত্বাManjur Ahmed Refayi (R.A) পরিচিতি: আল্লামা শায়খ সায়্যিদ মানযুর আহমদ উয়েসী রিফায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন একজন আশেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সুফিসাধক। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, নবীপ্রেমে নিবেদিত অসংখ্য ক্বাসিদা নাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আ…

Read more »

অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী একজন সফল উস্তাজুল ওলামা

<div style="text-align: justify;">অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী একজন সফল উস্তাজুল ওলামা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">জন্ম: অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল-ক্বাদেরী, পিতা: মরহুম আলী আহমদ চৌধুরী, মাতা: মরহুমা ছুফিয়া খাতুন এর গৃহে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলাধীন চরকানাই গ্রামে ২৯ জুলাই ১৯৪৪ইং সালে জন্ম গ্রহন করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শিক্ষাজীবন: তিনি ছোট বয়সে ঘরোয়া পরিবেশে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বাল্য বয়সে পবিত্র কুরআন মাজীদের দরস নেন এবং স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখা পড়া শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। অত:পর বরিশাল ছারছিনা দারুচ্ছুন্নাহ আলিয়া মাদ্রাসা হতে কামিল ফিক্বহ পরীক্ষায় সারাদেশে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অর্জন করেন। তিনি আল্লামা সৈয়দ তৈয়্যব শাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুর হাতে বায়াতের মাধ্যমে ক্বাদেরীয়া ত্বরীকা গ্রহন করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কর্মজীবন: ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তাঁর পীরের নির্দেশে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস পদে যোগদান করেন। ১৯৮০-৮১ সালে উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ-এর দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮১ সালে অধ্যক্ষ পদে আসন গ্রহন করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের একজন খ্যাতনামা বক্তা ও মুনাযির। দেশ-বিদেশে তার অসংখ্য ছাত্র রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পদকপ্রাপ্ত: শিক্ষকতায় পারদর্শিতা, প্রশাসনিক দক্ষতা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার জন্য ২০১১ ও ২০১৪ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ-এর খ্যাতি অর্জন করে স্বর্ণ পদক লাভ করেন। তার আমলেই চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-এর স্বীকৃতি পায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দায়িত্ব পালন: আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী প্রাথমিক অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরের একটি মসজিদের খতিব ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে দেশে ২য় জাতীয় মসজিদ ‘জমিয়তুল ফালাহ’ এর খতিব নিযুক্ত হন এবং ইন্তেকালপূর্ব পর্যন্ত খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি মাসিক তরজুমান নামক একটি পত্রিকার সম্পাদক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের মহাসচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর গভর্নর এর দায়িত্বও পালন করেন।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">অবদান: আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী ১ মুহাররাম থেকে ১০ মুহাররাম পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপী শাহদাতে কারবালা মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেন যা আজও প্রচলিত রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ টিভি ও বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে নিয়মিত ইসলামী চরিত্র, পরিবার ও সমাজ গঠন সম্পর্কিত ইসলামী বক্তব্য দিতেন। তাছাড়াও তিনি অসংখ্য মানুষকে সঠিক সরল ও মাদানী জীবন-যাপনের আহবান জানান। সারা দেশে তার অসংখ্য শুভাঙ্খংকী ও ভক্তবৃন্দ রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রকাশনা: দরসে কুরআনুল করীম ১ম ও ২য় খন্ড, ইখতিয়ারাতে মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শ্রদ্ধাতেই ঈমানের পূর্ণতা, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাধ্যমে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী, সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত, যিয়ারতে মাদীনা মুনাওওয়ারাহ, ইসলাম প্রচারে সূফী-সাধকের অবদান, সুখী সমাজ গড়া ইসলাম ধর্মের বিধান ইত্যাদি।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">সফর: তিনি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মায়ানমার, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, মাসকাট, বাহরাইন কাতার সাউদী আরব, ইরাক, ইউরোপ, ইংল্যান্ড ও আমেরিকার প্রায় রাজ্য সফর করে ইসলামী আদর্শ প্রচারে ভূমিকা রাখেন। ২০১৬ সালে প্রায় আড়াই মাস তিনি আমেরিকায় বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে শতাধিক মাহফিল করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওফাত: আল্লামা অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী ২৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখ রাতে ঢাকায় আলা হযরত কনফারেন্সে সভাপতির আসন অলংকরণ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন। তার মা-বাবার কবরের পাশেই এই গুণী চিরনিন্দ্রায় শায়িত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী একজন সফল উস্তাজুল ওলামা

অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল্-ক্বাদেরী একজন সফল উস্তাজুল ওলামা জন্ম: অধ্যক্ষ জালালুদ্দীন আল-ক্বাদেরী, পিতা: মরহুম আলী আহমদ চৌধুরী, মাতা: মরহুমা ছুফিয়া খাতুন এর গৃহে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলাধীন চরকানাই গ্রামে ২৯ জুলাই ১৯৪৪ইং সালে জন্ম গ্রহন করেন।শিক্ষাজীবন: তিনি ছোট বয়সে ঘরোয়া পরিবেশে ধর্মীয় শিক্ষা লাভ…

Read more »

হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রা:) এর জীবনী

<div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রা:) এর জীবনী</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">পরিচিতি: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী জন্মস্থান তুরস্ক ৬৭১ হিজরী ইন্তেকাল বাংলাদেশ ৭৪০ হিজরী। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক (পীরও মুর্শিদ)। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌর গোবিন্দের অত্যাচার এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও তাঁর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এ কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরব ভূমি ও সিলেট ভূমির মিল: কথিত আছে, প্রাচ্য দেশে আসার পূর্বে শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর মামা এবং তাঁর স্বীয় মুর্শিদ সৈয়দ আহমদ কবীর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে এক মুঠো মাটি দিয়ে বলেন, ‘স্বাদে বর্ণে গন্ধে এই মাটির মতো মাটি যেখানে পাবে সেখানে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচার করবে।’</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বিশিষ্ট শিষ্য ও সফরসঙ্গী শেখ আলীকে এই মাটির দায়িত্বে নিয়োগ করেন এবং নির্দেশ দেন যে, যাত্রা পথে বিভিন্ন জনপদের মাটির সাথে যেন এই জনপদের মাটির তুলনা করে তিনি দেখেন। অত:পর এই শিষ্যের উপাধি হয় চাষণী পীর। সিলেট শহরের গোয়াইপাড়ায় তার মাজার শরীফ অবস্থিত। সিলেটের মাটির সাথে আরবের মাটির মিল পাওয়ায় হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সিলেটে বসতি স্থাপন করে ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে সিলেট জেলাতে আরব দেশের মত তৈল ও গ্যাসের খনি পাওয়া যায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">গজার মাছ: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর মাজার চত্বরের উত্তর দিকে একটি পুকুর রয়েছে। এ পুকুরে রয়েছে অসংখ্য গজার মাছ। এসব মাছকে পবিত্র মনে করে দর্শনার্থীরা ছোট ছোট মাছ খেতে দেয়। পুকুরের পশ্চিম কোণে ছোট মাছ বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। ২০০৩ সালে ৪ ডিসেম্বর বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে পুকুরের প্রায় সাত শত’র বেশী গজার মাছ হত্যা করা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফলে পুকুরটি গজার মাছ শুন্য হয়ে পড়ে। মরে যাওয়া মাছগুলোকে মসজিদের পশ্চিম দিকের গোরস্থানে পুঁতে ফেলা হয়। পুকুরটি মাছ শুন্য হয়ে যাওয়ার পর হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর অপর সফরসঙ্গী মৌলভীবাজারে অবস্থিত হযরত শাহ মোস্তফা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর মাজার থেকে ২০০৪ সালের ১১ জানুয়ারি ২৪ টি গজার মাছ নিয়ে পুকুরে ছাড়া হয়। বর্তমানে পুকুরের গজার মাছের সংখ্যা কয়েক শত রয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জালালী কবুতর ও হযরত নিজাম উদ্দিন আউলিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পেয়ে হযরত নিজামুদ্দিন আউলিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাকে সাদরে গ্রহন করেন। স্মৃতির নিদর্শন স্বরূপ তিনি তাকে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর অর্থাৎ জালালী কবুতর উপহার দেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সিলেট ও এর আশপাশের অঞ্চলে বর্তমানে যে সুরমা রঙের কবুতর দেখা যায় তাহলো এক জোড়া কবুতরের বংশধর। সিলেটে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে কেউই এ কবুতরকে আঘাত করে না এবং খাদ্য হিসিবে গ্রহন করে না। বরং অধিবাসীরা এদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে থাকে। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মাজার এলাকায় প্রতিদিন ঝাঁকে ঝাঁকে কবুতর উড়তে দেখা যায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাজস্বমুক্ত সিলেট: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন কামনা বাসনামুক্ত নির্লোভ সূফি সাধক। কথিত আছে, দিল্লীর সম্রাট তাকে নবাবী প্রদান করে একটি সনদ পাঠান। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তা প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, তিনি সংসারত্যাগী ফকির, তার নবাব-বাদশাহ হওয়ার প্রয়োজন নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক পর্যায়ে সম্রাট তাকে সিলেটকে রাজ্য গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাতেও রাজি হলেন না। শেষে সম্রাট আলাউদ্দিন খিলজি হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনার্থে সিলেট শহরকে রাজস্বমুক্ত ঘোষণা দেন। এর ধারবাহিকতায় আজও সিলেট শহর ভূমি রাজস্ব থেকে মুক্ত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জমজমের কূপ ও ঝরণা: তাঁরা যে পুকুরের পানি ব্যবহার করেন তা হিন্দুরাও ব্যবহার করুক-এটা হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পছন্দ করতেন না। তাই তিনি একটি কূপ খনন করার আদেশ দিলেন এবং প্রার্থনা করলেন আল্লাহ যেন এই কূপটিকে জমজমের কূপটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে দেন। এরপর তিনি লাঠি দিয়ে মাটির ওপর আঘাত করলেন আর সঙ্গে সঙ্গে এই কূপটির সাথে জমজমের কূপের মিলন ঘটে গেল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহর ক্ষমতার বদৌলতে এই কূপে সোনা ও রুপার রঙের মাছের জন্ম হলো যা আজও এই কূপের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর এর চারপাশ পাকা করে দেওয়া হলো এবং উত্তর পার্শ্বে দুটি পাথর বসিয়ে দেওয়া হলো-যা থেকে দিনরাত পানি প্রবাহিত হয়। রোগীরা এই পানি পান করে আরোগ্য লাভ করে। রোজাদারেরা এই পানি দ্বারা ইফতার করে। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর মাজারের পশ্চিম দিকে গেলে ঝরনাটি পাওয়া যায়। যদিও ঝরণার পানি এখন আর প্রবাহিত হয় না, তবুও বাংলাদেশ সরকার স্থানটিকে সংরক্ষণ করে রেখেছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">রান্নার হাঁড়ি: মাজারের পূর্ব দিকে একতলা ঘরের ভেতরে বড় তিনটি হাঁড়ি (ডেকচি) রয়েছে। এগুলো ঢাকা জেলার একজন সম্মানীত ব্যক্তি (মীর মুরাদ) দান করেছেন। যদিও হাঁড়িগুলোতে রান্না-বান্না হয় না, তবুও কথিত আছে প্রত্যেকটিতে সাতটি গরুর গোশত ও সাত মণ চাল এক সাথে রান্না করা যায়। পূণ্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন দর্শনার্থীরা হাঁড়িগুলোতে টাকা পয়সা দান করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চিল্লাখানা (ইবাদতখানা): মাজারের দক্ষিণ দিকে গ্রীলঘেরা তারকা খচিত ছোট্ট যে ঘরটি রয়েছে, এটি হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর চিল্লাখানা। স্থানটি মাত্র দু’ফুট চওড়া। কথিত আছে যে, হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই চিল্লাখানায় জীবনের ২৩ টি বছর ইবাদত সাধনায় কাটিয়েছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ব্যবহৃত দ্রব্যাদি: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কেবল একজন পীরও মুর্শিদ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বীর মোজাহিদ (যোদ্ধা)। তার ব্যবহৃত তলোয়ার, খড়ম, প্লেট এবং বাটি দর্শনার্থীদের দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। দরগাহ’র দক্ষিণ দিকে দরগাহ মাদ্রাসা বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে একটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মুফতি নাজিমুদ্দিন আহমদ এর বাড়িতে হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তলোয়ার ও খড়ম সংরক্ষিত আছে। দরগাহ শরীফের কর্তৃপক্ষের প্লেট ও বাটি সংরক্ষিত আছে। এগুলো দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষের জমায়েত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দরগাহ মসজিদ: বাংলার সুলতান আবু মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহের মন্ত্রী মজলিশে আতার আমলে ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে দরগাহ চত্বরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে বাহরাম খাঁ ফৌজদারের সময় এটি পুননির্মিত হয়। বর্তমানে এটি সিলেট শহরের একটি অন্যতম মসজিদ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সিলেট আগমন: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আরবের ইয়েমেনের অধিবাসী ছিলেন। তাঁর পিতা মাহমুদ বিন মোহাম্মদ ছিলেন কুরাইশ বংশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাকে পীরদের পীর হিসাবে অভিহিত করা হতো। তিনি বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন। তাঁর মা ছিলেন সৈয়দ বংশের এক মহীয়সী নারী। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর বয়স তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তিনি মারা যান।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মায়ের মৃত্যুর পর মামা সৈয়দ আহমদ কবির সোহরাওয়ার্দী তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে লালন পালন করেন। তিনি ভাগ্নেকে এমনভাবে বড় করতে চাইলেন যাতে তিনি ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ও আধ্যাত্মিক সাধনার উচ্চস্তরে গিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন। ধীরে ধীরে তার অলৌকিক ক্ষমতা প্রকাশ পেতে থাকে। কথিত রয়েছে-একদিন সৈয়দ আহমদ কবির তার নিজ গৃহের ভেতর থেকে এক মুঠো মাটি নিয়ে এসে হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হাতে দিয়ে বললেন, ভারতবর্ষে দিকে বেড়িয়ে পড়ো এবং যে মাটির সাথে এ মাটির রূপ-রস-ঘ্রাণের সাদৃশ্য খুঁজে পাবে সেখানে এই মাটি ছড়িয়ে দিয়ে বসতি স্থাপন করবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর পীরের কথা অনুযায়ী হাজী ইউসুফ ও হাজী খলিলসহ আরো কিছু শিষ্য ও সফরসঙ্গী নিয়ে ভারতবর্ষে দিকে যাত্রা শুরু করলেন। প্রথমে তিনি নিজ বাসভ’মি ইয়েমেন এসে পৌঁছেন। এসময় ইয়েমেনে এক অত্যাচারী রাজা ছিল। তিনি বিষপানে হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-কে হত্যা করার চেষ্টা করলো। কিন্তু হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র কৌশলের কাছে রাজার দুরভিসন্ধি পরাজিত হল। রাজার মৃত্যুর পর তার পুত্র শেখ আলি ক্ষমতায় অভিষিক্ত হন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শেখ আলি হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র গুন ও কোমলমতির পরিচয় পেয়ে তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন এবং তাঁর কাছে বায়াত ও শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তিনিও হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সফরসঙ্গী হলেন। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর পীরের দেওয়া মাটি শেখ আলির হাতে দিয়ে বললেন, আমরা যখন যেখানে গিয়ে পৌঁছবো, সেখানকার মাটির সঙ্গে এ মাটির রূপ-রস-গন্ধ তোমাকে মিলিয়ে দেখতে হবে-এটাই হল তোমার কাজ।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">শেখ আলিকে জিহ্বা দিয়ে চুষে মাটি নিরীক্ষণ করতে হতো। সে কারণে আজও তাকে চাষণির পীর হিসাবে অভিহিত করা হয়। হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন দিল্লীতে পৌঁছেন, তখন সেখানকার বিখ্যাত পীর ছিলেন নিজাম উদ্দিন আউলিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি প্রকৃত অর্থেই অনুধাবন করতে পারলেন হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু একজন দরবেশ ও সূফি সাধক। তিনি ছাই রঙের এক জোড়া কবুতর উপহার হিসাবে পাঠিয়ে তাঁকে তার দরবারে নিমন্ত্রণ জানালেন। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র মাজারে এখন যে কবুতর উড়তে দেখা যায়- তা ওই এক জোড়া কবুতরেরই বংশধর-যা জালালি কবুতর নামে পরিচিত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন সিলেটে আসেন-তখন এখানে গোবিন্দ নামক এক রাজার রাজত্ব ছিল। এটি কুসংস্কার ঘেরা রাজ্য জড়িবটি ও জাদুটোনার জন্য বিখ্যাত ছিল। রাজা গোবিন্দের জন্মস্থান গৌড়ে থাকায় তাকে গৌড় গোবিন্দ নামে ডাকা হতো। হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও তার সঙ্গীরা যখন গৌড় রাজ্য অধিকার করেন-তখন রাজা গৌড় ছেড়ে সিলেটে আশ্রয় নেয় এবং নিজেকে রাজা বলে দাবী করতে থাকে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তৎকালীন সময় সিলেট শহরের পূর্ব দিকে অবস্থিত টুলটিকর নামক স্থানে শেখ বুরহান উদ্দিন নামক একজন মুসলমান বসবাস করতেন। হযরত বুরহান উদ্দিন ছিলেন নিঃসন্তান। আল্লাহর কাছে অনেক প্রার্থণার পর তিনি একটি পুত্র সন্তান লাভ করলেন। তার সন্তানের আকিকা উপলক্ষে তিনি একটি গাভী কুরবানী করেন। এসময় একটি কাক অথবা একটি চিল এক টুকরো গোশত তুলে নিয়ে গৌড় গোবিন্দের ঘরে ফেলে দিল। তখন হিন্দুরা গাভীর রক্তকে ব্রাহ্মণের রক্তের সদৃশ্য মনে করত। এতে রাজা ভীষণ রাগান্বিত হলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি হযরত বুরহান উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে তার হাতের কব্জি কেটে দিলেন এবং তার নিষ্পাপ শিশুকে জবাই করে হত্যা করলেন। এতে বুরহান উদ্দিন নিরূপায় হয়ে পড়লেন। তার মনে প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে থাকে। একদিন বুরহান উদ্দিন গোপনে শহর ছেড়ে দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দিন ইবনে মুহম্মদ শাহের দরবারে গিয়ে হাজির হলেন। তিনি সুলতানের কাছে তার ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কাহিনী বর্ণনা করলেন। সুলতান এ মর্ম পীড়াদায়ক কাহিনী শুনে ভীষণ আঘাত পেলেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বুরহান উদ্দিনের উপর অত্যাচারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তার ভাতিজা সিকান্দর শাহকে স্বসৈন্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সিকান্দর গাজী যখন ব্রহ্মপুত্র পাড় হয়ে সোনারগাঁয়ে অবস্থান নিলেন। খবর পেয়ে গৌড় গোবিন্দ তার জাদুকরদের ভৌতিক শক্তির সাহায্যে সিকান্দর গাজীর সৈন্যদের ওপর জাদুমিশ্রিত অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করতে থাকল। এতে সিকান্দর গাজীর সৈন্যরা পরাজয় বরণ করেন। এরপর ঘটনাক্রমে হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র সাথে দেখা হয় সিকান্দর গাজীর। তখন তাদের সৈন্য সংখ্যা তিন শত ষাট-এ গিয়ে দাঁড়াল। সিকান্দর গাজী তার সকল কথা হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-কে স্ববিস্তারে জানালেন। তিনি তার কথা শুনে বললেন, ‘আমিও এসেছি সকল বাতিল শক্তি ধ্বংস করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তাই তুমি যদি সিলেট-বিজয় করতে চাও তাহলে আমার সঙ্গে আসতে পারো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যোদ্ধাগণকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। ব্রহ্মপুত্রের তীরে পৌঁছে দেখলেন এখানে কোন নৌকা নেই। তিনি তাঁর মুসাল্লা (জায়নামাজ) বিছিয়ে সকলকে নিয়ে পার হলেন। তারা যখন সিলেটের চৌকি পরগনায় পৌঁছলেন-তখন গৌড় গোবিন্দের সৈন্যরা তার প্রতি অগ্নিবাণ ছুঁড়তে লাগল। কিন্তু হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর অলৌকিক ক্ষমতায় তা প্রতিহত করলেন, যা ফিরে গিয়ে গৌড় গোবিন্দের আস্তানায় অন্ধকার জালের ন্যায় সৃষ্টি হলো। এ দৃশ্য দেখে সৈন্যরা ভয় পেয়ে গেল। এ খবর শুনে বিচলিত হলো গৌড় গোবিন্দ নিজেও।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ অবস্থায় হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বরাক নদীর তীরে এসে পৌঁছলেন। কিন্তু এখানেও পারাপারের কোন ব্যবস্থা নেই। আবারও তিনি জায়নামাজ বিছিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে নদী পার হয়ে সিলেট শহরের দক্ষিণ দিকে জালালপুর পরগণায় এসে পৌঁছলেন। এসময় গৌড় গোবিন্দ একটি বিশাল লোহার কামান হাতির ওপর সওয়ার করে হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কাছে পাঠালেন। রাজার দূতরা জানালো, তিনি যদি ধনুতে শরযোজনা করতে পারেন, তাহলে তিনি তার জাদুটোনা থেকে বিরত থাকবেন এবং বিনা যুদ্ধে রাজ্যভার ছেড়ে দেবেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার শর্ত মেনে নিলেন। এরপর হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার সফরসঙ্গী হযরত নাসির উদ্দিনকে ধনুতে শরযোজনা করতে বললেন। কিন্তু তা এতই কষ্টকর ছিল যে, শক্তি প্রয়োগ করতে করতে তার শরীরের রোমকূপ থেকে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম হলো। হযরত নাসির উদ্দিনের এ অবস্থা দেখে হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার দ্বারা তাকে সহযোগিতা করলেন। সঙ্গে সঙ্গে নাসির উদ্দিন বিসমিল্লাহ বলে ধনুতে শরযোজনা করতে সক্ষম হলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই অসাধ্য সাধন করা দেখে চারদিক থেকে হর্ষ ধ্বনি উঠল এবং আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হল। এরপর কামানটি যখন গৌড় গোবিন্দের দিকে এগিয়ে আসছিল, তখন গৌড় গোবিন্দের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত। রাজা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে বলতে লাগলেন,‘আমার রাজ্য চলে গেল।’ রাজা পলায়নের উদ্দেশ্যে কাছাড়ের পথ ধরলেন। এরপর থেকে তার আর কোন হদিস মেলেনি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি এখানে রাজ্য জয় করে দেখেন তাঁর পীর সৈয়দ আহমদ কবিরের দেওয়া এক মুঠো মাটির সাথে এখানকার মাটির অদ্ভূত মিল রয়েছে। তিনি সিলেট শহরের দরগাহ মহল্লায় একটি ছোট্ট টিলায় তাঁর বসতি স্থান করলেন। এখানে বসেই ইবাদত বন্দেগি করতে থাকেন। তিনি তাঁর সঙ্গীদেরকে শহরের বিভিন্ন স্থানে,পরগণায় ইসলাম প্রচারের জন্য পাঠিয়ে দিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শুধু ইয়েমেনের রাজপুত্র, হাজী ইউসুফ ও হাজী খলিলসহ আরো কয়েকজন খাদেমকে তার কাছাকাছি রাখলেন। এখান থেকে তিনি ইসলামের দাওয়াত দিতে লাগলেন এবং নিজের আস্তানাকে ধ্যান ও সাধনার এক অনুপম লীলাক্ষেত্রে পরিণত করলেন। হযরত শাহজালাল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন কিংবদন্তি সাধক। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তি যোগাচ্ছেন এই মহা সাধক পুরুষ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ওফাত: বাংলা ভাষায় লেখা সিলেট অঞ্চলের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ ‘শ্রীহট্ট দর্পণ’-এ বলা হয়েছে-হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যে ছোট্ট টিলায় বাস করতেন, ইন্তেকালের পর সেখানেই তাকে দাফন ও সমাধি তৈরী করা হয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক পুরুষ হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেটে আগমন করেন। তিনি ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে ৬৯ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তিনি অবিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রা:) এর জীবনী

হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী (রা:) এর জীবনী পরিচিতি: হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী জন্মস্থান তুরস্ক ৬৭১ হিজরী ইন্তেকাল বাংলাদেশ ৭৪০ হিজরী। হযরত শাহজালাল ইয়েমেনী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক (পীরও মুর্শিদ)। সিলেট অঞ্চলে তার মাধ্যমেই ইসলামের প্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলম…

Read more »

পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) -The Holy Five

<div style="text-align: justify;">পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) Holy Five</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পাক পাঞ্জাতান ৫ জন:</div><div style="text-align: justify;">১। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম</div><div style="text-align: justify;">২। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু</div><div style="text-align: justify;">৩। হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা</div><div style="text-align: justify;">৪। হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু</div><div style="text-align: justify;">৫। হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।</div><div style="text-align: justify;">“আমার আহলে বাইতকে আমার খাতিরে মহব্বত কর।” (আল্-কুরআন- ৪২:২৩, তিরমিযি শরীফ ও মেশকাত শরীফ সংকলন কানযুল ঈমান পৃঃ নং ৮৬৯)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">‘কালিমা শরীফে’র প্রেমে কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যে অতুলনীয় কোরবানী তা অনন্তকাল পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষের আত্মায় কালিমা’র বীজ বপন করবে। In a distant age and climate the tragic scene of the death of Hazrat Imam Hussain radiallahu tayala anhu for Islam, will awaken the sympathy of the coldest reader.</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হযরত রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছ থেকে কি দাবী করেন তা পবিত্র কুরআনে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: “হে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আপনি বলে দিন যে, ইসলাম ধর্ম প্রচারের বিনিময়ে আমার নিকটতম জনের (আহলে বাইত) প্রাণাধিক ভালবাসা ব্যতীত, আমি-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না।” (আল্-কুরআন-৪২:২৩)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে বাইত সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন: “মহান আল্লাহ তোমাদেরকে যে নেয়ামত দান করেছেন, তার জন্য আল্লাহকে ভালবাস এবং আল্লাহর জন্য আমাকে ভালবাস এবং আমাকে ভালবাসার জন্য আমার আহলে বাইতকে ভালবাস।” (মেশকাত শরীফ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) Holy Five</div><div style="text-align: justify;">মহা-পবিত্র আল্-কুরআনে ১৯ সংখ্যাটির দুর্ভেদ্য গাণিতিক বন্ধন এই গ্রন্থকে বিস্ময়ের বিস্ময় (Miracle of miracles) হিসেবে চিরকাল ঘোষণা করছে। ১৯ সংখ্যাটি আবার মধুর সম্পর্ক রেখেছে পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) এর পবিত্র নামের সাথে। সকল ধর্মগ্রন্থের প্রাণ আল্-কুরআন। আল্-কুরআনের প্রাণ সূরা ফাতেহা (উম্মুল কুরআন)। সূরা ফাতেহার প্রাণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আর বেহেশ্তের অনন্তকালের প্রাণ পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম)। অসীম শক্তি সম্পন্ন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বাক্যটির মধ্যে ১৯টি অক্ষর ও ৪টি শব্দ রয়েছে। শব্দ চারটি যথাক্রমে: বিসমি, আল্লাহ্, রাহমান ও রাহীম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আহলে বাইত, নূহ নবীর (আ:) কিস্তির সমতুল্য। যারা ঈমানের সঙ্গে নৌকায় আরোহণ করেছেন তাঁরা বেঁচে গেছেন আর যারা নৌকায় আরোহণ করেনি তারা ডুবে মরেছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত রাসূলে পুরনূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হযরত ফাতেমা (রা:) আমারই একটি অংশ।” মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আনা মদিনাতুল এলমে ওয়া আলীউন বাবুহা” অর্থাৎ আমি জ্ঞানের শহর আর আলী (রা:) তার দরজা। (তিরমিযি শরীফ ও মেরকাত শরহে মেশকাত শরীফ ৫ম খন্ড ৫১৭ পৃঃ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “মান আহাব্বা হুমা ফাক্বাদ আহাব্বানী।” অর্থাৎ যে ব্যক্তি ইমাম হাসান (রা:) ও ইমাম হোসাইনকে (রা:) ভালবাসল সে যেন আমাকেই ভালবাসল। হযরত হোসাইনের (রা:) মহব্বতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “হোসাইন মিন্নী ওয়া আনা মিন হোসাইন।” অর্থাৎ হোসাইন (রা:) আমা হতে আর আমি হোসাইন (রা:) থেকে। (সংকলন: তিরমিযি শরীফ ও বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহা-পবিত্র পাক পাঞ্জাতানের (আলাইহিমুস্ সালাম) মধ্যে তিনজনই বেহেশ্তে অনন্তকালের সর্দার। হযরত ফাতেমা (রা:) সমস্ত মহিলাদের সর্দার এবং হযরত ইমাম হাসান (রা:) ও হযরত ইমাম হোসাইন (রা:) সমস্ত পুরুষদের সর্দার সেই বেহেশ্তের যে বেহেশ্তের এক দেরহাম পরিমাণ জায়গার মূল্য সারা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল সম্পদের চেয়ে বেশী। (বোখারী শরীফ)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অনন্তকালে বেহেশ্তে নূরুন্নবী’র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আদরের কন্যা ও নাতিদের মর্যাদার আসন যদি এই হয় তাহলে রাসূলে পাকের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান যে কত ঊর্ধ্বে তা আল্লাহই ভাল জানেন। “ওয়ারাফা’না লাকা যিক্রাক” অর্থাৎ এবং আমি আপনার যিকিরকে (স্মরণকে) উচ্চ মর্যাদা দান করেছি। (আল্-কুরআন-৯৪:৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহা-পবিত্র কুরআন ও হাদীস শরীফ এটাই প্রমাণ করে যে, মানব জাতির আদর্শ নূরুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর নারী জাতির আদর্শ খাতুনে জান্নাত সৈয়দা ফাতেমাতুয্ যোহরা (রা:)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) -The Holy Five

পাক পাঞ্জাতান (আলাইহিমুস্ সালাম) Holy Fiveপাক পাঞ্জাতান ৫ জন:১। হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম২। হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু৩। হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা৪। হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু৫। হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু।“আমার আহলে বাইতকে আম…

Read more »

জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম ও ফজিলত কী?

<div style="text-align: justify;">জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম ও ফজিলত কী?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">(১) জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম কি?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: হানাফী মাজহাব মতে ওজর বিহীন স্বাধীন পুরুষের জন্য জামাআতে নামায আদায় করা সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ। যেমন ফিকহ এর কিতাব</div><div style="text-align: justify;">(১) নুরুল ইজাহ পৃষ্ঠা নং ৭৫-এ আছে- وَالصَّلٰوةُ بِالْجَمَاعَةِ سُنَّةٌ لِلرِّجَالِ الْاَ حْرَارِ بِلاَ عُذْرٍ</div><div style="text-align: justify;">(২) কুদুরী কিতাব ৩৭নং পৃষ্ঠায় আছে- وَالْجَمَا عَةُ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَهٌ</div><div style="text-align: justify;">(৩) হেদায়া কিতাব ১২১ নং পৃষ্ঠায় আছে- اَلْجَمَاعَةُ سُنَّةٌ مُؤَ كَّدَةٌ لِقَوْلِهٰ عَلَيْهِ السَّلاَمُ اَلْجَمَاعَةُمِنْ سُنَنِ الْهُدٰي لاَيَتَخَلَّفُ عَنْهَا اِلاَّ مُنَافِقٌ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ জামাআতের সাথে নামায আদায় করা সুন্নাতে মোয়াক্কাদা। দলীল রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এর বাণী জামাআত সুন্নাতে হুদার অন্তর্ভুক্ত। মোনাফেকই এর থেকে বিরত থাকে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(২) জামাআতে নামায আদায়ের ফযিলত কি?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উত্তর: পুরুষের জন্য জামা’আতের সাথে ফরজ নামায আদায় করা অনেক ফযিলত ও ছাওয়াব রয়েছে। একটি হাদীস শরীফে জামা’আতের সাথে এক রাকাতে ২৫ রাকাত এবং অপর বর্ণনায় ২৭ রাকাত এর ছাওয়াবসহ এর অনেক ফযিলত বর্ণিত রয়েছে। যেমন-</div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ صَلٰوةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلٰي صَلاَ تِهٖ فِيْ بَيْتِهٖ وَ فِيْ سُوْقِهٖ خَمْسَةً وَّ عِشْرِيْنَ ضِعْفًا – وَذَ الِكَ اَنَّهُ اِذَا تَوَضَّأَ فَاَ حْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ خَرَجَ اِلَي الْمَسْجِدِ لَا يُخْرِجُهُ اِلاَّ الصَّلٰوةُ لَمْ يَخُطَّث خَطْوَةً اِلاَّ رُ فِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَهٌ وَ حُطَّا عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةٌ – فَاِذَا صَلّٰي لَمْ تَزِلِ الْمَلاَ ئِكَةُ تُصَلِّيْ عَلَيْهِ مَادَامَ فِيْ مُصَلاَّهُ – اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ اَللّٰهُمَّ ارْحَمْ وَ لَايَزَالُ اَحَدُكُمْ فِيْ صَلَاةٍ مَاا نْتَظَرَ الصَّلٰوةَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[আবু হোরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন- জামা’আতের সাথে পুরুষের নামায একাকি তার বাড়িতে ও বাজারে পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। এটা এজন্য যে, যখন সে অজু করে তখন উত্তম রূপে অজু করে। অতপর যখন সে মসজিদের দিকে বের হয় তখন একমাত্র নামাজের জন্যই বের হয়। তার প্রতিটি পদেই তার একেকটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং এর দ্বারা তার একেকটি অপরাধ ক্ষমা করে দেয়া হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অত:পর যখন সে নামায আদায় করে ফেরেস্তাগণ তার জন্য দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের স্থানে অবস্থান করেন। ফেরেস্তাগণ তার জন্য এ বলে দোয়া করেন- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। আর তোমাদের কেহ যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত নামাযে রত হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৮৯, হাদীস নং ৬৩৮, মুসলিম হাদীস নং ৬৪৯, আবু দাউদ হাদীস নং ৫৫৯, তিরমিযী হাদীস নং- ৬৩, ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৭৭৪)]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">عَنِ ابْنِ عُمَرَ اَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَالَ صَلَا ةُ الْجَمَا عَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَّ عِشْرِيْنَ دَرَجَةً</div><div style="text-align: justify;">[আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসূলুুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন জামা’আতের সাথে নামায একাকী নামাজের চেয়ে সাতাশগুণ অধিক মর্যাদা রাখে। (বুখারী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৯৮, হাদীস নং ৪৩৬, মুসলিম হাদীস নং ৬৫০)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُوْلُ مَا مِنْ ثَلاَ ثَةٍ فِيْ قَرْيَةٍ وَ لاَ بَدْوٍ لاَّ تُقَامُ فِيْهِمُ الصَّلٰوةُ اِلاَّ وَ قَدِا سْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَعَلَيْكَ بِالْجَمَا عَةِ فَاِ نَّمَا يَأْ كُلُ الذِّ ئْبُ الْقَا صِيَةَ –</div><div style="text-align: justify;">[আবু দারদা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এরশাদ করতে শুনেছি- এমন তিন ব্যক্তি চাই তারা গ্রামে বা মানবহীন অঞ্চলে থাকুক যারা জামা’আত সহকারে নামায আদায় করে না, নিশ্চয়ই শয়তান তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে। তাই তোমার উচিৎ জামাআত কায়েম করা। কেননা, দল হতে বিচ্ছিন্ন ছাগলকেই বাঘ ভক্ষণ করে। (আবু দাউদ পৃষ্ঠা নং ৮১, হাদীস নং ৫৪৭, আহমাদ, নাসায়ী।)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম ও ফজিলত কী?

জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম ও ফজিলত কী? (১) জামাআতে নামায আদায় করার হুকুম কি?উত্তর: হানাফী মাজহাব মতে ওজর বিহীন স্বাধীন পুরুষের জন্য জামাআতে নামায আদায় করা সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ। যেমন ফিকহ এর কিতাব(১) নুরুল ইজাহ পৃষ্ঠা নং ৭৫-এ আছে- وَالصَّلٰوةُ بِالْجَمَاعَةِ سُنَّةٌ لِلرِّجَالِ الْاَ حْرَارِ بِلاَ…

Read more »

মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামাযের জামা’আত কি জায়েয?

<div style="text-align: justify;">মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আত কি জায়েয?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আত কি জায়েয? অথবা মহিলারা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আতের সাথে আদায় করা জায়েয আছে কি না?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পাঞ্জেগানা নামায জামাআত সহকারে আদায় করার জন্য মহিলারা ঘর হতে বের হওয়া জায়েয নয় বরং মাকরুহে তাহরিমী। এ ব্যাপারে ওলামায়ে মোতাআখ্খেরীন তাঁদের ঐক্যমত প্রকাশ করেছেন। নিম্নে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য কিতাবের উদ্ধতি পেশ করা হল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১। আওজাযুল মাসালিক শরহে মুয়াত্তায়ে মালিক ৪র্থ খণ্ড পৃষ্ঠা নং ১০৬ এ আছে- وَاَفْتَي الْمَشَا ئِخُ الْمُتَاَ خِّرُوْنَ بِمَنْعِهَا اَيِ الْعَجُوْزَ مِنْ حُضُوْرِ الصَّلٰوَاتِ كُلِّهَا كَا لشَّا بَّةِ</div><div style="text-align: justify;">[মাশায়েখে মোতাআখ্খেরীন যুবতী মহিলার ন্যায় বৃদ্ধা মহিলাকে সকল নামাজে উপস্থিত হতে নিষেধের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।]</div><div style="text-align: justify;">২। এমদাদুল আহকাম ১ম খণ্ড ৪২৫ নং পৃষ্ঠায় আছে- قَدِ اجْمَعَتِ الْاُمَّةُ عَلٰي كَرَا هَةِ خُرُوْجِ النِّسَاءِ اِلٰي مَسْجِدِ الْجَمَا عَةِ</div><div style="text-align: justify;">[মসজিদের জামাআতে মহিলাদের বের হওয়া মাকরুহের ব্যাপারে উম্মতের ঐক্যমত সংগঠিত হয়েছে।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">৩। দোররে মোখতার ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৩৮৩ এ আছে- يَكرَهُ حُضُوْرُهُنَّ الْجُمَا عَ وَ لَوْ لِجُمْعَةٍ وَ عِيْدٍ</div><div style="text-align: justify;">[মহিলাদের জামাআত সমূহে উপস্থিত হওয়া মাকরুহ যদিও জুমআ ও ঈদের নামাজে হয়।]</div><div style="text-align: justify;">৪। দোররে মোখতার শামী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৩০৭-এ আছে- وَيَكْرَهُ حُضُوْرُهُنَّ الْجَمَا عَةَ) وَ لَوْ لِجُمْعَةٍ وَ عِيْدٍ وَ وَعْظٍي (مُطْلَقًا) وَ لَوْ عَجُوْزًا لَيْلاً (عَلَي الْمَذْ هَبِ) اَلْمُفْتٰي بِهٖ لِفَسَادِ الزَّمَانِ – وَ لَوْ عَجُوْزًا لَيْلاً بَيَانٌ لِلْاِطْلاَقِ ايْ شَابَّةً اَوْ عَجُوْزًا نَهَارًا اَوْ لَيْلاً – قَوْلُهُ (عَلَي الْمَذْ هَبِ الْمُفْتٰي بِهٖ) اَيْ مَذْ هَبَ الْمُتَأَخِّرِ يْنَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[অর্থাৎ মহিলাদের জামাআতে উপস্থিত হওয়া মাকরুহ যদিও জুমআ, ঈদ ও ওয়াজে হউক এবং যদিও রাতের বেলা বৃদ্ধা মহিলা হয়। ফাসাদের জামানার কারণে এর উপরই ফাতওয়া বা সিদ্ধান্ত। ولوعجوزا ليلا অংশটি এতলাকের বর্ণনা। অর্থাৎ ফাসাদের জামানার কারণে যুবতী অথবা বৃদ্ধা মহিলা দিনে বা রাতে সকল নামাজের জামাআতে উপস্থিত হওয়া মাক্রুহে তাহরিমী। এটা মোতাআখ্খেরীন মোজতাহিদগণের ফাতওয়া।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৫। تبيين التحقيق شرح كنزالدقائق কিতাব ১ম খণ্ড ১৩৯-১৪০নং পৃষ্ঠায় আছে- وَ لاَيَحْضُرْنَ الْجَمَاعَاتِ) يَعْنِيْ فِي الصَّلٰوَا تِ كُلِّهَا وَيَسْتَوِيْ فِيْهِ الشَّوَابُّ وَ الْعَجَا ئِزُ وَ هُوَ قَوْلُ الْمُتَأَ خِّرِيْنَ لِظُهُوْرٍ الْفَسَادِ فِيْ زَمَانِنَا – وَ عِنْدَ اَبِيْ حَنِيْفَةَ لاَ بَأْسَ اَنْ تَخْرُجَ الْعَجُوْزُ فِي الْفَجْرِ وَ الْمَغْرِبِ وَ الْعِشَاءِ وَ الْعِيْدَ يْنِ وَيُكْرَهُ فِي الظُّهْرِ وَ الْعَصْرِ وَ الْجُمْعَةِ – وَ قِيْلَ اَلْمَغْرِبُ كَالظُّهْرِ لاِنْتِشَارِ الْفُسَّاقِ فِيْهِ وَ الْجُمْعَةُ كَالْعِيْدَيْنِ لِاِمْكَانِ الْاِ عَتِزَالِ – وَ قَالاَ يَخْرُجْنَ فِي الصَّلٰوَاتِ كُلِّهَا لِاَنَّهُ لاَ فِتْنَةَ لِقِلَّةِ الَّرغْبَةِ فِيْهِنَّ فَصَارَ كَالْعِيْدَ يْنِ – وَ لَهُ اَنَّ فَرْطَب الشَّبَقِ حَامِلٌ فَتَقَعُ الْفِتْنَةُ غَيْرَ اَنَّ الْفُسَّاقَ اِنْتِشَارُهُمْ فِي الظُّهْرِ وَالعَصْرِ وَ الْجُمْعَةِ – اَمَّا فِي الْفَجْرِ وَ الْعِشَاءِ فَهُمْ نَائِمُوْنَ وَ فِي الْمَغْرِبِ بِالطَّعَامِ مُشْغُوْلُوْنَ – وَ الْمُخْتَارُفِي زَمَانِنَا اَلْمَنْعُ فِي الْجَمِيْعِ لِتَغَيُّرِ الزَّمَانِ وَ لِهٰذَا قَالَتْ عَائِشَةُ رضي اللّٰه عنها لَوْ اَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ رَأٰي مِنَ النِّسَاءِ مَارَأَ يْنَا لَمَنَعَهُنَّ مِنَ الْمَسْجِدِ كَمَا مُنِعَتْ بَنُوْ اِسْرَا ئْيلَ نِسَاءَهَا – وَ النِّسَاءُ اَحْدَثْنَ الزِّ يْنَةَ وَ الطِّيْبَ وَ لَبْسَ الْحُلِيِّ وَ لِهٰذَا مَنَعَهُنُّ عُمَرُ رضي للّٰهُ عنه – وَ لَايُنْكَرُ تَغَيُّرُ الْاَحْكْا مِ لِتَغَيُّرِا لزَّمَانِ كَغَلَقِ الْمَسَا جِدِ يَجُوْزُ فِيْ زَمَانِنَا</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[মহিলাগণ সকল নামাজের জামাআতে উপস্থিত হবেন না। এ হুকুমে যুবতী ও বৃদ্ধা সমান। আমাদের সময় ফেতনা ফাসাদ প্রকাশ হওয়ার কারণে এটা পূর্ববর্তী ফোকাহায়ে কেরামের অভিমত। (পূর্ববর্তী সময়ে) ফজর, মাগরিব, এশা ও দু’ঈদের নামাজে বৃদ্ধা মহিলা বের হওয়া ইমাম আবু হানিফা (রা:) এর নিকট আপত্তি নেই। জোহর, আছর ও জুমআর নামাজে উপস্থিত হওয়া মাকরুহ। কেউ কেউ বলেছেন, মাগরিবের নামায জোহরের ন্যায় মাকরুহ। কেননা এ সময় ফাসেকরা ছড়িয়ে পরে। আর দূর হওয়ার সম্ভাবনার কারণে জুমআ দু’ঈদের ন্যায়। আর ইমাম আবু ইউসুফ ও মোহাম্মদ বলেছেন- বৃদ্ধাগণ সকল নামাজে বের হবে, কেননা তাদের প্রতি আকৃষ্ট কম থাকায় কোন ফেতনা বা বিপর্যয় নেই। ইমাম আবু হানিফা (রা:) এর দলীল হল অত্যাধিক যৌন চাহিদা জড়িত থাকার ফলে বিপর্যয় সংগঠিত হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে ফাসেক তথা পাপাচারীরা জোহর, আছর ও জুমআতে তাদের বিচরণ রয়েছে কিন্তু ফজর ও এশায় তারা ঘুমন্ত আর মাগরিবে খাওয়ায় রত। গ্রহণীয় মত হলো- আমাদের জামানায় কাল পরিবর্তনের কারণে সকল নামাজের জামাআতে মহিলাদের অংশ গ্রহণ করা নিষেধ। এ জন্য আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) বলেছেন, মহিলাদের থেকে আমরা যা দেখছি যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ তা দেখতেন তাহলে অবশ্যই তিনি তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন যেভাবে বনী ইসরাঈলের মহিলাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। আর মহিলারা সুন্দর্য, সুগন্ধি ও অলংকার পরিধান উদ্ভাবন করল। আর এ কারণে ওমর (রা:) মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন। কাল পরিবর্তনের কারণে আহকাম পরিবর্তনকে অস্বীকার করা যায় না। যেমন, আমাদের সময় মসজিদে তালা দেয়া জায়েয।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">৬। ১০ম শতাব্দির মোজাদ্দিদ মোল্লা আলী ক্বারী (রা:) বলেছেন- وَ كُنَّ فِيْ ذَ الِكَ الزَّمَانِ عَلٰي اَعْلٰي غَايَةِ الصِّيَانَةِ فَمَاكَانَ يَتَطَرَّقُ اِلَيْهِنَّ وَ لاَ بِهِنَّ فِتْنَةٌ اَلْبَتَّةَ وَ لَمَّا حَدَ ثَتِ الْفِتَنُ لَهُنَّ وَ بِهِنَّ مَنَعَهُنَّ الْعُلَمَاءُ مِنْ ذَ الِكَ وَ لَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ لَوْ عَلِمَ النَّبِيُّ ﷺ مَااَحْدَثَ النِّسَاءُ بَعْدَهُ لَمَنَعَهُنَّ الْمَسَاجِدَ كَمَا مُنِعَتْ نِسَاءُ بَنِيْ اِسْرَ ائِيلَ – (مرقاة جلد ۲ صفحة ۱۳۳</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ঐ যামানার মহিলারা ছিল পূর্ণ নিরাপত্তার উপর। ফলে তাদের নিকট ও তাদের দ্বারা কখনো ফেতনা ফাসাদ আসতো না। আর যখন তাদের উপর ও তাদের দ্বারা ফেতনা ফাসাদ সংগঠিত হল তখন আলেমগণ মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন। আর আয়েশা (রা:) বলেছেন- যদি নবী ﷺ জানতেন তার পর মহিলারা যা নতুনভাবে সংগঠিত করেছে তাহলে তিনি নিশ্চিত তাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন যেভাবে বনী ইসরাঈলের নারীদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। (মেরকাত ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা নং-১৩৩)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৭। বাহারে শরীয়ত ৩য় খণ্ড ৬৮নং পৃষ্ঠায় আছে- مسئله عورتوں كو كسي نماز ميں جما عت كي حا ضري جائز ﻧﮩيں د ن كي نمازﮨويا رات كي جمعه ﮨو يا عيدين خواه وه جوان ﮨوں يا بڑﮨياں يو ﮨيں وعظ كي مجا لس ميں جانا ناجا ئز ﮨﮯ – (درمختار</div><div style="text-align: justify;">[মহিলাদেরকে কোন নামাজেই জামাআতে উপস্থিত হওয়া জায়েয নয়। চাই দিনের নামায হউক বা রাতের নামায, জুমআর নামায হউক অথবা দু’ঈদের নামায। চাই সে যুবতী হউক বা বৃদ্ধা হউক। ওয়াজের সভায় যাওয়াও নাজায়েয।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপরোক্ত ফতুয়ার কিতাবের আলোকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, পাঞ্জাগানা নামায জামাআতে আদায় করার জন্য মহিলারা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে যাওয়া জায়েয নয় বরং মাকরুহে তাহরিমী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামাযের জামা’আত কি জায়েয?

মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আত কি জায়েয? মহিলারা মসজিদে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আত কি জায়েয? অথবা মহিলারা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে পাঞ্জেগানা নামায জামা’আতের সাথে আদায় করা জায়েয আছে কি না?পাঞ্জেগানা নামায জামাআত সহকারে আদায় করার জন্য মহিলারা ঘর হতে বের হওয়া জায়েয নয় বরং মাকরুহে তাহরিমী। এ ব…

Read more »

জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা কি মহিলাদের জন্য নয়?

<div style="text-align: justify;">জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা কি মহিলাদের জন্য নয়?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">জামাআতে নামাযের ফযিলত আছে তা মহিলাদের জন্য নয়? অথবা সকল হাদীস শরীফে ঘর হতে বের হয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায়ের ফযিলত বর্ণিত আছে তা মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য কি না?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে বা ঈদগাহে গিয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায়ের ফযিলত সম্পর্কিত যে সকল হাদীস বর্ণিত আছে তা মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য নয় বরং সকল হাদীস শরীফ পুরুষের জন্য প্রযোজ্য। নিম্নে উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি হাদীস তুলে ধরা হল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ صَلٰوةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلٰي صَلاَ تِهٖ فِيْ بَيْتِهٖ وَ فِيْ سُوْقِهٖ خَمْسَةً وَّ عِشْرِيْنَ ضِعْفًا – وَ ذَ الِكَ اَنَّهُ اِذَا تَوَضَّأَ فَاَ حْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ خَرَجَ اِلَي الْمَسْجِدِ لَا يُخْرِجُهُ اِلاَّ الصَّلٰوةُ لَمْ يَخُطَّا خَطْوَةً اِلاَّ رُ فِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَهٌ وَ حُطَّا عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةٌ – فَاِذَا صَلّٰي لَمْ تَزِلِ الْمَلاَ ئِكَةُ تُصَلِّيْ عَلَيْهِ مَادَامَ فِيْ مُصَلاَّهُ – اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ اَللّٰهُمَّ ارْحَمُ وَ لَايَزَالُ اَحَدُكُمْ فِيْ صَلَاةٍ مَاا نْتَظَرَ الصَّلٰوةَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[হযরত আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন- জামাআতের সহিত পুরুষের নামায একাকি তার বাড়িতে ও বাজারে পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। এটা এজন্য যে, যখন সে অজু করে উত্তম রূপে অজু করে। অতঃপর যখন সে মসজিদের দিকে বের হয় একমাত্র নামাজের জন্যই বের হয়। তার প্রতিটি পদেই তার একেকটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং এর দ্বারা তার একেকটি অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর যখন সে নামায আদায় করে ফেরেস্তাগণ তার জন্য দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের স্থানে অবস্থান করেন। ফেরেস্তাগণ তার জন্য এ বলে দোয়া করেন- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত নামাযে রত হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৮৯, হাদীস নং ৬৩৮, মুসলিম হাদীস নং ৬৪৯, আবু দাউদ হাদীস নং ৫৫৯, তিরমিযী হাদীস নং- ৬৩, ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৭৭৪)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা মহিলাদের জন্য নয় দেখুন দলিল</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপর্যুক্ত হাদীস শরীফ খানা পর্যালোচনা করলে নিম্নের বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যায়।</div><div style="text-align: justify;">(ক) صلوة الرجل في الجماعة تضعف অংশে স্পষ্টভাবে পুরুষের নামায জামা’আতে আদায় করা একাকী আদায় করা হতে ২৫ গুণ বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। মহিলা জামা’আতে নামায আদায় করলে অধিক ছাওয়াব হবে তা বলা হয়নি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(খ) অতঃপর বলা হয়েছে- ثُمَّ خَرَجَ اِلْي الْمَسْجِدِ এখানেও ঘর হতে মসজিদের দিকে বের হওয়ার জন্য পুরুষকে বলা হয়েছে তাই পুংলিঙ্গের শব্দ আনা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">(গ) অপর দিকে হাদীসে ব্যবহৃত সর্বনাম كم – ه শব্দগুলি পুংলিঙ্গের আনা হয়েছে। এর দ্বারা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, পুরুষরাই অধিক ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে যাবে, মহিলারা নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ وَ الَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهٖ لَقَدْ هَمَمْتُ اَنْ اٰمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبُ ثُمَّ اٰمُرُ بِا لصَّلٰوةِ فَيُؤَ ذَّنُ لَهَا ثُمَّ اٰمُرُ رَجُلاً فَيَؤُمُّ النَّا سَ ثُمَّ اُخَالِفُ اِلٰي رِجَالٍ لاَ يَشْهَدُوْنَ الصَّلٰوةَ فَاُحَرِّقُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ</div><div style="text-align: justify;">[হযরত আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এরশাদ করেছেন। শপথ ঐ সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ। আমি ইচ্ছা করছি যে, আমি লাকরি একত্র করার আদেশ দেব আর তা জমা করা হবে। অতঃপর নামাজের আযান দেয়ার জন্য আদেশ করার ফলে আযান দেয়া হবে। তারপর আমি একজন পুরুষকে লোকদের ইমামতি করার জন্য আদেশ দেই। অতঃপর আমি ঐ সকল পুরুষদের (বাড়ি বাড়ি) গিয়ে দেখব যারা নামাজের জামা’আতে উপস্থিত হয়নি। অতঃপর তাদেরকেসহ তাদের ঘরসমূহ জ্বালিয়ে দিব। (বুখারী শরীফ, মেশকাত পৃষ্ঠা নং ৯৫)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা মহিলাদের জন্য নয় দেখুন দলিল</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপরোক্ত হাদীস শরীফ হতে নিম্নের বিষয়সমূহ স্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে,</div><div style="text-align: justify;">(ক) হাদীসাংশ ثُمَّ اُخَالِفُ اِلٰي رِجَالٍ لاَ يَثْهَدُوْنَ الصَّلٰوةَ এর মর্ম হল-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাজের জামা’আতে শরীক না হয়ে বাড়ি গিয়ে ঐ সকল পুরুষদেরকে দেখার ইচ্ছা পোষণ করেছেন যারা নামাজের জামা’আতে শরীক হয়নি। এখানে তিনি এ কথা বলেননি যে, বাড়ি গিয়ে আমি ঐ সকল পুরুষ ও মহিলাদেরকে দেখবো যারা নামাজের জামা’আতে অংশগ্রহণ করেনি। এতে বুঝা গেল মহিলারা পুরুষদের ন্যায় নামাজের জামা’আতে উপস্থিত হতে হবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(খ) অপর দিকে হাদীস শরীফে ব্যবহৃত رِجَالٌ – لاَيَشْهَدُوْنَ – بيوتهم – عليهم বিশেষ্য ও সর্বনামসমূহ পুরুষকে বুঝানোর জন্য পুংলিঙ্গের শব্দ আনা হয়েছে। ফলে মহিলাদেরকে কোনভাবেই পুরুষের ন্যায় নামাজের জামা’আতের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ ﷺ اَنَّهُ قَالَ : اِذَا تَطَهَّرَ الَّرجُلُ ثُمَّ اَتَي الْمَسْجِدَ يَرْ عَي الصَّلاَ ةَ كَتَبَ لَهُ كَاتِبَاهُ اَوْ كَاتِبُهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوْهَا اِلَي الْمَسْجِدِ عَشْرَ حَسَنَاتٍ وَالْقَاعِدُ يَرْعَي الصَّلاَةَ كَالْقَانِتِ وَ يُكْتَبُ مِنَ الْمُصَلِّيْنَ مِنْ حِيْنِ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِهٖ حَتّٰي يَرْجِعَ اِلَيْهِ</div><div style="text-align: justify;">[হযরত ওকবা ইবনে আমের (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন। যখন একজন পুরুষ পবিত্রতা অর্জন করে অতঃপর মসজিদে এসে নামাজের হেফাজত করে তখন তার দুজন লেখক বা একজন লেখক মসজিদের দিকে তার প্রতি পদে দশটি করে নেক লেখেন। বসে নামায আদায়কারী দাড়িয়ে আদায়কারীর ন্যায়। আর নামাযী তার ঘর হতে বের হওয়া হতে ঘরে ফেরা পর্যন্ত তার নেকী লেখা হয়। (মোসনাদে আহমাদ ৪/১৫৭, মোছান্নাফে আবু ইয়াশ হাদীস নং ১৭৪৭, ছহীহ ইবনে খোযায়মা ২/৩৭৪, ছহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস নং ২০৩৬)]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হাদীসাংশ اِذَا تَطَهَّرَ الَّرجُلُ ثُمَّ اَتَي الْمَسْجِدَ এতে স্পষ্টভাবে পুরুষকে লক্ষ্য করে বলা হয়েছে, যখন কোন পুরুষ উত্তমভাবে পবিত্রতা অর্জন করে মসজিদে যায়। কিন্তু এখানে ইঙ্গিতেও মহিলার কথা বলা হয়নি। অপর দিকে হাদীস শরীফে يخطو – يرعي – بيته – يخرج – يكتب – القانت – القاعد – اليه – يرجع শব্দগুলো পুংলিঙ্গের শব্দ নেওয়া হয়েছে। তাই কোন মহিলা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করলে অধিক নেকী হবে তা হাদীস শরীফটি দ্বারা প্রমাণ করার সুযোগ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ سَعِيْدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ رضي الله عنه قَالَ : حَضَرَ رَجُلاً مِنَ الْاَ نْصَارِ الْمَوْتُ فَقَالَ : اِنِّي مُحَدِّثُكُمْ حَدِيْثًا مَااُحَدِّثُكُمُوْهُ اِلاَّ احْتِسَابًا : اِنِّي سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُوْلُ اِذَا تَوَضَّأَ اَحَدُكُمْ فَاحْسَنَ الْوُ ضُوْءَ ثُمَّ خَرَجَ اِلَي الصَّلاَةِ يَرْفَعُ قَدَ مَهُ الْيُمْنٰي اِلاَّ كَتَبَ اللّٰهُ عَزَّ و جَلَّ لَهُ حَسَنَةً وَ لَمْ يَضَعْ قَدَمَهُ الْيُسْرٰي اِلاَّحَطَّااللّٰهُ عَزَّ وَ جَلَّ عَنْهُ سَيِّئَةً فَلْيُقَرِّبْ اَحَدُكُمْ اَوْ لِيَبْعُدْ – فَاِنْ اَتَي الْمَسْجِدَ فَصَلّٰي فِيْ جَمَاعَةٍ غُفِرَ لَهُ فَاِنْ اَتَي الْمَسْجِدَ وَ قَدْصَلَّوْا بَعْضًا وَبَقِيَ بَعْضٌ صَلّٰي مَااَدْرَكَ وَ اَتَمَّ مَا بَقِيَ كَانَ كَذٰ لِكَ – فَاِنْ اَتَي الْمَسْجِدَ وَ قَدْ صَلَّوْا فَاَ تَمَّ الصَّلٰوةُ كَانَ كَذَالِكَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[হযরত সাঈদ ইবনে মোসাইয়াব (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনছারী এক ব্যক্তির মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি বললেন- নিশ্চয়ই আমি তোমাদের নিকট একটি হাদীস একমাত্র ছাওয়াবের উদ্দেশ্যে বর্ণনা করবো। আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ কে এরশাদ করতে শুনেছি। যখন তোমাদের কোন পুরুষ উত্তমভাবে অজু করে অতঃপর সে মসজিদের উদ্দেশ্যে বের হয় তখন সে ডান পা উত্তোলন করলেই মহান আল্লাহ তার জন্য একটি নেক প্রদান করেন এবং বাম পা রাখলেই তার একটি অপরাধ মিটিয়ে দেন। অতএব, তোমাদের কেউ নিকটবর্তী হও অথবা দূরবর্তী হও।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর সে মসজিদে এসে জমাতে নামায আদায় করলে তাকে ক্ষমা করা হয়। আর মসজিদে যদি এমতাবস্থায় আসে যে, কিছু নামায আদায় করেছে আর কিছু বাকী আছে তাহলে যা পায় তা জামাতে আদায় করে যা বাকী রয়েছে তা পরিপূর্ণ করবে। তার জন্যেও অনুরূপ ক্ষমা করা হবে। আর মসজিদে যদি এমন সময় আসে যে নামায আদায় করা হয়েছে তাহলে (একাকী) নামায সমাপ্ত করবে। তাকেও অনুরূপ ক্ষমা করা হবে। (আবু দাউদ পৃষ্ঠা নং ৮৩, হাদীস নং-৫৬৩)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখিত হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ ﷺ পুরুষদেরকে সম্বোধন করে এরশাদ করেছে যে, اِذَا تَوَضَّأَ اَحَدُكُمْ فَاحْسَنَ الْوُ ضُوْءَ ثُمَّ خَرَجَ اِلَي الصَّلاَةِ</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ তোমাদের পুরুষদের কেউ যখন উত্তমভাবে অজু করে নামাজের জন্য মসজিদে যায়।</div><div style="text-align: justify;">অপর দিকে له – يرفع قدمه – خرج الي الصلوة – ليبعد – ليقرب – عنه – لم يضع – فصلي في جماعة – اتي المسجد</div><div style="text-align: justify;">ইত্যাদি শব্দগুলো পুংলিঙ্গের শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এই হাদীস শরীফ দ্বারা মহিলারা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে জামা’আতের সাথে নামায আদায় করা জায়েয বা অধিক ছাওয়াবের কাজ প্রমাণ করা যাবে না।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضي اللّٰهُ عنه اَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَالَ اَلاَ اَدُلُّكُمْ عَلٰي مَا يَمْحُو اللّٰهُ بِهِ الْخَطَا يَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّ رَجَاتِ؟ قَالُوْا بَلٰي يَارَسُوْلَ اللّٰهِ قَالَ : اِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَي الْمَكَارِهِ وَ كَثْرَةُ الْخُطَا اِلَي الْمَسَا جِدِ وَ انْتِظَارُ الصَّلٰوةِ بَعْدَ الصَّلٰوةِ – فَذٰلِكُمُ الرِّبَاطُه فَذٰ لِكُمُ الرِّبَاطُا فَذٰلِكُمُ الرِّبَاطُا</div><div style="text-align: justify;">[হযরত আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এরশাদ করেছেন। আমি কি তোমাদেরকে এমন আমলের সংবাদ দিবনা যার দ্বারা আল্লাহ অপরাধকে মিটিয়ে দেন এবং মর্যাদাকে বৃদ্ধি করেন। তারা উত্তরে বললেন। হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি এরশাদ করেন- কষ্ট করে হলেও পরিপূর্ণভাবে অজু করা, মসজিদে অধিক পরিমাণে আসা যাওয়া এবং নামাজের পর নামাজের অপেক্ষায় থাকা। এটাই তোমাদের জন্য সীমান্তে প্রহরা দেয়া। এটাই তোমাদের জন্য সীমান্তে প্রহরা দেয়া, এটাই তোমাদের জন্য সীমান্তে প্রহরা দেয়া। (ইমাম মালেক (রা.) এর মোয়াত্তা ১/১৬১, মুসলিম হাদীস নং ২৫১, তিরমিযী হাদীস নং ৫১)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপর্যুক্ত হাদীস শরীফেও মসজিদে অধিক পরিমাণে আসা যাওয়ার ফযীলত الاادلكم বলে পুরুষদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়েছে, মহিলাদেরকে সম্বোধন করে বলা হয়নি। অপর দিকে فذالكم – قالوا ইত্যাদি শব্দগুলো পুংলিংগের শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। এর দ্বারাও বুঝা যায় মসজিদে আসা যাওয়া পুরুষের জন্য অধিক ছাওয়াবের কাজ, মহিলাদের জন্য নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ رضي اللّٰه تعالي عنه قَالَ : سَمِعْتُ رِسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ يَقُوْلُ : سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللّٰهُ فِيْ ظِلِّهٖ يَوْمَ لاَ ظِلَّ اِلاَّ ظِلُّهُ : اَلْاِمَامُ الْعَادِلُ وَالشَّابُّ نَشَأَ فِيْ عِبَادَةِ اللّٰهِ عَزَّ وَ جَلَّ وَ رَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ بِالْمَسَا جِدِ ….. (الحد يث</div><div style="text-align: justify;">[হযরত আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এরশাদ করতে শুনেছি- সাত ধরনের ব্যক্তিকে (পরকালে) মহান আল্লাহ বিশেষ আশ্রয়ে রাখবেন যেদিন তাঁর আশ্রয় ছাড়া অন্য কোন আশ্রয় থাকবে না। ন্যায়পরায়ন নেতা, যুবক যিনি মহান আল্লাহর ইবাদতে লালিত হয়েছেন এবং এমন পুরুষ যার অন্তর মসজিদের সাথে সংযুক্ত… (সংক্ষেপ্তি) বোখারী, হাদীস নং ৬৬, মুসলিম হাদীস নং ১০৩১)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ হাদীস শরীফেও সরাসরি رجل তথা পুরুষের কথা বলা হয়েছে যিনির অন্তর মসজিদের সাথে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ জামা’আতে নামায আদায়ের জন্য মসজিদে আসা যাওয়া করে এবং এক নামাজে যাওয়ার পর অপর ওয়াক্তে যাওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে প্রস্তুত থাকে। এখানেও মহিলার উল্লেখ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ سَعِيْدِ الْخُدْرِيِّ رضي اللّٰهُ تعالي عنه عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ اِذَا رَأَ يْتُمُ الرَّجُلَءَيَعْتَادُالْمَسَا جِدَ فَا شْهَدُوْا لَهُ بِالْاِ يْمَانِ قَالَ اللّٰهُ عَزَّ وُ جَلَّ اِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَا جِدَ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ بِا للّٰهِ وَ الْيَوْمِ الْاٰخِرِ</div><div style="text-align: justify;">[হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন- যখন তোমরা কোন পুরুষকে দেখ যে, সে মসজিদ সমূহে যথারীতি (নামায আদায়) করতেছে, তাহলে তার ব্যাপারে তোমরা ঈমানের স্বাক্ষ্য প্রদান কর। মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন- নিশ্চয়ই যিনি আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস করেন তিনিই আল্লাহর মাসজিদ সমূহ আবাদ করেন। (তিরমিযী হাদীস নং ২৬১৭, ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৮০২, ইবনু খুযাইমা ২/৪৭৯)]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">উল্লেখিত হাদীস শরীফেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, যখন তোমরা কোন পুরুষকে দেখ সে মসজিদ সমূহে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেছে, কোন মহিলার কথা বলা হয়নি। তাই এর দ্বারাও বুঝা যায় যে, পুরুষগণই মসজিদে রীতিমত আসা যাওয়া করবেন এবং একে আবাদ করবেন, মহিলারা নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মোটকথা মসজিদে আসা যাওয়া, জামা’আতে নামায আদায় ও মসজিদ আবাদ করার ফযিলতের ব্যাপারে উপর্যুক্ত হাদীস শরীফ সমূহসহ অগণিত হাদীস রয়েছে যাতে স্পষ্টভাবে পুরুষের কথা বলা হয়েছে। আমি অধমের জানা মতে একটি হাদীসও পাওয়া যাবে না যাতে সরাসরি একথা রয়েছে যে, মহিলারা ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে যাবে বা তারা সেখানে জামা’আতের সাথে নামায আদায় করলে অধিক ফযিলত পাবে। তাই পুরুষের ফযিলতের হাদীসকে মহিলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা একেবারেই অপব্যাখ্যা ও বোকামী হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা কি মহিলাদের জন্য নয়?

জামা’আতে নামাযের ফযিলত আছে তা কি মহিলাদের জন্য নয়? জামাআতে নামাযের ফযিলত আছে তা মহিলাদের জন্য নয়? অথবা সকল হাদীস শরীফে ঘর হতে বের হয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায়ের ফযিলত বর্ণিত আছে তা মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য কি না?ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে বা ঈদগাহে গিয়ে জামাআতের সাথে নামায আদায়ের ফযিলত সম্পর্কিত যে সকল হা…

Read more »

মহিলারা কোথায় সালাত আদায় করবে?

<div style="text-align: justify;">মহিলাদেরকে ঘরে নামায আদায়ের কথা হাদিসে আছে কিনা?</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">অগণিত হাদীস শরীফে মহিলাদেরকে ঘরে নামায আদায় করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। অপর দিকে পুরুষদেরকে তাদের ঘরে নামায আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি মসজিদের পুরুষ প্রতিবেশী মসজিদে গিয়ে নামায আদায় না করলে তার নামায হবেনা বলেও সতর্ক করা হয়েছে। নিম্নে এ প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদীস শরীফ তুলে ধরা হল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اُمِّ حُمَيْدٍ اِمْرَأَةِ اَبِيْ حُمَيْدِ السَّاعِدِيِّ رَ ضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا اَ نَّهَاجَاءَتْ اِلَي النَّبِيِّ ﷺ فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اِنِّيْ اُحِبُّ الصَّلٰوةَ مَعَكَ – قَالَ عَلِمْتُ اَنَّكِ تُحِبِّيْنَ الصَّلٰوةَ مَعِيْ وَ صَلٰوتُكِ فِيْ بَيْتِكِ خَيْرٌمِنْ صَلٰوتِكِ فِيْ حُجْرَ تِكِ وَ صَلٰوتُكِ فِيْ حُجْرَتِكِ خَيْرٌمِنْ صَلاَتِكِ فِيْ دَا رِكِ وَ صَلٰوتُكِ فِيْ دَارِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلاَ تِكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَ صَلٰوتُكِ فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌمِنْ صَلاَ تِكِ فِيْ مَسْجِدِيْ – قَالَ : فَاَمَرَتْ فَبُنِيَ لَهَا مَسْجِدٌ فِيْ اَقْصٰي شَيْءٍ مِنْ بَيْتِهَا وَ اَظْلَمِهٖ وَ كَا نَتْ تُصَلِّيْ فِيْهٖ حَتّٰي لَقِيَتِ اللّٰهَ عَزَّ وَ جَلَّ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[আবু হুমাইদ আস্সাঈদের স্ত্রী উম্মে হুমাইদ আস্সায়েদী (রা:) হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই তিনি নবী করীম ﷺ এর খেদমতে এসে আবেদন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সাথে নামায আদায় করতে ভালবাসি। তিনি এরশাদ করলেন, আমি জানি তুমি আমার সাথে নামায আদায় করতে ভালবাস। অথচ তোমার ঘরের বাহিরে নামায পড়ার চেয়ে তোমার ঘরের ভিতরের কক্ষে নামায পড়া তোমার জন্য অধিক উত্তম।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আর তোমার ঘরের বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে তোমার ঘরের কক্ষে নামায পড়া তোমার জন্য অধিক উত্তম। আর তোমার সম্প্রদায়ের মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে তোমার বাড়িতে নামায পড়া তোমার জন্য অধিক উত্তম। আর তোমার সম্প্রদায়ের মসজিদে নামায পড়া তোমার জন্য অধিক উত্তম আমার মসজিদে নামায পড়ার চেয়ে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর উম্মে হুমাইদ (রা:) আদেশ দিলেন। ফলে তাঁর ঘরের ভিতর অধিক অন্ধকারে তাঁর জন্য নামাজের স্থান প্রস্তুত করা হল এবং তিনি মৃত্যু পর্যন্ত তথায় নামায পড়তেছিলেন। (মোসনাদে আহমাদ ৬/৩৭১, হাদীস নং ২৭৬৩০, ছহীহ ইবনে খোযাইমা ৩/৯৫, ছহীহ ইবনে হিব্বান)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">عَنْ اُمِّ سَلَمَةَ رَضِي اَللّٰهُ عَنْهَا عَنْ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ خَيْرُمَسَاجِدِ النِّسَاءِ قَعْرُ بُيُوْتِهِنَّ</div><div style="text-align: justify;">[উম্মে সালামা (রা:) হতে বর্ণিত তিনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন- মহিলাদের সর্বোত্তম মসজিদ হল তাদের ঘরের অভ্যন্তর। (মোসনাদে আহমাদ খণ্ড নং-৬, পৃষ্ঠা নং ২৯৭, হাদীস নং ২৭০৭৭, মোসতাদরাক লিল হাকেম ১/২০৯, আল মাজমা লিল হাইছামী ২/৩৩)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اُمِّ سَلَمَةَ رَ ضِيَ اللّٰهُ عَنْهَا عَنْ النَّبِيِّ ﷺ اَنَّهُ قَالَ صَلاَةُ الْمَرْأَةِفِيْ بَيْتِهَا خَيْرٌمِنْ صَلاَ تِهَا فِيْ حُجْرَ تِهَا وَ صَلاَ تُهَا فِيْ حُجْرَ تِهَا خَيْرٌمِنْ صَلاَ تِهَا فِيْ دَا رِهَا وَ صَلاَ تُهَا فِيْ دَا رِهَا خَيْرٌمِنْ صَلاَتِهَا مِنْ خَارِجٍ</div><div style="text-align: justify;">[উম্মে সালামা হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন- মহিলার নামায তার ঘরের ভিতর অধিক উত্তম তার ঘরের বাহিরের কক্ষে নামায পড়ার চেয়ে। আর তার ঘরের বারান্দায় নামায পড়ার চেয়ে তার ঘরের বাহিরের কক্ষে নামায পড়া অধিক উত্তম। আর মহিলার ঘরের বাহিরে নামায পড়ার চেয়ে তার ঘরের বারান্দায় পড়া অধিক উত্তম। (কানযুল উম্মাল ৭ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং-৬৭৬, তাবারানী ২৫তম খণ্ড পৃষ্ঠা নং-১৪৮)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ صَلٰوةُ الْمَرْأَ ةِ فِيْ بَيْتِهَا اَفْضَلُ مِنْ صَلاَتِهَا فِيْ حُجْرَتِهَا وَ صَلاَتُهَا فِيْ مَخْدَ عِهَا اَفْضَلُ مِنْ صَلاَتِهَا فَيْ بَيْتِهَا</div><div style="text-align: justify;">[আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন- মহিলার নামায তার ঘরের ভিতরের কক্ষে পড়া অধিক উত্তম তার ঘরের বাহিরের কক্ষে পড়ার চেয়ে। আর মহিলার নামায তার ঘরের ভিতরের ছোট কক্ষে পড়া অধিক উত্তম তার ঘরের ভিতরে পড়ার চেয়ে। (আবু দাউদ পৃষ্ঠা নং-৮৪, হাদীস নং ৫৭০, মোজামুল কবীর ৯ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ২৯৫)]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">মহিলাদেরকে ঘরে নামায পড়ার কথা:</div><div style="text-align: justify;">عَنِ اِبْنِ عُمَرَ رضي اللّٰهُ تعالي عنهما قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ لاَ تَمْنَعُوْا نِسَاءَكُمُ الْمَسَا جِدَ وَ بُيُوْ تُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ</div><div style="text-align: justify;">[ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এরশাদ করেছেন- তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে মসজিদে বাধা দিওনা এবং তাদের ঘরসমূহ তাদের জন্য অধিক উত্তম। (আবু দাউদ পৃৃষ্ঠা নং-৮৪, হাদীস নং ৫৬৭)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উল্লেখ্য যে, আল্লামা ইবনে খোযাইমা (রা:) মহিলার জন্য তার ঘরে নামায আদায় করা তার হুজরা, মসজিদ এমনকি মসজিদে নববীতে আদায় করা হতেও উত্তম বলেছেন। আরো বলেছেন যে, মসজিদে নববীতে নামায পড়া অধিক ছাওয়াব তা পুরুষদের জন্য মহিলাদের জন্য নয়। তাঁর ভাষায়- بَابُ اخْتِيَارِ صَلٰوةِ الْمَرْأَةِ فِيْ حُجْرَ تِهَا عَلٰي صَلاَتِهَا فِيْ دَا رِهَا وَ صَلاَ تُهَا فِيْ مَسْجِدِ قَوْمِهَا عَلٰي صَلاَ تِهَا فِيْ مَسْجِدِ النَّبِيِّ ﷺ وَ اِنْ كَا نَتْ صَلاَةٌ فِيْ مَسْجِدِ النَّبِيِّ ﷺ تَعْدِلُ اَلْفَ صَلاَةٍ فِيْ غيْرِهٖ مِنَ الْمَسَا جِدِ وَ الدَّ لِيْلُ عَلٰي اَنَّ قَوْلَ النَّبِيِّ ﷺ صَلاَةٌ فِيْ مَسْجِدِيْ هٰذَا اَفْضَلُ مِنْ اَلْفِ صَلاَةٍ فِيْمَاسَوَاهُ مِنَ الْمَسَاجِدِ – اِنَّمَا اَرَا دَ بِهٖ صَلاَةَ الرِّجَالِ دُوْنَ صَلاَةِ النِّسَاءِ</div><div style="text-align: justify;">(الصحيح لا بن خز يمة ۳ /۹۴)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

মহিলারা কোথায় সালাত আদায় করবে?

মহিলাদেরকে ঘরে নামায আদায়ের কথা হাদিসে আছে কিনা? অগণিত হাদীস শরীফে মহিলাদেরকে ঘরে নামায আদায় করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। অপর দিকে পুরুষদেরকে তাদের ঘরে নামায আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি মসজিদের পুরুষ প্রতিবেশী মসজিদে গিয়ে নামায আদায় না করলে তার নামায হবেনা বলেও সতর্ক করা হয়েছে। নিম্নে…

Read more »

মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা?

<div style="text-align: justify;">মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা? হাদীস শরীফে মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে না কি নিরুৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়নি বরং নিরুৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে। নিম্নে এ প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদীস শরীফ তুলে ধরা হল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رضي اللّٰهُ تعالي عنه عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ اَلْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَاِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ</div><div style="text-align: justify;">[আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন- তিনি এরশাদ করেছেন, মহিলা হল আওরাত তথা পর্দায় অবস্থানকারিনী। অতএব যখন সে বের হয় শয়তান তাকে উকি মেরে দেখে। (তিরমিযী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ২২২ হাদীস নং ১১৭৩, ছহীহ ইবনে খোযাইমা ৩/৯৩, ছহীহ ইবনে হিব্বান-৫৫৭)] ইবনে খোযাইমা ও ইবনে হিব্বানের বর্ণনায় অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে যে, وَ اَقْرَبُ مَاتَكُوْنُ مِنْ وَ جْهِ رَبِّهَا وَ هِيَ فِيْ قَعْرِ بَيْتِهَا</div><div style="text-align: justify;">[আর মহিলা তার প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য অধিক উপযোগী হল সে তার ঘরের ভিতরে অবস্থান করা।]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ رضي اللّٰهُ تعالي عنه قَالَ مَاصَلَّتِ امْرَأَةٌ مِنْ صَلاَةٍ اَحَبَّ اِلَي اللّٰهِ مِنْ اَشَدِّ مَكَانٍ فِيْ بَيْتِهَا ظُلْمَةً</div><div style="text-align: justify;">[আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন- মহিলা তার ঘরের ভিতর অন্ধকারে নামায পড়ার চেয়ে আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দের আর কোন নামায পড়ে না। অর্থাৎ মহিলা তার ঘরের ভিতর অন্ধকারের নামাযই আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। (ইমাম তাবারানী কবিরে এবং ইমাম হাইছামী মাজমা উযযাওয়ায়েদ ২/৩৫ এ বর্ণনা করেছেন।)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِي الْاَ حْوَصِ رضي اللّٰهُ تَعالي عنه عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ اِنَّ اَحَبَّ صَلاَةِ الْمَرْأَةِ اِلَي اللّٰهِ فِيْ اَ شَدِّ مَكَانٍ فِيْ بَيْتِهَا ظُلْمَةً</div><div style="text-align: justify;">[আবু আহওয়াছ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন- নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দের নামায হল মহিলার নামায যা তার ঘরের কোনে অন্ধকারে পড়া হয়। (ছহীহ ইবনে খুযাইমা ৩/৯৬)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">فِيْ رِوَا يَةٍ عِنْدَ الطَّبَرَانِيِّ قَالَ : اَلنِّسَاءُ عَوْرَةٌ وَ اِنَّ المَرْأَةَ لَتُخْرِجُ مِنْ بَيْتِهَا وَ مَابِهَا بَأْ سٌ فَيَسْتَشْرِفُهَا الشَّيْطَانُ فَيَقُوْلُ : اِنَّكِ لاَ تَمُرِّيْنَ بِاحَدٍ اِلاَّ اَعْجَبْتِهٖ وَ اِنَّ الْمَرْأَ ةَ لَتَلْبِسُ ثِيَا بَهَا فَيُقَالُ اَيْنَ تُرِيْدِيْنَ؟ فَتَقُوْلُ اَعُوْدُ مَرِيْضًا اَوْ اَشْهَدُ جَنَازَةً اَوْ اُصَلِّيْ فِيْ مَسْجِدٍ – وَ مَاعَبَدَتْ اِمْرَأَ ةٌ رَبَّهَا مِثْلَ اَنْ تَعْبُدَهُ فِيْ بَيْتِهَا</div><div style="text-align: justify;">[তাবারানীর এক বর্ণনায় আছে- তিনি এরশাদ করেছেন। মহিলাগণ আওরাত তথা পর্দায় অবস্থানকারিনী। নিশ্চয়ই মহিলা ঘর হতে বের হলে শয়তান তাকে উকিমেরে দেখে অতপর বলে তুমি যার পাশ দিয়েই অতিক্রম করবে তাকেই তুমি আশ্চর্য করে ফেলবে। আর মহিলা কাপড় পরিধান করে, অতপর তাকে বলা হয়, কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করছো। উত্তরে সে বলে রোগী দেখতে অথবা জানাযায় শরীক হতে অথবা মসজিদে নামায পড়তে। অথচ মহিলা তার ঘরের মধ্যে ইবাদত করার ন্যায় তার প্রভুর উত্তম ইবাদত অন্য কোথাও করতে পারে না। (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ২/৩৫)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ عَمْرِو الشَّيْبَانِيْ اَنَّه رَاٰي عَبْدَ اللّٰهِ يُخْرِجُ النِّسَاءَ مِنَ الْمَسْجِدِ يَوْمَ الْجُمْعَةِ وَيَقُوْلُ : اُخْرُجْنَ اِلٰي بُيُوْ تِكُنَّ خَيْرٌ لَكُنَّ – (ذكره الهيثمي في مجمع الز وائد ۲/۳۵</div><div style="text-align: justify;">[আবু আমর শাইবানী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে দেখেছেন যে, তিনি মহিলাদেরকে জুমআর দিন মসজিদ হতে বের করেন এবং বলেন তোমরা তোমাদের ঘরে চলে যাও। ঘর হলো তোমাদের জন্য অধিক উত্তম।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ صَلٰوةُ الرَّجُلِ فِي الْجَمَاعَةِ تُضَعَّفُ عَلٰي صَلاَ تِهٖ فِيْ بَيْتِهٖ وَ فِيْ سُوْقِهٖ خَمْسَةً وَّ  عِشْرِيْنَ ضِعْفًا – وَ ذَ الِكَ اَنَّهُ اِذَا تَوَضَّأَ فَاَ حْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ خَرَجَ اِلَيالْمَسْجِدِ لَا يُخْرِجُهُ اِلاَّ الصَّلٰوةُ لَمْ يَخُطَّا خَطْوَةً اِلاَّ رُ فِعَتْ لَهُ بِهَا دَرَجَهٌ وَ حُطَّا عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةٌ – فَاِذَا صَلّٰي لَمْ تَزِلِ الْمَلاَ ئِكَةُ تُصَلِّيْ عَلَيْهِ مَادَامَ فِيْ مُصَلاَّهُ – اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِ اَللّٰهُمَّ ارْحَمُ وَ لَايَزَالُ اَحَدُكُمْ فِيْ صَلَاةٍ مَاا نْتَظَرَ الصَّلٰوةَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন- জামাআতের সহিত পুরুষের নামায একাকি তার বাড়িতে ও বাজারে পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। এটা এজন্য যে, যখন সে অজু করে উত্তম রূপে অজু করে। অতঃপর যখন সে মসজিদের দিকে বের হয় একমাত্র নামাজের জন্যই বের হয়। তার প্রতিটি পদেই তার একেকটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং এর দ্বারা তার একেকটি অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর যখন সে নামায আদায় করে ফেরেস্তাগণ তার জন্য দোয়া করতে থাকেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের স্থানে অবস্থান করেন। ফেরেস্তাগণ তার জন্য এ বলে দোয়া করেন- হে আল্লাহ! তাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। আর তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত নামাযের অপেক্ষায় থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত নামাযে রত হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারী ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৮৯, হাদীস নং ৬৩৮, মুসলিম হাদীস নং ৬৪৯, আবু দাউদ হাদীস নং ৫৫৯, তিরমিযী হাদীস নং- ৬৩, ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৭৭৪)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা?

মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা? মহিলাদেরকে মসজিদে নামায পড়তে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিনা? হাদীস শরীফে মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করতে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে না কি নিরুৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে?মহিলাদেরকে তাদের ঘর হতে বের হয়ে মসজিদে গিয়ে নামায আদায় ক…

Read more »

মহিলাদের মসজিদে যাওয়া কি জায়েজ?

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহিলাদের মসজিদে যাওয়া কি জায়েজ?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহিলাদের মসজিদে যাওয়া যদি না জায়েয হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাণী لاَتَمْنَعُوْا نِسَاءَكُمْ (তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদ হতে বাধা দিওনা) বলার উদ্দেশ্য কি?</div><div style="text-align: justify;">ইসলামের প্রথম যুগে বিভিন্ন কারণে মহিলারা মসজিদে যাওয়া জায়েয ছিল বিধায় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মহিলাদের অভিভাবকদেরকে পরামর্শমূলক বলেছেন যে, তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যাওয়া হতে নিষেধ করিও না। যেমন আবু দাউদ শরীফ ১ম খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৮৪, হাদীস নং ৫৬৬ এ আছে- عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ لاَتَمْنَعُوْا اِمَاءَ اللّٰهِ مَسَا جِدَ اللّٰهِ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এরশাদ করেছেন- তোমরা আল্লাহর বাদীদেরকে তথা মহিলাদেরকে আল্লাহর মসজিদসমূহে নিষেধ করিও না।] উপর্যুক্ত হাদীস শরীফটি ইসলামের প্রথম যুগের যখন মহিলাদের জন্য পর্দার হুকুম নাযিল হয়নি। অপর দিকে মহিলারা শরীয়তের জ্ঞানার্জনের জন্যেও মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই কোন প্রকার শর্ত বিহীনভাবে তাদেরকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি ছিল। অত:পর সুগন্ধি ও সুন্দর্য বর্জনের শর্তযুক্ত করে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। যেমন হাদীস শরীফে আছে- عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَهَ اَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَالَ لاَ تَمْنَعُوْا اِمَاءَ اللّٰهِ مَسَا جِدَ اللّٰهِ وَ لٰكِنْ لَيَخْرُجْنَ وَ هُنَّ تَفِلاَ تٌ</div><div style="text-align: justify;">[আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এরশাদ করেছেন-তোমরা আল্লাহর বাদীদেরকে আল্লাহর মসজিদসমূহে আসতে নিষেধ করিও না। কিন্তু মহিলারা সুগন্ধি ব্যবহার ও সুন্দর্য প্রদর্শন ব্যতীত মসজিদের দিকে বের হবে। (আবু দাউদ পৃষ্ঠা নং ৮৪, হাদীস নং-৫৬৫)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">এ প্রসঙ্গে আরো কঠোরতামূলক এরশাদ হচ্ছে- عَنْ زَيْنَبَ اِمْرَأَةِ عَبْدِ اللّٰهِ قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ اِذَا شَهِدَتْ اِحْدَا كُنَّ الْمَسْجِدَ فَلاَ تَمَسَّ طِيْبًا</div><div style="text-align: justify;">[আবদুল্লাহর স্ত্রী যয়নব (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন- রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে বলেছেন। তোমাদের কেহ যদি মসজিদে উপস্থিত হয় সে যেন সুগন্ধি স্পর্শ না করে। (মুসলিম ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ১৮৩, হাদীস নং ৪৪৩)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আরো এরশাদ হচ্ছে- عَنْ اَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ اَ يُّمَا اِمْرَءَةٍ اَصَابَتْ بَخُوْرًا فَلاَتَشْهَدْ مَعَنَا الْعِشَاءَ الْاٰخِرَةَ</div><div style="text-align: justify;">[আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন-যে মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করেছে সে যেন আমাদের সাথে এশার নামাজে উপস্থিত না হয়। (মুসলিম ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ১৮৩, হাদীস নং ৪৪৪)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অত:পর মহিলাদেরকে সরাসরি নিষেধ না করলেও আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে না এসে তাদের ঘরে নামায পড়া তাদের জন্য অধিক উত্তম বলা হয়েছে। যেমন এরশাদ হচ্ছে- عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضي اللّٰه عنهما قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ لاَ تَمْنَعُوْا نِسَاءَكُمُ الْمَسَاجِدَ وَ بُيُوْتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন- তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে বাধা দিওনা। আর তাদের ঘরসমূহ তাদের জন্য অধিক উত্তম স্থান। (আবু দাউদ পৃষ্ঠা নং ৮৪, হাদীস নং ৫৬৭)] এ হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে- بذل المجهود في حل ابي داود কিতাব ১ম খণ্ড ৩১৯ নং পৃষ্ঠায় আছে- بُيُوْتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ اَيْ وَ صَلٰو تُهُنَّ فِيْ بُيُوْ تِهِنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ مِنْ صَلٰو تِهِنَّ فِي الْمَسَاجِدِ بِالْجَمَاَ عَةِ لِاَ نَّهُ اَسْتَرُ لَهُنَّ – اَلْجُمْلَةُ الْاُ وْلٰي نَهِيٌ للِرِّ جَالِ عَنْ مَنْعِ النِّسَاءِ عَنِ الْحُضُوْرِ فِي الْمَسْجِدِوَ الْجُمْلَةُ الثَّا نِيَةُ حَثٌّ وَ تَرْغِيْبٌ للِنِّسّاءِ اَنْ يُصَلِّيْنَ فِيْ بُيُوْتِهِنَّ فَاِنَّهُ اَفْضَلُ لَهُنَّ كَمَا يَدُلُّ عَلَيْةِ حَدِيْثُ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُوْدِ الْاٰتِيْ قَرِ يْبًا</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[মহিলাদের ঘরই মহিলাদের জন্য অধিক উত্তম। অর্থাৎ মহিলারা মসজিদে গিয়ে জামা’আতে নামায আদায় করার চেয়ে মহিলাদের নামায তাদের ঘরেই অধিক উত্তম। কেননা এটাই তাদের জন্য অধিক পর্দা। প্রথম বাক্য অর্থাৎ “তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদ হতে নিষেধ করিও না” বাক্যটি হল পুরুষদের জন্য নিষেধ মহিলাদেরকে মসজিদে উপস্থিত হতে বাধা না দেয়ার। আর দ্বিতীয় বাক্য অর্থাৎ “মহিলাদের ঘরই হল তাদের জন্য অধিক উত্তম” বাক্যটি হল মহিলাদের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ ও আগ্রহকরণ যাতে তারা তাদের ঘরেই নামায আদায় করে। কেননা ঘরে নামায আদায় করাই মহিলাদের জন্য অধিক উত্তম যা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের হাদীসে বুঝা যায়।]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">আবার দেখা যায় যে, মহিলারা দিনের বেলায় মসজিদে আসা যাওয়া তাদের জন্য নিরাপদ না হওয়ায় এবং ফিতনার ভয়ে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ রাতের বেলায় অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়ার জন্য বলেছেন। যেমন এরশাদ হচ্ছে- عَنِ ابْنِ عُمَرَ رضي اللّٰهُ تعالي عنهما عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ : اِذَا اسْتَأْذَنَكُمْ نِسَاؤُكُمْ بِالَّيْلِ اِلَي الْمَسْجِدٍ فَأْذَ نُوْا لَهُنَّ</div><div style="text-align: justify;">[ইবনে ওমর (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি এরশাদ করেছেন যখন তোমাদের মহিলাগণ রাত্রের বেলা মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায় তাহলে তাদেরকে অনুমতি দিও। (বুখারী ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা নং ১১৯, হাদীস নং-৮৫৭)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[এ হাদীসের ব্যাখ্যায় আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রা.) বলেন- وَ فِيْهٖ اَنَّهُ يَنْبَغِيْ اَنْ يَأْذَنَ لَهَاوَ لاَ يَمْنَعَهَا مِمَّا فِيْهٖ مَنْفَعَتُهَا – وَ ذَالِكَ اِذَا لَمْ يَخُفَّ الْفِتْنَةَ عَلَيْهَا وَ لاَ بِهَا وَ قَدْكَانَ هُوَ الْاَ غْلَبُ فِيْ ذَالِكَ الزَّ مَاَنِ بِخِلاَفِ زَمَانِنَا هٰذَا – فَاِنَّ الْفَسَادَ فِيْهٖ فَاشٍ وَالْمُفْسِدُوْنَ كَثِيْرُوْنَ وَ حَدِ يْثُ عَا ئِشَةَ رضي اللّٰهُ تعالي عنها الَّذِيْ يَأْ تِي يَدُلُّ عَلٰي هٰذَا وَ عَنْ مَالِكٍ : اِنَّ هٰذَا الْحَدِيْثَ وَ نَحْوَهُ مَحْمُوْلٌ عَلَي الْعَجَا ئِزِ وَ قَالَ النَّوَوِيُّ لَيْسَ لِلْمَرْأَةِ خَيْرٌ مِنْ بَيْتِهَا وَ اِنْ كَانَ عَجُوْزًا – …. وَ كَانَ اِبْرَاهِيْمُ يَمْنَعُ نِسَاءَهُ الْجُمْعَةَ وَ الْجَمَا عَةُ ….. وَ فِيْهٖ اِ شَارَةٌ اِلٰي اَنَّ الْاِذْ نَ الْمَذْ كُوْرَ لِغَيْرِ الْوَاجِبِ لِاَ نَّهُ لَوْ كَانَ وَاجِبًا لاَ نْتَفٰي مَعْنَي الْاِ سْتِئْذَانِ لِاَنَّ ذَالِكَ اِنَّمَا يَتَحَقَّقُ اِذَا كَانَ الْمُسْتَأْذَنُ مُخَيَّرًا فِي الْاِجَابَةِ اَوِ الرَّدِّ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[এ হাদীসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, যে কাজে মহিলার উপকার রয়েছে সে কাজে তাকে অনুমতি দেয়া এবং নিষেধ না করা। আর অনুমতি দেয়া ও বাধা না দেয়া তখন যখন মহিলার উপর বা মহিলার দ্বারা ফিতনার ভয় না থাকে। ঐ সময় তথা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সময় ফিতনার ভয় না থাকাই অধিকতর সম্ভাব্য। আমাদের এই যামানায় এর ব্যতিক্রম। কেননা এ যামানায় ফেতনা ফাসাদ ব্যাপক এবং ফাসাদ সৃষ্টিকারী অনেক। আয়েশা (রা:) এর হাদীসও তা বুঝায়। ইমাম মালেক (রা:) বলেছেন- এ হাদীস ও অনুরূপ অন্যান্য হাদীস বৃদ্ধাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম নববী (রা:) বলেন- মহিলার জন্য তার নিজ ঘর হতে অধিক উত্তম স্থান নেই যদিও বৃদ্ধা হয়। ইমাম ইব্রাহীম নাখয়ী (রা:) তিনি তাঁর মহিলাদেরকে জুমআ ও জমআত হতে নিষেধ করতেন। হাদীস শরীফে এ দিকে ইঙ্গিত রয়েছে যে, উল্লেখিত অনুমতি অর্থাৎ পুরুষ মহিলাকে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি দেয়া ওয়াজিব নহে। কেননা ওয়াজিব যদি হয় তাহলে অনুমতি চাওয়ার অর্থ দূর হয়ে যায়। এজন্য যে, অনুমতি চাওয়া তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন অনুমতি প্রাপ্ত ব্যক্তি সাড়া দেওয়া ও সাড়া না দেয়া উভয়ের মধ্যে ইচ্ছাধীন থাকে। (ওমদাতুল ক্বারী শরহে ছহীহুল বোখারী ৪নং খণ্ড পৃষ্ঠা নং ৬৪৭)]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">অতএব, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাণী “তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদ হতে নিষেধ করিও না” এর দ্বারা এটা বুঝা যায় না যে, মহিলারা তাদের ঘরে নামায না পড়ে অধিক ছাওয়াবের জন্য মসজিদে গিয়ে জমআতের সাথে নামায আদায় করা উত্তম। বরং এর অর্থ হল-ঘরে নামায পড়াই তাদের জন্য অধিক উত্তম ও অধিক ছাওয়াব। কিন্তু এর পরও যদি কোন মহিলা উত্তমতাকে ছেড়ে সম্পূর্ণ পর্দানিশী হয়ে সুগন্ধি ও সুন্দর বর্জন করে তার স্বামী বা অভিভাবকের নিকট অনুমতি চায় এমতাবস্থায় পুরুষদেরকে পরামর্শমূলক বলা হয়েছে যে, তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করিও না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফে কোথাও এ আদেশ নেই যে, হে মহিলাগণ! তোমরা মসজিদে গিয়ে নামায আদায় কর। অথবা হে পুরুষগণ! তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদে পাঠাও। আবার কোথাও একথা নেই যে, মহিলারা ঘরে নামায আদায় করলে ছাওয়াব কম হবে এবং মসজিদে আদায় করলে ছাওয়াব বেশী হবে। তাই যেখানে হাদীস শরীফে মহিলাদের জন্য মসজিদ হতে ঘরে নামায পড়া অধিক উত্তম বলা হয়েছে সেখানে উত্তমতা বর্জন করে ঘর ছেড়ে মসজিদে যাওয়া বোকামী ও ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি করা ব্যতীত অন্য কিছু নহে। মহান আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুক।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

মহিলাদের মসজিদে যাওয়া কি জায়েজ?

মহিলাদের মসজিদে যাওয়া কি জায়েজ?মহিলাদের মসজিদে যাওয়া যদি না জায়েয হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বাণী لاَتَمْنَعُوْا نِسَاءَكُمْ (তোমরা তোমাদের মহিলাদেরকে মসজিদ হতে বাধা দিওনা) বলার উদ্দেশ্য কি?ইসলামের প্রথম যুগে বিভিন্ন কারণে মহিলারা মসজিদে যাওয়া জায়েয ছিল বিধায় অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মহিল…

Read more »

যাকাত ফরজ করা হয়েছে যাদের উপর

<div style="text-align: justify;">যাকাত ফরজ করা হয়েছে যাদের উপর</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">কার উপর যাকাত ফরজ ?</div><div style="text-align: justify;">নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক সকল মুসলিম নর-নারীর উপর যাকাত ফরজ । কোন ব্যক্তি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর চাঁদের হিসাবে পরিপূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে তার উপর আগের এক বছরের যাকাত প্রদান করা ফরয। অবশ্য যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের নিসাবের মালিক হওয়ার পাশাপাশি ঋণগ্রস্থ হয়, তবে ঋণ বাদ দিয়ে নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর যাকাত ফরয হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যাকাত ফরয হওয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি যাকাত প্রদান না করে অর্থ-সম্পদ খরচ করে ফেলে তাহলেও তার পূর্ববর্তী বছরের যাকাত দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, সৌর বছর হয় ৩৬৫ দিনে আর চন্দ্র বছর হয় সৌর বছর হতে ১১ দিন কমে ৩৫৪ দিনে। তাই যাকাতের হিসাব করতে চন্দ্র বছর ৩৫৪ দিন ধরে করতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য পূর্ববর্তী শর্তগুলো কি কি?</div><div style="text-align: justify;">একজন ব্যক্তির উপর যাকাত ফরয হওয়ার জন্য নিম্নের বিষয়গুলো পূর্বশর্ত। শর্ত পাওয়া না গেলে যাকাত ফরজ হবে না।</div><div style="text-align: justify;">১. মুসলমান হওয়া। তাই অমুসলিম ধনীর উপর যাকাত ফরয নয়। এমনকি কোন অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে তাকে অমুসলিম থাকাকালীন বছরের যাকাত দিতে হবে না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২. বালেগ বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া। সুতরাং নাবালেগের সম্পদের যাকাত দিতে হয় না।</div><div style="text-align: justify;">৩. আকেল বা জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া। অতএব, যে ব্যক্তি সারা বছর পাগল অবস্থায় ছিল ঐ ব্যক্তির ঐ বছরের যাকাত ফরজ হবে না।</div><div style="text-align: justify;">৪. আযাদ বা স্বাধীন হওয়া। তাই পরাধীন দাস-দাসীর সম্পদে যাকাত ফরয নয়।</div><div style="text-align: justify;">৫. সম্পদ নিছাব পরিমাণ হওয়া। তাই নিসাবের কম সম্পদে যাকাত ফরয নয়। যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত ফরজ হয় ঐ পরিমাণ সম্পদকে ইসলামী পরিভাষায় ‘নিছাব’ বলা হয়।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">৬. নিছাব পরিমাণ সম্পদ ব্যক্তির পূর্ণ মালিকানা এবং আয়ত্বে থাকা। তাই যে সম্পদ ব্যক্তির পূর্ণমালিকানা বা আয়ত্বে নেই ঐ সম্পদের যাকাত দিতে হবে না।</div><div style="text-align: justify;">৭. নিছাব পরিমাণ সম্পদ ঋণের অতিরিক্ত হওয়া। তাই ঋণসহ সম্পদ নিছাব পরিমাণ হলে যাকাত ফরয হবে না।</div><div style="text-align: justify;">৮. জীবন ধারণে নিত্য প্রয়োজনীয় সম্পদের অতিরিক্ত হওয়া।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৯. সম্পদ প্রবৃদ্ধি মূলক হওয়া। যেমন স্বর্ণ, রূপা, ব্যবসার মাল। আর গৃহপালিত প্রাণীর ক্ষেত্রে তা স্বাধীনভাবে চারণভূমিতে বিচরণ করে ঘাস খেয়ে বেড়ায়, ফলে মালিক এর ব্যয় নির্বাহ করতে হয় না এবং এগুলো দিয়ে চাষাবাদ বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করে না।</div><div style="text-align: justify;">১০. নিছাব পরিমাণ সম্পদে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়া। অর্থাৎ বছরের শুরুতে ও শেষে নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে কিন্তু বছরের মাঝখানে পূর্ণ নিছাব না থাকলেও পূর্ণ বছর হিসেবে যাকাত দিতে হবে। বছরের মাঝখানের ঘাটতি শরীয়তে ধর্তব্য নয়।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">যাকাত আদায়ে নিয়্যত করা কি?</div><div style="text-align: justify;">যাকাত আদায় হওয়ার জন্য যাকাত আদায়ের সময় কিংবা যাকাতের মাল পৃথক করার সময় যাকাত দানের নিয়্যত করা পূর্বশর্ত। তাই কেউ সারা বছর নিয়্যত বিহীন দান করে বছরের শেষে যাকাতের নিয়্যত করলে যাকাত আদায় হবে না। অপর দিকে যাকাতের সম্পদ যাকাতের খাতে যাকাতের নিয়্যতে দান করে ব্যক্তিকে মালের মালিক বানাতে হবে। তাই ফক্বির মিসকিনকে যাকাতের নিয়্যতে আহার করালে যাকাত আদায় হবে না। কেননা প্রদত্ত সম্পদের মালিক বানানো হয়নি। তবে যদি খাদ্যবস্তু দিয়ে দেয়, যা ইচ্ছা করলে সে খাবে বা নিয়ে যাবে তাহলে যাকাত আদায় হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

যাকাত ফরজ করা হয়েছে যাদের উপর

যাকাত ফরজ করা হয়েছে যাদের উপর কার উপর যাকাত ফরজ ?নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক সকল মুসলিম নর-নারীর উপর যাকাত ফরজ । কোন ব্যক্তি নিছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর চাঁদের হিসাবে পরিপূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে তার উপর আগের এক বছরের যাকাত প্রদান করা ফরয। অবশ্য যদি কোন ব্যক্তি যাকাতের নিসাবের মালিক হওয়ার পাশ…

Read more »

নগদ অর্থের যাকাত, বিদেশী টাকা ও মোহরানার যাকাত

<div style="text-align: justify;">নগদ অর্থের যাকাত, বিদেশী টাকা ও মোহরানার যাকাত</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কোন কোন নগদ অর্থের যাকাত দিতে হবে এবং কি পরিমাণ হলে দিতে হবে?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">নিম্নের নগদ অর্থের যাকাত দিতে হবে:</div><div style="text-align: justify;">নগদ অর্থ, টাকা-পয়সা, ব্যাংকে জমা, পোষ্টাল সেভিংস, বৈদেশিক মুদ্রা (নগদ, এফসি একাউন্ট, টিসি, ওয়েজ আর্নার বন্ড), কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার, বন্ড, সঞ্চয়পত্র, জমাকৃত মালামাল (রাখী মাল), প্রাইজবন্ড, বীমা পলিসি (জমাকৃত কিস্তি), কো-অপারেটিভ বা সমিতির শেয়ার বা জমা, পোষ্টাল সেভিংস সার্টিফিকেট, ডিপোজিট পেনশন স্কীম কিংবা নিরাপত্তামূলক তহবিলে জমাকৃত অর্থের যাকাত প্রতি বছর যথা নিয়মে দিতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রতিষ্ঠানের রীতি অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে চাকুরীজীবির বেতনের একটি অংশ নির্দিষ্ট হারে কর্তন করে ভবিষ্য তহবিলে জমা করা হলে ঐ অর্থের উপর যাকাত ধার্য্য হবে না। কারণ ঐ অর্থের উপর চাকুরীজীবির কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভবিষ্য তহবিলের অর্থ ফেরৎ পাওয়ার পর যাকাতের আওতাভূক্ত হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঐচ্ছিকভাবে (অপ্শনাল) ভবিষ্য তহবিলে বেতনের একটা অংশ জমা করা হলে তার উপর যাকাত প্রযোজ্য হবে অথবা বাধ্যতামূলক হারের চাইতে বেশী হারে এই তহবিলে বেতনের একটা অংশ জমা করা হলে ঐ অতিরিক্ত জমা অর্থের উপর বছরান্তে যাকাত প্রযোজ্য হবে। চাকুরীজীবির অন্যান্য সম্পদের সাথে এই অর্থ যোগ হয়ে নিছাব পূর্ণ হলে যাকাত প্রদান করতে হবে। পেনশনের টাকাও হাতে পেলে যাকাত হিসাবে আসবে। মান্নত, কাফ্ফারা, স্ত্রীর মাহরের জমাকৃত টাকা, হজ্ব ও কুরবানীর জন্য জমাকৃত টাকার উপরে বছরান্তে যথানিয়মে যাকাত দিতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপর্যুক্ত নগদ অর্থ বা টাকার পরিমাণ যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার সমমূল্য বা এর চেয়ে বেশী হয় তাহলে এর উপর যাকাত ফরজ হবে। তাই সমূদয় নগদ অর্থ বা টাকার ৪০ ভাগের এক ভাগ নগদ টাকা বা সমমূল্যের যেকোন সম্পদ যাকাত হিসেবে দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, নগদ টাকার ক্ষেত্রে স্বর্ণ বা রূপা হতে যার মূল্য ধরলে যাকাত ফরজ হবে তারই মূল্য ধরতে হবে। যেমন, স্বর্ণের প্রতি ভরির মূল্য যদি ৪৫,০০০/- টাকা হয় তাহলে সাড়ে সাত ভরির মূল্য হবে ৩,৩৭,৫০০/- টাকা। আর রূপার প্রতি ভরির মূল্য যদি ৮০০/- টাকা হয় তাহলে সাড়ে বায়ান্ন ভরির মূল্য হবে ৪২,০০০/- টাকা। তাই নগদ টাকার যাকাত দিতে বর্তমানে স্বর্ণের মূল্য না ধরে রূপার মূল্য ধরতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বৈদেশিক মুদ্রার যাকাত কিভাবে দিতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">যাকাত প্রদানের সময় উপস্থিত হলে মালিকানাধীন সকল বৈদেশিক মুদ্রার নগদ, ব্যাংকে জমা, টিসি, বন্ড, সিকিউরিটি ইত্যাদি যাকাত প্রদানকারী ব্যক্তির বসবাসের দেশের মুদ্রাবাজারে বিদ্যমান বিনিময় হারে মূল্য নির্ধারণ করে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে যোগ করে যাকাত প্রদান করতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মোহরানার অর্থের উপর কিভাবে যাকাত দিতে হবে?</div><div style="text-align: justify;">‘মাহর’ বিধানের মাধ্যমে ইসলাম নারীদের জন্য এক অনন্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। কনে, বরের সাথে তার বিবাহবন্ধনে স্বীকৃতির সম্মানীস্বরূপ, বরের কাছ থেকে মাহর (মোহরানা) পেয়ে থাকে।</div><div style="text-align: justify;">মাহর বাবদ প্রাপ্ত জমাকৃত অর্থের উপর যাকাত ধার্য হবে। মাহরের অর্থ নিছাব পরিমাণ হলে অথবা অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে যোগ হয়ে নিছাব পূর্ণ হলে যাকাত প্রদান করতে হবে। মোহরানার যে অর্থ আদায় করা হয়নি তার উপর যাকাত ধার্য হবে না, কারণ এই অর্থ তার আওতাধীন নয়।</div><div style="text-align: justify;">প্রচলিত মুদ্রায় (টাকায়) ধার্যকৃত ‘মাহর’ বিয়ের সময় সাথে সাথে পরিশোধ না করে, বিলম্বে প্রদান করা হলে তা আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্তমানকালে বিদ্যমান মুদ্রার ক্রমবর্ধমান মূল্য হ্রাসের ফলে এই পাওনা পরবর্তীতে যখন পরিশোধ করা হয়, তখন মাহরের বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থ একান্ত নগন্য বা তুচ্ছ পরিমাণ হয়ে যায়। শরীয়াহ্ বিশারদগণ এই সমস্যার সমাধানে দৃঢ় মত পোষণ করেন যে, প্রচলিত মুদ্রার পরিবর্তে স্বর্ণ বা রৌপ্যের পরিমাণের ভিত্তিতে ‘মাহর’ নির্ধারণ করা উচিত, যাতে করে বিবাহিত নারীদের এই অধিকার যথার্থভাবে সংরক্ষিত থাকে এবং পরবর্তীকালে প্রচলিত মুদ্রার মূল্য হ্রাসজনিত কারণে তাদের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পায়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

নগদ অর্থের যাকাত, বিদেশী টাকা ও মোহরানার যাকাত

নগদ অর্থের যাকাত, বিদেশী টাকা ও মোহরানার যাকাতকোন কোন নগদ অর্থের যাকাত দিতে হবে এবং কি পরিমাণ হলে দিতে হবে?নিম্নের নগদ অর্থের যাকাত দিতে হবে:নগদ অর্থ, টাকা-পয়সা, ব্যাংকে জমা, পোষ্টাল সেভিংস, বৈদেশিক মুদ্রা (নগদ, এফসি একাউন্ট, টিসি, ওয়েজ আর্নার বন্ড), কোম্পানির শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ঋণপত্র বা ডিবেঞ্…

Read more »

অবৈধ সম্পদের যাকাত ও নফল দান খয়রাতের উপকার

<div style="text-align: justify;">অবৈধ সম্পদের যাকাত ও নফল দান খয়রাতের উপকার</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">অবৈধ সম্পদের যাকাত আছে কি? এর হুকুম কি?</div><div style="text-align: justify;">অবৈধ সম্পদের যাকাত :</div><div style="text-align: justify;">সম্পদ ব্যয়ের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন- يٰاَ يُّهاَ الَّذِ يْنَ اٰمَنُوْا اَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَاكَسَبْتُمْ وَمِمَّااَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْاَرْضِ – وَلَاَ تَيَمَّمُوا الْخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ</div><div style="text-align: justify;">[হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের পবিত্র উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে যা বের করেছি তা থেকে তোমরা খরচ কর। আর তোমরা নিকৃষ্ট বস্তু হতে দান করতে ইচ্ছা করিও না। (সূরা বাকারা, আয়াত নং২৬৭)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফে আছে- عِنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ لاَ يَقْبَلُ اللّٰهُ صَدَ قَةً مِنْ غُلُوْلٍ وَلاَ صَلٰوةً بِغَيْرِ طُهُوْرٍ</div><div style="text-align: justify;">[নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি ইরশাদ করেছেন- অবৈধ পন্থায় অর্জিত দান আল্লাহ গ্রহণ করেন না এবং পবিত্রতা ব্যতীত নামাজ কবুল করেন না। (সুনানে আবু দাউদ, পৃষ্ঠা নং-৯, হাদীস নং-৫৯)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দোররে মোখতার কিতাবে আছে- اِنَّ التَّصَدُّقَ بِالْمُالِ الْحَرَامِ ثُمَّ رٍجَاءَ الثَّوَا بِ صِنْهُ حَرَامٌ وَكُفْرٌ</div><div style="text-align: justify;">[নিশ্চয়ই হারাম সম্পদের দ্বারা দান করা অতঃপর তা হতে ছাওয়াবের আশা করা হারাম ও কুফরী।]</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হযরত মহিউদ্দিন ইবনে আরাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- قَالَ اِبْنُ الْعَرَبِيِّ فَالصَّدَ قَةُ مِنْ مَالٍ حَرَامٍ فِيْ عَدَمِ الْقَبُوْلِ وَاِسْتِحْقَاقِ الثَّوَابِ كَالصَّلٰوةِ بِعُيْرِ طُهُوْرٍ (حاشية ابي داود صفحة ۵۹</div><div style="text-align: justify;">[ইবনে আরাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- হারাম সম্পদের দান কবুল না হওয়া ও ছাওয়াব না পাওয়াটা পবিত্রতা বিহীন নামাজের ন্যায়।]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ দানের উপযোগী নয়। অতএব, ব্যাংকে জমা বা সিকিউরিটির (ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার, বন্ড, সঞ্চয়পত্র ইত্যাদি) উপর অর্জিত সুদ ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ উপার্জন নয় বিধায় যাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে যোগ করা যাবে না। অর্জিত সুদ বা অবৈধ সম্পদ ছাওয়াবের নিয়্যত ব্যতিত গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে। তবে মূল জমাকৃত অর্থের বা সিকিউরিটির ক্রয় মূল্যের উপর যাকাত প্রদান করতে হবে। ব্যাংক জমার উপর বৈধ মুনাফা প্রদান করা হলে ঐ মুনাফা মূল জমার সঙ্গে যুক্ত করে যাকাতযোগ্য অন্যান্য সম্পত্তির সাথে যোগ করতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফরজ যাকাত ব্যতিত নফল দান খয়রাত করার উপকার কি?</div><div style="text-align: justify;">সম্পদ উপার্জনের লক্ষ্য দুনিয়ার ও আখিরাতের শান্তি লাভ করা। উপার্জনকারী নিজের প্রয়োজন পূরণের পর তার নিকট যে সম্পদ অবশিষ্ট থাকে, তা সমাজের অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার বিধান রয়েছে। তাই যাকাত ছাড়াও সম্পদ হতে স্বীয় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, এতিম, মিসকিন ও সাহায্য প্রার্থীদের এবং আল্লাহর রাস্তায় দান করতে হয়। আল্লাহ তায়ালা দানকে বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ফরজ যাকাতের পাশাপাশি নফল দান খয়রাতের প্রতি উৎসাহ প্রদান করতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন- مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَہُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللہِ کَمَثَلِ حَبَّۃٍ اَنْبَتَتْ سُبْعَ سَنَابِلَ فِیۡ كُلِّ سُنْبُلَۃٍ مِّائَۃَ حَبَّۃٍ ؕ وَاللہُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُ ؕ وَاللہُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ</div><div style="text-align: justify;">[যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে, তাদের খরচের দৃষ্টান্ত এই, যেমন একটি বীজ বপন করা হল এবং তা হতে সাতটি ছড়া বের হল আর প্রত্যেকটি ছড়ায় একশটি দানা হয়েছে। আল্লাহ যাকে চান তাকে আরো বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (সূরা বাক্বারা, আয়াত-২৬১)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআন পাকে আরো ইরশাদ হচ্ছে- وَ ابْتَغِ فِیْمَاۤ اٰتٰکَ اللہُ الدَّارَ الْاٰخِرَۃَ وَ لَا تَنْسَ نَصِیْبَکَ مِنَ الدُّنْیَا وَ اَحْسِنْ کَمَاۤ اَحْسَنَ اللہُ اِلَیْکَ</div><div style="text-align: justify;">[আল্লাহ তোমাকে যে ধন-সম্পদ দিয়েছেন, তার মাধ্যমে তুমি পরকালের ঘর তৈরীতে সচেষ্ট থাক। পৃথিবীতে তোমার অংশগ্রহণ করতে ভুল কর না। তুমি অনুগ্রহ কর, যেমনি আল্লাহ তোমাকে অনুগ্রহ করেছেন। (সূরা কাসাস, আয়াত-৭৭)]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাই ফরজ যাকাত আদায় করার পর একজন ব্যক্তি তার সাধ্য মত নফল দান সদকা করলে এরও অনেক ছাওয়াব রয়েছে। এখানে একটি কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, ফরজ যাকাত অনাদায় রাখিয়া নফল দান সদকা করলে তা কবুল হয় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইসলামী গবেষণা বিভাগ</div><div style="text-align: justify;">বাগদাদী ফাউন্ডেশন, কুমিল্লা- ৩৫০০, বাংলাদেশ।</div>

অবৈধ সম্পদের যাকাত ও নফল দান খয়রাতের উপকার

অবৈধ সম্পদের যাকাত ও নফল দান খয়রাতের উপকার অবৈধ সম্পদের যাকাত আছে কি? এর হুকুম কি?অবৈধ সম্পদের যাকাত :সম্পদ ব্যয়ের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেন- يٰاَ يُّهاَ الَّذِ يْنَ اٰمَنُوْا اَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبٰتِ مَاكَسَبْتُمْ وَمِمَّااَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْاَرْضِ – وَلَاَ تَيَمَّمُوا الْخَبِيْثَ مِنْهُ ت…

Read more »