প্রথম অধ্যায়ঃ
আক্বিদা বলতে কী বুঝায়?
আক্বিদা عقد শব্দ থেকে আগত। যার বাংলা শাব্দিক অর্থ: বন্ধন করা, গিরা দেওয়া, শক্ত হওয়া ইত্যাদি।
ভাষাবিদ ইবনে ফারিস (رحمة الله) এই শব্দের অর্থ বর্ণনা করে বলেন, “শব্দটির মূল অর্থই একটিই- দৃঢ় করণ, দৃঢ়ভাবে বন্ধন, ধারণ বা নির্ভর করা। শব্দটি যত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তা সবই এই অর্থ থেকে গৃহিত। (মু‘জামু মাকায়িসিল লুগাহ, ৪/৮৬পৃ.) তাই বুঝা যায় মানুষ কতিপয় বিশ্বাসকে অন্তরে ধারণকেই আক্বিদা বলে। এবার আমরা আক্বিদার পারিভাষিক সংজ্ঞা আলোকপাত করবো। আহমদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-ফাউমী বলেন-
الْعَقِيْدَةُ مَا يَدِيْنُ الإِنْسَانُ بِهِ وَلَهُ عَقِيْدَةُ حَسَنَةً مِنَ الشَّكِ
-‘‘মানুষ ধর্ম হিসেবে যা গ্রহণ করে তাকে ‘আক্বিদা’ বলা হয়। যেমন-বলা হয়, তার ভাল আক্বিদা আছে অর্থাৎ তার সন্দেহ মুক্ত দৃঢ় বিশ্বাস আছে।’’ (আল-মিসবাহুল মুনীর, ২/৪২১পৃ.)
ড. ইবরাহিম আনীস বলেন-
(العَقِيْدَةُ) الحُكْمَ الَّذِي لَا يَقْبَلُ الشَّكَ فِيهِ لَدَىْ مُعْتَقِدِهِ وَ (فِي الدّين) مَا يُقْصَدُ بِهِ الِاعْتِقَاد دون الْعَمَل كعقيدة وجود الله وَبَعثه الرُّسُل (ج) عَقَائِدْ
-‘‘আক্বিদা অর্থ এমন বিধান বা নির্দেশ যা বিশ্বাসীর বিশ্বাস অনুসারে কোনরূপ সন্দেহের অবকাশ রাখে না....ধর্মীয় বিশ্বাস যা কর্ম থেকে পৃথক। যেমন আল্লাহ তা‘য়ালার অস্তিত্ব, রাসূলদের প্রেরণ। এটির বহুবচন আকায়েদ।’’ (আল-মুজাম আল-ওয়াসীত, ২/৬১৪পৃ.)