আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ রাসূল (সা:) ওফাতের সময় কাগজেকিছু লিখে দিতেচেয়েছিলেন ওমর ফারুক (রা:) নাকি তাতে বাধা দিয়েছেন এটা শিয়াদের যুক্তি সেটারজবাব দিচ্ছি হাদীসভিত্তিক)
প্রথমে বলতে চায় শিয়ারা যে কত জঘন্য তা আপনারা টের পাবেনতারা ইসলামের ৪ খলীফার মধ্যে ৩ খলীফা কে মানে না বরং তাদের শানেনানান ঘুযব আর বেয়াদবী এমনকি গালাগালি পর্যন্ত করে থাকেন..তারা কথায়কথায় মাওলা আলী(রা:)কে দার করানঅতচ হাদীসে আছে যে আমার আহলেবায়াত নিয়ে অতিরঞ্জিত করবে সে পথভ্রষ্ঠ..আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো খেলাফত সম্পর্কে রাসূল (সা:)হাদীসবর্ণনা করে গিয়েছেন কে কবে কতদিনখেলাফত চালাবে তো ওনার উপরে মাতাব্বরী কেন করে শিয়ারা জানেন কি মূল কথা হলো তারানবী করীম (সা:)কে নবী মানতেপারেনা যদি নবী করীম (সা:)নবী মানত তাহলে আবু বক্কর (রা:)এবং ওমর ফারুক (রা:)সাথে বেয়াদবী করত না তাদের অনেককু কর্ম আছে যা লিখে আমি আমার লেখনী নষ্টকরতে চায়না মূল কথায় আসি তারাবুখারী শরীফের ইসলামিক ফা:এর ১ম খন্ডের ১১৫ নং হাদীস দিয়ে প্রমান করতে চায় ওমর ফারুক (রা:)নাকিএকটি দোষ করেছেন সেই দোষ শিয়াদের চোখে পড়েছে অন্যকারো চোখে সেটাপড়েনি এই গর্ধবের বাচ্চাদের নাকি অনেকবুদ্ধি দেখেন হাদীসকি বলছে রাসূল(সা:) ওসুখের প্রচন্ড যন্ত্রনায় ঠিকমত কথা বলতেপারছিলেন না রাসূল(সা:)ওনার খুব কষ্ট হচ্ছিল কথা বলতে সেই সময় রাসূল (সা:)খুব কষ্টে বললেন আমারকাছে কাগজ কলম নিয়ে আসো আমি কিছু লিখে দিতেচাই তখন উমর ফারুক (রা:)বললেনইয়া আল্লাহ রাসূলআপনার অনেক কষ্টহচ্ছে আপনি যদি এখন লিখতে চান তাহলে আপনার আরোকষ্ট হবে এই অবস্থায় রাসূল (সা:) কে ওমর ফারুক(রা:)আর কষ্টদিতে চাননি এটাইকি তার অপরাধপাঠকগন কথাটি খেয়ালকরেন রাসূল (সা:)ওমর ফারুক (রা:)কত ভালবাসতেন এখানে তার পরিচয় ফুটেউঠেছে সেই মহব্বতের কারণে রাসূল (সা:)ওনার যেন আর কষ্ট না হয় সে জন্য উনি কিছু আনেন নি..এটা রাসুল (সা:)ওনার প্রতি মহব্বেতর দরুন পরিচয় কিন্তু শিয়া রাফেযীরা তারা উমর (রা:) সেই মহব্বতের সুযোগ টাকেহিংসার প্রতি টেনেনিয়ে তার শানেকটুক্তি করে সাধারন মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে...সম্মানিত পাঠকগণ আশা করি আপনারা বুঝতেপেরেছেন যাকে রাসূল(সা:)এত ভালবাসতেন এবং সেই সাহাবী রাসূল (সা:)ওনারসাথে মদীনায় জান্নাতে শুয়ে আছেন ওনি কি করে আমাররাসূলের সাথে বেয়াদবী করতে পারেন আর সেই বেয়াদব (নাউযুবিল্লাহ) সাহাবী কে কি করে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন যিনি সর্বদিক দিয়ে পবিত্র সমস্তনবীগণের নবী যিনিসৃষ্ঠি না হলে এই দুনিয়ায় সৃষ্ঠি হোতনা তিনি কি করে তাকে নিয়েআছেন মদীনায় একটুজবাব দিবেন... এবারআসি সেই প্রসঙ্গে রাসূল (সা:)কেন এক টুকরা কাগজআর একটি কলম চেয়েছিলেন কিছু লিখেদিতে আমার গা সিউরে উঠছে আর চোখের পানিতে আমারচোখ লাল হয়ে যাচ্ছে যারা প্রাণ প্রিয় সাহবীদের শানে কটুক্তি করে মন চায় তাদের জীব গুলিচিড়ে কুকুর কে দিয়ে দেই যাতে সে আর কোন দিন তার সেই অপবিত্র মুখ দিয়ে তাদেরনাম না নিতেপারে....রাসুল (সা:)কি লিকে দিতেচাইলেন তা আমি আপনাদের সামনে হাদীসপেশ করেছি এবং এখানে কিছু অংশ লিখতেছি মেশকাত শরীফথেকে ১১ টি খন্ড একত্রে যেটিসেটি থেকে হাদীসনং ৫৬৪২...আয়েশারা: থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:)যখন ওফাতের রোগ সয্যায় তখন মা আয়েশ(রা:)কে ও বললেন একটি কাগজকলম নিয়ে আসোআমি খেলাফত সম্পর্কে কিছু লিখে যেতেচাই আমার ভয় হচ্ছে যাতে অন্যকেউ খেলাফতের দাবী করে বসে যে আমি খেলাফতের হক দার অতচ সে হকদার নয়...আল্লাহ ও ঈমানদার লোকেরা আবু বক্কর ছাড়াঅন্য কারো খেলাফত মেনে নিবে না এই হাদীসটি মুসলিম শরীফে ও বর্নিক আছে এখন আপনারাই বলুন রাসূল (সা:)কাগজে কি লিখেদিতে চাইলেন তা আশাকরি আপনাদের সামনেপ্রকাশ হলো এই ব্যাপার গুলি আমি অনেকদিন ধরে ফেসবুকে দেখতেছি কিন্তু প্রমানের অভাবে লিখা হচ্ছিলনা তাই আজ সময় এসেছে প্রমান করারহাদীস দিয়েই প্রমান করে দিলাম যে আবু বক্কর (রা:) এবং ওমর ফারুক(রা:)কে যারাদোষারোপ করে এবং তাদের শানে বেয়াদবী করে তারা শিয়াছাড়া কেউ না আমি মনে করি এক দিক দিয়েতাদের থেকে ওহাবীরা একটু ভাল কারণতারা অন্তত পক্ষে৪ খলীফাদের শানে বেয়াদবী করে না...পরিশেয়ে আমি অধম এ টুকুই বলতেচাই বর্তমান যুগ ফ্যাতনার যুগ এখন এই ফ্যাতনার যুগে একজনেএকটি কথা বলে ফেলল বা লিখলো বা ফোতয়া দিল তা হুট করেইমেনে নিবেন না কারন বর্তমানে প্রতি কদমে কদমে ফ্যাতনা ছড়াচ্ছে সুতরাং বুঝেশুনে পা ফেলবেন আর আমি যা লিখছি তা আপনাদের সামনে হাদীসদিলাম সেই অনুসারে বিচার করে আমাকেযাচাই করুন--আল্লাহ-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ