আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে... (প্রসঙ্গ ইমামের পিছনেমুক্তাদিরা সূরা ফাতিহা পড়বে কি না আবার না পড়লেসালাত হবে কি না)
রাসূল (সা:)একটি ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছিলেন যে তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল বের হবে যারাপূর্ববর্তীগণদের কে কটাক্ষ্য করে চলবে বর্তমানে তাই হচ্ছে যার একটি হলো ইমামের পিছনে মুক্তাদিরা কিরাত পড়বে কি না নিয়ে বর্তমান যামানায় একটি দল ধাক্কা ধাক্কি করে সরলপ্রাণ মুসলিমদেরকে কোরান হাদীসের সঠিকব্যখ্যা না বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে তারা কথায় কথায়বলে সূরা ফাতিহা না পড়লে নামাযহবে না তাদের কথা ঠিক কিন্তু কথাটিকোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সে ব্যপারটি তারা না বুঝে ফতোয়া দেওয়াশুরু করে দেয় যে যারা  ইমামের পিছনে সূরাফাতিহা না পড়বেতাদের সালাত হবে না ফতোয়ার কোন ভিত্তি নেই কারণ কোরান হাদীসএবং ফকীহগণের রায় প্রকাশ করলে বুঝাযায় তারা ইসলামের নামে ওহাব নজদীকে প্রাধান্য দিচ্ছে কিন্তু আসুন দেখি কোরান হাদীস এবং এজমাকিয়াস কি বলে-
দলিল নং-..যখন কোরান পাঠ করা হয়,তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে সেটাশ্রবণ করো এবং নিশ্চুপ থাকো, যাতেতোমাদের উপর দয়া হয়-আল কোরান-সূরা-আরাফ-২০৪ নং আয়াত-পাঠকগণ খুব ভালভাবে উপলপ্ধি করুন উপরের আয়াতটি
হযরত আবু হুরাইরা(রা:),হযরত ইবনে মাসঊদ(রা:),হযরত আবদুল্লাহ ইবনেআব্বাস(রা:),মুজাহিদ(রা:),ইবনে জুবাইর(রা:),ইবনে জারীর(রা:), প্রমখ সাহাবীগণ বলেছেন যে, এই আয়াতটি নাযিল হয়েছে সালাতএবং জুমআর খুতবাসম্পর্কে(তাফসীর ইবনেকাসীরঃ 4 : 428)
আশাকরি পাঠকগণ উপরের কোরানের আয়াতটি দিয়ে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে,মুক্তাদীর ইমামের পিছনে কেরাত না পড়ার জন্য এটি একটি বড় পর্যাপ্ত দলিল এবং যখন ইমাম কেরাতপড়তে থাকেন তখন মুক্তাদীর চুপ থাকা মনোযোগ দিয়েশ্রবণ করা আবশ্যক
এখন আসূস হাদীসের দিকেযায়
(হাদীস শরীফে রাসূল(সা:)বলেছেন যে ব্যক্তি সালাতে সূরাফাতিহা পড়বে না তার সালাত হবে না এই হাদীসটি বুখারী শরীফ-মুসলিম শরীফ-তিরমিযী শরীফ-আবু দাউদ শরীফ-সূনান নাসাঈ-মুসনাদে আহমদ-ইবনে মাযাহ মেশকাত সহ অনেক হাদীসে সহীহসনদে লিপিবদ্ধ আছে)কিন্তু হাদীসটি কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে আর কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে না তা কোরানের আয়াত আরোঅন্যান্য হাদীস এবং ফকীহগণের রায় প্রকাশ করলে বুঝা য়ায় যে এটি শুধুমাত্র একাকী নামায়ের বেলায় প্রযোয্য এর পক্ষে হাদীস হচ্ছে-যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার সালাতহবে না এই হাদীসটির ব্যখ্যায় ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (রা:)বলেন এটি শূধু একাকী সালাতআদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোয্য এবং এই হাদীসটিতে জাবির (রা:)বলেন যে ব্যক্তি সালাতে সূরাফাতিহা পড়বে না তার সালাত হবে না তবে ইমামের পিছনে হলে ভিন্নকথা ইমাম আহমদ(রা:)বলেন জাবির(রা:)একজন সাহাবী এবয় জাবির (রা:)এই হাদীসটিকে একাকী সালাত আদায়কারীর বেলায় প্রযোয্য বলে ঘোষণা দিচ্ছেন -তিরমিযী শরীফ-৩১২ নং হাদিসইসলামিক ফা:-সূতরাং পাঠকগণ আশাকরি বুঝতেপেরেছেন এই হাদীসটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে আর কোনক্ষেত্রে ব্যবহার করতেহবে না তা আপনাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেলো  তবে কেউ যদি ইমামের পিছনেমনে মনে কিরাতপরে তা পড়তেপারবে ব্যপারে হাদীস আছে আবারইমামের পিছনে না পড়ার অনেক শক্তিশালী হাদীস আছে কিন্তু আমার কথা হলোযে ভাইয়েরা বলেনবা ফতোয়া দেন যে নামায হবে না এটা আমি কোন হাদীসে পাই নি বা কোন ফকীহগণ বা কোরানে রকম কোন কিছু উল্লেখ নেই তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করছিনা বুঝে কোনকিছু হুট করে পোষ্ট করবেন না কারণ কোন হাদীসকোন জায়গায় ব্যবহার করতে হবে তা আমি আপনি হয়তোবুঝতে পারি না তাই অযতা ইসলামনিয়ে সাধারণ সরলপ্রাণ মুসলিমদের মাঝে বিশৃংখলা করবেন না যদি করেন তাহলে পাপেরবোঝা আপনাকেই বহন করতে হবে অন্যদের নয়-আল্লাহ হাফেয-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ
Top