জুনায়েদ বাবুনগরী স্বীয় “প্রচলিত জাল হাদিস” বইয়ের ১১২ পৃষ্ঠায় এই হাদিসকে জাল প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়ে লিখেছেন- ” জামেউস সগীর কিতাবে উক্ত হাদিসটি আল্লামা মানাবী(রহঃ) উল্লেখ করেছেন”।
জবাবঃ যে কিতাবের সম্মানিত লিখকের নামই জানে না, সে আবার কিসর সহীহ, দ্বঈফ নির্ণয় করবে।মূলত জামেউস সগীর গ্রন্থের লেখক হলেন ইমাম সৈয়ুতী(রহঃ)।


হাদিসটি হলঃ

“হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত, হুজুর(সলল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফরমান, জুম’আ হল নিঃস্বদের জন্য হজ্জ্ব স্বরুপ।”
★ইমাম সৈয়ুতিঃআল- জামেউস সগীরঃ১/২৭২পৃঃ,হাদিসঃ৩৬৩৫

★ইমাম সাখাভীঃ মাকাসিদুল হাসানাঃ২০৭পৃঃ,হাদিসঃ৩৭০

★আল্লামা আযলূনীঃকাশফুল খাফাঃ১/২৯৮পৃঃ,হাদিসঃ১০৭৪

★ইমাম মানাবীঃফয়জুল কাদীরঃ৩/৩৫৯পৃঃ,হাদিসঃ৩৬৩৫

★আলবানীঃ সিলসিলাতুল দ্বঈফাহঃ১/৩৪৪পৃঃ,হাদিসঃ১৯১,তিনি বলেন হাদিসটি দ্বঈফ।
সনদ পর্যালোচনাঃ
১) উক্ত হাদিসটির একটি সনদ পাওয়া গেল, তবে উক্ত হাদিসের মধ্যে একজন রাবী ‘মুকাতিল’ সাধারণ দুর্বল থাকার কারণে সনদের ক্ষেত্রে হাদিসটি দ্বঈফ পর্যায়ের।
★ইমাম যাহাবীঃমিযা’নুল ই’তিলাদঃ৩/২৯৮পৃঃ,রাবী নং-৬৯৯৩,দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বৈরুত।

★ইমাম ইবনে হাজর আসকালানীঃলিসানুল মিযানঃ৪/৪৫৪পৃঃ।
২) তবে অপর সনদ যা ইমাম কাযাঈ(রহঃ) এবং ইমাম ইবনে আসাকীর(রহঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সুত্রে “মাসাকিন” এর স্থলে ” ফুকারা” বর্ণনা করেন।
★ইমাম সৈয়ুতিঃজামেউস সগীরঃ১/২৭৩পৃঃ,হাদিসঃ৩৬৩৬

★ইমাম মানাবীঃফয়জুল কাদীরঃ৩/৩৫৯পৃঃ,হাদিসঃ৩৬৩৬

তবে উক্ত হাদিসেও একজন রাবী দুর্বল।
৩)অপরদিকে উক্ত হাদিসের সমর্থনে ইমাম দায়লামী(রহঃ) হযরত ইবনে উমর(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে আরেকটি দ্বঈফ সনদ বর্ণনা করেছেন।

★ইমাম কদ্বায়ীঃমুসনাদে শিহাবঃ১/৮১পৃঃ,হাদিসঃ৭৯
৪)শুধু তাই নয় ইমাম ইবনে মাজাহ(রহঃ) দ্বঈফ সনদে উক্ত শব্দে হযরত আবু হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর সুত্রে বর্ণনা করেন।

★ইমাম আযলূনীঃকাশফুল খাফাঃ১/২৯৮পৃঃ,হাদিসঃ১০৭৪
৫) এই হাদিসটি আরেকটি শক্তিশালী সনদ পাওয়া যায় হযরত যাহহাক বিন মুযাহিম(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর) সুত্রে।

★ইমাম ফিকহীঃ আখবারে মক্কীয়াঃ১/৩৭৭পৃঃ,হাদিসঃ৭৯৫
তাই আমরা বলতে পারি এই হাদিসের ৪টিরও বেশী সনদে বর্ণিত।তাই হাদিসটি “হাসান” পর্যায়ের এবং মুল বিষয়বস্তু সহীহ

Top