শহীদ নঈম উদ্দিন। কৈশোরের দুরন্তপনা সময়ে অন্যদশজনের মতো কাটছিলো যার শৈশব। সাথে অন্তরে লালন করছিল রাসূল(দ) এর আদর্শের প্রতি অগাধ প্রেম। তাইতো সেদিন হায়েনার মতো রক্তপিপাসু একটি গোষ্ঠির ভয় কে উপেক্ষা ভন্ডদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল সে।
হয়তো সেদিন বলেছিল, জীবন দিবো, তবুও ভন্ডের সাথে আপোষ নয়, সেটাই কি কবুল হয়েগিয়েছিল?
বাড়ী ফেরার পথে রাউজান সদরের মুন্সিরঘাটা চত্বরে বাতিল গোষ্ঠীর আক্রমণে ছটফট করছিল নঈম উদ্দিন।
আহা! একের ওর এক আঘাত, ছোট্ট নঈমের শরীর কি সে আঘাত সইতে পারছিল? পানির পিপাসায় কাতর নঈম, আঘাতে জর্জরিত নঈমের কষ্টে কেঁদেছিল সকলে, আর অট্টহাসি হেসেছিল হায়েনার গোষ্ঠী।
দীর্ষ একমাসের যন্ত্রণা সয়ে হাসিমুখে শাহাদাতের সুধা পান করে জান্নাতের মেহমান নঈম উদ্দিন। হাজারো আশেকে রাসূল(দ) কে কাঁদিয়ে নঈম উদ্দিনের শাহাদাতে ক্রন্দন করেছিল আকাশ বাতাসও।
আর কবরে রাসুলুল্লাহ (দ) এর দিদার পেয়ে, দ্বীনের তরে, গাউসে পাকের প্রেমে পড়ে শাহাদতের মকাম নিয়ে নঈম উদ্দিন আজ হয়তো গর্ব করে বলছে, আমি সফল! আমি নইমুদ্দিনের নাম আজ শহীদের কাতারে..
আজ নঈম উদ্দিন এর খুনীরা পদে পদে অপমানিত, আর দিকে দিকে নঈমের স্মরণ। আজ কথা বলছে নঈম উদ্দিন এর রক্ত, আর পালিয়ে বেড়াচ্ছে হায়েনার দল।
কিন্তু আর কতদিন? একদিন নঈম উদ্দিন হত্যার বিচার হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে সুশাসন। শান্ত হবে নঈম উদ্দিন এর মা-বাবার মন।
উল্লেখ্য, ১৩মে ২০১০সালে হাটহাজারীতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে রাউজান মুন্সির ঘাটা এলাকায় রাউজানের ভন্ডপীর মুনিরুল্লাহর লালীত মুনিরিয়া সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হয় মাত্র ১৫বছর বয়সী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মী মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন।
এদিকে তার ১০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি জি.এম. শাহাদাত হোসেন মানিক এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। যৌথভাবে এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ শহীদ নঈম উদ্দিন দিবস ঘরোয়া পরিবেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেস্ক রিপোর্ট
রিপোর্টার: গোলাম শাফিউল আলম মাহিন।