পর্ব-৪: লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইরান
-----

লিবিয়ায় কী হচ্ছে। গাদ্দাফির সময় লিবিয়া কেমন ছিল আর এখন কেমন আছে? এক দেশে দুই সেনাবাহিনী। এক রাজধানীতে দুই বিমান বাহিনী।
নিজের দেশে নিজের বিমান বাহিনী নিজ রাজধানীতে আক্রমণ করে...

লিবিয়া সার্থকভাবে ধ্বংস হয়েছে। যদিও আমেরিকা চাইলে মৃত্যুর সংখ্যায় সন্তুষ্ট নাও হতে পারে। কারণ লিবিয়ায় মৃতের সংখ্যা মাত্র ২৫ হাজার প্লাস।
পিশাচের আরো লাশের দরকার হলে সে ব্যবস্থা সামনে হবে।

কিন্তু যদি ধ্বংসের কথা ধরি, যদি বর্বর বানানোর কথা ধরি, সেটা তো সফলভাবে শেষ হয়েই গেছে।

দেড় কোটি মানুষের দেশ সোমালিয়ায় প্রায় সবাই মুসলিম।
এই দেশটা আজ ত্রিশ বছর ধরে না খেয়ে মারা যাওয়া নারী-শিশু-বৃদ্ধের দেশ।
এই দেশটায় প্রায় সবাই তো অমানুষের মত কোনক্রমে বেঁচে আছে। তবু এটাকে কেন ধ্বংস অবস্থা থেকে আরো ধ্বংস করা জরুরী? ওইযে, ৯৯% মুসলিমটা হল ফ্যাক্ট। এবং জায়নবাদি ইজ্রায়েল গ্রেটার রূপ নেয়ার সময় সোমালিয়ার প্রান্ত দিয়ে জাহাজ আসা যাওয়া করবে, এটা একটা বড় কারণ।

সোমালিয়ায় তারা তেমন কিছু করেনি।
করার দরকার হয়নি। এরা এত হতদরিদ্র এবং খাবারহীন যে এদের পার্লামেন্ট পাইরেটদেরকে (জাহাজ ডাকাত) জাতীয় হিরো বলে। এবং বলার কারণ হল, সারা পৃথিবী ভাল থাকবে আমরা না খেয়ে থাকব তা কেন হবে। সুতরাং জাহাজ ডাকাতি করো।
যে দেশের এ অবস্থা, সে দেশের প্রতি বেশি নজর না দিলেও চলে।

ইরানের কথায় আসি।
ইরান খুব ভাল আছে এমনটা মনে করেন?
দেশটা ইতোমধ্যে অনেকটাই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
টাকার এত বেশি অবমূল্যায়ন হয়েছে যে তারা টাকার নোটের পর শূণ্য গুণতেও পারে না। মানুষজন ফুঁসে উঠছে। খাবার যদি ঠিকমত না থাকে, কেনার সামর্থ্য যদি ঠিকমত না থাকে, মানুষ তো টিঁকবে না।

একবার দেখুন টাকার অবমূল্যায়নের অবস্থা-
ইরানে তিন ধরনের নোট প্রচলিত। এবং তিনটা তিন হিসাবের। সবই শূণ্যের খেলা। হাজার হাজার টাকার নোট, কেনা যায় না রুটিও।

যারা মধ্যবিত্ত, সারা জীবন ধরে সঞ্চয় করেছে, তারা লক্ষ্য করছে তাদের সারা জীবন ধরে জমানো টাকার মান ১০ ভাগের এক ভাগ হয়ে গেছে। বিষয়টা এরকম, আপনি সারা জীবন ধরে জমালেন ১০ লাখ টাকা, আর মারকিন অবরোধে সেটা হয়ে গেল ১ লাখ টাকা। আপনার মাথায় হাত। কোথায় যাবেন, কী করবেন? সারা জীবনের কষ্ট মুহূর্তে পথের ফকির করে দিল আপনাকে।

তো,
সাত দেশের মধ্যে মানুষের বসবাসের দিক থেকে ধ্বংস হয়েছে চারটা:
ইরাক, সিরিয়া, সুদান ও লিবিয়া।

বাকীটাও ধ্বংস করা বাকি আছে ইরান।
সোমালিয়া নিজেই ধ্বংস হয়ে আছে, তার দিকে মুখ ফিরিয়ে না তাকালেও হবে।
আর লেবাননে যেহেতু ৪০% খ্রিস্টান, লেবাননকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
Top