নতুন-পুরনো যারাই ‘তাসাউফ কি’ বোঝার বহু চেষ্টা করছেন এবং যারা ‘বুঝে ফেলেছেন’ তাদের জন্য:
সূফিপন্থীদের ‘আমার ইমাম/ আমার মতবাদ’ এর কমপ্রিহেন্সিভ হিটলারবাদের স্বরূপ উন্মোচন এবং কী পড়বেন, কখন পড়বেন, কেন পড়বেন?
-----
কমপক্ষে তিনটা সূফি ঘরানা চিনি, যাদের মধ্যে অকল্পনীয় কট্টর ‘আমার ইমাম’বাদ প্রিভ্যালেন্ট। এঁদের তিনটারই ফলোয়ার লক্ষ লক্ষ। এঁরা তিনটা ঘরানাই আমার মুহব্বতের। আমার মুহব্বতের শর্ত হল,
* যে পাগলের মত রাসূল দ. কে ভালবাসে, তাকে পাগলের মত ভালবাসি।
* যে লজিক্যালের মতন রাসূল দ. কে ভালবাসে, তাকে লজিক্যালের মতন ভালবাসি।
* যে ‘মুই শরম পাই’ এর মতন রাসূল দ. কে ভালবাসে তাকে ‘মুই শরম পাই’ এর মতন ভালবাসি।
* গোপনে একটু একটু হিসাব নিকাশ করে তোলা রত্তি মেপে মেপে রাসূল দ. কে ভালবাসে, তাকে গোপনে একটু একটু তোলা রত্তি মেপে মেপে বাসিরে ভাই।
দিনে মা ইশকে মুহাম্মাদ দ., হুব্বে উঁ ঈমানে মা। - রাসূলে নোমা র.
তো, হুদা যে দিন ও ঈমান তা-ই না। এইটাই উসুলে মা। আমাদের উসুল।
তো, এই তিন সুন্নি-সূফিপন্থী ঘরানাই রাসূল দ. কে ভালবাসে, এবং উন্মাদের মতই ভালবাসে, তাই আমিও তাদের ভালবাসি, এবং উন্মাদের মতই ভালবাসি। এইখানে উসুল মিলে গেছে ভাই, চায়ের কাপে আর দুধ চিনি না হলেও চলবে। চায়ের কাপে চায়ের বদলে পানি থাকলেও চলবেরে ভাই, কারণ উসুল মিলে গেছে।
তো, এই তিন ঘরানার মধ্যেই একটা কট্টরপন্থা বর্তমানে খুব জাহির। সেইটা হল: আমার ইমাম আমি প্রত্যেক মানুষের বুকের ভিতরে ছাপ্পা মেরে দিব।
আজকে এমন একজন ‘ইমামবাদি’ পাক্কা সুন্নি-সূফিপন্থী ভাইয়ের সাথে কথা হল।
তিনি বললেন, এই দেশের অর্থনীতি দখল করব। অনেক কষ্ট করতে হবে। পৃথিবীর রাজনীতি দখল করব। সারা পৃথিবীতে তার নাম ছেপে দিব। সব মানুষের বুকে সব মানুষের কাছে আমার ইমামের নাম পৌছে দিব। কোটি কোটি গাছ লাগাবো, পথের ধারে, সব জায়গায়। গাছে গাছে তার নাম ছেপে দিব।
আমি বললাম, পৃথিবীতে আপনি তৃতীয় হিটলার। প্রথম হিটলারের নাম তো জানেন, দ্বিতীয় খাস হিটলার কে বলেন তো আমাদের কনটেক্সট এ? মোদি। তৃতীয় হলেন গে আপনি।
আমার রাসূল দ. এসেছেন মানুষকে মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে, আর আপনি এসেছেন মানুষকে দাস বানাতে!
আপনি ভাই অ্যান্টি-ক্রাইস্ট, কারণ আপনি মানুষকে এনস্লেভ করতে চান। আপনি ক্রাইস্ট হতেন, যদি আপনি ডি-স্লেভ করতে চাইতেন।
আমাদের সবার বুকের ভিতরে একটা ক্রাইস্ট আর একটা অ্যান্টি-ক্রাইস্ট ঘাপটি মেরে থাকে। আমাদের সবার বুকের ভিতর একটা পবিত্র রূহ আর একটা ইবলিশ শাইত্বোয়ানির রাজিম ঘাপটি মেরে থাকে। আমাদের সবার ভিতরে একটা আমি আর একটা কারিন ঘাপটি মেরে থাকে।
আপনার কারিন কথা বলছে, আপনি না। আপনার ইবলিশ কথা বলছে, আপনি না। আপনার অ্যান্টি-ক্রাইস্ট কথা বলছে, আপনি না।
মাওলা আলী রা. কি ইমাম হাসান রা. কে কম ভালবাসতেন, আপনি আপনার মুজাদ্দিদকে যত ভালবাসেন, তারচে? না তো। ইমাম হাসান অধিক উপযুক্ত নাকি আপনার মুজাদ্দিদ ইমাম? অবশ্যই ইমাম হাসান রা.। রাসূল দ.’র অধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত এবং অধিক ভালবাসা কে পেয়েছেন? অবশ্যই ইমাম হাসান রা.!
মাওলা আলী কি পারতেন না, তাঁর ছেলে ইমাম হাসানের নাম গাছে গাছে পুঁতে দিতে? মাওলা আলী কি পারতেন না মুসলিম উম্মাহ্’র খলিফা হিসাবে ইমাম হাসানকে মনোনীত করতে? এমনকি মনোনীত করলে তা কি অনৈসলামিক হতো? ভুল হতো? কোত্থাও ভুল হতো?
আরে মিয়া, বাদ দেন মাওলা আলী-ইমাম হাসানের কথা। আপনি কি আপনার ইমামকে তত ভালবাসেন, যত ভাল আমার রাসূল দ. মাওলা আলী রা. কে বাসেন? আমার রাসূল দ. কি পারতেন না, সরাসরি মাওলা আলী রা. কে খলিফা হিসাবে বলে যেতে? তিনি দ. কি পারতেন না, সরাসরি তখত ও তাজ সিদ্দিকে আকবরের মাথায় দিয়ে যেতে? তিনি কি পারতেন না তখত ও তাজ ফারুকে আযমের মাথায় দিয়ে যেতে? তিনি কি পারতেন না তখত ও তাজ উসমান গণী রা.’র মাথায় দিয়ে যেতে? দিয়ে যেতে ইমাম হাসান ও হুসাইন রা.’র মাথায়? মুখে একবার স্পষ্ট করে বললেই তো হতো, আমার পর তাকে খলিফা বানাও।
হ্যা, প্রকারান্তরে এবং ইঙ্গিতে এই ছয়জনকেই রাসূল দ. খুলাফা হিসাবে মনোনীত করেছেন এবং এতবার করেছেন, এতবার করেছেন যে, এবং মরুর আরবের প্রত্যেক বালুকণা জানতো, এই ছয়জনই খুলাফায়ে রাশিদুন এর জন্য উপযুক্তদেরও উপযুক্ত।
মিয়া, ভাল এতই বাসেন, যে, মানবজাতিকে আপনার ভালবাসার ঠেলায় দাসত্বের শৃঙ্খল পরাতে চান। আমার রাসূল দ. করলেন যে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত আপনি সেই শৃঙ্খলই পরাতে চান! মুক্তি কই?
রাসূল দ.’র নামে অ্যান্টি-রাসূল দ. গিরি করা? কথা কি আপনি বলছেন, নাকি আপনার সত্ত্বায় ঘাপটি মেরে থাকা ওই কারিন, ওই রগে রগে দৌড়ানো রাজিম, ওই দাজ্জাল, ওই নাফস, ওই পাশবিক জীবত্বের জীবন পাওয়া হাইওয়ান, ওই বনের রাজা বাঘ, ওই সমুদ্রের রাজা হাঙর বলছে?
মিয়া, চুপ করে নিজের কথা শোনেন। দেখেন, ভিতরে ওই হিটলারটা আছেই। ওটা আপনে না। ওটা প্রাণীসত্ত্বা, ওটা পশুসত্ত্বা, ওটা জীবসত্ত্বা, ওটা আপনার খোলস।
এই খোলসের ভিতরে যে আছে, সেটা আপনি। একবার আপনাকে শোনেন। এইজন্য বড় কষ্ট করতে হয়রে ভাই। একটু বড় কষ্টটা, জিহাদে আকবরটা করে যখন আপনার ভেতরের রুহকে শুনতে পাবেন, বিবেককে শুনতে পাবেন, নির্লোভ ঈমানকে শুনতে পাবেন, পলির পরত না পরা মানবকে শুনতে পাবেন, যখন আপনার ভিতরের হককে শুনতে পাবেন-
আবার ব্যালান্স হারায়া আনাল হক আমি চন্দ্র আমি সূর্য আমি হ্যান আমি ত্যান করে সেল্ফ পোস্টারিং শুরু করে দিয়েন না। তখনো শান্ত হন। আরো শোনেন।
শুনতে শুনতে দেখবেন, আপনার সাথে কথা বলে এখন মোট তিনজন। প্রথমজনের পরিচয় তো স্পষ্ট। ওই কারিন-রাজিম-নাফস-হাইওয়ান প্রথমজন। দ্বিতীয়জন আপনি, আপনার রুহ, আপনার বিবেক, আপনার পরিচ্ছন্ন ঈমান, আপনার স্যালভেশনওয়ালা সত্ত্বা। আর তৃতীয়জন?
ও বাবা, শোনেন নাই? যখন তোমরা দুইজন থাকো তখন তৃতীয়জন হিসাবে সেখানে আমি থাকি? তিনজন থাকো চতুর্থজন হিসাবে আমি থাকি? সেইটা কিন্তু আপনের খারাপটাও না, না আপনের ভালটাও। সেইটা আপনের ভিতরের কেউই না। কারণ তিনি কারো সাথে ‘মেশেন’ না। না মিশেও থাকেন কাছাকাছিই। তিনি হলেন:
-আল লা না’বুদা ইল্লাল্লাহ্
-ইলাহাও ওয়াহিদা
-আল্ লা ইলাহা ইলাল্লাহ্
আপনি আমি অযোগ্য। এইটা তো ভিতরে বাহিরে রক্তে মাংসে হাড়ে মজ্জায় ক্লেদে ক্লেদে চোখের পানিতে এবং সুখের হরমোনে অযোগ্যতার স্বাক্ষর লেখা।
তাঁরে সম্মান কইরেন, যদি কখনো তার কথা শুনতে পান। এইখানে গিয়াও যদি পাগলামি করেন, পাগলামিই করা হবে। হারাবেন তারে।
আপাতাত, নিজের ইমামরে, নিজের সিলসিলারে, নিজের মাসলাকরে, নিজের মাযহাবরে, নিজের মতেরে, নিজের দেশরে, নিজের পরিবাররে, নিজের মসজিদ মাদ্রাসা মক্তব বিম্পি আম্লীগ পোশাক খাওয়া মতবাদ ভাষা গায়ের চামড়ার সুপ্রিমেসি, পুরুষত্বের সুপ্রিমেসি, ভার্সিটি বা দাওরা বা আলিয়ার ডিগ্রির সুপ্রিমেসি এইসবরে- আমিত্বের নানান ফর্মরে, অহংকারের নানান চাদররে, কাজ্জাবের নিজেরে ঢেকে দল রূপে সেই আনানিয়াতের ভিন্ন প্রকাশরে, হয় আমি শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার বাপ শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার পরিবার শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার মাসলাক শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার মাযহাব শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার ভাষা শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার দেশ শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার মানহাজ শ্রেষ্ঠ নাইলে আমার কিছু একটা হইলেও শ্রেষ্ঠ- আসল কথা হইল, আমারই কোন না কোন রূপ, আমারই কোন না কোন ফর্ম আমারই কোন না কোন ডিসিপশন শ্রেষ্ঠ-
আমি! আমি! আমি! বাদ দেন।
ওরে পৈতাল! আমি শ্রেষ্ঠত্ব কারে দেখাই?
বাকীগুলা তো মানুষই। মানুষ কে? চিনি? ইলাহাও ওয়াহিদার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। কারে আমি জিঞ্জির পরাইতে চাই হে আমার ভিতরের আমি পিশাচ! তোমার সুপ্রিমেসির ল্যাম্ব কখন কুরবানি দিবা? আমার রাসূল দ. তো তার আলী, হাসান, হুসাইন সহ পুরা ঘরানা কুরবান দিয়া দিল। পৈতাল হে, তুমি তোমার হলুদ গাভী কখন কুরবান দিবা?
দিন তো তোমার ঘোরে ঘোরে যায় কেটে-
নিজকে শ্রেষ্ঠ বলার মোড়েই যায় কেটে।
আমি তো আমার ইমামের নাম গাছে গাছে পুততে চাই না, আমি যে আমিত্বের তীব্র ক্ষুধায় আক্রান্ত, ওই ক্ষুধারে খালি নানান বাহানায় নানান চাদরের মোড়কে পূর্ণ করতে চাই। এই পেট আমার কোনদিন ভরবে না। মনে রাইখো, নাফস যতদিন জীবিত আছে, পেট ততদিন ভরবে না, খাওয়াও ততদিন থামবে না।
তারচে, আইসো হে আমি, বৎস, ক্ষণিক তাসাউউফ করি। এইখানা বেজায় আনন্দ। আমিত্বের চেয়েও আনন্দ। সেলফ সুপ্রিমেসির চেয়েও আনন্দ। আইসো বৎস, গাউসে পাক জিলানী রা.’র সিররুল আসরার পড়ি, খাজা মুঈন রা.’র কবিতাসমগ্র দিওয়ান পড়ি- যদি হজম করিবার মতন ট্রেনিং পাইয়া থাকি।
নাহলে সিররুল আসরার হজম হবেনাগো। ১০০% বদ হজম হবেখন। নবজাতক জন্মের পরদিন হাজির বিরানি খাইলে যাহা হয়।
বৎস, আমি আকিদার কেতাবাদি এখনি খুঁজি কেনো?
আমি কোন্ পৈতালে আযম হয়ে গেছি যে আকিদার কেতাব ‘পড়িবামাত্র ইহার বাহক সব কথা বুঝিতে বাধ্য থাকিবে’ ছাপ্পা মারা থাকবে?
আমাকে সমর্পণের ভিতর দিয়ে যেতে হবে। পাইলাম কুরআন, খুললাম কুরআন, বুঝলাম কুরআন? নাগো, আমি যত কুসংস্কার মনে নিয়ে বসে আছি, সেই সমস্ত কুসংস্কার খুলে বসলাম। আমি কুরআন পড়ে সেসব কুসংস্কারের কিছু কিছু ঠিক করব, আর কিছু কিছু আরো দৃঢ় করব। কোরানে লেখা আছে।
আমার রাসূল দ. বলেছেন, তোমরা শিশুদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার আগে আমার আহলাল বাইতের মুহাব্বাত শিক্ষা দাও।
ও মামা, কে আমারে কোনদিন শিশুকালে কোলে নিয়া আহলাল বাইতের হাদিস শোনাইছে? ৯৯% সম্ভাবনা, কেউ না। বাবা মা ভাই বোন দাদা দাদি শিক্ষক শিক্ষিকা কোনদিন ‘আহলাল বাইত’ উচ্চারণ করে নাই। তাদের দোষ না তো। তারা যা জানে তা করেছে। যতটুকু সম্ভব করেছে। এখন সেই শিশুত্বটা পূরণ করার সময়।
আমি শিশু না? আমি বড়? আমি পৈতাল? আমি অলরেডি সব জানি? সব জেনে কুরআন পড়তে বসেছি? কারণ, আমি, আমি, আমি?
আমি নতুন করে সত্যকে চিনতে চাই, তাই সত্যকে যে নতুন করে চিনতে চায়, তার জন্য যে শিশুত্বের সবক থেকেই শুরু করতে হবে। ড. তাহির উল ক্বাদরির লেখা বই আছে তিনটা। একটা আম্মা ফাতিমা, একটা মাওলা আলী আরেকটা হাসান-হুসাইন রা. বিষয়ক। স্রেফ হাদিস। উর্দুতে আছে অনলাইনে। সম্ভবত ইংরেজিতেও আছে। কোন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ না। স্রেফ হাদিস। বাংলায় আছে সাঞ্জারি পাবলিকেশন্স। ‘সাঞ্জারি পাবলিকেশন্স’ লিখে গুগল করে যোগাযোগ করলে প্রকাশনীর কর্তাব্যক্তি আপনাকে ডেলিভার করবে। আরে, ড. তাহির সাহেবের ভক্তও নই, মুরিদও নই, তার সংগঠনের ঠিকাদারও নই, তারে মুজাদ্দেদ ইমামও মনে করি না। হাদিসগুলা ব্যাটায় লিখছে, একত্র করছে, এখন ব্যাটার নাম বাধ্য হইয়া কই। সাঞ্জারির সাথে টাকাকড়ির খেলা নাই, প্রীতও নাই, ব্যাটায় প্রকাশ করসে, বাধ্য হইয়া কই।
আমার রাসূল দ. আমার শিশুসত্ত্বারে কইল, আহলাল বাইতের মুহব্বত শিখো। হে শিশু, তুমি প্রথমে আহলাল বাইতের মুহব্বত এর হাদিস পড়ো, কারণ রাসূল দ.’র জবানের কথার চেয়ে পিওরভাবে মুহব্বত ক্যামনে শেখে।
আমি আহলাল বাইতের মুহব্বতের হাদিস প্রথমে পড়ব।
এরপর ইমাম আহমাদ রেযা খান র. এঁর কানযুল ঈমান (গুগল, মাল্টি ভাষায় আছে) বা ড. ক্বাদরী বা যে কোন ক্ল্যাসিক “প্রমিনেন্ট সূফির” টিকাসহ করা কুরআনের অনুবাদ পড়ব। তখন যেহেতু অলরেডি রাসূল দ.’র মুহব্বত এবং তার আহলাল বাইতের মুহব্বত আমার ভিতরে একটু একটু ঢুকেছে, এইবার কুরআন একটু একটু বুঝব। কারণ আমার কুসংস্কার মুহব্বতের কাউসার দিয়ে একটু একটু ধুয়ে গেছে।
এরপর আদি সূফিদের কিছু কিছু অনুবাদ পড়ব, যেমনটা উপরে বললাম। কিন্তু এটা হজম করা কষ্ট এবং মানুষ ভুল বোঝে। সুতরাং আমরা পাক্কা সূফিপন্থী আলেমদের লেকচার শুনব তা শাইখ হামজা ইউসূফ হতে পারেন বা ড. তাহির সাহেবও হতে পারেন।
এরপর আকিদা খুজবনে। আকিদা না খুজে যদি আমি হলুদ গাভী, দ্য ল্যাম্ব, নাফসানিয়াত, হাইওয়ানিয়াত, কারিন, দ্য পারফেক্ট হিটলার বিনিথ মাই ফ্লেশ অ্যান্ড ব্লাডকে কুরবান করতে চাই, তাও তো আরো ভাল। আমি যে সূফির কথা বুঝি, ক্ল্যাসিক ইশকি ঘরানার সূফি, তার হাতে দীক্ষা নিব।
আমাদের সূফিতত্ত্ব নিয়ে অনেক লেখা আছে। অতি সম্প্রতিও অনেক লেখা আছে। কিন্তু আমরা সব লিংকে চাই। একটু কষ্ট করে স্ক্রল করলে সব কিন্তু স্পষ্ট হয়ে যাবার কথা। আমরা স্ক্রল করি না, চাই যেন এক মলাটে সব চলে আসে। এক লিংকে সব চলে আসে। আমরা বুঝছি না, অলরেডি আমরা লিংকে আছি।