রাসূল দ.’র অবমাননাকারীর বিচার চাওয়া ও প্রতিবাদ হোক একযোগে এবং একভাবে
(এবার কী করব? এবং এখন থেকে ভবিষ্যতে, সব সময় কীভাবে কী করা উচিত?)
-----
‘মেরে ফেল, কেটে ফেল, জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’ না।
আমি খুবই ক্ষিপ্ত, ক্ষেপে পশুর মত হয়ে গেছি, তাও না। আমাদের অলরেডি ইসলামোফোবিকরা পশুর মত গোঙ্গানো অবস্থায়ই দেখতে চায়। সেভাবে দেখতে পেলেই তাদের মিশন সার্থক হয়। আমাদের এমন দেখানোই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
কথা হল:
বিচার চাই, বিচার দাও। শাস্তি চাই, শাস্তি দাও। রিজনেবল, সুস্থ দাবি। রাসূল দ.’র নামে রটনা চলবে না। অবমাননা করা, অপবাদ দেয়া, মিথ্যা রটানো সুস্পষ্টভাবেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা সভ্য এবং শান্তিপ্রিয় নাগরিক, যে যে রাষ্ট্রের যা আইন আছে সেই আইনে প্রক্রিয়া করো। যে যা খুশি বলতে পারবে না। বললেই হল না। বলাটাই শেষ কথা না। বলতে পারার লিমিট আছে, যেমন করতে পারারও লিমিট আছে।
অসংখ্য সংগঠন। কারো সাথে কারো মেলার দরকার নাই তো। নিজে নিজেরটা করুন। কিন্তু শুরু যেন একই সাথে হয়। মনে রেখেন, একত্র হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু যখন কিছু হবে, সবারই যেন একসাথে হয়।
তিনজনকে দিয়ে হলেও প্রতিটা থানায়, প্রতিটা জেলায়, প্রতিটা বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন-প্রতিবাদ সভা হোক।
আশপাশের দেশগুলো, যেমন ভারত পাকিস্তানে যদি আপনার সংগঠনের রিপ্রেজেন্টেটিভ থাকে, যোগাযোগ করুন। ইন্সট্রাকশন দিন, কীভাবে সভ্যভাবে সভ্য প্ল্যাকার্ড নিয়ে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে গঠনমূলকভাবে বিচার চাইতে হয়। রিজনেবল মানুষের মুখের ভাষা, অঙ্গভঙ্গি ও মুখভঙ্গি তখন কেমন থাকে তা জানান।
প্রতিটা মহাদেশে হোক। যদি নিউ ইয়র্ক-লন্ডন-বার্লিন-প্যারিস-সিডনিতে তিনজনও থাকে, একটা ব্যানার নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে যান।
প্রতিবাদের দেহভঙ্গি হোক গ্রহণযোগ্যভাবে মার্জিত, চেহারা হোক সুসভ্য, মুখের ভাষা হোক ভদ্রোচিত।
এরপর সেসব মানববন্ধনের, প্রতিটার, ছবি তুলুন।
প্রতিটার ভিডিও নিন।
প্রতিটায় একাধিক মানুষের সাক্ষাৎকার নিন।
এরপর সেগুলো একত্র করুন। ফেসবুক পোস্ট করুন। ইউটিউব চ্যানেল খুলুন। সেখানে মার্জিত, রুচিসম্পণ্ণ, সব জাতি ও ধর্মের কাছে সুসভ্য ও গ্রহণযোগ্য ছবিগুলো, প্রতিবাদের ভিডিওগুলো, শ্লোগানগুলো একত্র করুন, ছোট্ট সাক্ষাৎকারগুলো একত্র করুন।
এরপর সেগুলো বিভিন্ন ভাষায়, বারবার প্রকাশ করুন।
যে কোন অ্যাক্টিভিটির এটা হল সুস্থ ও গ্রহণযোগ্য পথ।
রাসূল দ.’র অবমাননার উপযুক্ত জবাব তো আমরা কলমে দিবই, দিচ্ছিই, দিতেই থাকব। কিন্তু যা খুশি তা বলে দিয়ে তারপর প্রতিক্রিয়ার আশায় থাকা- এইসব চলবে না।
রাসূল দ. কে অবমাননা করে কিছু লেখার পর সেটা ব্যান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আমরা রাজি নই। রাসূল দ. কে অবমাননা করে কিছু বলার পর অসুস্থ প্রতিক্রিয়া দেখাতেও আমরা রাজি নই। রাসূল দ. কে অপবাদ দিয়ে কিছু বলার পর, আমরা, খোদার কসম, মরে গেলেও, কবরেও, চুপ করে থাকতে রাজি নই।
এইক্ষেত্রে ইনঅ্যাক্টিভিটি ইকুয়ালস টু ডেথ। শুধু দেহের মৃত্যু নয়, ঈমানেরও মৃত্যু।
(প্রয়োজনীয় তথ্য মামলা করার আগের দিন অথবা মামলার দিন প্রকাশ করা হবে। এখন শুধু প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। আগে আইনের আশ্রয়, তারপর প্যারলালি অনলাইনে অফলাইনে প্রতিবাদ। প্রতিবাদ যেন সবগুলো সংঘে একই দিনে হয়। নামতে হলে আঁটঘাঁট বেঁধে। একটা ইকো যদি তৈরি না হয়, সামনে কেউ এসব করতে পিছপা হবে না।)