অর্থনীতির যুগের হিসাবে সাহাবা রা. গণের দুনিয়াবি সম্পদের তারতম্য
-----
গড়পড়তা সাহাবারা প্রথম যুগে (মক্কী) খুবই দরিদ্র ছিলেন বাহ্যিক সম্পদের দিক দিয়ে। যাঁদের প্রচুর সম্পদ ছিল, তাঁরাও অকাতরে দিতে দিতে বিলীন হয়ে গেছেন।
দ্বিতীয় যুগেও (মাদানি) যেটা ছিলেন তা দরিদ্রই বলে চলে। যদিও অবস্থার উন্নতি হল।
তৃতীয় যুগে (মিসর জয়ের আগ পর্যন্ত খিলাফাত) দারিদ্র্য কমলো। বায়তুল মাল ডিস্ট্রিবিউশন ভাল হল।
চতুর্থ যুগে (মিসর জয়ের পর, পারস্য ও বাইজান্টাইন জয়কালীন) প্রচুর সম্পদ এলো এবং উমার রা. সে সম্পদ তাদের মধ্যেই বেশি বন্টন করলেন, যারা ইসলামে শুরু থেকে ছিলেন, শুরু থেকে স্যাক্রিফাইস করেছেন, রাসূল দ.’র কাছাকাছি ছিলেন এবং যারা যুদ্ধগুলোয় স্যাক্রিফাইস করেছেন ও নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পঞ্চম যুগে (উসমান রা.) সম্পদ খুবই বিস্তৃতভাবে আদি সাহাবাদের করতলগত হল এবং ব্যবসা বাণিজ্যও সে সম্পদকে বিস্তৃত করল।
সব সময় সাহাবা রা. গণ একই অবস্থা ও অবস্থানে ছিলেন না আর্থিক দিক দিয়ে।
তাই একই সাহাবির এক যুগে যদি জানা যায় যে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর একটা মাত্র পোশাক ছিল- সেটা যেমন সত্যি তেমনি পরের যুগে তাঁর চার পাঁচটা প্রাসাদ ছিল ও দিনে কোটি টাকা আয় ছিল সেটাও সত্যি।