হজরত ইব্রাহীম খলীল ও রসুলে আকরম (ﷺ)


আল্লাহ্তায়ালা হজরত ইব্রাহীম (عليه السلام) কে এই মহিমা দান করেছিলেন যে, নমরুদের অগ্নিকুণ্ড তাঁর জন্য শান্তিময় শীতলহয়েছিলো। আমাদের পয়গম্বর সাইয়্যেদে আলম (ﷺ) এর মর্যাদা ছিলো, কাফেরদেরযুদ্ধের অগ্নি তাঁর জন্য শীতল করে দেয়া হয়েছিলো। যুদ্ধের অগ্নিতে তরবারী সমূহ কাষ্ঠখণ্ড, ইন্ধন এবং অগ্নিশিখা- সবই কাফেরদের জন্য মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো। যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্বলনকারী হচ্ছে হিংসা আর তাতে জ্বলে যায় আত্মা ও শরীর। আল্লাহ্তায়ালা এরশাদ করেছেন, কাফেরেরা যখনই যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত করেছে, আল্লাহ্পাক তা নিভিয়ে দিয়েছেন। তারা চেয়েছিলো, কুফুরীর আগুন দিয়ে দ্বীনের নূরকে নিভিয়ে দিতে। কিন্তু জাব্বার কাহ্হার আল্লাহ্তায়ালা সবসময়ই তা রুখে দিয়েছেন এবং দ্বীনের নূরকে পরিপূর্ণ করেছেন। এই মর্মে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ্তায়ালা তাদের মনস্কামনাকে অসফল করে দিয়েছেন এবং চেয়েছেন তাঁর নূরকে পরিপূর্ণ করে দিতে, যদিও কাফেরেরা অপছন্দ করেছে।’ এখানে আরেকটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য যে, আল্লাহ্তায়ালা মেরাজ রজনীতে তাঁর হাবীব (ﷺ) কে অগ্নিসাগর নির্বিঘে পার করে দিয়েছিলেন। 


ইমাম নাসায়ী (رحمة الله) মোহাম্মদ ইবনে হাতিব (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেছেন- তিনি বলেছেন, আমি তখন শিশু। একদিন অগ্নিদগ্ধ পাতিল উল্টে গিয়ে আমার উপর পড়ে গিয়েছিলো। তাতে আমার শরীরের সমস্ত চামড়া জ্বলে যায়। আমার পিতা রসুল করীম (ﷺ) এর কাছে আমাকে নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁর পবিত্র মুখ থেকে লালা নিয়ে আমার শরীরের চামড়ার উপর প্রলেপ দিয়ে দিলেন এবং দোয়া করলেন, ‘হে মানুষের প্রভুপালক! এর কষ্ট দূর করে দাও।’ তৎক্ষণাৎ আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। মনে হলো, কিছুই হয়নি। 


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 




© | সেনানী এপ্স |

Top