জামিআ: স-ব-কি-ছু
খসরু রা.’র ‘ইশকের কাফির আমি’র ‘রেযাখানি’ ফ্লেভারের ছোট্ট ব্যাখ্যা
-----
ক্বুল ইয়া ইবাদি: বলুন, হে আমার বান্দারা*,
আল্লাযিনা আসরাফু আলা আনফুসিহিম: তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছো
লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ্: আল্লাহ্’র রহমত থেকে তোমরা নিরাশ হয়ো না
ইন্নাল্লাহা ইয়াগফিরুয যুনুব: নিশ্চই আল্লাহ্ ক্ষমা করবেন
জামিআ: স-ব-কি-ছু
ইন্নাহু হুয়াল গাফুর: নিশ্চই তিনি চির ক্ষমাশীল।
তো, রাসূল দ. কে আল্লাহ্ বলছেন, লোকজনকে বলুন,
হে আমার (মুহাম্মাদ দ.’র) বান্দারা, যদি সীমা ছাড়িয়েও থাকো, আল্লাহ্’র উপর নিরাশ হয়ো না। তোমাদের সবকিছু আল্লাহ্ ক্ষমা করেই দিবেন।
আরে ব্যাটা, নবী দ.’র নি:শর্ত গোলাম হিসাবে নিজেকে স্বীকারই করলি না, আল্লাহ্’র ক্ষমা পাবি ঢংয়ে?
যদি এ শির রওযার দিকে থাকেই ঝুঁকে-
কার কী, তবে কার কী?
মনে যদি সিজদা-রেখা থাকেই এঁকে-
নাজদি, তবে কার কী?
সম্পর্ক তাঁর মালিকুল মুলকের সাথে-
মালিকে আ’লাম বলেছি? কার কী?
তাঁর পবিত্র নামেই দিল্ ও জান গেলো-
নাজদিরে, সবই ত্যাগ করে দি’, কার কী?
‘ইয়া ইবাদি’* বলে আমাদের সম্রাট-
নিজের বান্দা করেছেন নিয়ে, কার কী?
দেবতার বান্দার বলার কী থাকে আর থাকবে-
তুই না ছিলি তাঁর, না আছিস, না হবি, তো কার কী?
দেবতা তোর প্রতি খুশি হলে কী করব আমি-
আমার প্রতি খোদা রাজি তো কার কী?
নাজদি জ্বলে মরে, কেন করলাম তা’জিম-
এটাই ধর্ম আমাদের, ছিল, আছে, কার কী?
তোর সম্পদ থেকে তো কিছু নিইনি ছিনিয়ে-
জান্নাতে পৌছেই গেছে রেযা, তাতে কার কী?
না কুরআন বুঝলাম আমরা,
না বুলবুলে হিন্দ খসরু রা. কে,
না ইমাম আহমাদ রেযা খান রা. কে-
আমাদের কাজতো একটা, যাকে চিনি না, বুঝি না, তাকে কাফির বলা।
এজন্যই খসরু রা. বলেছেন, নির্বোধ লোকে যদি তাঁকে মূরতিপূজারি জানে তো জানুক, অজ্ঞান লোকে যদি তাকে মাজার পূজারি কবর পূজারি কাফের মুশরিক জানে তো জানুক, তিঁনি লোকের সন্তুষ্টির পূজা করেন না।
কারো কথায় তিনি পরিবর্তিত হন না,
কারণ সত্য কারো কথায় পরিবর্তিত হয় না।
(বাই দ্য ওয়ে, নাজদিদের কুরআন এডিট করা কি শেষ হয়েছে, নাকি চলবে? :) )