হযরত যাবের (رضي الله عنه) এর বর্ণিত নবীর (ﷺ) নুরের হাদিস, সম্পর্কে আলােচনা
প্রচলিত জাল হাদিস" (যা মাওঃ মতিউর রহমানের লিখিত) বই লেখক দলীল বিহীন ভাবে দাবী করেছেন যে, হযরত যাবের (رضي الله عنه) হাদীস জাল। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি তার দাবীর স্বপক্ষে কোন দলীল উপস্থাপন করতে পারেননি। আর হাদিস বর্ণনা করেছেন বিকৃতি করে যাতে জাল বুঝাতে এবং প্রমাণ করতে সহজ হয়। যা তিনি অন্যান্য হাদীসের বেলায়ও করেছেন। হাদীসের নামে জালিয়াতি' বইয়ের ২৫৮ পৃষ্ঠা হতে ২৬২ পৃষ্ঠা পর্যন্ত জাবের (رضي الله عنه) হাদীস সম্পর্কে আলােচনা করে তা মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য কোন গ্রহণযােগ্য দলীল প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পেরে দুটি মিথ্যা দলীল উপস্থাপন করেছেন।উক্ত বইয়ের ২৫৯ পৃষ্ঠায় আরাে লিখেছেন, 'সহিহ দ্বঈফ এমনকি মওদু বা মিথ্যা সনদেও এই হাদিসটি কোন হাদীসের গ্রন্থে সংকলিত হয়নি।' লেখক এক চরম মিথ্যা এবং মুর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। আছে নাকি নেই তার জবাব আসছে। উক্ত বইয়ের ২৫৯ পৃষ্ঠায়, অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে লিখেন- “হাদিস নামের এই বাক্যটি খুঁজে দেখুন, একটি হাদিস গ্রন্থেও পাবেন না।"
উক্ত বইয়ের ২৫৯ পৃষ্ঠায়, অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে লিখেন- “হাদিস নামের এই বাক্যটি খুঁজে দেখুন, একটি হাদিস গ্রন্থেও পাবেন না।"
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! ইতিপূর্বেই আমি উক্ত হাদীসের উপরে বিস্তারিত । আলােকপাত করেছি, এমনকি ১০২টিরও বেশি দলীল দিয়েছি। দেখে নেয়ার জন্য অনুরােধ রইলাে।
→ একই পৃষ্ঠায় আরাে উল্লেখ করেছেন, “এমনকি সনদবিহীন সিরাতুন্নবী, ইতিহাস, ওয়াজ বা অন্য কোন গ্রন্থেও তা পাওয়া যায় না।" সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! কোন গ্রন্থে আছে বা নেই সে আলােচনাও আমি করেছি, তা দেখার অনুরােধ রইলাে।
→ ২৫৯ পৃষ্ঠায় আরও উল্লেখ আছে, “যতটুকু জানা যায়, ৭ম হিজরী শতকের আলিম মহিউদ্দিন ইবনু আরাবী সর্বপ্রথম এই কথা গুলােকে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেন।”
লক্ষ্য করুন! উক্ত বইয়ের লেখক ড, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মিথ্যা ও ধোঁকাবাজি,এত বড় বুযুর্গ ওলীয়ে কামেল আরিফ বিল্লাহ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী উপর কি রকম জঘন্য মিথ্যারােপ করেছেন।
হযরত মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (رحمة الله) এর কোন গ্রন্থে হাদিস হিসেবে উল্লেখ করেছেন তা তিনি উল্লেখও করেননি। তার কারন হলাে তিনি তার নামে এটি সাজিয়েছেন।
উক্ত বইয়ের ২৫৯ পৃষ্ঠায় মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবী (رحمة الله) এর সম্পর্কে মন্তব্য গিয়ে লিখেন, “বিশেষত মুজাদ্দিদে আলফে সানী সিরহিন্দী (رحمة الله) ইবনুল আরাবী এর সকল জাল ও ভিত্তিহীন বর্ণনার প্রতিবাদ করেছেন বারংবার। কখনাে নরম ভাষায়, কখনাে কখনাে কঠোর ভাষায়। (মাকতুবাত শরীফ : ১/১ পৃ.মাকতুবাত নং : ৩১)।
প্রিয় পাঠক! এটা একটি চিন্তার বিষয়, তিনি যে দলীল গ্রহণ করেছেন তাও মিথ্যা। আমার কাছে মাকতুবাত শরীফ আছে। তিনি দলীল দিয়েছেন প্রথম খণ্ড প্রথম পষ্ঠার ৩১ নং মাকতুবাত, এটা কী করে সম্ভব, প্রথম পৃষ্ঠায় আবার ৩১ নং মকতুবাত কী হয়? লেখার সময় মনে হয় হাদিসের নামে জালিয়াতি বইয়ের লেখকের মাথা ঠিক ছিল না অথবা তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
এখন সম্মানিত পাঠকের সামনে উপস্থাপন করবাে ইমাম মুজাদ্দেদে আলফেসানী (رحمة الله) কী তার বিরােদ্ধে বলেছেন নাকি তার কথার সমর্থন জানিয়েছেন।
🕋 রাসূল (ﷺ) এর নূরের সৃষ্টি সম্পর্কে তিনি মাকতুবাত শরীফের ৩য় খণ্ড ২৩১ পৃষ্ঠায় বলেন,
حقیقت محمد عليہ من الصلوة افضلها ومن التسليمات اكملها کہ ظهور اول است وحقیقتہ الحقائق است باں معنی کہ حقائق دیگر چہ حقائق انبیاء کرام وچہ حقائق ملانك عظام علیہ الصلوة والسلام کا اظلام اند مرا او واجل حقائق است قال علیہ الصلوة السلام أول ما خلق الله نوری وقال علیہ الصلوة والسلام خلقت من نور الله والمؤمنون من نوری۔
-“হাকিকতে মুহাম্মদ (ﷺ) বিকাশের দিক দিয়ে সর্বপ্রথম এবং সকল হাকিকতের হাকীকত। সমস্ত আম্বিয়া (আঃ) সম্মানিত সকল ফেরেশতাগণ হুযুর (জ)-এর হাকীকতের নির্যাস। রাসূলে খােদা (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'য়ালা সবপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হল আমার নূর মােবারক। আরও বলেছেন আমি আল্লাহর নূর হতে আর সমস্ত মুমিনগণ আমার নুর হতে সৃষ্টি।”
১.মুজাদ্দেদে আলফেসানী : মকবুতবাত শরীফ : ৩/২৩১ পৃ য,
২.আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ২২০৮ পৃ).
অতএব, প্রমাণিত হলাে তার বর্ণনা মুতাবেক শায়খ মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীর আকিদা ও নুরের হাদিস প্রচারকে মুজাদ্দেদে আলফেসানী (رحمة الله) বিরােধিতা তাে নয় স্বয়ং সমর্থন করেছেন। তাই আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের বক্তব্যে মিথ্যা ও ধােকাবাজীর সংমিশ্রন রয়েছে বলে বুঝা গেল। সে মূল কিতাবের ইবারত দেয়নি যাতে করে শােকাবাজী সহজে করতে পারে। সাধারন মানুষতাে মূল কিতাব গবেষণা করে না।ফলে তাদের ধোকায় বিভ্রান্তিতে পতিত হচ্ছে। তাই আমি তাদেরকে আমার এই কিতাবের মাধ্যমে সতর্ক করছি এবং বিভ্রান্তিতে যেন না পড়ে সে জন্য ধোঁকাবাজদের বই পড়া থেকে বিরত থাকার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
🕋 এখন হযরত যাবের (رضي الله عنه) এর হাদিস বিস্তারিত আলােচনা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। হাদিসটি হল -
عن جابر قال: قلت يا رسول الله بأبي أنت وأمي أخبرني عن أول شيء خلقه قتل الأشياء، فقال: يا جابر! إن الله خلق قبل الأشياء نور نبيك من نوره، فجعل النور يدور بالقدرة حيث شاء الله، ولم يكن في ذلك الوقت لوح ولا قلم و لا جنة ولا نار ولا ملك ولا سيماء ولا ارض ولا شمس ولا قمر ولا جني ولا الإنس. فلما أراد الله تعالى أن يخلق الخلق قسم ذلك النور اربعة اجزاء، فخلق من الجزء الأول القلم، ومن الثاني اللوح، ومن الثالث العرش. ثم قسم الجزء الرابع اربعة اجزاء، فخلق من الجزء الأول حملة العرش، ومن الثاني الكرسي، ومن الثالث باقي الملائكة، ثم قسم الجزء الرابع اربعة اجزاء، فخلق من الأول السماوات، ومن الثاني الأرضين ومن الثالث الجنة والنار، ثم قسم الرابع أربعة أجزاء، فخلق من الأول نور ابصار المؤمنين، ومن الثاني نور قلوبهم- وهي المعرفة بالله- ومن الثالث نور انسهم، وهو التوحيد لا إله إلا الله محمد رسول الله
-“হযরত যাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী (رضي الله عنه) বলেন, আমি আরজ করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার মাতা পিতা আপনার প্রতি উৎসর্গ। আমাকে বলুন, আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর পূর্বে কি সৃষ্টি করেছেন? হুযুর (ﷺ) ফরমালেন, হে যাবের। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর পূর্বে তাঁর নূর হতে তােমার নবীর নূরকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর ঐ নূর খােদায়ী কুদরতে যেখানে আল্লাহর ইচ্ছা ভ্রমণ করতে থাকে। তখন লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমান, যমীন, সূর্য, চন্দ্র, দানব, মানব কিছুই ছিল না। অতঃপর যখন আল্লাহ তায়ালা অন্যান্য মাখলুককে সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করলেন তখন ঐ নূরকে চারভাগে ভাগ করলেন, প্রথমভাগ দ্বারা কলম, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা লওহে মাহফু, তৃতীয়ভাগ দ্বারা আরশ সৃষ্টি করলেন। চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন, প্রথম ভাগ দ্বারা আরশবহনকারী ফেরেশতা, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা কুরসি, তৃতীয় ভাগ দ্বারা অপরাপর সকল ফেরেশতা সৃষ্টি করলেন, চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন। প্রথমভাগ দ্বারা সপ্ত আসমান, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা সপ্ত যমীন, তৃতীয় ভাগ দ্বারা জান্নাত ও জাহান্নাম সৃষ্টি করলেন। চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন। প্রথমভাগ দ্বারা সৃষ্টি করলেন মুমিনদের চোখের জ্যোতি, দ্বিতীয়ভাগ দ্বারা তাদের কলবের নূর, যার মাধ্যমে তারা আল্লাহর মা'রেফাত লাভ করে, চতুর্থ ভাগ দ্বারা সৃষ্টি করলেন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)।
এতটুকু পর্যন্ত যারা গ্রহণ করে বর্ণনা করেছেন তাদের নাম কিতাবের নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ
১। ইমাম আব্দুর রাযযাক (رحمة الله) [ওফাত.২১১হি] : মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক।
২। ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) [ওফাত.৪৫৮হি] ‘দালায়েলুন নবুয়ত' এর ১৩ খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।
৩। বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম কুস্তালানী (رحمة الله) [ওফাত,৯২৩হি] “মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়া" এর ১/১৫ পৃঃ ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৪। আল্লামা ইমাম যুরকানী (رحمة الله) [ওফাত,১১২২হি] "শরহুল মাওয়াহেব এর ১৮৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৫। আল্লামা অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুল জলিল (رحمة الله) : নুর নবী (ﷺ)
৬। আল্লামা আজলুনী (رحمة الله) [ওফাত,১১৬২হি] তার কাশফুল খাফা' এর ১/৩১১ পৃষ্ঠায় হাদিস নং ৮১১, ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৭। ইমাম বুরহানুদ্দিন হালবী আশ শাফেয়ী (رحمة الله) [ওফাত,১০৪৪হি] “সিরাতে হালবিয়্যাহ" এর ১/৩৭ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৮। আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) "মাদারিজুন নবুয়াত" খণ্ডের ৫পৃষ্ঠা।
৯। আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভি [ওফাত.১৩০৪হি] তার “আছারুল মারফুআ ফিল আখবারিল মাওদুআহ" ৪২-৪৩ পৃষ্ঠায় সনদসহ ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
১০। আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله) [ওফাত,১০১৪হি] "আল মাওরিদুর রাভী ফিল মাওলীদিন নবী" ২২ পৃষ্ঠায় সহিহ সনদে।
১১। ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী আল মক্কী (رحمة الله) [ওফাত.৭৯৪হি] “ফতােয়ায়ে হাদীসিয়্যাহ" ৪৪পৃষ্ঠায় (শামেলা) এবং ৩৮০পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
১২। ইমাম ইউসূফ নাবহানী (رحمة الله) “হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন” এর ৩২-৩৩ পৃষ্ঠায়।
১৩-১৫। ইমাম নাবহানী (رحمة الله) “যাওয়াহিরুল বিহার” এর ৩য় খন্ডের ৩৭৭ পৃষ্ঠায় এবং ৩/৩১২ এবং ২/২১৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে সহিহ সনদে।
১৬। ইমাম আবদুল গণী নাবলুসী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ হাদীকাতুন নাদিয়্যাই শরহে আত তারীকাতুল মুহাম্মাদিয়্যাহ” গ্রন্থের ২য় খণ্ডের ৭৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
১৭। ইমাম নাবহানী (رحمة الله) স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আনওয়ারে মুহাম্মাদিয়া” গ্রন্থের ৯ পৃষ্ঠায় সনদসহ ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
১৮। ইমাম নাওয়াভী (رحمة الله) [ওফাত.৬৭৭হি,] স্বীয় বিখ্যাত সিরাত গ্রন্থ “আদ্দুরারুল বাহিয়্যাহ" গ্রন্থের ৪-৮ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
১৯। আল্লামা আহমদ আবদুল জাওয়াদ দামেস্কী (رحمة الله) স্বীয় সিরাজুম মুনীর গ্রন্থের ১৩-১৪ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২০। ইমাম মুহাম্মদ মাহদী আল-ফার্সী সুফী (رحمة الله) [ওফাত.১২২৪হি] তার “দালায়েলুল খায়রাত" গ্রন্থের ব্যাখ্যা গ্রন্থ “মাতৃালিউল মুসাররাত ” এর ২১ ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২১। আরেফ বিল্লাহ শায়খ আবদুল করিম জলীলী (رحمة الله) স্বীয় বিখ্যাত গ্রন্থ,
الناموس الاعظم والقاموس الأقدام في المعرفة قدر النبي صلى الله عليه و سلم
২৪১ পৃষ্ঠায় ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) এর বরাতে ও ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২২। মুহাদ্দিস ইমাম খরপূতী (رحمة الله) “কাসীদাতুশ শাহাদাহ শরহে কাসীদায়ে বুরদাহ" গ্রন্থের পৃষ্ঠা নং ১০০ ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৩। আল্লামা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (رحمة الله) *মাতে ইলাহিয়্যাহ এর ১৯ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৪। আল্লামা ইমাম মাহমুদ আলুসী (رحمة الله) “তাফসীরে রুহুল মায়ানী" তে সূরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় ১৭ পারার ৯ম খন্ডের ১৭৭ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৫। আল্লামা দিয়ার বকরী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “কিতাবুল খামীস ফি আহওয়ালি আনফাসে নাফীস"২০ পৃষ্ঠায়।
২৬। ইমাম ইবনুল হাজ্জ আল মালেকী (رحمة الله) [ওফাত.৭৩৭হি] স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “আল-মাদখাল” এর ২য় খন্ডের ৩২ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৭। আল্লামা ইবনে হাযার হায়তামী মক্কী (رحمة الله) ওফাত.৭৯৪হি."শরহে শামায়েল" গ্রন্থের ১/১৪৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৮। আল্লামা শরীফ সৈয়দ আহমদ বিন আব্দুল গণী বিন উমর দামেস্কী (رحمة الله) তার একাধিক গ্রন্থে শায়খ ইউসুফ নাবহানী (رحمة الله) তার কিতাবে ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
২৯। ইমাম আরিফ বিল্লাহ শায়খ আলী দুদাহুল বুসনভী (رحمة الله) তার خلاصة الأثرগ্রন্থে ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৩০। আরিফ বিল্লাহ শায়খ আব্দুল্লাহ বানুভী রুমী (رحمة الله) যিনি "কাশফুল যুনুন" গ্রন্থে ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৩১। আল্লামা ইবনে হাযার হায়তামী আল মক্কী (رحمة الله) [ওফাত.৭৯৪হি] তা” আন্-নেয়ামাতুল কুবরা আলাল আলাম” গ্রন্থেও দ্বিতীয় পৃষ্ঠায়।
৩২।ইমাম আবু সাদ নিশাপুরী খারকুশী (رحمة الله) যার ওফাত হচ্ছে ৪০৭ তিনি তার প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ "শরফুল মুস্তফার ১/৩০৭পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৩৩। ইমাম ইয়াহইয়া বিন আবি বকর বিন মুহাম্মদ বিন বিন ইয়াহইয়া আলমরী আল-হারদ্বী (رحمة الله) যার ওফাত হচ্ছে ৮৯৩ হিজরীতে তিনি হাদিসটি বাহজাতুল মাহফিল ওয়া বাগিয়াল আমসাল ফি তালখিসুল মু'যিজাত ওয়াল সক ওয়াল শামায়েল" গ্রন্থের ১/১৫ পৃষ্ঠায়।
৩৪.শায়খ মুহাম্মদ বিন খিলাফাত বিন আলী আল-তাইমী (رحمة الله) তার সিরাত গ্রন্থ “হুকুকুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলা উম্মাতি ফি যুউল কিতাৰ ওয়া সুন্নাহ" ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৩৫.ইমাম জুরকানী (رحمة الله) [ওফাত.১১২২হি] তার শরহুল মাওয়াহে ৫/২৬১পৃ.।
৩৬.ইমাম ইয়াদরুসী (رحمة الله) তার “তারীখে নুরুস সফর"।
৩৭.ইমাম আলুসী বাগদাদী (رحمة الله) স্বীয় তাফসীরে রুহুল মায়ানী' প্রথমে সূরা ফাতেহার তাফসীরেই (১/৫৪পৃষ্ঠায়,শামেলা) হযরত যাবের (رضي الله عنه) হাদিসটি সংক্ষেপে ইঙ্গিত দিয়ে বর্ণনা করেছেন।
৩৮.ইমাম সাভী আল-মালেকী (رحمة الله) যার ওফাত,১২৪১হি. তার “হাশিয়াতুল সাভী আলাল শরহুল সগীর”গ্রন্থের ৪/৭৭৮পৃষ্ঠায় হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৩৯. ইমাম মুহাম্মদ মাহদী আল-ফাসী সুফী (رحمة الله) ওফাত,১২২৪হি, তার লিখিত “আল-বাহারুল মুদিদ ফি তাফসিরুল মাজিদ" এর ৫/২৭৪পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله)'র সূত্রে।
৪০.ইমাম শিহাবুদ্দীন খিফাযী হানাফী (رحمة الله) ওফাত,১০৬৯হি, তার স্বীয় তাফসীর হাশিয়াতুল শিহাব আ'লা তাফসিরুল বায়যাভী" এর (৪/১৪৩পৃষ্ঠায়,সুরা আনআমের এক আয়াতের ব্যাখ্যায়)
৪১.আহলে হাদিস শায়খ নাসিরুদ্দীন আলবানী তার একাধিক গ্রন্থে তা মনে বর্ণনা করেছেন। তার সু প্রসিদ্ধ সহিহ হাদিসের গ্রন্থ “সিলসিলাতুল আহাদিসুস সহীহা এর ১৮২০পৃষ্ঠায় হাদিস নং ৪৫৮ এ হাদিসটি বর্ণনা করেন। এছাড়া আল অপর আরেকটি গ্রন্থ আলবানী ফিল আকায়েদ”এর ৩৮১৬প, প্রশ ৩/৮১৮পৃ. প্রশ্ন নং-২৮৪ এ সহ এই কিতাবটির মােট ৯ স্থানে এ হাদীস টি বর্ণনা করেছেন।
৪২. সৌদি আরবের আলেমদের সম্মেলিত ফাতওয়ার কিতাব "কুরাতুল আইন ফাতওয়ায়ে উলামাউল হারামাইন” (যার ১/৩২৫ পৃষ্ঠায়,যা মাকতাবাত তাযারিয়্যাহতুল কোবরা, মিশর হতে প্রকাশিত) যা সংকলন করেছেন শায়খ মস বিন ইবরাহিম আল-মাগরীবী আল-মিশরী আল-মালেকী,যার ওফাত হলাে,১২৯২হিজরীতে। এ কিতাবটি এখন মাকতুবাতুল শামেলাতেও পাওয়া যায়।
৪৩.আহলে হাদিস শায়খুল তৈয়্যব আহমদ হাতিয়্যাহ তিনি তাঁর “তাফসীরে শায়খ আহমদ হাতিয়্যাহ" এর ৩/৩৯৫ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেছেন।
৪৪.আল্লামা ইমাম আহমদ রেযা খাঁন ফাযেলে বেরলভী (رحمة الله) ওফাত,১৯২১খৃ.তার “নূরুল মােস্তফা” গ্রন্থে ৫-৭ পৃষ্ঠায় বিস্তারিত ভাবে ইমাম আবদুর রাযযাক(رحمة الله)'র সূত্রে এবং ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) দালায়েলুল নবুয়ত এর বরাতসহ অনেক কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।
৪৫.আল্লামা সৈয়দ আহমদ সাঈদ কাযেমী (رحمة الله) মিলাদুন্নবী গ্রন্থের ২২ পৃষ্ঠায় ইমাম আব্দুর রাযযাকের সূত্রসহ আরাে অনেক কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৬.ইসলামী ইতিহাসবিদ আল্লামা আব্দুল হামিদ মুহাম্মদ যিয়াউল্লাহ কাদেরী (রহঃ) স্বীয় গ্রন্থ “ওহাবী মাযহাব কী হাকীকত' (উর্দু) এর ৬৪১ পৃষ্ঠায় হযরত যাবের (رضي الله عنه) এর হতে অনেক সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৭.আল্লামা মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (رحمة الله) স্বীয় অন্যতম গ্রন্থ “রিসালাম নূর" এর ১৯ পৃষ্ঠায় যাবের (رضي الله عنه) হতে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৮.মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী সাহেব তার উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ "ফি মওলিদে খাইরিল বারিয়্যাহ" এর ৫ পৃষ্ঠায় হযরত যাবের (رضي الله عنه) বর্ণনায় উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৪৯.দেওবন্দেরঅন্যতম আলেম মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেব “নুশরাত্বিব”এর ২৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৫০.দেওবন্দীদের অন্যতম শায়খুল হাদিস ইদ্রিস কালভী সাহেব "মাকামাত ফি হাদিসিয়্যাহর "১ম খন্ডের ২৪১ পৃষ্ঠায় আবদুর রাযযাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৫১. পাকিস্তানের ওহাবী দেওবন্দী মুহাদ্দিস সরফরায খাঁন সফদও 'নূর আওর বাশার এর ৩২ (উর্দু) পৃষ্ঠায় বর্ণনা করে হাদীসের সত্যতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তার মাথা ব্যথা হলাে ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله) নাকি শিয়া পন্থী, তার জবাব সামনে আলােচনায় আসবে।
৫২। ভারতীয় উপমহাদেশের ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ ইসমাঈল দেহলভী সাহেব তার ‘রেসালায়ে একরােজী' পৃষ্ঠা নং ১১ এ উক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
৫৩। 'তাফসীরে নূরুল কোরআন' এর লেখক মাওলানা আমিনুল ইসলাম সাহেব“নূর নবী” বইয়ের ১৫ পৃষ্ঠায় ইমাম আবদুর রাযযাক (رحمة الله) এর সূত্রে উক্ত হাদিসটি তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে তিনি মাওলানা আশরাফ আলী থানবী সাহেবের নশরুত্তীব এর হুবহু বাংলা অনুবাদও করেছেন আর তার নাম তিনি দিয়েছেন “যে ফুলের খুশবােতে সাড়া জাহান মাতােয়ারা এ পুস্তুকটি এখনও বাংলা বাজার ইসলামী টাওয়ারে পাওয়া যায়।
৫৪.বর্তমানের দেওবন্দীদের তথাকথিত শাইখুল হাদিস মুফতি মনসুরুল হক মাসিক আদর্শনারীতে (২০১২ইং এর সিরাতুন্নবী (ﷺ) সংখ্যায় দরসে হাদিসে) এক পথীয়ে হযরত যাবের (رضي الله عنه)'র হাদিসটি সংক্ষেপে ইমাম আবদুর রাষ্যকের সূত্রে সংকলন করেন।
সূত্র, প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন
মূফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর।