★জাকির নায়েকের ফতোওয়ায় আমাদের প্রিয় নবিজী এবং ওনার প্রিয় সাহাবীরাও বেদাআতী★



লেখক:-হাসনাইন আহমদ আলকাদেরী।



জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র,ভলিয়ম নং ৫/৫৩২ পৃষ্টায় লিখা আছে জামা’আতবদ্ধ (সম্মিলিতভাবে) জিকির করা বিদ’আত অর্থাৎ তার দাবী হলো নবিজীর যুগে এজাতীয় কোন আমল ছিলোনা।



আমরা এবার তালাশ করে দেখি নবিজীর যুগে এই জাতীয় আমল ছিলো কিনা-



أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَفْعَ الصَّوْتِ بِالذِّكْرِ حِينَ يَنْصَرِفُ النَّاسُ مِنَ الْمَكْتُوبَةِ كَانَ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন,ফরয সমুহ থেকে ফারেগ হওয়ার পর (সম্মিলিতভাবে) উচ্চস্বরে যিকির করা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লামের যুগে প্রচলিত ছিলো।



সুত্র:-সহীহ মুসলিম-কিতাবুল মাসাজিদ,বাবুয যিকরি বা’দাস সালাত, হাদীস নং ১৩৪৬;



সম্মানীত পাঠকগন, উচ্চস্বরে সম্মিলিত যিকির নবিজীর সাথে সাহাবীরাও করতেন।এখন আপনারা দেখুন, জাকের নায়েক নবিজীর এই আমলটিকে বেদাআত ফতোওয়া দিয়ে দয়াল নবিজীকেও বেদাআতী বানিয়ে ছাডলো!







এজন্য মুসলিম শরীফে ১/১৪ পৃষ্টার হাদীসে নবিজী আমাদের উদ্যেশ্যে বলেন,নিশ্চয়ই এই ইলম হচ্ছে দ্বীন।তাই তোমাদের দ্বীন কার কাছ থেকে শিখতে যাচ্ছ তাকে আগে দেখে নাও।



সহীহ বেখারীর ১/৩১ পৃষ্টার ১০০নং হাদীসে নবিজী বলেন,আখেরী যামানার লোকেরা জাহেলদেরকে ধর্মবিজ্ঞ মনে করে গ্রহন করবে।তাদের নিকট যখন প্রশ্ন করা হবে,তারা সে বিষয়ে কোন ইলম ছাডাই উত্তর দিবে।ফলে তারা নিজেরাও গোমরা হবে এবং অন্যদেরকেও গোমরাহ করবে।



দয়াল নবিজীর এই বানীটা আজ সত্য হয়ে গেলো।মানুষ একটু ইংরেজী শুনে এবং পটাপট কয়েকটা হাদীস নাম্বার শুনে পাগল হয়ে যায়।অন্যথায় নবিজীর যুগে সম্মিলিত উচ্চস্বরে যে জিকির ছিলো,সে জিকিরকে কেউ কি বেদাআত ফতোওয়া দিয়ে আমাদের প্রিয় নবিজী ও সাহাবীদেরকেও বেদাআতী বানিয়ে দিতে পারে!



এখন আপনিই ঠিক করুন, যার ইলমহীন ফতোওয়া দ্বারা নবিজী ও তার সাহাবীরা বেদাআতী,সে জাকির নায়েকের জন্য নবিজীকে বাদ দিবেন,নাকি নবিজীর জন্য জাকির নায়েককে বাদ দিবেন,ফয়সালা আপনার হাতে।



দ্র:-ভুল বুঝবেননা,আমি কাউকে ভালোবাসলে আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্য ভালোবাসবো এবং কাউকে ঘৃনা করলেও আল্লাহ তার রাসুলের জন্য ঘৃনা করবো।