এটাইতো ইলমে গায়েব।
▪▪▪▪▪▪▪✍ইমরান বিন বদরী।
নাহমাদুহু ওয়ানূসাল্লি আলা রাসুলীহিল কারীম আম্মা'বাদ। কবরে শাস্তি হচ্ছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা জানতেন এবং কি জন্য এ শাস্তি হচ্ছে তাও জানতেন! বলতে পারেন আল্লাহ জানিয়েছে, হ্যাঁ তিনিইতো একমাত্র জানানে ওয়ালা। নিন্মলিখিত বহুল পরিচিত হাদিস শরীফটি আমরা সবাই পড়েছি কিন্তু কখনো হয়তো এভাবেই ভাবিনি। আসুন হাদিস শরীফটি পড়ি।
▪রইসুল মুহাদ্দিসীন আমিরুল মু'মিনীন ফীল হাদিস খ্যাত হজরত ইমাম মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারী রহমাতুল্লাহি তাঁর বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থে উল্লেখ করেন,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত।। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। তবে তা কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। এদের একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব করে ভাল করে পরিস্কার করতো না। অন্যজন চোগোলখুরী করতো। ( বুখারী ১৩৬১ )
সুপ্রিয় পাঠক, এটাই তো ইলমে গায়েবের দলিল হিসেবে যথেষ্ট । তবে হ্যাঁ, এই ইলম খোদাপ্রদত্ব । ইলমে গায়েবকে যদি আপনি 'ইলম' হিসেবে মেনে নেন - তো মনেরাখবেন সেই ইলমের ধারক-বাহক একমাত্র আমার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এখানে আরেকটি কথা সহজে বুঝার জন্য বলি, যে স্রষ্টা অর্থাৎ মহান রাব্বুল আলামীনের শানে জানা অজানা শব্দের ব্যবহার করাই উচিৎ নয়। কারণ উনিই সবকিছুর স্রষ্টা। ইলমে গায়েব এটাও উনার সৃষ্টির একটা বিষয়। সুতরাং কেউ জানলে অর্থাৎ আল্লাহপাক কাউকে জানালে তা একমাত্র তাঁর হাবীবকে জানানো হয়েছে। কবরের আযাব যেমন সত্য আমার প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইলমে গায়েবের ইলমে যে পরিপূর্ণ ছিলো তাও সত্য।
💠 হাদিস শরীফটি কেবল ইলমে গায়েব এবং কবরের আযাবের দলিল নয়, বরং সাথে সাথে পেশাব করে ভালো মতো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া এবং একজনের কথা অন্যজনকে লাগিয়ে ফ্যাসাদ সৃষ্টিকরা থেকেও বিরত থাকার শিক্ষা দেয়।