আসে না! খুব সিম্পল একটা ব্যপার। চারদিকে দৃষ্টি দিলেই বিষয়টির খোলাসা আমাদের সামনে সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া প্রিয় আক্বা ﷺ এর মোবারক বাণী তো রয়েছেই এর পক্ষে। তবে বুঝতে, মানতে সমস্যা টা কোথায় হচ্ছে? নাকি আবার কাউকে অন্ধ অনুসরণ? না না! এটা করা যাবে না। করলে নিশ্চিত ধ্বংস।
হ্যা কথা বলছিলাম নব আবিষ্কৃত জিনিস নিয়ে। বিদআত অবশ্যই খারাপ এবং গুণাহের কাজ। বরং সুন্নাহ পরিপন্থী। তবে সেটা মন্দ বিদআত (বিদআতে সাইয়্যা)।
সকল নব আবিষ্কৃত জিনিসকে আবার এর অন্তর্ভুক্ত করলে সমাজের, রাষ্ট্রের এবং ধর্মের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যাবে। হ্যা, এটা খুব স্বাভাবিক। উদাহরণ দেয়া যায় কয়েকটি বিষয় যেগুলো প্রিয় আক্বার ﷺ যুগে ছিলনা না। কিন্তু এখন উম্মাহর মধ্যে প্রচলিত। কুরআনে পাকের নুকতা ও হারাকাত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ৯৫ হিজরিতে প্রদান করেছেন।
কুরআনে পাকের মুদ্রণ, দরসে নিজামী, মুখে নামাজের নিয়্যত বলা, সুসজ্জিত মসজিদ ইত্যাদি। আরও অসংখ্য উদাহরণ চোখের সামনে বিদ্যমান। এগুলো উম্মাহর কল্যাণে ব্যবহার হচ্ছে। শরীয়তের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে এগুলো উত্তম বিদআত (বিদআতে হাসানা) হিসেবে গণ্য হবে। এটা খুবই সিম্পল একটা ব্যপার।
তবে হ্যা! শয়তান গুটিকয়েক মানুষকে বিভ্রান্ত করে আর তার দ্বারাই উম্মাহর মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয় এবং উম্মাহ কে গোমরাহ করে। বিভক্ত করে দেয় দলে দলে। এবার শেষ করার বেলা। এমন একজনের বাণী দিয়ে শেষ করব যার বলার পর আর কোনো সন্দেহ থাকে না।
প্রিয় আক্বা ﷺ ইরশাদ করেন, "যে ব্যক্তি মুসলমানদের মধ্যে কোনো ভালো প্রথা চালু করে এবং পরে এ প্রথা অনুযায়ী আমল করা হয় তবে আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব চালু কারীর আমলনামায় লিখে দেয়া হবে। কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো কমতি হবে না।" [ মুসলিম শরীফ, কিতাবুল ইলম, ১৪৩৭ পৃষ্ঠা, ১০১৭ নং হাদীস ]
আশা করি বিষয়টি একদম ক্লিয়ার হয়ে গেছে। শয়তানের ফাঁদে পরে উম্মাহকে বিভক্ত না করার আকুতি জানাচ্ছি। পড়ার জন্য শুকরিয়া।
জাজাকাল্লাহু খাইরান।
স্বাধীন আহমেদ