শাফাআত রহস্য: কে কেন কীভাবে?
-----
এক্কেবারে সরল করে, ছোট্ট করে বলি?
থিওরির দিক দিয়ে আমার শাফাআত না-ও হতে পারে, কারণ,
১. আমি যদি সরাসরি ক্ষমা না পেয়ে জাহান্নামে যাই, তাত্ত্বিকভাবে, শাফাআত না-ও হতে পারে। তাত্ত্বিকভাবে।
২. আল্লাহ্ নিজে কোন প্রকার শাফাআত ছাড়া অনেককে ক্ষমা করবেন, যদি সে লিস্টিতে পড়ে যাই, তবে তো আর শাফাআত রইল না আমার বেলায়। এটাও তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব। যদিও এতবড় মর্যাদার কথা কল্পনাও করা যায় না।
কিন্তু অন্তরে এ বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে, শাফাআত ইনশাআল্লাহ্ আমাদের হবেই-
৩. যদি রাসূল দ. নিজে শাফাআত করেন, এ আশা করার মত দু:সাহস আমরা কী করে দেখাই? কারণ হাবীব দ. শাফাআত করবেন সব উম্মতের মধ্যে যাঁরা শ্রেষ্ঠ, তাঁদেরকে। আমরা কি আর শ্রেষ্ঠ হতে পারব! হ্যা, শেষ যুগের অনেকেও ত্ববীব দ.’র শাফাআত পাবেন। কিন্তু যারা পাবেন, তাদের সকলের মর্যাদা এত এত বেশি যে, তারা প্রত্যেকে ৭০ হাজার (আসলে অসংখ্য) ব্যক্তিকে শাফাআত করবেন। রউফুর রহীম দ.’র শাফাআত পাবেন সকল রাসূল আ. গণ। সকল নবী আ. গণ। সকল আহলে বাইতের ইমাম রা. ও সকল খুলাফা রা. গণ। তাঁর শাফাআত পাবেন তাঁর প্রেমমত্তরা, তাঁরা তো সাহাবীগণ, তাঁরাতো তরিক্বার ইমামগণ, মাযহাবের ইমামগণ,তাঁরাতো হাদীসের ইমামগণ, তাঁরা তো আওলাদে রাসূল দ.! এমনকি আউলিয়াদের মধ্যে কেউ কেউ রাসূল দ.’র শাফাআত পাবেন, কেউ কেউ পাবেন অন্য কারো।
৪. আহমাদ ও হামিদ ও মুহাম্মাদ ও মুস্তাফা ও মুজতাবা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুহবতের যেমন অসীম মর্যাদা, মানুষ সাহাবী হয়ে গেছেন, ঠিক তেমনি তাঁর শাফায়াতের মর্যাদা। যারা রাসূল দ.’র শাফাআত পেয়েছেন, তারা অসংখ্য জনকে নিজেরাই শাফাআত করবেন।
৫. এমনকি এই শাফাআতের সিলসিলা এত দীর্ঘ পর্যন্ত আসবে যে, যে কোন বনী হাশিম, একজন শহীদ, যে কোন সিদ্দিক, যে কোন স্বলিহ, আল্লাহ্’র ওয়ালীগণ, ন্যায়পরায়ণ আলিমগণ, এমনকি রুজু থাকা একেকজন ওয়ালি, একেকজন হাফিযে কুরআন, একেকজন আশিকও বেশ কয়েকজনকে শাফাআতের অধিকার পাবেন।
শাফাআত আমাদের হবে।
সব শাফাআতই আল্লাহ্’র অনুমোদন।
সব শাফাআতই রাসূল দ.’র শাফাআতের বিচ্ছুরণ মাত্র।
আমাদের শাফাআতকারীর অভাব নেই, আমাদের ইমামের অভাব নেই, আমাদের আপনজনের অভাব নেই।
সেদিন এই একটা সম্পর্কই কাজে আসবে। আর কিছু না। আর কিছু না।