৩. তিনিই সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু; তাঁর উসিলায় জগত সৃষ্টিঃ
আমরা যে জান্নাত লাভের প্রতীক্ষায় এবং জাহান্নামের ভয় পাই তাও নবীজি (ﷺ)‘র ওসিলায় মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। হাদিসে পাকে রয়েছে-
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَوْحَى اللَّهُ إِلَى عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عِيسَى آمِنْ بِمُحَمَّدٍ وَأْمُرْ مَنْ أَدْرَكَهُ مِنْ أُمَّتِكَ أَنْ يُؤْمِنُوا بِهِ فَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ آدَمَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَا النَّارَ هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ.
-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা‘য়ালা হযরত ঈসা (عليه السلام) এর নিকট ওহী নাযিল করলেন, হে ঈসা! তুমি মুহাম্মদ (ﷺ) এর উপর ঈমান আন এবং তোমার উম্মতের মধ্যে যারা তাঁর যুগ পাবে তাদেরকে ঈমান আনতে বলো। কারণ যদি মুহাম্মদ (ﷺ) না হতেন, তাহলে আমি না আদমকে সৃষ্টি করতাম, না বেহেশত, না দোযখ সৃষ্টি করতাম।’’
➤ ইমাম হাকেম নিশাপুরীঃ আল মুস্তাদরাক ২/৬৭১, পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৪২২৭, ইমাম তকিউদ্দিন সুবকীঃ শিফাউস সিকাম ৪৫ পৃষ্ঠা, জালালুদ্দীন সুয়ূতিঃ খাসায়েসুল কোবরাঃ ১/১৪ হাদিসঃ ২১, হাইসামীঃ শরহে শামায়েলঃ ১/১৪২ পৃষ্ঠা, আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানীঃ যাওয়াহিরুল বিহারঃ ২/১১৪ পৃষ্ঠা, ইমাম ইবনে হাইয়্যানঃ তবকাতে মুহাদ্দিসিনে ইস্পাহানীঃ ৩/২৮৭পৃ, আবু সা‘দ ইবরাহিম নিশাপুরী, শরহে মুস্তফা : ১/১৬৫ পৃষ্ঠা, যুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব : ১২/২২০ পৃষ্ঠা, ইবনে কাসীর, কাসাসুল আম্বিয়া,১/২৯ পৃষ্ঠা,দারুল তা‘লিফ, কাহেরা, মিশর, ইবনে কাসীর, সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০ পৃষ্ঠা, দারুল মা‘রিফ, বয়রুত লেবানন, ইবনে কাসীর, মু‘জিজাতুন্নাবী : ১/৪৪১ পৃষ্ঠা, মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, কাহেরা, মিশর, ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩ পৃষ্ঠা, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান :
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَرْفُوعًا أَتَانِي جِبْرِيلُ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ لَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ الْجَنَّةَ وَلَوْلَاكَ مَا خَلَقْتُ النَّار
-“একদা আমার কাছে হযরত জিব্রাঈল (عليه السلام) এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! (ﷺ) আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, আপনাকে সৃষ্টি না করা হলে সৃজন না হতো বেহেশত আর না দোযখ।’’
➤ দায়লামীঃ আল-মুসনাদিল ফিরদাউস : ৫/২২৭ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ৮০৩১, মোল্লা আলী ক্বারী : আসারুল মারফূআ, ১/২৯৫ পৃষ্ঠা, হাদিস :৩৮৫ মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন, শায়খ ইউসূফ নাবহানীঃ যাওয়াহিরুল বিহারঃ ৪/১৬০ পৃষ্ঠা, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১১/৪৩১ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ৩২০২৫।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ ১ম খন্ডের ১০৬-১২৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত দেখুন।