মানুষ কখন মানুষ হয়?
-----
নিজেকে ধমক দিয়ে বলতে পারা, আমার চোখের ফোকাস হবে আমার হুকুমে। আমার হৃদপিন্ড কীভাবে ধ্বকধ্বক করবে সেটা আমার ইচ্ছা। আমার শ্বাস আমি প্রতি মুহূর্তে কীভাবে নিব সেটা আমার অধিকার। আমার ব্রেনে কোন্ নিউরোট্রান্সমিটার দৌড়াবে তা আমার হুকুম। আমার রক্তে কতটুকু কী ছুটবে সেটা আমার মালিকানা। আমি কী স্বপ্নে দেখব এটা আমার এখতিয়ার। আমি কখন ঘুমাবো তা আমার বিষয়। আমি কখন জাগবো তা কোন ঘড়ি বলে দিবে না, আমি বলব। ঘড়ি আমাকে খাবার সময় ডাক দিবে না, জাগার সময় ডাক দিবে না, ঘুমের সময় ডাক দিবে না। আমার মন সুস্থিরভাবে আার অজান্তেই যা করার করিয়ে নিবে। আমি কীভাবে কী চিন্তা করব সেটা পূর্ণভাবে আমার অধীনে থাকবে। আমি যখন শব্দ বলব, শব্দ অ্যাটম বোমা হবে। যখন বাক্য বলব তখন বাক্য ফুলের বাগান হবে। যখন মুখ দেখাব তখন যে মুখ দেখবে সে জান্নাত দেখবে। আমি কী খাব, কতটুকু খাব, কখন খাবো তা আমার নিয়ন্ত্রণ। আমি কী করব, কতটুকু করব, কখন করব, আমার নিয়ন্ত্রণ।
এবং এইসবই হবে বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা ছাড়া, স্বত:স্ফূর্তভাবে। সবকিছু অটোমেশনে চলবে, সবকিছু। আমি কোনকিছু করা নিয়ে ভাবব না, না ভাবাতেই সবকিছু সবচে বেস্টভাবে প্রতি মুহূর্তে চলবে- এইটা হল প্রকৃত আত্মনিয়ন্ত্রণ। এইটার জন্য প্রশিক্ষণ লাগে। প্রশিক্ষণের জন্য অনুগত মন লাগে। আর প্রশিক্ষণের পর লাগে জাগ্রত পরিচর্যা। প্র্যাকটিস।
মানুষ তখন মানুষ হয়। তার আগ পর্যন্ত সে সৃষ্টির ধরনে মানুষ, যথোপযুক্ত ফাংশনাল মানুষ নয়।