আসসালামু আলাইকুম,
প্রশ্নঃ ফরজ নামাজের ইমামতি কত বছর হলে করতে পারবে, রেফারেন্স সহ জানতে চাই, নাম আমিনুল ইসলাম আল আরাবি,। ঠিকানা হবিগঞ্জ সদর।আমিনুল ইসলাম
ওয়ালাইকুমুচ্ছালাম
_________কৃত_________
হাফেজ ইমরান আহমেদ
জবাব:--
নামাজের ইমামতি ও ফরজ নামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিম্নোল্লিখিত শর্তগুলো বিদ্যমান থাকা আবশ্যক—
১। পুরুষ হওয়া।
২। মুসলমান হওয়া।
৩। বালেগ হওয়া। নাবালকের ইমামতি শুদ্ধ নয়। (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি : ৬০৬৯)
৪। বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৫। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেরাত পড়তে সক্ষম হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কেরাত পড়া প্রয়োজন, ততটুকু পড়তে সক্ষম নয়, ওই ব্যক্তির ইমামতি শুদ্ধ নয়। (তিরমিজি : ১৯১)
৬। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না। নামাজ সহিহ হওয়ার শর্ত যেমন—পবিত্রতা, সতর ঢাকা ইত্যাদি। আর যার নামাজই হবে না, তার ইমামতির প্রশ্নই আসে না।
৭। ওজর তথা যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়া। যেমন—নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি। (বাদায়ে : ২/৫৪)
৮। শব্দের সঠিক উচ্চারণে সক্ষম হওয়া। যে ব্যক্তি ‘রা’ বলতে ‘গাইন’, ‘হা’ বলতে ‘খা’ উচ্চারণ করে, এরূপ লোকের ইমামতি সহিহ হবে না। কারণ সে লোক পবিত্র কোরআন শুদ্ধ করে পড়তে পারবে না। সঠিক উচ্চারণে কোরআন পড়তে না পারলে নামাজই শুদ্ধ হবে না। সে কারণে তার ইমামতিও সহিহ হবে না।
ইমামতির সর্বাধিক যোগ্য ব্যক্তি কে?
মাসআলা : বাদশাহ বা তাঁর নায়েব ইমামতির বেশি যোগ্য। (তিরমিজি : ২১৮)
মাসআলা : মসজিদের জন্য নিযুক্ত ইমাম ওই মসজিদে ইমামতির বেশি যোগ্য। যদি কারো ঘরে জামাত হয়, তবে ওই ঘরের মালিকই (যদি যোগ্যতা রাখে) ইমামতির বেশি হকদার। (আবু দাউদ : ৫০৪)
মাসআলা : উপস্থিত লোকদের মধ্যে যদি বাদশাহ, নায়েব, মহল্লার ইমাম এবং ঘরের মালিক না থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তিই বেশি হকদার, যিনি নামাজে শুদ্ধ ও অশুদ্ধ হওয়া সম্পর্কে মাসআলাগুলোর জ্ঞান রাখেন, এরপর হাফেজ, যিনি নামাজের আহকাম সম্পর্কে জানেন, এরপর মুত্তাকি ব্যক্তি, এরপর বয়স হিসেবে যিনি বড়। যদি সবাই এই গুণাবলিতে সমান হন, তাহলে তাঁদের থেকে যাঁকে নির্বাচন করা হয়, তিনিই ইমামতির হকদার। (সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর : ৬৩৭)