রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দরূদ শুনেন এবং দরূদ পাঠকারীকে চিনেন ?হাদিস প্রসঙ্গ“
হাদীসের নামে জালিয়াতি" বইয়ের ২৮৭ পৃষ্ঠায় আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব। আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভীর মন্তব্য ব্যক্ত করে দাবী করেছেন যে, রাসূল (ﷺ) দরূদ সালাম শুনতে পান না।
“হাদীসের নামে জালিয়াতি" বইয়ের ২৮৭ পৃষ্ঠায় আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব। আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভীর মন্তব্য ব্যক্ত করে দাবী করেছেন যে, রাসূল (ﷺ) দরূদ সালাম শুনতে পান না।
সে আর কোন গ্রহণযােগ্য দলীল উপস্থাপন করতে পারেনি এবং কিয়ামত পর্যন্ত পারবেও না। ইনশাআল্লাহ!উক্ত বইয়ে আব্দুল হাই লাখনৌভীর বক্তব্যটি হলাে প্রচলিত যে সকল বানােওয়াট ও মিথ্যা কথা রাসূল (ﷺ) এর নামে বলা হয় তার মধ্যে রয়েছে যদি কেউ রাসূল (ﷺ) এর উপর দরূদ পাঠ করে, তবে সেই ব্যক্তি যত দূরেই থাক, তিনি কারাে মাধ্যম ছাড়াই তা শুনতে পান।
উক্ত বইয়ে আব্দুল হাই লাখনৌভীর বক্তব্যটি হলাে প্রচলিত যে সকল বানােওয়াট ও মিথ্যা কথা রাসূল (ﷺ) এর নামে বলা হয় তার মধ্যে রয়েছে যদি কেউ রাসূল (ﷺ) এর উপর দরূদ পাঠ করে, তবে সেই ব্যক্তি যত দূরেই থাক, তিনি কারাে মাধ্যম ছাড়াই তা শুনতে পান।
সাবাস! সাবাস!! আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরকে, যে আব্দুল হাই লাখনৌভীর কথা শুনে কোন প্রমাণ ছাড়াই হাদিসকে (বা কোন বিষয়কে) জাল, বানােয়াট বা মিথ্যা বলতে দুঃসাহস করছে । তাই বেশি কিছু না বলে আমি তার জবাবে দলীল উপস্থাপন করতে চাই। যাতে সাধারণ মুসলমানগণ সহজেই বুঝতে পারেন, কার বক্তব্য সঠিক আমাদের কান আর রাসূল (ﷺ) এর কান মােবারককে তারা এক মনে করছেন যা সম্পূর্ণ কুফুরী ও রাসূল (ﷺ) এর শানে বেয়াদবীরই অন্তর্ভুক্ত এবং তার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুজিজা অস্বীকার করারই নামান্তর। রাসূল (ﷺ) এর কান মােবারক কারও কানের মত নয়, তা নবী করীম (ﷺ) নিজেই বলছেন।যেমন হাদীসে পাকে বর্ণিত আছে
দলীল নং-১-১৪
হযরত আবু যার আল গিফারী (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত হয়েছে যে,
عن أبي ذر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «إني ارى مالا ترون، واسمع ما لا تسمعون، إن السماء أطت، وحق لها أن تئط، ما فيها موضع اربع أصابع إلا وملك واضع جبهته ساجدا لله، .
“রাসূল (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, আমি এমন কিছু দেখি, যা তােমরা দেখনা এমন কিছু শুনি, যা তােমরা শুনাে না। আকাশ বােঝার কারণে “চড় চড়” করে, (তাও শুনি) তার ‘চড় চড়' করাই সঙ্গত, কেননা, আকাশে চার আঙ্গুল পরিমাণ জায়গা নেই, যেখানে কোন একজন ফেরেস্তা আল্লাহর সামনে মাথা নত করে রাখেনি।”
উক্ত হাদিস দ্বারা বুঝা গেল, রাসূল (ﷺ) ফেরেস্তাদের দাঁড়ানাে এবং তাদে ওজনে আকাশ থেকে আসার শব্দ শুনেছেন এবং দেখেছেন তারা কীভাবে দাড়িয়ে আছেন। অথচ সাহাবীদের কাছে তা সম্পূর্ণ অদৃশ্যই ছিল।
(ক) ইমাম তিরমিযী: আস সুনান: কিতাবুদ যুহুদ : ৪/১৩৪পৃ. হাদিস- ২৩১২
(খ) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলঃ আল মুসনাদঃ ৫/১৭৩পৃ.
(গ) ইমাম ইবনে মাজাহঃ আস্-সুনান: কিতাবুদ যুহুদ ২/১৪০২পৃ. হাদিসঃ ৪১৯০
(ঘ) ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানি : হুলিয়াতুল আউলিয়া :২/২৩৬পৃ.
(ঙ) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতিঃ খাসায়েসুল কোবরা: ১/১১৮পৃ. হাদিস- ৩০৬
(চ) আবু নসার মারওয়াযী,তাজিমে কদ্বরুল সলাত,১/২৫৯পৃ.হাদিস,২৫১
(ছ) বার,আল-মুসনাদ,৯/৩৫৭পৃ.হাদিস,৩৯২৫
(জ) ইবনে শায়খ ইস্পাহনী,আল-আজিমাত,৩৯৮২পৃ. হাদিস,৫০৭
(ঝ) হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক,৪/৬২৩পৃ. হাদিস,৮৭২৬
(ঞ) হাকিম নিশাপুরী, আল-মুস্তাদরাক,২৫৫৪পৃ. হাদিস,৩৮৮৩
(ট) বায়হাকী,শুয়াবুল ঈমান,২২৬-হাদিস,৭৬৪
(ঠ) বায়হাকী,আস্-সুনানিল কোবরা,৭৮৩-হাদিস,১৩৩৩৭
(ড) গভী,শরহে সুন্নাহ,১৪/৩৭০পৃ.হাদিস,৪১৭২।
(ঢ) আলবানী: সিলসিলাতুস সহীহাহু: হাদিস- ১৭২২, তিনি বলেন, হাদিসটি সহীহ।
দলীল ১৫-২১
وابن عساكر التاريخيهما، عن العباس بن عبد المطلب قال: قلت: يا رسول دعانى الی الدخول في دينك أمارة لبيوتك، رأيتك في المهد ثناغي القمر وتشير إليه بأصبعك فحيث أشرت إليه مال قال: «إني كنت أحدثه ويحدثني، ويلهيني عن البكاء، و أسمع وجبته حين يسجد تحت العرش» ----- قال البيهقي تفرد به احمد بن ابراهيم الجبلي وهو مجهول وقال الصابوني : هذا حديث غريب الاسناد والمتن فى المعجزات حسن .
-"ইমাম বায়হাকী, দালায়েলুল নবুওয়াতে, সাবুনী তাঁর মাতীন গ্রন্থে, খতিব বাগদাদী তারীখে বাগদাদে এবং ইমাম ইবনে আসাকির তারীখে দামেস্কে :
হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূল (ﷺ) কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ(ﷺ) আমি আপনার নবুয়তের এ আলামত দেখে ঈমান এনেছি যে, তা হল আপনি চাঁদের সাথে শিশু অবস্থায় বাক্যলাপ করেছিলেন এবং তার দিকে আঙ্গুলে ইশারা করছিলেন, আপনি যেদিকে ইশারা করতেন, চাঁদ সেদিকেই হেলে যেত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তখন চাঁদের সাথে কথা বলেছিলাম এবং চাঁদ আমার সাথে কথা বলছিল। সে আমার ক্রন্দনে সান্ত্বনা দিচ্ছিল। আর চন্দ্র যখন আল্লাহর আরশের নীচে সেজদা করে, তখনও আমি তার তাসবীহ শুনতে পাই।”ইমাম বায়হাকী (رحمة الله) বলেন, এই হাদিসটি ‘আহমদ ইবনে ইব্রাহীম জাবালী একাই বর্ণনা করেছেন। সে একজন অজ্ঞাত রাবী। আল্লামা ছাবুনী (রহঃ) বলেন, এ হাদিসটি সনদের দিক দিয়ে গরীব আর মুজেজার ব্যাপারে মতনটি হাসান বা সুন্দর। উক্ত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল আরশের নিচের সিজদার তাসবীহের আওয়াজও নবিজী(ﷺ) শুনতেন শিশু অবস্থায়ই। তাহলে এখনকার অবস্থা কী হবে?
(ক) আবু স'দ, শরফে মােস্তফা,১/৫৮পৃ
(খ) যুরকানী, শরহুল মাওয়াহেব,১/২৭৫পৃ.
(গ) বুরহানুদ্দীন হালবী, সিরাতে হালবিয়্যাহ,১১১৫,
(ঘ) ইবনে সালেহ শামী, সবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ,১/৩৪৯পৃ. ১০/৪৮১,
(ঙ) ইবনে কাসীর, বেদায়া ওয়ান নিহায়া,১২১১
(চ) বায়হাকী, দালায়েলুল নবুয়ত,২৪১
(ছ) ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ুতি : খাসায়েসুল কোবরা ১০
দলীল নং- ২২-৩৭
প্রসিদ্ধ একটি হাদিস হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، أن رسول اللہ صلی الله عليه وسلم قال: «ما من أحد يسلم علي إلا رد الله علي روحي حتی ارد عليه السلام»
-“রাসূলে পাক (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, যখন কোন উম্মত আমার প্রতি সালাম প্রদান করে, আমার রূহ মােবারককে আল্লাহ তায়ালা (যেহেতু অতীতে) আমার নিকট দিয়েছেন যে, আমি তাদের প্রদানকৃত সালামের জওয়াব দেই।”
ক. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল : আল মুসনাদ : ২৫২৭ পূ, হাদিস নং : ১০৮৬৭
খ, ইমাম তাবরানী : মুজামুল আওসাত : ৩/২৬২ পৃ. : হাদিস : ৩০৯২ এবং ৯৩২৩
গ, বায়হাকীঃসুনানে কোবরাঃ ৫/২৪৫ পৃ.হাদিসঃ ১০০৫০
ঘ, দাওয়াতুল কাবীর, ১২৬১, হাদিস,১৭৮
ঙ, ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াবুল ঈমান : ৬/৫২পৃ.হাদিস : ৫১৮১ এবং ৪১৬১
চ. ইমাম মানাৰী : ফয়জুল কাদীর : ৫/৪৬৭ পৃ.
ছ, ইমাম মুনযির : আত্-তারগীব ওয়াতৃ-তারহীব : ২/৩৬২ পৃ: হাদিস : ২৫৭৩
জ,ইমাম ইবনে হাজার হায়সামী : মাযমাউয যাওয়াইদ । ১০/১৬২ পৃ
ঝ, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়তী : আল হাজীলী ফাওয়া : ১/২০০ পৃ.
ঞ, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়তী : হুসনুল মাকাসিদ ফি আমালিল মওলুদ। ৭-৮ পৃ.
ট. আল্লামা ইমাম সাখাভী : কওকূল বদী : ১৪২ পৃ.
ঠ, আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানাঃ ৪২৭ পৃ. হাদিস- ৯৮২
ড, আল্লামা আলুনী: কাশফুল খাফা: ২১৭৩, হাদিস- ২২৪৫
ঢ. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি: আদদুররুল মানছুর: ১/২৩৭ পৃ..
ণ.আবু দাউদ,আস-সুনান,২২১৮পৃ.হাদিস,২০৪১, তার, আলবানী এ গ্রন্থের তাহকীকে বলেন সনদটি হাসান।
ত,ইমাম রাহবিয়্যাহ, আস্-সুনান,১/৪৫৩পৃ. হাদিস,৫২৬.
উক্ত হাদীসে দরূদ শরীফে সালাম ফিরিশতারা রাসূল (ﷺ) এর নিকট পৌঁছে দেন- উল্লেখ নেই, বরং রাসূল (ﷺ) পৌছানাে ছাড়া নিজেই শুনেন এবং তার জবাব দেন।
ইমাম সাখাভী (رحمة الله) ও আল্লামা আযলুনী (رحمة الله) বলেন,
-“উক্ত হাদিসটি ইমাম আহমদ ও ইমাম আবু দাউদ হযরত আবু হুরায়রা হতে মারফু সূত্রে বর্ণনা করেছেন, উক্ত হাদিসটির সনদ সহিহ বা বিশুদ্ধ।”
ক. আল্লামা ইমাম সাখাভী : মাকাসিদুল হাসানা: ৪২৭ পৃ. হাদিস : ৯৮২ ,
খ. আল্লামা আযিলুনীঃ কাশফুল খাফা: ১৭৩, হাদিস : ২২৪৫
গ. ইমাম বুরকানী,১২২০২ পৃ.দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।
দলীল নং- ৩৮-৫৯
হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত।
عن أبي الدرداء قال قال رسول الله صلىالله عليه و سلم أكثروا الصلاة علي يوم الجمعة . فإنه مشهود تشهده الملائكة . وإن أحدا لن يصلي علي إلا عرضت علي صلاته حتى يفرغ منها ) قال قلت وبعد الموت ؟ قال ( وبعد الموت . إن الله حرم على الأرض أن تأكل أجساد الأنبياء (سنن ابن ماجه، كتاب الجنائز، باب ذكر وفاته صلى الله عليهو سلم، رقم الحديث-1637
রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-তোমরা জুমআর দিন বেশি বেশি করে দুরুদ পড়। নিশ্চয় ফেরেস্তারা এর উপর স্বাক্ষ্যি থাকে। আর যখন কেউ আমার উপর দুরুদ পড়ে তখনই তা আমার নিকট পেশ করা হয়। আবু দারদা রাঃ বলেন-আমি জিজ্ঞাসা করলাম - মৃত্যুর পরেও কি তা পেশ করা হবে? উত্তরে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
"হ্যাঁ! আল্লাহ্ পাক নবীগণের শরীর মোবারাককে ভক্ষণ করা জমিনের জন্য হারাম করে দিয়েছেন। তাই নবীগণ (কবরে) জীবিত আছেন এবং নিয়মিতভাবে তারা রিজিকও পেয়ে থাকেন।"
তথ্যসূত্রঃ
১. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৬,
২. ইবনে মাজাহ্ঃ কিতাবুল জানাযা, খন্ড- ১/৫২৪পৃ, হাদিস: ১৬৩৭
৩. ইবনে মাজাহ্ঃ ইকামাতুস সালাহ ওয়াস সুন্নাহ ফিহা : অধ্যায় ৭৯, ১/৩৪৫, হা- ১০৮৫
৪. মুনজারীঃ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব, খন্ড- ২/২২৮পৃ, হাদিস: ২৫৮২;
৫. ইবনে কাসীরঃ তাফসীরু কুরআনিল আযীম, খন্ড- ৩/৫১৫পৃ, খন্ড- ৪/৪৯৩পৃ;
৬. মুনাবীঃ ফয়যুল কদীর, খন্ড- ২/৮২পৃ;
৭. আযুলুনীঃ কাশফুল খিফা, খন্ড- ১/১৯০পৃ, হাদিস: ৫০১
৮. সুনানুস সাগীর লিল বায়হাকী, হাদীস নং-৪৬৯,
৯. আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৭৮০,
১০. সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৫৭২,
১১. মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৪৮৫,
১২. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৫৭৫৯
১৩. আবু দাউদ : আস সুনান, কিতাবুস সালাত : ১:২৭৫, হাদিস ১০৪৭
১৪. নাসাঈ : আস সুনান, অধ্যায় : জুমুয়া ৩:৯২
১৫. ইমাম আহমদ বিন হাম্বল : আল মুসনাদ (৪:৮)
১৬. ইমাম ইবনে হিব্বান : আস সহীহ : (৩:১৯১, হাদিস ৯১০)
১৭. ইবনে খুজায়মাহ : আস সহীহ : (৩:১১৮, হাদিস ১৭৩৩)
১৮. ইমাম হাকিম : আল মুস্তাদরাক (১:২৭৮)
১৯. ইমাম তাবারানী : আল মুজমাউল কবীর (১:২১৭, হাদিস ৫৮৯)
২০. বায়হাকী : আস সুনান আল কুবরা : (৩:২৪৯).
২১.ড. তাহেরুল ইসলাম কাদেরীঃ প্রিয় নবীর পরকালীন জীবন।
হাদিসটির সনদ-মান পর্যালোচনা
▶ এ হাদিসকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ সহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম মুনযেরী বলেন, ইহাকে ইমাম ইবনু মাজাহ্ উত্তম-মজবুত সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন।
▶ ইমাম মুনাবী বর্ণনা করেন যে, ইমাম দমীরী বলেন, ইহার রাভীগণ (বর্ণনাকারীগণ) নির্ভরযোগ্য।
▶ ইমাম আজলুনীও ইহাকে হাসান বলেছেন।
দলীল নং- ৫৯-৭২
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم «إن الله رفع لي الدنيا فانا انظر إليها وإلى ما هو كائن فيها إلى يوم القيامة كما انظر إلى كفي هذه، -
-“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رحمة الله) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা আমার জন্য বিশ্বকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়া এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে, এমনভাবে দেখতে পাচ্ছি, যেভাবে আমি আমার নিজ এই হাত দেখতে পাচ্ছি। এ হাদিস থেকে প্রমানিত হলাে রাসূল (ﷺ)। শুধু আমাদের দরুদ শুনেন তা নয়, বরং তিনি আমাদের দেখতে পান।
ক, ইমাম তাবরানী: মুজামুল কবীর: ২৪১২পু, হাদিস নং-১০৮৯
খ, ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানি : হলিয়াতুল আউলিয়া : ৬/১০১ পৃ. তরজুমা নং- ৩৩৮ ",
গ,ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়তীয় খাসায়েসুল কোবরাঃ ২১৯৩ : হাদিস : ২১১৭
ঘ. ইমাম সুয়ূতি: জামেউল জাওয়ামী : হাদিস নং- ৪৮৪৯
ঙ. ইমাম যুরকানীঃ শরহুল মাওয়াহেঃ ৭/২০৪ পূ.
চ, আল্লামা ইমাম কুয়ালানীঃ মাওয়াহেবে লাদুন্নীয়াঃ ৩৯৫ পু. দারুল কুতুৰ হসলামিয়্যাহ ৰয়।
ছ,মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী: জা'আল হক: ১/১০৩ পূ. (বাংলা সংস্করন),
জ, আহলে হাদিস নাসির উদ্দিন আলবানী ঈছু জামে : হাদিস : ১৬২৪
জ, আহলে হাদিস নাসির উদ্দিন আলবানী ঈছু জামে : হাদিস : ১৬২৪
ঝ,মুত্তাকী হিন্দী,কানযুল উম্মাল,১১৪২০হাদিস,৩১৯৭১
ঞ,ইমাম মুনযিরী,তারগীব ওয়াতারহীব,/২১১.
ট,হাইসামী,মাযমাউদ,মাযমাউয যাওয়াইদ,৮/২৯০,
ঠ, ইমাম আহমদ: মুসনাদে আহমদ: হাদীস ৬৬৬৬
সূত্র:- প্রমানিত হাদীস কে জাল বানানোর স্বরুপ উন্মোচন
মুফতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর