শেষ পর্ব: কেন সাত দেশ ধ্বংস করা দরকার? অন্য দেশগুলো এখনি ধ্বংস করা কেন জরুরী নয়?
-----

গ্রেটার ইজরায়েলের জন্য।

মানচিত্রটা খুব ভাল করে লক্ষ্য করুন।
যে সাতটা দেশ ধ্বংসের তালিকা ছিল, সবগুলো ইজরায়েলি জায়নবাদকে প্রভাবিত করতে পারতো।

কারা গ্রেটার ইজরায়েলের মিত্র?
সৌদ গোত্রবাদ। মুহাহা, এখানে বলার কিছুই নেই।
মিসরের সামরিকতন্ত্র। এরা আমেরিকার কাছ থেকে নিয়মিত বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পায় স্রেফ ইজরায়েলের সাথে ইয়ার দোস্তি রক্ষা করার জন্য।
তুরষ্ক নীতিগতভাবে সেকুলার দেশ এবং ন্যাটোর সদস্য তাই আমেরিকা ইউরোপের জিগিরি দোস্ত। আমেরিকার ঘাঁটি।
তুর্কি সাইপ্রাস তুরষ্কের হাতেই।
বাকী রইল বাদশা আবদুল্লাহ্’র বিখ্যাত দেশ জর্ডান। ইজরায়েলের সাথে যার সবচে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বর্ডার। সবচে বেশি জায়গা জুড়ে যে বর্ডার এবং সবচে বড় কথা হল, জেরুজালেম যে বর্ডারের লাগোয়া।

জর্ডানকে হয় দ্রুত দখল করতে হতো ইজরায়েলের, নয়তো জর্ডানের সাথে দোস্তি করতে হতো। ঠিক এটাই করেছে রবিন। ১৯৯৪ সাল থেকে জর্ডানের সাথে ইজরায়েলের দোস্তি চলছে গাড়ি চলবে। এই গাড়ির আরেকটা কারণ, সৌদরা জর্ডানের সাথে শত্রুভাবাপণ্ণ নয়।

একটু দূরের দেশ তিউনিশিয়া কখনো যদি উঠে দাঁড়ায় সমস্যা করতে পারতো? সরকার পতন করে সেখানে অগ্রগতি ভজঘট করে দেয়া হয়েছে।

সাত দেশের মধ্যে পড়ে না ইয়েমেনও। কারণ ইয়েমেনে সৌদ গোত্রবাদের পাপেট সরকার ছিল। এমনকি ইয়েমেনের প্রধানের সৌদি পাসপোর্টও ছিল। বাদ সাধল হুতিরা। প্যাচ বাড়িয়ে দিল।

এবার আসুন সৌদ তাবেদারির দেশগুলোতে।
বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার এবং সাত আমিরাতের দেশ আরব আমিরাত।
এরা কেউ কেন আম্রিকার লিস্টে নাই?
কারণ, এরা সবাই জায়নবাদের অকৃত্রিম বন্ধু। পা চাটা কুত্তা। এদের ভয় পাবার কিছু নেই। বরং এদের অগ্রগতিকে আরো বাড়ানো দরকার।

এবার আসুন বলকান অঞ্চলে। ইউরোপিয়ান মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলোয়।
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা দেখুন। দেশটা মুসলিম প্রধান। শুধু এইজন্য এই দেশ ভূমধ্য সাগরে প্রায় কোনই এনট্রান্স পায়নি। পুরো দেশ ভূমধ্যসাগরের পাড়ে, কিন্তু দুটা দেশ দুদিক থেকে ল্যাজ বের করে পুরো ভূমধ্যসাগরে বসনিয়ার এন্ট্রান্স বন্ধ করে দিয়েছে, সামান্য একটু বাকি। শত শত কিলোমিটার সমুদ্র পাবার কথা বসনিয়ার, পেলো মাত্র ২০ কিলোমিটার। ইজরায়েল কতটুকু সতর্ক তার যাতায়ত পথে মুসলিমদের অবস্থানের বিষয়ে!

সেখানে আরো কয়েকটি মুসলিম জনপ্রধান অঞ্চল আছে, সেসবও চাপে রাখা হয়েছে।

এবার আবার দেখুন পুরো ম্যাপটা।
সাত দেশ ধ্বংস করা দরকার এবং যারা বৃহত্তর ইজরায়েলের জন্য হুমকি নয় তাদের ধ্বংস করার প্রয়োজন নেই।

দাজ্জালের সেই জান্নাত ও জাহান্নাম দাজ্জাল আসার আগেই তৈরি হয়েছে।
দাজ্জালের জান্নাতে বসবাস করছে সৌদ-বাহরাইন-কুয়েত-ওমান-কাতার এবং সাত আমিরাত। তাদের ভেতরে বাইরে কোন সমস্যাই নেই। বাস করছে জর্ডানও। উনিশ বিশ সমস্যা নিয়ে বাস করছে তুর্কি এবং মিসরও।
বাকি দেশগুলো?

এই মৃত্যু স্রেফ ইউরোপিয়-আমেরিকান মুসলিম-ঘৃণা থেকে আসেনি। এই মৃত্যু এই ধ্বংস এসেছে আসছে এবং আসবে গ্রেটার ইজরায়েলের পথ সহজ করার জন্য।

ফিরে দেখে বড় আনন্দ হল।
Top