অরিন্দমের সাতকাহন
- গোলাম দস্তগীর লিসানি

আমি সকল সম্ভাবনাকে এলিমিনেট করেছি,
ছোট ছেলেকে এলিমিনেট করার সময় সে
ইনিয়ে বিনিয়ে ট্রাফিক পুলিশের হাত ধরে
কী যেন বলছিল!
ছি! মাঝরাস্তায়?
তবু এটার ছিরিছাঁদ ভালই-
বড়টাকে তো চেনাই যেত না।
পথে পথে ঘুরত।
না তারে, না সে কাউরে চিনত।
বড় দয়া করেছি। ওটাকেও।
মারিয়াকে এলিমিনেট করেছি নিতান্ত বাধ্য হয়ে।
এ কাজটা আমাকে কষ্ট দিয়েছিল খুব।
তবু। ভবিতব্য বলে কথা!
মারিয়া মানুষটা ভালই ছিল।
শান্তমুখে উল-বোনা উল-বোনা নাম তার।
তবু। মেয়েতো! দিলাম এলিমিনেট করে।
হুহু। বহুকষ্টে ভবিতব্যকে এলিমিনেট করেছি।
জানি তো। ভবিষ্যত হল একটা-
অ্যাবোমিনেশন। মাইগ্রেন।
জানিনা আবার? ভবিতব্য হল অনেক সময় ধরে-
প্রস্ফুটিতব্যর জন্য প্রতীক্ষা। তারপর-
অতি অল্প সময়ের জন্য সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণ আসা।
তারপর অতি দ্রুত ক্ষয়। জড়তা। হায় পাখি!
তোর ভবিতব্যে তীব্র ওড়াওড়ি-
ছিল মাত্র দিন কতকের, পালক ধূসর, পাখি বুড়ো, যায় ওড়ার কথা,
সেও পঁচে সার হয়ে রয় মাটির তলায়?
কুল-জাম হয়ে জন্মায়? জানিতো। এইজন্যই
আমি ভবিতব্যকে এলিমিনেট করেছি।
সকল সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী
সকল সৌকর্যের প্রতীক্ষা দীর্ঘস্থায়ী
সকল সৌম্যের পচন চিরস্থায়ী
হ্যালিলুইয়া!
তাই প্রত্যাশা আর সুখকে গলাটিপে এলিমিনেট করেছি!
ওরা অপেক্ষা করায় অনেক বেশি,
দেয় সামান্যই,
আর চলে যায় অপ্রত্যাশিতভাবে
যাবার সময় একটা গর্ত কোথায় যেন রেখে যায়। অমোচনীয়।
আমি সবকিছুকে এলিমিনেট করেছি-
শুধু দুইটা স্বচ্ছ্ব ডানা নিয়ে একটা কী যেন নেচে বেড়ায় সামনে।
শুভ্র। ছোট্ট। বেপরোয়া।
Top