কলজে ঠান্ডা করা কিছু হাদীস


রাসূল দ.’র তলোয়ার ছিল তা কে না জানে! তবে তলোয়ারের হাতলে কী খোদিত ছিল শুনলে আমরা ভিড়মি খাবো:

“তোমার সাথে ভুল করে যে, ক্ষমা করো তাকে।
একত্র হও তারই সাথে, কাটে যে তোমাকে।
তারই সাথে ভালো করো, মন্দ যে করেছে।
সত্য বলো, সত্য বলো, যদিও তা- তোমাকেই বিঁধেছে।”

জিহ্বা আর তলোয়ার দেয়ার সময় তা সামলাতে শেখানোই কিন্তু আসল কথা! চালাতে শেখানো নয়। অন্তরে মতবাদ পুঁতে দেয়ার সময় শান্তির নরম মাটিতে সবুজের বীজ পুঁতে দেয়াই আসল কথা, পাথুরে জমিতে ক্যাকটাস নয়। তা আর মতবাদ রইল না। তা আর কিছুই রইল না।

কিছু কিছু আয়াত আছে সকল আয়াতের মূল, যেমন কিছু কিছু হাদীস আছে সকল হাদীসের মূল। এগুলোই চিন্তা নির্ণায়ক, নীতিমালা বিনির্মানের, অন্তর্গত চালিকাশক্তি ঠিক করে নেয়ার, ভাবনা সৃজনের হাদীস।

নবীজি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন কর, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না, মানুষকে সুসংবাদ দাও, বিরক্তি সৃষ্টি করো না।

এইসব আয়াত ও হাদীসের আলোকেই অন্য সকল আয়াত ও হাদীস দেখতে হয়। ফলে একজন মানুষ ভেতর থেকে সেই মানুষটা হয়ে ওঠে, যেই মানুষ গড়ার জন্য আল্লাহ্ তাঁর প্রিয়তম রাসূল দ. কে পাঠিয়েছেন, পাঠিয়েছেন কিতাব, পাঠিয়েছেন দ্বীন।

এমন আরো কয়েকটা হাদীস:

* ধর্ম হলো ভালো ব্যবহার।
* হাসিমুখ সাদাকা।
* সমস্ত ধর্মের একেকটা বিশেষ গুণ আছে, ইসলামের বিশেষত্ব হল বিনয়।
* সত্যি, আল্লাহ্ কোমল, আর তিনি কোমলতা ভালবাসেন। আর তিনি কোমলকে এমন কিছু দেন, যা কঠোরকে দেন না।
* নিয়্যতের পরিশুদ্ধতার উপর কর্ম গৃহীত হয়।
* কাজের চেয়ে কাজের নিয়্যতের শুদ্ধতাটা দামি।
* যে আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস করে, সে হয় ভাল কথা বলবে, নাহয় চুপ থাকবে।
* আল্লাহ্’র নিকটতম ব্যক্তি? ক্ষমাশীলরা।
* সৃষ্টির প্রতি আল্লাহ্’র মায়া সন্তানের প্রতি মায়ের মায়ার চেয়েও বেশি।

মনোগড়নের নীতিমালার হাদীসগুলো নীতিমালার বর্ণনা দিয়ে শেষ করি:

হে পুত্র (আনাস)! পারলে সকাল থেকে রাত অবধি, রাত থেকে সকাল অবধি অপরের অকল্যাণ-চিন্তা থেকে পুরোপুরি মুক্ত থেকো। পুত্রগো! এটা আমর মূলনীতিগুলোর একটা, আর যে আমার আইন ভালবাসে, সে-ই আমাকে ভালবাসে।
Top